পরীক্ষার সময় ক্লাস রুমে চুপ চাপ বসে আছি। কিছুক্ষন পরে টিচার আসলো।
আমার দিকে তাকায়া (বরিশাইল্লা ভাষায়) “এ ছ্যামড়া এই, এইযে তোমারে কইতে আছি, ত্যাড়া হইয়া বইছাও কা?? সোজা হও”
আমি তো সোজা হইয়াই বইসা আছি, আর কি সোজা হমু!!
.
কতক্ষন পরে আবার আমার দিকে তাকায়া, “এ তোমারে কত বার কইরে কমু সোজা হইয়ে বইতে, তুমি সোজা হও না কা??”
আজিব কারবার স্যারে আমার চেয়ে ৩০ ডিগ্রী এঙ্গেলে দাড়ায়া আছে দেইখা কি আমারে বাকা মনে করতাছে নি!! সোজাই তো আছি!!
.
আরো কিছুক্ষন পর আবার আমাকে, “তুমি মিয়া একটা মানুষ। কত কইতেয়াছি সোজা হইয়ে বইতে ডাইনে বামে চাইতে না ছ্যামড়া শোনছে বইলাও কয় না। এইয়ার পরে ঘেডি ঘুরাইলে এক্কারে খাতা লইয়ে যামু, চেনো না মুই কেডা”
আমার ডাইনে বামের কোন কেন্ডিডেটই তো আসে নাই আমি আবার ডানে বামে কার দিকে চাইলাম!!
.
আরো কিছুক্ষন পর আমার দিকে তাকায়া, “এ উডো এ তোমার পরিক্ষা দেতে হইবে না, উডো খাতা জমা দেও” বলেই আমার পাশের রো এর এক জনের খাতা নিয়ে গেলেন!!
.
.
টাইম প্রায় শেষের দিকে। একটা mcq এর এন্সার নিয়ে কনফিউশনে আছি। স্যার অন্য দিকে তাকায়া আছে এই চান্সে সামনের জনেরে একটু গুতায়া দেখি
.
সাথে সাথেই স্যার অন্য দিকে তাকায়া কারে জানি কইতাছে, “মিয়া বুইড়া হইয়ে গেছো, এক জনেরে উডায় দেলাম হেইয়ার পরো তোমগো খোঁচা খুচি যায় না। উডো, হেই কোনায় যাইয়ে বহো”
.
হেহে পোলাপাইন দেখা দেখি ক্যামনে করতে হয় তাও জানে না, স্যার তাকায়া আছে ওনার সামনে গেছে আরেকটারে খোচাইতে।
মরুজ্ঞা আবার সামনের টারে একটু খোচাইলাম, স্যার আবার ৯০ডিগ্রী এঙ্গেলে কার দিকে জানি তাকায়া বলতেছে,
“এ মিয়া সবুজ জ্যাকেট। সাহস তো কম না, মুই তাকায়া আছি, উঠতে কইলাম শোনলে তো নাই হেইয়ার উপর সামনেডারে খোঁচায়!! ওডো হেই কোনায় যাও ”
.
পুরা ক্লাসে সবুজ জ্যাকেট তো আমিই পড়ছি। কিন্তু কইলো তো অন্য দিকে তাকায়া। সিউর হওয়ার জন্য স্যার কে জিগাস করলাম “স্যার আমি??”
“হ স্যার আপনে। যেমনে কাচকি মাছের মত কইলেন ‘স্যার আমি’, মনেহয় যেন হব্বায় দুইন্নাইতে টপ্পাস কইরে আইয়ে পড়লেন। যান হেই কোনায় গিয়ে বহেন”
স্যার চোখ দিয়া দেখাইলো এক কোনায়, আর আঙ্গুল দিয়া দেখাইলো আরেক কোনায়!!
.
.
আমি বুঝি না পরীক্ষার হলে আমারে কনফিউশনে ফালানির লাইজ্ঞা বার বার ট্যারা চক্ষের স্যারডি গার্ডে পড়ে ক্যাআআআআআ
আমার দিকে তাকায়া (বরিশাইল্লা ভাষায়) “এ ছ্যামড়া এই, এইযে তোমারে কইতে আছি, ত্যাড়া হইয়া বইছাও কা?? সোজা হও”
আমি তো সোজা হইয়াই বইসা আছি, আর কি সোজা হমু!!
.
কতক্ষন পরে আবার আমার দিকে তাকায়া, “এ তোমারে কত বার কইরে কমু সোজা হইয়ে বইতে, তুমি সোজা হও না কা??”
আজিব কারবার স্যারে আমার চেয়ে ৩০ ডিগ্রী এঙ্গেলে দাড়ায়া আছে দেইখা কি আমারে বাকা মনে করতাছে নি!! সোজাই তো আছি!!
.
আরো কিছুক্ষন পর আবার আমাকে, “তুমি মিয়া একটা মানুষ। কত কইতেয়াছি সোজা হইয়ে বইতে ডাইনে বামে চাইতে না ছ্যামড়া শোনছে বইলাও কয় না। এইয়ার পরে ঘেডি ঘুরাইলে এক্কারে খাতা লইয়ে যামু, চেনো না মুই কেডা”
আমার ডাইনে বামের কোন কেন্ডিডেটই তো আসে নাই আমি আবার ডানে বামে কার দিকে চাইলাম!!
.
আরো কিছুক্ষন পর আমার দিকে তাকায়া, “এ উডো এ তোমার পরিক্ষা দেতে হইবে না, উডো খাতা জমা দেও” বলেই আমার পাশের রো এর এক জনের খাতা নিয়ে গেলেন!!
.
.
টাইম প্রায় শেষের দিকে। একটা mcq এর এন্সার নিয়ে কনফিউশনে আছি। স্যার অন্য দিকে তাকায়া আছে এই চান্সে সামনের জনেরে একটু গুতায়া দেখি
.
সাথে সাথেই স্যার অন্য দিকে তাকায়া কারে জানি কইতাছে, “মিয়া বুইড়া হইয়ে গেছো, এক জনেরে উডায় দেলাম হেইয়ার পরো তোমগো খোঁচা খুচি যায় না। উডো, হেই কোনায় যাইয়ে বহো”
.
হেহে পোলাপাইন দেখা দেখি ক্যামনে করতে হয় তাও জানে না, স্যার তাকায়া আছে ওনার সামনে গেছে আরেকটারে খোচাইতে।
মরুজ্ঞা আবার সামনের টারে একটু খোচাইলাম, স্যার আবার ৯০ডিগ্রী এঙ্গেলে কার দিকে জানি তাকায়া বলতেছে,
“এ মিয়া সবুজ জ্যাকেট। সাহস তো কম না, মুই তাকায়া আছি, উঠতে কইলাম শোনলে তো নাই হেইয়ার উপর সামনেডারে খোঁচায়!! ওডো হেই কোনায় যাও ”
.
পুরা ক্লাসে সবুজ জ্যাকেট তো আমিই পড়ছি। কিন্তু কইলো তো অন্য দিকে তাকায়া। সিউর হওয়ার জন্য স্যার কে জিগাস করলাম “স্যার আমি??”
“হ স্যার আপনে। যেমনে কাচকি মাছের মত কইলেন ‘স্যার আমি’, মনেহয় যেন হব্বায় দুইন্নাইতে টপ্পাস কইরে আইয়ে পড়লেন। যান হেই কোনায় গিয়ে বহেন”
স্যার চোখ দিয়া দেখাইলো এক কোনায়, আর আঙ্গুল দিয়া দেখাইলো আরেক কোনায়!!
.
.
আমি বুঝি না পরীক্ষার হলে আমারে কনফিউশনে ফালানির লাইজ্ঞা বার বার ট্যারা চক্ষের স্যারডি গার্ডে পড়ে ক্যাআআআআআ
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন