বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৪

থার্টি ফার্স্ট থিম সং

ওয়েল কাম টু দ্যা বিগেস্ট ব্লক বাস্টার ইভেন্ট অফ দ্যা নাইট, থার্টিফার্স্ট নাইট টু থাউজেন্ট ফোরটিন.. আর ইউ রেডি টু গোওওওওও..
.
এক রাইতের একশন, ঢিস্টিং ঢিস্টিং
হুজুগে বাঙ্গালী নেইশন, হাউ এক্সাইটিং
আমরা সবাই ওয়েটিং, টেনশন টেনশন
ধিং ধিতাং ধিং ধিং, ধিংধিং ধিংধিং
.
চার ছক্কা হই হই, ২০১৪ যায় কই
চার ছক্কা হই হই, ২০১৪ যায় কই
চার ছক্কা হই হই, ২০১৪ যায় কই
চার ছক্কা হই হই, ২০১৪ যায় কই
.
হোউল ওয়ার্ল্ড, ক্যাম্প ফায়ারিং ক্যাম্প ফায়ারিং
ব্লক বাস্টার, নিউ-ইয়ার ওয়েটিং ইয়ার ওয়েটিং
পোলাপাইন শাউটিং, বোম বাস্টিং রকিং
পিপল আর চিয়ারিং, ইভরিবডি হিয়ারিং
.
নাচে গানে জমবে লড়াই, খুশির সীমা নাইইইই
দেখছে দুনিয়া করবে পার্টি, একি সাথে সবাইইইইই
নাই নাই হরতাল যে নাই, যাই যাই এগিয়ে যাই
চলো সবাই একি সাথে, থার্টিফার্স্টের পার্টি বানাইইইই
ধিং ধিতাং ধিং ধিং, ধিংধিং ধিংধিং
.
চার ছক্কা হই হই ২০১৪ যায় কই
চার ছক্কা হই হই, ২০১৪ যায় কই
চার ছক্কা হই হই, ২০১৪ যায় কই
চার ছক্কা হই হই, ২০১৪ যায় কই

মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৪

নিউ ইয়ার ২০১৫

ডাক্তারঃ “আপনার সাথে রিলেটিভ কেউ কি আছেন?”

পেশেন্টঃ “না আমি একাই। কেন কোন খারাপ কিছু আছে রিপোর্টে”

ডাক্তারঃ “উম্মম্ম কি ভাবে যে বলি”

পেশেন্টঃ “কেন ডাক্তার কি হইছে আমার??”

ডাক্তারঃ “দেখেন মনটা শক্ত করেন, আমাদের সবাইকেই পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে হবে”

পেশেন্টঃ “আমার কি কোন মরন ব্যাধি হইছে?? আর কয় দিন বাচবো?”

ডাক্তারঃ “একটা পর্যায়ে গিয়ে সবারই টাইম শেষ হয়ে আসে। আপনি আসলে একেবারে শেষ পর্যায়ে। আর বেশিক্ষন বাঁচবেন না। শুনতে যদিও রুড লাগে কিন্তু এটাই ধ্রুব সত্য”

পেশেন্টঃ “কোনই উপায় নেই, যত টাকা লাগে আমি দিবো তাও আমি বাঁচতে চাই”



ডাক্তারঃ “নাহ মিঃ ২০১৪ সাহেব আপনি যে পরিমান জ্বালান জ্বালাইছেন আপনাকে বাঁচিয়ে রাখার আর কোন উপায় নেই। আপনি বেটার হয় কেবিনটা ছেড়ে দিন, শেষ সময় টুকু নিজের মত করে কাটান। আমাদের নতুন পেশেন্ট ২০১৫ সাহেব আপনার কেবিনেই ভর্তি হয়েছে। আমরা আপনাকে বাঁচাতে পারলাম না বলে দুঃখিত। ভালো থাকবেন, খোদা হাফেজ ”

(একটা নাম না জানা স্টাটাসের ছায়া অবলম্বনে লেখা )

রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৪

সমবায় বিয়া

আমাদের বাসাটা গলির শুরুতে মেইন রোডের সাথেই। তো এই মাসের শুরুর দিকে দেখলাম গলির শুরুতেই বিশাল তোরন লাগাইছে সাথে আমাদের বিল্ডিং এবং এর শেষ পর্যন্ত মরিচবাত্তি। ভালোই লাগতেছে দেখতে। এক দিন যায়, দুই দিন যায়, ৫ দিন যায় মগর বাত্তি দেখি খুলে না!! উল্টা মরিচ বাত্তির লাইন দেখি গলির শেষ পর্যন্ত প্রতিদিনি এক বিল্ডিং এক বিল্ডিং করে আগাইতেছে!!
.
দারোয়ানেরে জিগাইলাম, কাহিনি কি?? কার এতো লম্মবাআআআআ বিয়া চলতাছে?? কয় বিয়া লম্বাআআআআআ না, বিয়া কয়েকটা মগর এক বাত্তি দিয়াই হইতাছে!! 
.
এতো দিন সমবায় সমিতির নাম শুনছি যেখানে সবাই মিল্লা একটা কিছু করে এতে কম খরছে বড় কিছু করা যায়।
এখন দেখি সমবায় বিয়াও আছে, এক বাত্তি দিয়া গলির এই মাথা থেকে হেই মাথা পর্যন্ত বিয়া হইয়া যায়!!

জিহান ট্যাজিটির সিকোয়েন্স

দুপুর তিনটাঃ একটা বাচ্চা পাইপের ৩০০ ফিট নিচে পড়ছে।
৪টাঃ বাচ্চার নাম জিহান যে ৪০০ ফিট নিচে আছে
৫টাঃ জিয়া ৫০০ ফিট নিচে, ফায়ার সার্ভিস তাকে তুলে আনার চেস্টা করছে
.
৬টাঃ জিহাদ ৬০০ ফিট নিচে, ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি আসতে দেরী করছে। তাদের কাজে অবহেলা!!
৯টাঃ ফেসবুকে হ্যাস ট্যাগের মাধ্যেমে উদ্ধারের চেস্টা ‘সেইভ জিহান’
১১টাঃ জিহানকে উদ্ধারে ফেসবুকে ইভেন্টো খোলা হইছে 
.
রাত ১টাঃ সব চেস্টা ব্যার্থ, ক্যামেরা পাঠানো হচ্ছে
রাত ২টাঃ শুধি দর্শক, আপনারা যারা দূর্বল চিত্তের মানুষ তাঁরা টিভি সেট থেকে চলে যান। ক্যামেরা নিচে যাচ্ছে, এই দৃশ্য অনেকে সহজ ভাবে নিতে পারবেন না।
রাত ৩টাঃ তেলাপোকা আর টিকটিকি ছাড়া কিছুই দেখা যায় না। পুরোটাই গুজব
.
রাত ৪টা- দুপুর ২টাঃ “বলসিলাম নাআআআআআআ কিছুই নাই। আরেক রেশমা কাহিনি। বিরধী দলের কর্মসূচি বাঞ্চালের চেষ্টা!!” /“আমি আগেই জানতাম কিছু নাই, মাইনষে এতো বেকুব হয়”
.
দুপুর ৩টাঃ জিহান উদ্ধার।
দুপুর সাড়ে তিনটাঃ জিহান যদি জিবিত থাকে তাহলে বুঝতে হবে এটা আরেক রেশমা নাটক, যদি মৃত হয় তাহলে ঠিক আছে 
(মানে তারে মইরা প্রমান করতে হবে ঘটনা সত্য )

দুপুর ৩টা ৪৫ মিনিটঃ ‘বিচার চাই বিচার চাই’ সো ভাংচুর (এইখানে ক্যান ভাংচুর করলো তার কাহিনি বুঝলাম না, আর কার বিচার??? সবাই তো ক্যাম্রায় দেখলো কিছুই দেখা যাচ্ছে না, এখানে কার কি করার!!!?? বাট সবাই আন্তরিক ছিল নো ডাউট)
.
.
বিকাল ৪টাঃ ওয়েটিং ফর নেক্সট সিকোয়েন্স 

শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৪

এবাউট জিহান

আমার বাপের জনমে আমি এতো লম্বা আর এমন হরর থ্রিডি লাইভ মুভি দেখি নাই। বাচ্চা কান্দে সবাই আওয়াজ পাইলো, বাচ্চায় জুস খাইলো, বাচ্চার নড়াচড়া শুনলো, বাচ্চার সাথে কনভারসেশন হইলো কিভাবে দড়ি দিয়ে উঠে আসবে, বাচ্চায় দড়িতে উঠলো আবার পড়ে গেলো, লাস্টে ক্যামরা গেলো মাঝপথে ক্যামরা কানেকশন অফ হয়ে গেলো, আবার অন হইলো এন্ড
.
.
.
টিকটিকি মিল্লো!!!!!!!!!!!

আমগো সাংবাদিক

২৫ টা টিভি চ্যানেল। যা দেখলাম প্রত্যেকের ২টা করে ক্যামরা। একটা ক্লোজ একটা দূরে। মানে দুইটা ক্যামরা ম্যান। দুইটা ক্যামরার সাথে আবার ২ জন করে রিপর্টার। একজন পাইপের কাছে একজন দূরে। আবার ২৫টা চ্যানেলের ২৫টা গাড়ী, মানে ২৫ টা ড্রাইভার। এমন হট জায়গায় তাঁরা কি গাড়ি পাহারা দেবার পাব্লিক?? হাজার হইলেও বাঙ্গালী না সো তারাও নিশ্চই আইসে বায়স্কোপ দেখতে।
.
মোট কত হইলো?? ১৪ ইঞ্চি ওয়াইডের একটা পাইপের চার পাশে ২৫ টিভির ১২৫ জন জনগন আছেন। প্রিন্ড মিডিয়ার সাংবাদিক ফটোগ্রাফাদের হিসাব বাদ দিলাম, আবার এখন অনলাইন পত্রিকা আছে তাদেরো রিপর্টার আছে অইখানে!! সাথে এলাকাবাসী (এদের তো সব জায়গায় থাকতেই হবে,কারন এলাকার একটা কোটা আছেনা)
.
অন্তত এই সব ঘটনায় নিজের পত্রিকার বা চ্যানেলের টিআরপি বাড়ানোর চিন্তা বাদ দিয়া ভালা কিছু চিন্তা করা যায় না?? জনগনেরো জানার দরকার আছে সো একটা টিভি চ্যানেলের একটা ক্যাম্রা আর এক জন রিপর্টার গেলেই হয়, সবাই সেটা প্রচার করবে। ২৫ চ্যানেলের ৫০ ক্যাম্রায় তো আর ৫০ রকম ঘটনা দেখাবে না..
হুদ্দাই গ্যাঞ্জাম 

বলসিলাম নাআআআ

সরকারী দলের সাপর্টার একজন রিক্সা ভাড়া করতে গেছে। রিক্সায়ালা ২০ টাকার ভাড়া ৪০ টাকা চাইছে, তার রিএকশন, “এই বিরধীদল হরতাল দিয়া দিয়া সব কিছুর দাম বাড়ায়া দিছে, আর এই দেশে কোন কিছুর দাম বাড়লে কমে না। বলসিলাম নাআআআ এরা দেশটারে শেষ করবে”
.
সেইম ব্যাপার বিরধী দলের কারো সাথে হইলে, “বলসিলাম নাআআআআআআআ এই সরকার ক্ষমতায় আসলে জনগনকে বাঁচতে দিবে না। সব কিছুর দাম বাড়বে। এইবার আমার কথা লাগলো???”
.
ওগো ভাব সাব এমন যেন শেখ হাসিনা বা খালেদা জিয়া আইসা রিক্সায়ালারে কইয়া গেছে ভাড়া বাড়ায়া চাইস!!
.
কয়দিন আগে মসজিদ থেকে বাসায় আসতাছি রাস্তায় দাড়ায়া দেখি আমগো বিল্ডিং থেকে কুচকুচে কালো ধোয়া উঠতাছে। কইলজার পানি নগদ বাষ্প হইয়া গেছে। কাছে যাইয়া দেখি দারোয়ানে কর্কশীট পুড়ায়!! (টিভি-ফ্রিজের কার্টনে যেই সাদা ফোম এর মত থাকে সেটা) কিন্তু রাস্তায় শুরুতে তো ভাবছিলাম আমগো বিল্ডিং এ আগুন লাগছে। যদি তখনই ফায়ার সার্ভিসে কল দিয়া বসতাম তাইলে কি হইতো??
.
ধরেন এরুম এক কাহিনি বড় আকারে কোন এক ৫-৬ তলা কিন্টারগার্ডেন স্কুলে ঘটলো। কিছু বাচ্চা সবার চক্ষের আড়ালে সিঁড়িতে শয়তানি করে এমন কিছু কর্কশীট এক সাথ করে আগুন ধরায়া দিলো। মজা করার জন্য।
কিন্তু আগুন ধরায়া তারাও বেকুব হয়ে গেছে এতো ধোয়া দেখে!! আগুন আগুন বলে চিৎকার করছে। বদ্ধ সিড়িতে ভ্যান্টিলেশনের জায়গা না পেয়ে ধোয়া বিল্ডিং এর অন্যান্য ফ্লোরেও ছড়িয়ে গেছে। কিছু জানালা দিয়ে গাড় কালো ধোয়া বের হচ্ছে।
.
ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়া হইছে। নিচে ফায়ার সার্ভিস এসে পানি ছিটাচ্ছে, ধোয়ার জন্য সিঁড়ি বেয়ে উপরে যাওয়া রিস্কি, কিছুই দেখা যায় না। বাহিরে ক্রেনে করে জানালা কেটে বাচ্চাদের বের করার প্রস্তুতি চলছে। উপরে বিমান বাহিনির হেলকপ্টারে সেনা সদস্য দড়ি বেয়ে ছাদে নামছে। নিচে এপোলো স্কোয়ার হস্পিটালের স্যান্ডবাই এম্বুলেন্স রেডি আছে।
আওয়ামিলীগের সাহারা খাতুন বিএনপির মির্জা আব্বাস এসে উদ্ধার ততপরতা তদারকি করছেন। ২৫ চ্যানেলের ৫০ ক্যাম্রা, ক্যাম্রাম্যান রিপর্টার ড্রাইভার সহ ১২৫ জনের বিশাল বহর লাইভ টেলিকাস্ট করছে। অনলাইন পত্রিকা সেকন্ডে সেকন্ডে আজগুবি নিউজ আপডেট করছে, উৎসুক জনতাকে সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ র্যা বের সদস্যরা,
ফেবুকে কিছু বুদ্ধিজীবী “বাচ্চাদের বাঁচাও” নামে ইভেন্ট খুলছে, কেউ হ্যাস ট্যাগ দিয়ে বাচ্চা উদ্ধারের থিউরী আবিষ্কার করছে...........
.
.
.
এবং শেষে কিছুই হয় নাই। সিড়িতে কিছু কর্কশীট পোড়া আলকাতরা টাইপ অবশিষ্ঠাংশ আবিষ্কার হইছে!!!!!!
.
এইবার কাহিনি শেষে দেখেবেন দুই প্রজাতির আভির্ভাব হবে। বিএনপি সাপর্টার বলবে “আমি ‘বলসিলাম নাআআআআআআআআআ’ এটা আওয়ামিলীগের চক্রান্ত?? নিজেরা কিছু করতে পারে না এখন দেশবাসীর নজর ঘুরায়া দেয়ার জন্য এই নাটক!!”
আবার আওয়ামিলীগ সাপর্টার বলবে, “ বলসিলাম নাআআআআআআআআ সরকারকে বিব্রত করার জন্য এটা বিএনপির চক্রান্ত”
.
একটা জিনিস ভালো যে যেই দল করুক এক জায়গায় বাঙ্গালীর মিল। “বলসিলাম নাআআআআআ” কওয়াতে সবাই এক।
এতো বড় বড় জৈতিশী দেশে মগর আগে দিয়া কেউ কিছু প্রেডিক্ট করতে পারে না সব কাহিনি শেষ হবার পরে আসে “বলসিলাম নাআআআআআআআ”
আজাইরা 

শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৪

প্রবলেম কন্যা

কন্যাঃ “আমি না একটা প্রবলেমে আছি”
যুবকঃ “কি প্রবলেম?”
কন্যাঃ “নাহ কিছু না”
যুবকঃ “বলো আমাকে কি প্রবলেম?”
কন্যাঃ “নাহ ঠিক আছে, এমনেই বলছিলাম”
.
যুবকঃ “বেশি প্রবলেম থাকলে বলতে পারো আমাকে”
কন্যাঃ “নাহ আই এম ফাইন”
যুবকঃ “আচ্ছা ঠিক আছে বলতে হবে না।”
কন্যাঃ “এইযে দেখো, আমি একটা প্রবলেমে তা জেনেও তুমি কিন্তু আমার কেয়ার নিচ্ছ না। বিলকিসের বিএফ বিলিকিসের প্রতি কত্তত্তত্তত্ত কেয়ারিং  ”
.
যুবকঃ “ও আই’ম সরি। আচ্ছা বলো কি প্রবলেম”
কন্যাঃ “এখন তুমি কিন্তু আমাকে সরি টরি বলে উল্টা ইমব্রেসড করছো, এটা কিন্তু ঠিক না  ”
যুবকঃ “আচ্ছা ঠিক আছে ইমব্রেসড হলে আর বলতে হবে না থাক”
কন্যাঃ “তুমি একেবারে সেলফিসের মত একটা আচারন করছো, শুধু নিজের সাইডটাই বুঝলা ”
.
যুবকঃ “ আসলে বুঝতে পারছিনা কি করা উচিত। একবার বলতে চাচ্ছ আরেকবার জিগাস করলে বলছো না। ওকে বলো কি কাহিনি”
কন্যাঃ “ না থাক আর বুঝতে হবে না। আমি নিজেই প্রবলেম সলভড করতে পারবো হুহ... আজকে তোমার জায়গায় সখিনার বিএফ হলে.........................”
যুবকঃ   

বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৪

ওয়াশরুম পার্ট ২

একোডিং টু লাস্ট স্ট্যাটাস (ওয়াশরুম)...
.
“হাই ”
< “হ্যালো”
.
“তোমাদের বাসায় কি সাস্থ্যসম্মত পায়খানা আছে?? ইমারজেন্সি  ”
.
< “বাসায় তো নাই তয় পেডে আছে। আর সাস্থ্যসম্মত কিনা তা কখনো চেক কইরা দেখা হয় নাই। প্রবলেম নাই, সার্ভের সময় ওভেনে গরম কইরা নিবেন। কয় কেজি লাগবে আপনার?? 
.
“ছিইইইইইইই। এগুলো কেউ সেল করো নাকি!! ”
.
< “নরমালী কেউ করে না তয় আপনে যেমনে জিগাইতাছেন মনেহয় আপনার আর্জেন্ট লাগবে। সো মার্কেট ডিমান্ড থাকলে সাপ্লাই দেয়া যায়। দুপুরের র ম্যাটারিয়ালস এখনো পেটে আর রাতের টা খাই নাই। সকাল পর্যন্ত হোল্ড করতে পারলে বিগ এমাউন্ট ডেলিভারি দিতে পারব। এক লটেই পুরা পার্টি কভার করতে পারবেন ইনশাল্লাহ  ”
.
“একটা থাপ্পর দিয়া দাঁত সব কয়টা ফালায়া দিবো ফাজিল ছেলে। মেয়েদের সাথে কি ভাবে কথা বলতে হয় তাও শিখো নাই”
.
< “ওওও, তো পোলাগো পেডে গু থাকে, মাইয়াগো পেডে কি ঘি থাকে নি? একি টপিক কইয়া আপনে হইলেন ভালা আর আমি কইলেই ক্যারেক্টার ঢিলা... হুররররর  ”

মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৪

ওয়াশ রুম পার্ট ১

“আচ্ছা তোমাদেড় বাসায় ওয়াশ ড়ুম টা কোথায়??”

< “আমাদেরে বাসায় কোন ওয়াশ রুম নাই”


“হোয়াট!!! তোমাদেড় বাসায় ওয়াশ ড়ুম নেই!! হাউ কুড দিস পসিবল। তাহলে এখানে থাকো কিভাবে??”

< “মোর জ্বালা, থাকি কিভাবে মানে। বেড রুমে থাকি। মাইনষে কি ওয়াশ রুমে থাকে নাকি”

“আই’মিন বলতে চাচ্ছি তাহলে তোমড়া ওয়াশ ড়ুমের কাজ কড়ো কোথায়”

< “ও আইচ্ছা, মানে ওয়াশ করি কোথায়?? বেসিনে। ছোট্ট একটা মুরগীর খোপের মত ফ্লাট, এইটার ভিত্রে আবার একটা বেসিনের জন্য কি আলাদা রুম বানানো যায় নাকি। ওই যে ডাইনিং এর পাশেই বেসিন। যাও ওইখানে মুখ হাত কি ওয়াশ করবা করে আসো”

“নো নো তুমি বুঝো নি। আমি বলতে চাচ্ছি তোমড়া শাওয়াড় এন্ড আদার্স পার্সনাল ওয়ার্ক ইউ নো হোয়াট আই মিন, কোথায় কড়ো”

< “ও ঐটা তো ওয়াশ রুমে না, সাস্থ্যসম্মত পায়খানায় করি। ঐযে আমার রুম থেকে নাক বরাবর সিদা যাইয়া বামে হালকা সিস্টেম খাইয়া ডাইনে একটা পল্টি লইবা, সাস্থ্যসম্মত পায়খানা পাইয়া যাবা”

“ইয়াক। কি ল্যাঙ্গুয়েজ এটা”

< “কি দিন আইলো, ল্যাদা কালে গেরামের যেই মাইয়া মীনা কার্টুন দেইখা নিজের বাপের কান পচায়া ফালাইতো পায়খানা বানায় দিতে, অখন ঢাকা শহরে আইয়া হেইডা হইয়া গেলো ‘ওয়াশ রুম’!!

“উফ জাস্ট সেডাপ। আই নো বাট টাইম এখন চেঞ্জ। সেকাল আড় একাল এক না ”

“তুই ওয়াশ রুমের ভিত্রে যাইয়া সেকালে যেমনে পার্ফরমেন্স দিতি এখনো হেমনেই দিবি, তাইলে আর সেকাল একালের ছূতা দিয়া পায়খানারে ওয়াশ রুম কস ক্যারে??”


হেহ আইছে, দুই দিনের বৈরাগী, পনিররে কয় চিজ 

সোমবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০১৪

রিকন্ডিশনের দামে ব্রান্ড নিউ চাইবেন, এ কিরাম বিচার?

আল্লাহয় দিলে ফ্রেন্ড সার্কেলে আপু সমাজ আর ভাইয়া সমাজের লাভ মেরিজ/ভাইজ্ঞা মেরিজ পার্টির ৯৯% এরই বিয়া শাদী কমপ্লিট (অনেকে আবার ডিভর্স হইয়া সেকেন্ড মেরিজো কইরা ফালাইছে!!)।
শুধু ভাইয়া সমাজের “নিজের পায়ে দাঁড়াইয়া” ওরফে গাড়ি/ব্যাংক ব্যালেন্স কইরা সুপাত্র হইয়া এরেঞ্জ মেরিজ পার্টির বিয়া করা বাকি।
.
তো যাই হোক, তাদের সাংসারিক এক্সপেরিয়ান্স শেয়ার থেকে যা বুঝলাম বাসর রাইতে কমার্স বা আর্টস এমন কি ইঞ্জিনিয়ারিং পইড়াও যেই ছ্যামড়া ‘গাইনি ডাক্তারের’ রোল প্লে করতে যায় ১০০% সিউর থাকেন সংসার টিকুক না টিকুক ওর সংসারে শান্তি জিন্দেগীতেও থাকেনা।
ইউ নো হোয়াই? বিকজ তার মধ্যে কোন বিশ্বাস নাই। শুধু বউ এর উপরে যে নাই তা না, আসলে সে নিজেও কোনকালে বিশ্বাসযোগ্য ছিলো না।
.
আরো একটু ক্লিয়ার করে বলি।
কমবেশি সবাই কুরআনে (সূরা আন-নূর:২৩-২৬ নং আয়াতটা জানে “দুশ্চরিত্রা নারীগণ দুশ্চরিত্র পুরুষদের জন্যে এবং দুশ্চরিত্র পুরুষগণ দুশ্চরিত্রা নারীদের জন্যে।সচ্চরিত্রা নারীগণ সসচ্চরিত্র পুরুষদের জন্য এবং সচ্চরিত্র পুরুষগণ সচ্চরিত্রা নারীদের জন্যে।”
আল্লাহ বা তার আয়াতকে তো অবিশ্বাস করার উপায় নাই। সুতারাং ঝামেলা যা তা হচ্ছে মাইনষের মধ্যে।
.
শয়তানের কুরকুরানিতে যৌবনে সবারই কুতকুত খেলতে মনে চায়!!
এখন যে জিন্দেগীতে নারী শরীর টাচ করে নাই, সে যতই গুগল এর আর্টিকেল পড়ুক প্রথম দিনেই ‘গাইনি ডাক্তার’ হওয়া তার পক্ষে সম্ভব না (সাতার কেমনে কাটে আপনি বই পড়ে শিখতে পারেন, ফার্স্ট টাইম পানিতে নামায়া দিলে তখন দেখবেন বই এর থিউরী আউলাইয়া ফালাইছেন :P)
.
আর তার গাইনী ডাক্তার হওয়ার দরকারো নাই, কারন সে উপরয়ালার ভয়েই কুতকুত খেলে নাই(তারে তো কেউ বাইন্দা রাখে নাই, চাইলেই পারতো)। সূরা আন-নূর এর ঐ আয়াতের উপর বিশ্বাস আছে বলেই তার কিছু চেক করারো দরকার নাই।
.
অনেকের মতে ‘আমি প্লে বয় না হইলেই যে আমার ভাগ্যে প্লেগার্ল পড়বে না তার গ্যারেন্টি কি’.. এডিই আবার বিয়ার টাইমে এভার সিঙ্গেল টোগায়!! মিডিয়ার মেয়ে ভালো না, হোস্টেলের মেয়ে ভালো না বইলা রুচি দেখায়!!
অবশ্য এটা ছেলে নিয়ে বলা, মেয়েদের ক্ষেত্রেও সেইম। আমার এক ফ্রেন্ড আছে এই নিয়া ১৪ ছেলের সাথে ফিজিক্যাল রিলেশন ঘটাইছে  তাও এটা এক বছর আগের হিসাব, এখনেরটা জানি না 
ও আমারে প্রায় সময় কইতো “এতো ভদ্র থাইকা লাভ নাই, যাইয়া দেখ আমারটাও কারো না কারো সাথে ঠিকি কিছু না কিছু করতাছে!”
.
তো যাদের এমন বিশ্বাস নাই, সেলফ কন্ট্রলের বাইরে গেছিলোগা তার মাথায়ো টাইম মত ঐ আয়াতটা বাড়ি দিতে থাকে!!
নিজে কি কি কইরা আসছে তা তো জানেই, তাই নিজেকে দিয়াই অন্যকে জাজমেন্ট শুরু করে যার শুরুটা ওই বাসর রাইতে “গাইনি ডাক্তারী” দিয়া.... এর পরে পরে “কে ফোন করছে”/ “ক্যান ফোন করছে”/ “ফেসবুক পাসোয়ার্ড দেও”/ “কই গেছিলা” / “কলেজের রিইউনিওনে হাইসা হাইসা কথা বলা ঐ ছেলেটার সাথে কি সম্পর্ক!!” ব্লা ব্লা যার আপর নাম অবিশ্বাস বা সন্দেহ।
.
আর এই জিনিস যেখানে আছে সেইখানে একচুয়েলি কোন প্রকার ‘সুপার গ্লু’ টাইপ রিলেশন থাকে না। যেটা থাকে সেটা কোন মতে ‘ছ্যাপ দিয়া জোড়া লাইগান্না’ রিলেশন। যে কোন সময়ই ছুইট্টা যাইতে পারে টাইপ।
.
অন্যরে অবিশ্বাস করার চেয়ে নিজেরে বিশ্বাসযোগ্য রাখার চেষ্টা করেন আশে পাশের সব ঠিক রাখার দায়িত্ব উপরয়ালার। ওইটা নিয়া আপনার চিন্তা করতে হবে না।
.
আর ইমশনে পইড়া হোক বা যে কোন ভাবেই হোক, ভূল মানুষ করতেই পারে। এই কারনে আমরা মানুষ। তো নিজের টা যে ভূল ছিলো এটা বুঝতে পারলে অন্যের ভূলটাও তো কন্সিডার করা উচিৎ..
রিকন্ডিশনের দামে ব্রান্ড নিউ চাইবেন, এ কিরাম বিচার??
.
(রুবেল হ্যাপি প্রজাতির ইগোতে বাড়ি খাইলে আমি দায়ী না  )

বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৪

বাঙ্গালীর ওভার এক্টিং

ওভারএক্টিং, ওভারস্মার্ট থেকে শুরু করে “ওভার” কোন কিছুই ভালো না হোক সেটা রান্নার মসলা বা গালের মেকাপ বা দেশপ্রেম বা bf-gf এর ‘ফ্রাইড চিকেন প্রেম’। কিন্তু আমগো দেশে ক্যান জানি এইডা অতি বেশি।
.
বাহিরের দেশের মাইনষে DSLR কিনে ভালো রেজুলেশনের ছবি তোলার জন্য আর আমগো দেশে কিনে আপুগ্রাফী কইরা “ফটোগ্রাফার” হওয়ার জন্য। ফলাফল DSLR থাকাটাও এখন পচানি খাওয়ার বস্তু হইয়া গেছে।
.
সেলফি সারা বিশ্বে প্রচলিত। আমগো দেশে এইডার ট্রেন্ড আইলো মাত্র অল্প কয়দিন আর এখুনি এইডা বিরক্তির কারন বানায়া ফেলছে।
.
হিজাব ধর্মীয় রীতি অনুয়াযী মেয়েদের পর্দার একটা অংশ আর আমগো দেশে এইডা এখন ফ্যাশন!! যেই জায়গা ভালোভাবে ঢাকা দরকার তা উল্টা আরো টাইটফিট কইরা পিন্দা যেইডা তুলনা মূলক কম ঢাকলেও চলে ঐডা পারলে তিন চাইর পরতে ঢাইক্কা টাইটেল লাগায় “স্মার্ট পর্দানশীল”  !!!
.
ব্রাজিল আর্জেন্টিনায় কেউ হারলে বিপক্ষ দলের সাপর্টার তারে পচাইতেই পারে কিন্তু নেইমার প্রায় জীবন মরন টানা টানি অবস্থায় পড়া পর বিপরীত পক্ষ থেকে সমবেদনা তো দূরের কথা উল্টা উল্লাস না করলে “ডাই হার্ট আর্জেন্টিনার সাপর্টার” প্রুভ করা যাবে না!!
.
হারাদিন ইংলিশ স্পেনিশ আর ফ্রেঞ্চের ফুল নাঙ্গা মুভি দেখলে সেইডা হয় ‘শিল্প’ আর পাশের দেশ ইন্ডিয়ার কোন মৌলিক ছবিতে কারিনার কোমড় দেখা গেলে হইয়া যায় ‘অপসংস্কৃতি’ আর এইড নিয়া কিছু কইলে হয় “ইন্ডিয়ার দালাল”!!!
.
যাই হোক কথা ঐটা না। কথা হইলো “ওভার” বা বেশি বেশি ব্যাপারটা আমগো একটু বেশিই হইয়া যাইতাছে।
প্রডাক্ট ভালো হবার কারনে বানিজ্য মেলায় ভিড় থাকে সবচেয়ে বেশি পাকিস্তানী স্টলে কিন্তু পাকিস্তানে ১৩২ জন শিশু খুন হবার পরে “এক্কারে ঠিক হইছে” বইলা স্টাটাস না দিলে “স্বদেশপ্রেম” দেখানো হয় না, হইয়া যায় “রাজাকার”!! এইডা কি একটু বেশি বেশি হইয়া গেলো না???
.
পাকিস্তান আমাদের চির শত্রু, ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের হিসাব শুধু “সরি” বইলা মিটান যায় না জানি তাই বলে পাকিস্তানে একসাথে ১৩২ জন শিশুকে গুলি করে খুন করা হলে সেটা নিয়া “ইনালিল্লাহ” না বলে “আলহামদুলিল্লাহ” বলতে পারছি না বলে আমিও ‘সরি’ বিকজ আমার স্বদেশপ্রেম থাকলেও “ওভার স্বদেশপ্রেম” নাই যা আমারে প্রেমের জ্বালায় পুরাই হিতাহীত জ্ঞানশূন্য বানায়া দিয়া জোর কইরা খারাপেরে ভালো আর ভালোরে খারাপ বুঝাবে।
.
পাগলা কুত্তায় কামড়াইতে আইলে তারে পিটায়া বেড়ি বাইন্ধা পশু ডাক্তার থেকে উপযুক্ত চিকিৎসা দিয়া লাইনে আনতে হয়। কিন্তু মানুষো যদি কুত্তার কামড়ের বিপরীতে তার এলাজ না কইরা উল্টা কুত্তারে কামড়ায় তাইলে আর পার্থক্য রইলো কি!!??
.
শত্রু আর্থিক ক্ষতিতে পড়লে বা সে কারো কাছে অপমানিত হইলে মজাই লাগবে এইটাই স্বাভাবিক কিন্তু তাই বলে ‘শত্রুর’ নিষ্পাপ ১৩২ শিশু বিনা অপরাধে খুন হবে আর তাতে যদি আপনার মজা লাগে তাইলে বুঝবেন আপনারেও পাগলা কুত্তার মত পিটায়া বেড়ি বাইন্ধা ডাক্তার থেকে উপযুক্ত চিকিৎসা দিয়া লাইনে আনতে হবে। 
.
কারন মানসিক বিকারগ্রস্থ প্রানী শত্রু মিত্র সবার জন্যই ক্ষতিকর।

মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৪

বন্ধ দিবস বিকামস ভ্যালেন্টাইন্স ড্য

একটা পুরান গল্প বলি। এক ছেলে জানেই শুধু কুমিরের রচনা। তো তাকে গরুর রচনা বলতে বলা হইলো। তার উত্তর “গরু গৃহপালিত প্রানী। গরু ঘাস খায়, ঘাস খাইতে খাইতে নদীর ধারে যায়। নদীতে কুমির আছে। কুমিরের দুইটি চোখ, চারটি পা একটি লেজ আছে এবং লেজ দেখতে কাটা কাটা কাটা”
.
এবার তাকে ট্রাফিক জ্যাম নিয়ে রচনা বলতে বলা হলো। তার উত্তর, “ট্রাফিক জ্যাম নগর জীবনের মহা সমস্যা। এই সমস্যা থেকে কিছু দিনের জন্য রেহাই পেতে মানুষ পাহাড় সাগরের কাছা কাছি ঘুরতে যায়। সাগরে কুমির আছে। কুমিরের দুইটি চোখ, চারটি পা ও একটি লেজ আছে এবং লেজ দেখতে কাটা কাটা কাটা!!!”
.
মানে তারে যাই জিগান সে ঘুইরা ফিরা সেইটা কুমিরের বর্ননায় নিয়ে আসবে।
আমরা বাঙ্গালীরাও এর চেয়ে কোন অংশে কম না। বাহিরের দুনিয়ায় আমার দাদার জন্মের আগের থেকে ভ্যালেন্টাইন্স ডে চালু আছে কিন্তু আমগো দেশে ১৫ বছর আগেও ভ্যালেন্টাইন্স ডে কি জিনিস অনেকেই জানতো না। 
.
আর এখন?? ঘরে বইসা ক্যালেন্ডার দেইখা ১৬ ডিসেম্বর, ২৬শে মার্চ, ২১শে ফেব্রুয়ারী, ঈদের দিন, দূর্গা পূজা, ক্রিসমাস, ঈদে মিলাদুন্ননবী, পহেলা বৈশাখ এইসব আলাদা করা যায়। কিন্তু রাস্তায় বাহির হইলে এইদেশে প্রতি বন্ধের দিবসই ভ্যালেন্টাইস ডে মনে হবে!!! হোক সেটা শোক দিবস বা বিজয় দিবস বা ধর্মীয় কোন দিবস, বন্ধ পাইলেই হইলো  

বিজয় দিবসের গান

মাই নেম ইজ শীলা, শীলা কি জাওয়ানী আম সো সেক্সি ফর ইউ............ আমরা কজওওওওন নবীন মাঝিইইইইইইই হাল ধরেছি, শক্ত হাতে রেয়ে....সাইলারো সাইলারে কে বোলা ফির বোলরে.... রক্ত দিয়েএএএএএ নাম লিখেছি...... পিঙ্ক লিপস পিঙ্ক লিপস পিঙ্ক লিপস পাল পাল তুজকো কারতে মিস...... আর যদি একটা গুলি চলে, আর যদি আমার লোককে হত্যা করা হয় তাহলে মনে রাখবা....ম্যা কারু তো ছালা ক্যারেক্টার ঢিলা হ্যা...... প্রত্যেক ঘরে ঘরে দূর্গ গড়ে তোল, তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে............উচিয়ালি হিল পেহ্যান কার ড্যান্স বাসান্তি......
.
.
উই আর স্বাধীন দেশের স্বাধীন মানুষ!!! বিজয় দিবসের আগের রাইতে এলাকায় গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান হইলে ডিজে ছাড়াই এমন রিমিক্স গান তো শুনার লাগবেই 

শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৪

কে বেশি সুখি?

ডাক্তার ফ্রেন্ডঃ “আত্মহত্যা করা ঐ ছেলেটাকে যদি দেখাতে পারতাম আজ , ডাক্তার হয়ে যাবার পরেও ডিপ্রেশন এর লেভেল কতরকম আর কি কি হতে পারে!”

ইঞ্জিনিয়ার ফ্রেন্ডঃ “রইদ বৃষ্টি ধুলা বালি মাথায় নিয়া কাজ করার পরেও মাইনষের গাইল খাওনের লাইজ্ঞা নি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছিলাম”

ডিফেন্স ফ্রেন্ডঃ “এতো ডিসিপ্লিন লাইফ আর ভাল্লগে না > ”
ব্যাংকার/মাল্টিন্যাশনালের ফ্রেন্ডঃ “টার্গেট প্রেসার টার্গেট প্রেসার টার্গেট প্রেসার টার্গেট প্রেসার টার্গেট প্রেসার টার্গেট....... বাআআআআআআআআআআল্লল্লল্লল”

কলেজ ভার্সিটির লেকচারার ফ্রেন্ডঃ “পোলাপাইনের জ্বালায় আর পৃথিবীতে বাইচ্চা থাকবার মন চায় না  ”

গার্মেন্টস সেক্টরে জব করা ফ্রেন্ডঃ “পৃথিবীতে রাইত-দিন-হলিডে বইলা আলাদা কিছু নাই, সব হ্যালুসিনেশন। শুক্রুবার, স্টিল ইন অফিস এট 2am  ”



বুঝতাছিনা, উপরের লোভনীয় সেক্টরের সাকসেসফুল ব্যাক্তিবর্গগুলানেরে সুখী কমু, না মিডেলক্লাস ফ্যামেলির যেই পোলা কাম কাজ বাদ দিয়া এই শীতকালে দিনের ১টা পর্যন্ত কম্বলমুড়ি দিয়া নিশ্চিন্তে ঘুমাইয়া উইঠা কোন ঝাড়ি খাওয়া ছাড়াই দেড়টার মধ্যে ফেসবুক নামক নেশা নিয়া বসতে পারে তারে বেশি সুখী কমু!!! ?

মঙ্গলবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০১৪

খালি কলসি বাজে বেশি

একটা জিনিস খেয়াল করে দেখলাম। বাপের গলায় পাড়া দিয়া কোনমতে নিজের গলায় একখান রকেট লাঞ্চার থুক্কু DSLR ঝুলাইতে পাইরা প্রফাইলে প্রফেশনে “ফটোগ্রাফার” কওয়া পোলাপাইনের পোস্ট করা ছবির ক্যাপশনে লেখা থাকে, “অল রাইট রিজার্ভ বাই উনি”
মনেহয় যেন উনার এই ‘সাবজেক্ট ছাড়া পিছে সব ব্লার’/‘হুদ্দাই সাদাকালো ছবি’/‘ঘাম ঝড়ানো বুইড়া মেহেনতি মাইনষের ছবি’/‘কারেন্টের তারে বইসা থাকা চিল কাউয়ার ছবি’ নেওয়ার জন্য মাইনষে হাআআআ কইরা বইয়া রইছে কবে উনি কপিরাইট একটু শিথিল করবেন আর অমনি ছবিটা নিজের ওয়ালে দিবার পারুম 
.
অন্যদিকে আসলেই যেগুলা সেই লেভেলের ফটোগ্রাফার যাগো ছবি দেখলে দেখতেই থাকি (মাই ফেভারিট অভিজিত) তাগো ফটোতে দেখলাম না কোন রাইট রুইট রিজার্ভ করা আছে 
.
.
হাদে কি কয় খালি কলসি বাজে বেশি 

সোমবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০১৪

হিসু!!!


আমার লগে যে ইদানিং ইনবক্সে কি শুরু হইছে। আমার আর নয়া কোন স্টাটাস লেখন লাগবো না ইনবক্সের তামাসা দিয়া দিয়াই দিন পার হইয়া যাইবো।

এক আপায় আমার সুসান (Susan) নামটা শর্ট কাটে বলে সু (su). তো গতকালকে উনার মেসেজ, 
"hisu"
মেসেজ দেইখা তো আমি তব্দা!!! তোর হিসু ধরছে তো আমারে কস ক্যা?? বাথরুমে যা!!!

১৮ ঘন্টা পরে উনার উত্তর
"উপস!! সরি সু মাঝখানে একটা স্পেস হবে"
মানে উনি কইতে চাইছিলো "hi su"... একটা স্পেসের গালতির কারনে হইয়া গেল "হিসু!!!"  

আল্লাহ বাচাইছে আমি আইজ পর্যন্ত গুড পাওয়ার মত কোন কাজ করি নাই। তখন হয় তো জনগন আমারে মেসেজে "গু" সেন্ড করতো আর ১৫-২০ ঘন্টা পরে কইতো "উপস!! সরি 'গু' এর পরে 'ড' টাইপ করতে ভূলে গেছিলাম!!" 

রবিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০১৪

ভাব নেন না?

“হাই”
.
.
< “হ্যালো” (অনেক্ষন পর)
“ভাব নেন, না??”
< “কি ভাব লইলাম!!”

“এইযে এতো পরে রিপ্লাই দিলেন”
< “ ও আচ্ছা। অন্য রুমে আছিলাম তাই দেখি নাই”
“হুম এমন ভাব সবাই নেয়। একটা মেয়ের প্রথমে হাই দিছে, একটু ভাব তো নিবেনই”
< “মহাজ্বালা। যদি ভাবই নিতাম তাহলে এখন সাথে সাথে রিপ্লাই দিতেছি ক্যান??”
“আশে পাশে হয়তো ফ্রেন্ডদের সামনে ভাব মারতেছেন যে একটা মেয়ের সাথে চ্যাট করছেন!! ”

< “আচ্ছা তাহলে আর চ্যাট করবো না। বাই।”
“একটা মেয়ের মুখের উপরে চ্যাট করবো না বলে দিয়ে ভাব নেন??”
< “ও চ্যাট অফ করলেও ভাব!! আইচ্ছা তাইলে কথা কইতে থাকেন আমিও উত্তর দিতে থাকি”

“ইসস কি ভাব!!  একটা মেয়ে বলছে তাই তাঁকে এখন চ্যাট করতেইইইইইইই হবে ”
< “ তো অখন আমি কি করলে খুশি হইবেন??”
“একটা মেয়েকে খুশি করায়া ভাব নিবে না??”
< “তাইলে কি করলে গোসসা করবেন হেইডা কন”
“হুম সবই বুঝি। আগে গোসসা করায়া পরে আবার অভিমান ভাংগায়া হিরো সেজে ভাব নিবেন”
 
.
.
কিছুক্ষন পর
“কি হলো কথা বলেন না ক্যান?? আমি জানি আপনি অনলাইনে”
< “ইচ্ছা কইরাই কথা কইতাছিনা। যা কই তাতেই দেখি আপনার প্রবলেম”
“একটা মেয়ের উপরে রাগ দেখায়া ভাব নেন, না?? নাকি অন্য কারো সাথে চ্যাট করছেন?? অনলাইনে কয়জন আছে?”
.
< “জানি না, চ্যাট অফ করা”
“চ্যাট অফ করে রেখে ভাব নেন??”
< “চ্যাট অফ করাতে আবার ভাবের কি হইলো??”

“ভাব নেন??? মনেহয় যেন কিছুই বুঝেন না, ক্যামনে ভাব হয়  ”
.
.
আর কতক্ষন পর
“কি হইলো কথা বলেন না ক্যান?”
< “ভাত খাই।”
“ভাত খাইলে এখন টাইপ করতেছেন ক্যামনে??”
< “থ্যাংকস গড একটা লাইন অন্তত ‘ভাব নেন’ ওয়ার্ড টা বাদ দিয়া কইছেন। btw ভাত হাত দিয়া খাই না। চামুচ দিয়া খাই তাই টাইপে সমস্যা হয় না”
.
“ভাব নেন না?? চামুচ দিয়া ভাত খাই শুনায়া নিজেরে কি বড়লোক প্রমান করতে চান??”
< “ভাবের লাইজ্ঞা না, আমার হাতে সমস্যা তাই চামুচ দিয়া খাই”
“ভাব নেন?? একটা মেয়ের সামনে নিজের অসুস্থতার কথা বলে ইন্ডাইরেক্টলী সিম্প্যাথি নিতে চান না??”
.
< “আপা আমি হাত দিয়াই খাই। আমার হাতে কোন প্রবলেম নাই। এমনেই ভাব লইছিলাম, এলা মাফ করেন”
“সিনেমার শাহরুখের মত নিজের প্রবলেমের কথা বলে আবার তা লুকানোর চেষ্টা করেন!! ভাব নেন না??”
.
< “      ঐইইইইইইইইই তোর মায়রে .......................... .. ডাইক্কা ক তোর মাথায় এত ভাবের ভাবনা কিভাবে ঢুকছে তা ভালভাবে ভাইবা ভালো ডাক্তারের কাছে নিয়া ভাবের সমস্যা ভ্যানিশ করতে    ”
“ ছন্দ করে একটা মেয়ের সামনে ‘ভ’ দিয়া কয়টা ওয়ার্ড মিলায়া ভাব নেন না??”
 
.
.
.
মোবাইল কোম্পানী আর এই আপার মধ্যে কোন পার্থক্য নাই। আপনি না চাইলেও এই দুই প্রজাতি ঘুরায়া প্যাচায়া একি টপিকে আপনাকে মেসেজ পাঠায়া ইনবক্স ভরায়া ফেলবে।
তাদের মেসেজের মত কথা মানলেও পাঠাবে, না মানলেও পাঠাবে!!  
.
(বিঃদ্রঃ ইহা সম্পূর্ন কাল্পনিক। কারো চরিত্রের সাথে মিলে গেলে "সুসাইন্না ভাব লস না?" এই ডায়ালগ শুনতে বাধ্য নহে  )

শনিবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০১৪

পইতালের জীবন মরন খেলা

রুগীঃ “প্রচন্ড পেট ব্যাথা করতেছে”
পইতালঃ < “বুটাপেন খান ঠিক হইয়া যাবে”
“আচ্ছা ট্যাবলেট বের করে রাখেন বাথরুম থেকে আসি”
< “বুঝছি কাহিনি, পেট খারাপ। ফ্লাজিল খান”
.
বাথরুম থেকে আসার পর
রুগীঃ “কিছুই হয় নাই”
পইতালঃ < “বুঝছি তাইলে শরীর কষা, মিল্ক অফ ম্যাগ্নেশিয়া দুই তিন চামুচ খান”
“কিন্তু পেট ব্যাথা তো যাচ্ছে না বাড়ছে”
< “ব্যাথা বেশি??? এক কাম করে রোলাক একটা খেয়ে ঘুম দেন ঠিক হয়ে যাবে”
.
আরো কিছুক্ষন পর
রুগীঃ “এখন তো বুকে ব্যাথা করতেছে”
পইতালঃ < “বুঝছি এডি কিচ্ছু না প্রবলেম আসল জায়গায়। হার্টে। কারভিস্টা ১২.৫ খান”
.
“আরে ধূর এখন দেখি ব্যাথা বাম পাশে না ডান পাশে।”
< “ও হো হো হো, গ্যাস্টিক। এইডাই এতক্ষন জালাইতেছিলো। ভ্যাজাইল্লা জিনিস। এন্টাসিড খান”
“কেমন যেন জ্বর জ্বর মনেহচ্ছে”
< “নাপা খান, ঠিক হইয়া যাবে”
.
“মাথাও ব্যাথা করে”
< “ডিস্পিরিন খাইয়া একটা সাউন্ড স্লিপ দেন।”
“বলি কি ডাক্তার দেখাই। আন্দাজে আর কত ঔষুধ খাবো?”
< “টাকায় কি আপনাগোরে চাবায়?? দুনিয়াদারী আমরা চরায়া বেড়াই না?? ডাক্তার না হইলে কি হইছে, ডাক্তারের চেয়ে কি কম বুঝি? ডাক্তার এডিই দিবো মাঝখান দিয়া কয়েকশ তা ভিজিট সাথে কত্তডি টেস্ট”
.
ডাক্তার দেখায়া আসার পরে,
পইতালঃ “দেখি ডাক্তারে কি দিলো?? ও টেস্ট?? কইছিলাম না টেস্ট দিবো। এডি অগো একটা ব্যাবসা”
.
টেস্টের রিপর্টে টিউমার ধরা পড়ছে। এজ সুন এজ পসিবল অপারেশন করারনোর লাগবে
(মানে হার্ট, পের্ট খারাপ, গ্যাস্টিক, মাথা ব্যাথা, পেট ব্যাথার, জ্বরের জন্য যত ঐষুধ খাইছে সবই হুদ্দাই। আর দিনের পর দিন এতোগুলা আজাইরা ঐষুধের সাইড এফেক্ট যে কি তা ডাক্তারেরা ভালো বলতে পারবে আমার এইসব শুইনা হুদ্দাই গায়ের লোম কাটা বানায়া লাভ নাই)
.
পইতালঃ “পেটে টিউমার?? ও আইচ্ছা, রিপর্টে যা লিখলো তেমন বিরাট কিছু না।হুদ্দাই ডাক্তারের কথা মত বিরাট হসপিটালে যাইয়া আজাইরা টাকা খরছ কইরা লাভ নাই। ওরাও এইডা থেকে কমিশন পায় এই কারনেই ঐ হসপিটালে সাজেস্ট করছে। নরমাল একটা ক্লিনিকে অন্য ডাক্তার দিয়া কম খরছেই করা যাবে এইটা”
.
.
অপারেশনের মাঝে ডাক্তার অপারেশন রুম থেকে বের হয়ে জানায়, রিপর্টে একটু ভুল আসছে। টিউমার আছে তবে রিপর্টে যে সাইজ বলছে তার চেয়ে অনেক বড়+ যেই জায়গা দেখাইছে সেই জায়গায় না টিউমারটা। এই ক্লিনিকে অনেক রিস্কি এই অপারেশন। বড় কোন হসপিটালে নিয়ে যান।
.
পইতালঃ “আপনারা আগের ডাক্তারের রিপর্ট দেখেই অপারেশন করতে গেলেন ক্যান?? শিউর হওয়ার জন্য আবার টেস্ট দিতে পারনে নাই!!?? প্রত্যেক ডাক্তার এই সব ব্যাপারে আগের টেস্ট করা থাকলেও আবার সিউর হওয়ার নিজের পছন্দ মত ডায়গনস্টিক সেন্টারে টেস্ট দেয়, আপনারা দেন নাই ক্যান?? এখন অর্ধেক অপারেশন করে বলেন সম্ভব না!! ফাইজলামি পাইছেন!!!” 
.
.
উপরের কাহিনিটা ৩জনের গত ২০-৩০ বছরের কিচ্ছা মিলায়া একটা ‘বেসিক কাহিনি’ বানাইছি কিন্তু ঘটনা সত্য। তিনজনই আমার কাছের মানুষ।
এক জনকে আল্লাহ উদ্ধার কইরা সুস্থ জীবনে ফেরত আনছে, আরেক জন এখন ক্যান্সারে লাস্ট স্টেজে মৃত্যুর সাথে লড়তেছে আর অপর জন কবরে। মোটামুটি এই তিনজনের জীবনেই “পইতাল সমাজ” অতপ্রত ভাবে জড়িত ছিল।
.
হায়াত মৌত আল্লাহর হাতে কিন্তু ভূগে মানুষ নিজের দোষে। এক জন মানুষের পক্ষে ১০০% অলরাউন্ডার হওয়া সম্ভব না। সো যে যেই ব্যাপারে এক্সপার্ট তার উপর দিয়া নিজে নিজে পইতালি করতে যাইয়েন না।
জীবন মরন খেলা কি জিনিস যাগো উপর দিয়া যায় হেরাই টেরডা পায়, আগে বুঝন যায় না, পরে হারায়া বুঝবেন।

বৃহস্পতিবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০১৪

Add meh ফয়িন্নি

স্টাটাসঃ
“একটিভরা লাইক দেও, আর কার কার লাইক লাগবে কমেন্ট করো। আমারে এড করো, ১০ সেকেন্ডে এক্সেপ্ট”
.
কমেন্টসঃ
১. আমি just now তে লাইক কমেন্ট করার চেষ্টা করি। আমি আপনার পাশে আছি আশা করি আপনি ও থাকবেন।একটিব লাইকার রা এ্যাড দিতে পারস।
২. ┣┫υммxx____মাম্মাহ_____✘____________!!! ツツপাসে আছি→→অলটাইম**লাইক-কমেন্ট** দুইটাই করলাম। আমার টাইমলাইনে একটু ঘুরে আসবেন
৩. вєѕт Ļιкєя αđđ мє σтнєя'ѕ ƒσĻĻσω мє
৪ like back! only active friends add me…
৫.  শুভ সকাল  মামা_________   ভাল থাকবেন আসাকরি # লাইক_কমেন্ট_করি_    ১৬ঘন্টা_একটিব_থাকি এড দেন একটিবরা এপসেট করব 
.
.
একটা টাইমে পেইজ এডিমিন গুলান আছিলো, কিছু একটা পোস্ট দিয়া লাইক ভিক্কা চায়!! মাইনষের পোস্টে আইসা লাইক চাইয়া লিঙ্ক দিয়া ভরায়া ফালায়। এখন শুরু হইছে এডমি ফয়িন্নিগো জ্বালা।
.
আপনি কিছু একটা লিখে ফেসবুকে পোস্ট দিলেন। হতে পারে ফানি/শিক্ষনীয়/ ইমশনাল/মনের সুখকর বা রাগ এর ভাব প্রকাশ/লুতুপুতু টাইপ/রক্ত বা কারো জন্য সাহায্য চেয়ে রিকুয়েস্ট এমন অনেক কিছুই যাকে মোটামুটি মিনিংফুল বলা যায়।
যা পড়ে বা দেখে কেউ হয়তো হাসে, কেউ কান্দে, কেউ কিছু শিখে, কেউ হয়তো আপনার অবস্থা সম্পর্কে জানে বা কেউ কারো সাহায্যে এগিয়ে আসে।
.
এবং ভালো লাগলে লাইক দেয়, আপনি বুঝেন আপনার পোষ্ট এতো এতো মানুষের ভালো লাগছে। আবার সাহায্যের পোষ্টে লাইক-শেয়ারের আরো অনেক মানুষের ওয়ালে তা শো করে। এতে তাড়াতাড়ি হেল্প পাওয়া যায়।
.
আবার একি জিনিস কারো কাছে ভালো লাগে কারো কাছে খারাপ লাগে। এটা জানানোর জন্য শপ/অফিসের “অভিযোগ/পরামর্শ” বক্সের মত কমেন্ট বক্স আছে।
অনেকে এই পোস্টের ভুল ত্রুটি কি তা জানায় কমেন্টে। আপনিও আপনার অপিনয়ন দেন। এভাবে অনেক কিছু শিক্ষা যায়। আর না শিক্ষার থাকলেও অনলাইনে একটা ভালো আড্ডা জমে।
.
অস্বীকার করার কিছু নাই, এইসব লাইক বা কমেন্টে লাখ খানেক ফলোয়ারয়ালা সেলিব্রেটি থেকে শুরু করে আজকে মাত্র ফেসবুক আইডি ওপেন করা নাদান পোলাপাইন সবাই খুশি হয়। এবং সবশেষে নিজের কস্ট করে লেখা (হোক সেটা দুই ওয়ার্ড বা দুইশ ওয়ার্ডের) বা পোস্ট করা ছবির ব্যাপারে একটা সেটিস্ফেকশন কাজ করে।
.
কিন্তু আমারে কন তো উপরের যেই “এডমি/লাইক মি” মার্কা যেই স্টাটাসের স্যাম্পলটা টা দিলাম, এমন একটা লাইক আর রিকু চাইয়া স্টাটাস যদি আপনে দেন আর আপনার ভিক্কাতে সাড়া দিয়া এইডাতে ২-৪শ লাইক বা এই টাইপের কমেন্ট পড়ে তাইলে আপনে কি মজাটা পাইবেন??
.
এগোরে আমার গে/ল্যাসবিয়ানদের মত লাগে। একটা পোলা একটা পোলারে দেইখা বা একটা মাইয়া আরেকটা মাইয়ারে দেইখা কেমনে আকর্ষিত হয় আমার মাথায় ধরেনা। এই এডমি পাব্লিকগো ক্ষেত্রেও ঠিক এমনই। কিছু না লেইক্ষা শুধু লাইক চাইয়া আবার ঐ পোস্টেই লাইক পাওয়া/দেয়া বা এড মি কইয়া আজাইরা ফ্রেন্ড এড কইরা নিজের ফ্রেন্ড লিস্ট ভরায়া ফালায় কি মজা আল্লাহ মালুম।
.
কিন্তু মজা তো অবশ্যই কিছু না কিছু আছে নাইলে তারা এমন মিনিংলেস জিনিস বার বার পোস্ট করেও বা ক্যান আর এই টাপের পোস্টে লাইক কমেন্ট দেয়ো বা ক্যান। যেমনেটা মজা সমকারিরাও তাদের কাজের মাধ্যমে পায় আর আমরা নাক কুচকাইয়া মাথা খাউজ্জাই ‘ক্যামনে সম্ভব!!’
.
এডিরে ব্লক দিতে দিতে ব্লক লিস্টের জায়গাও ফুরায়া গেছে মনেহয়। এখন উভয় প্রজাতির জন্য উপয়ালার কাছে একটাই চাওয়া,
“খোদা জন্মের সময় এগো মগজে ‘ফিলিংস সেন্সর’ টা ইনস্টলে কয়টা ডাটা মিসিং হইছিলো এই কারনে আউলা ঝাউলা কারবারে মজা পায়। কান্ডলি এগো ফিলিংসটা রিসেট কইরা দিয়া আপামর জনসাধারনেরে এই দুনিয়াবি আজাব থেকে উদ্ধার করো.. প্লিজ লাগে ”

বুধবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০১৪

বালিকা পটানর টিপস

টিনেজ পোলাইনের কাছ থেকে কমন মেসেজ, ভাই বালিকা নিয়া স্টাটাস দেন বালিকা পটানীর টিপস দেন না ক্যা!!!!!!   (আইজ পর্যন্ত নিজেই একখান ভাও করতে পারলাম না আবার আমি দিমু এই বিষয়ে আরেকটারে টিপস!!!  )

যাই হোক, কি করলে বালিকা পটবে তা বালকের চেয়ে বালিকারার ভালো বলতে পারবে। তিনটা প্রশ্নের ভিত্তিতে আলিম ভাইয়ের ব্লগ হতে প্রাপ্ত আইডিয়া+ আমার ফ্রেন্ড সার্কেলের কিছু বালিকাদের মতামত অনূয়াযী নিচে বালিকা পটার কিছু ব্যাপার দেয়া হলো। 

বালিকাদের প্রতি প্রশ্ন তিনটা ছিলোঃ ১. ছেলেদের কি কি পছন্দ? ২. ছেলেদের কি কি অপছন্দ? ৩. কিভাবে অফার করলে আপনি পটে যাবেন?

ফার্স্ট, বালকের কি কি বালিকাদের পছন্দঃ
১. রিক্সা খুজে দেয়া
২. একাগ্রচিত্তে ঘন্টার পর ঘন্টা বালিকার প্যান প্যান শুনার ক্ষমতা
৩. সকাল বিকাল রাতে গুড মর্নিং/ইভিনিং/গুড নাইট বলার জন্য হইলেও কল দিয়ে খোজখবর নেয়া!!
৪. বালিকার বিপদে ঝাপিয়ে পড়ার মানসিকতা
৫. নিয়মিত গিফট দেয়া (আগেই জানি দিবে তারপরো আমি ভাব ধরবো এটা সারপ্রাইজ যাতে
খুশি হয়ে পরে আরো একটা দেয় )

৬. DSLR থাকা জুরুরী তাড়াতাড়ি পটবো!!
৭. বাইক থাকলে আরো ভালো। আরো তাড়াতাড়ি পটবো!!!
৮. নিয়মিত খামচি, মাইর খাওয়ার অভ্যাস থাকতে হবে
৯. মশারী টাঙ্গানো ও ফিল্টারে পানি ঢালার ব্যাপারে দায়িত্বশীল হতে হবে (এটা বিয়া করার পূর্ব শর্ত নাইলে আগেই ব্রেকাপ)

১০. বালিকার সাথে তর্কাতর্কির শেষে রেজাল্ট যাইহোক বালিকার কথাতেই I agree বলতে হবে
১১. বালিকার বান্ধুবীদের বিএফ থেকে এক ডিগ্রী বেশি স্মার্ট হতে হবে
১২. বালিকাকে খোঁচা মেরে কথা বলতে পারবে না তবে নিজে খোঁচা খেয়ে হাসি মুখে হজম করার ক্ষমতা থাকতে হবে
১৩. বালিকা ডাকা মাত্র যেকোন জায়গায় হাজির হওয়া
১৪. ডেটে বাদাম বা ঝলমুড়ি খাওয়ানোর অফার করা যাবে না। (যাবে তবে kfc/ উইম্পি থেকে খেয়ে আসার পরে  )
(২নম্বরটা ছাড়া বাকি একটাও উপরয়ালায় আমার ভিত্রে ইন্সটল কইরা দেয় নাই)

সেকেন্ড, কি কি পছন্দ নাঃ
১. উপরের গুন গুলা না থাকা
২. বেশি কথা বলা
৩. কোন ব্যাপারে সিরিয়াস না হওয়া
৪. কতক্ষন পর পর নাক খোচানো, কান খোচানো
৫. ডেটিং এ আগে আসতে না পারা
৬. ঘাড় ত্যাড়ামি করা
৭. মেয়েটার দোষ নিয়ে কোন কথা বলা

৮. নিজেকে হালকা ভাবে প্রেজেন্ট করা
৯. চাপা মারা
১০. শপিং এ অনিহা
(আপনাদের দোয়ায় ৪নং বাদে বাকি সবকয়ডা দোষই আমার ভিত্রে বিল্টইন আছে 3)

থার্ড+ ইম্পর্টেন্ট প্রশ্ন ছিলো “কিভাবে অফার করলে আপনি পটে যাবেন?”
কমন উত্তর ছিলোঃ “ওরে হারামজাদা এইটা তোরে কমু ক্যা???”


আসল টাই কয় নাই মানে রেজাল্ট জিরো। কস্ট করে অতি আগ্রহের সহিত উপন্যাসটা পড়ে লাস্টে এসে আসল উত্তরই না পেয়ে বেকুব হবার জন্য ধন্যবাদ 

(এইসব টপিক আগ্রহের সহিত যেডি পরে হেরা বেকুবই হয়। এই কারনেই প্রিয় ডট কমের মত ফালতু সাইটেও এতো হিট পড়ে। চালাক পোলাপাইন আগেই নিজের টা ভাও কইরা ফালায়, টিপস টুপস এর দরকার পড়ে না)

মঙ্গলবার, ২ ডিসেম্বর, ২০১৪

তিল থেকে তাল

আমি টু আম্মা কথোপকথনঃ
আম্মাঃ “কিরে প্রতিদিন সন্ধ্যার দিকে কই যাছ?? রাত কইরা ফিরছ?”
আমিঃ “একটা দোকানে বসি। সন্ধ্যার পরে রাশ বেশি থাকে তাই। আমার নেট বিলো উঠে, টাইমো পাস হয়, কাজের টাইম কম তাই অন্য টাইমে জবের জন্য পড়াও যায়”
আমাঃ “অকে ভালো, কর”
.
আম্মা টু ফ্রেন্ডের আম্মাঃ
আন্টিঃ “কিরে ভইন তোর পোলার কি অবস্থা?? কোন গতি হইলো?”
আম্মাঃ “সুসান তো একটা ছোট খাটো জব করে। দুপুরে খাইয়া বিকালের দিকে বাহির হয়, রাত কইরা ফিরে”
.
ফ্রেন্ডের আম্মা টু ফ্রেন্ডঃ
আন্টিঃ “কিরে সুসানের আম্মায় কইলো সুসান বলে একটা জব পাইছে। দুপুরের দিকে বাহির হয়, জব শেষ রাত কইরা ফিরে”
.
ফ্রেন্ড টু আমিঃ
ফ্রেন্ডঃ “কিরে তুই বলে জব পাইছোস, তোর আম্মায় কইলো সকালে যাছ রাতে ফিরস। কইলিয়োতো না!!”
.
.
কইছিলাম তিল বানায়া ফালাইলো তাল!! 

সোমবার, ১ ডিসেম্বর, ২০১৪

এইডস ডে

মাদার্স/ফাদার্স ডে তে বলি “হ্যাপি মাদার্স/ফাদার্স ডে”, বার্থডে তে বলি “হ্যাপি বার্থ ডে”, ভ্যালেন্টাইস ডে তে বলি “হ্যাপি ভ্যালেন্টাইস ডে”
কিন্তু আইজগা যে এইডস দিবস, আইজগা কি কমু?? হ্যাপি এইডস ডে!!!?? 
.
যাই হোক একটা পুরান জোকস বলি।
ভ্যালেন্টাইন্স ডে তে ভালবাসার মানুষ না থাকায় অনেকেই হা হুতাশ করেন। এটা নিয়ে এতো হা হুতাশের কিছু নাই। ভালবাসা দিবসে যে সাথে ভালবাসার কেউ থাকতেই হবে এমন কোন কথা নাই কারন এইডস দিবসেও সব মানুষের এইডস থাকে না 
.
কিন্তু ঝাতি যেমনে একেক ভ্যালেনটাইনে একেক “ভালোবাসার” মানুষের সাথে ডেটিং মারে, এমনে চলতে থাকলে উপরের জোকস উল্টাইয়া যাইতে কইলাম আর বেশি দিন লাগবো না। তখন ভ্যালেন্টাইনে সাথে কেউ থাকুক আর না থাকুক এইড দিবসে বেশির ভাগের এইডস থাকাটা অস্বাভাবিক কিছু হবে না। 
অতএব সাধু সাবধান