শুক্রবার, ৭ নভেম্বর, ২০১৪

পাব্লিক ভার্সিটির "K" ইউনিট!!

আইজ পর্যন্ত যেই কয় বার কোন পাব্লিক ভার্সিটিতে গেছি হোক সেটা ঢাকা ভার্সিটি, জাহাঙ্গীরনগর ভার্সিটি, জগন্নাথ‌ বা চিটাগাং ভার্সিটি যেই কয়বার গেছি কম বেশি প্রতিবারই দেখি কোন চিপায় চাপায় কেউনা কেউ কারো না কারো সাথে কিলা কিলি পিডা পিডি করতেছে!! 
.
প্রথম যখন চিটাগাং ভার্সিটিতে গেলাম পরীক্ষা দেয়ার জন্য শাটল ট্রেন থেকে নেমে দেখি ট্রেন লাইনের উপরে ৪-৫ জন মিলে একজনকে মারছে পাথর দিয়ে 
জাহাঙ্গীরনগরে এবার কজিন পরীক্ষা দিতে গেলো আর দেখে ঐখানেও এক জনকে কয়েকজনে মারতেছে। জগন্নাথ তো এক বিশ্যজিৎ দিয়াই বিখ্যাত হইয়া গেছে।
.
তো যাই হোক প্রতি বছর ভার্সিটি ভর্তি রেজাল্ট দেয়ার পরে অনেক স্টুডেন্টের হাহাকার শুনা যায়। ‘ডাবল গোল্ডেন পাইয়াও একটা পাব্লিক ভার্সিটিতে চান্স পাই নাই!!’ দুক্ষে অনেকে সুইসাইডো করে!!! 

তাদের জন্য ভার্সিটি কতৃপক্ষ ‘K’ ইউনিট নামে একটা “কিলাকিলি” ডিপার্টমেন্ট খুলতে পারে। এতে অনেক গুলান ভর্তি সিট বাড়বে তয় ক্লাস রুমে লাগেবে না। প্রেটিক্যাল সাবজেক্ট ক্যাম্পাসের রাস্তা ঘাটে মাঠেই ক্লাস নেয়া যাবে।
.
আর এই সাবজেক্টে শিখার অনেক কিছু আছে। 
যেমন সিঙ্গেল কিলাকিলি, গ্রুপ কিলিকিলি, মাইর খাওয়ার সময় কিভাবে প্রটেক্ট করবেন নিজেকে, কিভাবে প্রতিপক্ষ কে মারলে ভিতরে হাড্ডি ফাটবে বাট উপরে কিছু বুঝা যাবে না (যাতে কারো কাছে বিচার না দিতে পারে),আপনি কিভাবে মাইর দিবেন, কোন কোন জায়গায় মাইর দিলে কম শক্তি খরছে বেশি আঘাত করা যায়, কোন কোন জায়গায় মাইর দিবেনা (কারন বাটে পড়লে আপনেও এক দিন খাইবেন তাই আগেই ইনসাফ করে মারা উচিৎ), 
কিভাবে কাউকে ছলে বলে কৌশলে গুম করবেন (কারন দেশে যেমনে গুম হইতেছে কয়দিন পরে গুম করার পোস্টেও ভালো ভার্সিটির স্টুডেন্ডদের “গুম এক্সিকিউটিভ” হিসাবে নিয়োগ দিতে পারে অনেকে) 
এমন আরো অনেক কিছু আছে কিলাকিলি বিষয়ক। আর টিচারেরো অভাব নাই। যারা এখন কিলাকিলি করে তাদেরই কিলাকিলি ডিপার্টমেন্টের টিচার হিসাবে নিয়োগ দেয়া যাবে।
.
এতে এক দিকে যেমন দেশের অনেক ছেলেমেয়ে হা হুতাশ কমবে (কিছু কিছু ক্ষেত্রে সুইসাইডো কমে যাবে) সাথে এইসব ভার্সিটির মেধাবী স্টুডেন্টদের সুনাম বজায় থাকবে। কারন একটা ভার্সিটিতে কিছু পোলাপাইনের আকামের জন্য অন্য হাজার মেধাবীদের ব্লেম হজম করতে হয়। এই ধরনের “K” ইউনিট থাকলে অন্তত তাদের দিকে আঙ্গুল তুলে দিয়ে বাকি মেধাবীরা ব্লেমের হাত থেকে বাঁচতে পারবে। 
আর “k” ইউনিটের ডিকশনারিতে তো “ডর-ভয়” নামে কোন শব্দ নাই। তাদের না পারে ভার্সিটির পোলাপাইনে কিছু কইতে, না পারে টিচারেরা কিছু কইতে আর ভার্সিটিতে পুলিশ তো নিরব দর্শক।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন