সরকারী দলের সাপর্টার একজন রিক্সা ভাড়া করতে গেছে। রিক্সায়ালা ২০ টাকার ভাড়া ৪০ টাকা চাইছে, তার রিএকশন, “এই বিরধীদল হরতাল দিয়া দিয়া সব কিছুর দাম বাড়ায়া দিছে, আর এই দেশে কোন কিছুর দাম বাড়লে কমে না। বলসিলাম নাআআআ এরা দেশটারে শেষ করবে”
.
সেইম ব্যাপার বিরধী দলের কারো সাথে হইলে, “বলসিলাম নাআআআআআআআ এই সরকার ক্ষমতায় আসলে জনগনকে বাঁচতে দিবে না। সব কিছুর দাম বাড়বে। এইবার আমার কথা লাগলো???”
.
ওগো ভাব সাব এমন যেন শেখ হাসিনা বা খালেদা জিয়া আইসা রিক্সায়ালারে কইয়া গেছে ভাড়া বাড়ায়া চাইস!!
.
কয়দিন আগে মসজিদ থেকে বাসায় আসতাছি রাস্তায় দাড়ায়া দেখি আমগো বিল্ডিং থেকে কুচকুচে কালো ধোয়া উঠতাছে। কইলজার পানি নগদ বাষ্প হইয়া গেছে। কাছে যাইয়া দেখি দারোয়ানে কর্কশীট পুড়ায়!! (টিভি-ফ্রিজের কার্টনে যেই সাদা ফোম এর মত থাকে সেটা) কিন্তু রাস্তায় শুরুতে তো ভাবছিলাম আমগো বিল্ডিং এ আগুন লাগছে। যদি তখনই ফায়ার সার্ভিসে কল দিয়া বসতাম তাইলে কি হইতো??
.
ধরেন এরুম এক কাহিনি বড় আকারে কোন এক ৫-৬ তলা কিন্টারগার্ডেন স্কুলে ঘটলো। কিছু বাচ্চা সবার চক্ষের আড়ালে সিঁড়িতে শয়তানি করে এমন কিছু কর্কশীট এক সাথ করে আগুন ধরায়া দিলো। মজা করার জন্য।
কিন্তু আগুন ধরায়া তারাও বেকুব হয়ে গেছে এতো ধোয়া দেখে!! আগুন আগুন বলে চিৎকার করছে। বদ্ধ সিড়িতে ভ্যান্টিলেশনের জায়গা না পেয়ে ধোয়া বিল্ডিং এর অন্যান্য ফ্লোরেও ছড়িয়ে গেছে। কিছু জানালা দিয়ে গাড় কালো ধোয়া বের হচ্ছে।
.
ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়া হইছে। নিচে ফায়ার সার্ভিস এসে পানি ছিটাচ্ছে, ধোয়ার জন্য সিঁড়ি বেয়ে উপরে যাওয়া রিস্কি, কিছুই দেখা যায় না। বাহিরে ক্রেনে করে জানালা কেটে বাচ্চাদের বের করার প্রস্তুতি চলছে। উপরে বিমান বাহিনির হেলকপ্টারে সেনা সদস্য দড়ি বেয়ে ছাদে নামছে। নিচে এপোলো স্কোয়ার হস্পিটালের স্যান্ডবাই এম্বুলেন্স রেডি আছে।
আওয়ামিলীগের সাহারা খাতুন বিএনপির মির্জা আব্বাস এসে উদ্ধার ততপরতা তদারকি করছেন। ২৫ চ্যানেলের ৫০ ক্যাম্রা, ক্যাম্রাম্যান রিপর্টার ড্রাইভার সহ ১২৫ জনের বিশাল বহর লাইভ টেলিকাস্ট করছে। অনলাইন পত্রিকা সেকন্ডে সেকন্ডে আজগুবি নিউজ আপডেট করছে, উৎসুক জনতাকে সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ র্যা বের সদস্যরা,
ফেবুকে কিছু বুদ্ধিজীবী “বাচ্চাদের বাঁচাও” নামে ইভেন্ট খুলছে, কেউ হ্যাস ট্যাগ দিয়ে বাচ্চা উদ্ধারের থিউরী আবিষ্কার করছে...........
.
.
.
এবং শেষে কিছুই হয় নাই। সিড়িতে কিছু কর্কশীট পোড়া আলকাতরা টাইপ অবশিষ্ঠাংশ আবিষ্কার হইছে!!!!!!
.
এইবার কাহিনি শেষে দেখেবেন দুই প্রজাতির আভির্ভাব হবে। বিএনপি সাপর্টার বলবে “আমি ‘বলসিলাম নাআআআআআআআআআ’ এটা আওয়ামিলীগের চক্রান্ত?? নিজেরা কিছু করতে পারে না এখন দেশবাসীর নজর ঘুরায়া দেয়ার জন্য এই নাটক!!”
আবার আওয়ামিলীগ সাপর্টার বলবে, “ বলসিলাম নাআআআআআআআআ সরকারকে বিব্রত করার জন্য এটা বিএনপির চক্রান্ত”
.
একটা জিনিস ভালো যে যেই দল করুক এক জায়গায় বাঙ্গালীর মিল। “বলসিলাম নাআআআআআ” কওয়াতে সবাই এক।
এতো বড় বড় জৈতিশী দেশে মগর আগে দিয়া কেউ কিছু প্রেডিক্ট করতে পারে না সব কাহিনি শেষ হবার পরে আসে “বলসিলাম নাআআআআআআআ”
আজাইরা
.
সেইম ব্যাপার বিরধী দলের কারো সাথে হইলে, “বলসিলাম নাআআআআআআআ এই সরকার ক্ষমতায় আসলে জনগনকে বাঁচতে দিবে না। সব কিছুর দাম বাড়বে। এইবার আমার কথা লাগলো???”
.
ওগো ভাব সাব এমন যেন শেখ হাসিনা বা খালেদা জিয়া আইসা রিক্সায়ালারে কইয়া গেছে ভাড়া বাড়ায়া চাইস!!
.
কয়দিন আগে মসজিদ থেকে বাসায় আসতাছি রাস্তায় দাড়ায়া দেখি আমগো বিল্ডিং থেকে কুচকুচে কালো ধোয়া উঠতাছে। কইলজার পানি নগদ বাষ্প হইয়া গেছে। কাছে যাইয়া দেখি দারোয়ানে কর্কশীট পুড়ায়!! (টিভি-ফ্রিজের কার্টনে যেই সাদা ফোম এর মত থাকে সেটা) কিন্তু রাস্তায় শুরুতে তো ভাবছিলাম আমগো বিল্ডিং এ আগুন লাগছে। যদি তখনই ফায়ার সার্ভিসে কল দিয়া বসতাম তাইলে কি হইতো??
.
ধরেন এরুম এক কাহিনি বড় আকারে কোন এক ৫-৬ তলা কিন্টারগার্ডেন স্কুলে ঘটলো। কিছু বাচ্চা সবার চক্ষের আড়ালে সিঁড়িতে শয়তানি করে এমন কিছু কর্কশীট এক সাথ করে আগুন ধরায়া দিলো। মজা করার জন্য।
কিন্তু আগুন ধরায়া তারাও বেকুব হয়ে গেছে এতো ধোয়া দেখে!! আগুন আগুন বলে চিৎকার করছে। বদ্ধ সিড়িতে ভ্যান্টিলেশনের জায়গা না পেয়ে ধোয়া বিল্ডিং এর অন্যান্য ফ্লোরেও ছড়িয়ে গেছে। কিছু জানালা দিয়ে গাড় কালো ধোয়া বের হচ্ছে।
.
ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়া হইছে। নিচে ফায়ার সার্ভিস এসে পানি ছিটাচ্ছে, ধোয়ার জন্য সিঁড়ি বেয়ে উপরে যাওয়া রিস্কি, কিছুই দেখা যায় না। বাহিরে ক্রেনে করে জানালা কেটে বাচ্চাদের বের করার প্রস্তুতি চলছে। উপরে বিমান বাহিনির হেলকপ্টারে সেনা সদস্য দড়ি বেয়ে ছাদে নামছে। নিচে এপোলো স্কোয়ার হস্পিটালের স্যান্ডবাই এম্বুলেন্স রেডি আছে।
আওয়ামিলীগের সাহারা খাতুন বিএনপির মির্জা আব্বাস এসে উদ্ধার ততপরতা তদারকি করছেন। ২৫ চ্যানেলের ৫০ ক্যাম্রা, ক্যাম্রাম্যান রিপর্টার ড্রাইভার সহ ১২৫ জনের বিশাল বহর লাইভ টেলিকাস্ট করছে। অনলাইন পত্রিকা সেকন্ডে সেকন্ডে আজগুবি নিউজ আপডেট করছে, উৎসুক জনতাকে সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ র্যা বের সদস্যরা,
ফেবুকে কিছু বুদ্ধিজীবী “বাচ্চাদের বাঁচাও” নামে ইভেন্ট খুলছে, কেউ হ্যাস ট্যাগ দিয়ে বাচ্চা উদ্ধারের থিউরী আবিষ্কার করছে...........
.
.
.
এবং শেষে কিছুই হয় নাই। সিড়িতে কিছু কর্কশীট পোড়া আলকাতরা টাইপ অবশিষ্ঠাংশ আবিষ্কার হইছে!!!!!!
.
এইবার কাহিনি শেষে দেখেবেন দুই প্রজাতির আভির্ভাব হবে। বিএনপি সাপর্টার বলবে “আমি ‘বলসিলাম নাআআআআআআআআআ’ এটা আওয়ামিলীগের চক্রান্ত?? নিজেরা কিছু করতে পারে না এখন দেশবাসীর নজর ঘুরায়া দেয়ার জন্য এই নাটক!!”
আবার আওয়ামিলীগ সাপর্টার বলবে, “ বলসিলাম নাআআআআআআআআ সরকারকে বিব্রত করার জন্য এটা বিএনপির চক্রান্ত”
.
একটা জিনিস ভালো যে যেই দল করুক এক জায়গায় বাঙ্গালীর মিল। “বলসিলাম নাআআআআআ” কওয়াতে সবাই এক।
এতো বড় বড় জৈতিশী দেশে মগর আগে দিয়া কেউ কিছু প্রেডিক্ট করতে পারে না সব কাহিনি শেষ হবার পরে আসে “বলসিলাম নাআআআআআআআ”
আজাইরা
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন