বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৪

বাঙ্গালীর ওভার এক্টিং

ওভারএক্টিং, ওভারস্মার্ট থেকে শুরু করে “ওভার” কোন কিছুই ভালো না হোক সেটা রান্নার মসলা বা গালের মেকাপ বা দেশপ্রেম বা bf-gf এর ‘ফ্রাইড চিকেন প্রেম’। কিন্তু আমগো দেশে ক্যান জানি এইডা অতি বেশি।
.
বাহিরের দেশের মাইনষে DSLR কিনে ভালো রেজুলেশনের ছবি তোলার জন্য আর আমগো দেশে কিনে আপুগ্রাফী কইরা “ফটোগ্রাফার” হওয়ার জন্য। ফলাফল DSLR থাকাটাও এখন পচানি খাওয়ার বস্তু হইয়া গেছে।
.
সেলফি সারা বিশ্বে প্রচলিত। আমগো দেশে এইডার ট্রেন্ড আইলো মাত্র অল্প কয়দিন আর এখুনি এইডা বিরক্তির কারন বানায়া ফেলছে।
.
হিজাব ধর্মীয় রীতি অনুয়াযী মেয়েদের পর্দার একটা অংশ আর আমগো দেশে এইডা এখন ফ্যাশন!! যেই জায়গা ভালোভাবে ঢাকা দরকার তা উল্টা আরো টাইটফিট কইরা পিন্দা যেইডা তুলনা মূলক কম ঢাকলেও চলে ঐডা পারলে তিন চাইর পরতে ঢাইক্কা টাইটেল লাগায় “স্মার্ট পর্দানশীল”  !!!
.
ব্রাজিল আর্জেন্টিনায় কেউ হারলে বিপক্ষ দলের সাপর্টার তারে পচাইতেই পারে কিন্তু নেইমার প্রায় জীবন মরন টানা টানি অবস্থায় পড়া পর বিপরীত পক্ষ থেকে সমবেদনা তো দূরের কথা উল্টা উল্লাস না করলে “ডাই হার্ট আর্জেন্টিনার সাপর্টার” প্রুভ করা যাবে না!!
.
হারাদিন ইংলিশ স্পেনিশ আর ফ্রেঞ্চের ফুল নাঙ্গা মুভি দেখলে সেইডা হয় ‘শিল্প’ আর পাশের দেশ ইন্ডিয়ার কোন মৌলিক ছবিতে কারিনার কোমড় দেখা গেলে হইয়া যায় ‘অপসংস্কৃতি’ আর এইড নিয়া কিছু কইলে হয় “ইন্ডিয়ার দালাল”!!!
.
যাই হোক কথা ঐটা না। কথা হইলো “ওভার” বা বেশি বেশি ব্যাপারটা আমগো একটু বেশিই হইয়া যাইতাছে।
প্রডাক্ট ভালো হবার কারনে বানিজ্য মেলায় ভিড় থাকে সবচেয়ে বেশি পাকিস্তানী স্টলে কিন্তু পাকিস্তানে ১৩২ জন শিশু খুন হবার পরে “এক্কারে ঠিক হইছে” বইলা স্টাটাস না দিলে “স্বদেশপ্রেম” দেখানো হয় না, হইয়া যায় “রাজাকার”!! এইডা কি একটু বেশি বেশি হইয়া গেলো না???
.
পাকিস্তান আমাদের চির শত্রু, ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের হিসাব শুধু “সরি” বইলা মিটান যায় না জানি তাই বলে পাকিস্তানে একসাথে ১৩২ জন শিশুকে গুলি করে খুন করা হলে সেটা নিয়া “ইনালিল্লাহ” না বলে “আলহামদুলিল্লাহ” বলতে পারছি না বলে আমিও ‘সরি’ বিকজ আমার স্বদেশপ্রেম থাকলেও “ওভার স্বদেশপ্রেম” নাই যা আমারে প্রেমের জ্বালায় পুরাই হিতাহীত জ্ঞানশূন্য বানায়া দিয়া জোর কইরা খারাপেরে ভালো আর ভালোরে খারাপ বুঝাবে।
.
পাগলা কুত্তায় কামড়াইতে আইলে তারে পিটায়া বেড়ি বাইন্ধা পশু ডাক্তার থেকে উপযুক্ত চিকিৎসা দিয়া লাইনে আনতে হয়। কিন্তু মানুষো যদি কুত্তার কামড়ের বিপরীতে তার এলাজ না কইরা উল্টা কুত্তারে কামড়ায় তাইলে আর পার্থক্য রইলো কি!!??
.
শত্রু আর্থিক ক্ষতিতে পড়লে বা সে কারো কাছে অপমানিত হইলে মজাই লাগবে এইটাই স্বাভাবিক কিন্তু তাই বলে ‘শত্রুর’ নিষ্পাপ ১৩২ শিশু বিনা অপরাধে খুন হবে আর তাতে যদি আপনার মজা লাগে তাইলে বুঝবেন আপনারেও পাগলা কুত্তার মত পিটায়া বেড়ি বাইন্ধা ডাক্তার থেকে উপযুক্ত চিকিৎসা দিয়া লাইনে আনতে হবে। 
.
কারন মানসিক বিকারগ্রস্থ প্রানী শত্রু মিত্র সবার জন্যই ক্ষতিকর।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন