রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৪

জিহান ট্যাজিটির সিকোয়েন্স

দুপুর তিনটাঃ একটা বাচ্চা পাইপের ৩০০ ফিট নিচে পড়ছে।
৪টাঃ বাচ্চার নাম জিহান যে ৪০০ ফিট নিচে আছে
৫টাঃ জিয়া ৫০০ ফিট নিচে, ফায়ার সার্ভিস তাকে তুলে আনার চেস্টা করছে
.
৬টাঃ জিহাদ ৬০০ ফিট নিচে, ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি আসতে দেরী করছে। তাদের কাজে অবহেলা!!
৯টাঃ ফেসবুকে হ্যাস ট্যাগের মাধ্যেমে উদ্ধারের চেস্টা ‘সেইভ জিহান’
১১টাঃ জিহানকে উদ্ধারে ফেসবুকে ইভেন্টো খোলা হইছে 
.
রাত ১টাঃ সব চেস্টা ব্যার্থ, ক্যামেরা পাঠানো হচ্ছে
রাত ২টাঃ শুধি দর্শক, আপনারা যারা দূর্বল চিত্তের মানুষ তাঁরা টিভি সেট থেকে চলে যান। ক্যামেরা নিচে যাচ্ছে, এই দৃশ্য অনেকে সহজ ভাবে নিতে পারবেন না।
রাত ৩টাঃ তেলাপোকা আর টিকটিকি ছাড়া কিছুই দেখা যায় না। পুরোটাই গুজব
.
রাত ৪টা- দুপুর ২টাঃ “বলসিলাম নাআআআআআআ কিছুই নাই। আরেক রেশমা কাহিনি। বিরধী দলের কর্মসূচি বাঞ্চালের চেষ্টা!!” /“আমি আগেই জানতাম কিছু নাই, মাইনষে এতো বেকুব হয়”
.
দুপুর ৩টাঃ জিহান উদ্ধার।
দুপুর সাড়ে তিনটাঃ জিহান যদি জিবিত থাকে তাহলে বুঝতে হবে এটা আরেক রেশমা নাটক, যদি মৃত হয় তাহলে ঠিক আছে 
(মানে তারে মইরা প্রমান করতে হবে ঘটনা সত্য )

দুপুর ৩টা ৪৫ মিনিটঃ ‘বিচার চাই বিচার চাই’ সো ভাংচুর (এইখানে ক্যান ভাংচুর করলো তার কাহিনি বুঝলাম না, আর কার বিচার??? সবাই তো ক্যাম্রায় দেখলো কিছুই দেখা যাচ্ছে না, এখানে কার কি করার!!!?? বাট সবাই আন্তরিক ছিল নো ডাউট)
.
.
বিকাল ৪টাঃ ওয়েটিং ফর নেক্সট সিকোয়েন্স 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন