শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর, ২০১৪

শো অফ

স্টাটাসঃ 
“মানুষ ক্যান যে এত শো অফ করে বুঝি না। আরে ভাই তোর ২৫হাজার টাকা দামের গ্যালাক্সি ফোন আছে ভালো এইডা এতো দেখানির কি আছে?? আমি কি কখনো বলছি যে আমার আই ফোন আছে?? ওইটার দাম দিয়া তোর দুইটা সেট কিনা যাবে, বাট আমি কখনো এইটা নিয়া শো অফ করছি?? যত্তসব”
.
কমেন্টঃ 
“ভাই চামে তো ঠিকি বুঝায়া দিলেন আপনার আইফোন আছে। এটাও কিন্তু শোঅফ। আমাকে দেখেন, আমি কিন্তু কখনো বলি নাই যে আমার মার্ক থ্রি ক্যামেরা আছে। ওইটা দিয়ে তো আইফোন আই প্যাড কিনেও আরো টাকা বাকি থাকবে  ”
.
রিপ্লাই কমেন্টঃ “ ভাই আপনে মার্ক থ্রি দিয়াই আমারে এক হাত নিলেন। আমি ঐ হিসাবে স্টাটাস দেইনি যাই হোক বলে রাখি আমার ৫লাখ টাকা দামের রোলেক্স ঘড়ি দিয়ে আপনার দুইটা মার্ক থ্রি কিনা যাবে :3”
.
কমেন্টঃ “৫লাখ ঘড়ি নিয়াই এত হ্যাডম!! ঘড়ি তো নিজের, অন্যের জন্য কিছু করেন। আমার বিয়েতে আমি আমার ওয়াইফ কে ২০ ভরি স্বর্ন দিয়ে সাজিয়ে ঘরে আনছি। ২০ ভরি। আমার বিয়ের এলবাম দেখেন, কোথাও কিন্তু এটা লেখি নাই।  ”
.
রিপ্লাই কমেন্টঃ “ ওয়াইফ তো নিজের ঘরেই আসে, সো তারে যা দিবেন তা আবার ঘুইরা নিজের কাছেই আসে। অন্যকে দেয়ার কথা যখন বললেন তাহলে বলি আমি আমার বান্ধবীকে বিয়েতে ১২লাখ টাকা দামের ডায়মন্ড সেট গিফট করছি। এটা শো অফ করবো কি কাউকে বলি নাই, এমনকি আমার ওয়াইফো জানে না হুহ.....”
.
ওয়াইফের কমেন্টঃ “আইচ্ছা   ”
.
.
সবাই স্মার্টলি বুঝাইতে চায় তার কি কি আছে বাট সে শো অফ করে না।  কিন্তু ওভারস্মার্ট হইলে আবার ঝামেলা, তখন এমন এক ওয়ার্ডের “আইচ্ছা” কমেন্ট শুইন্নাই সব “শো” পুরাপুরি “অফ” হইয়া যাইবো। সো সাধু সাবধান।
.
বাই দ্যা ওয়ে, আমার যে একটা মোবাইল আছে যেটায় ছবি তোলা যায়, ভিডিও করা যায়, গান শুনা যায়, ভিডিও দেখা যায়, টর্চ জ্বালানো যায়, গেম খেলা যায়, ক্যাল্কুলেটারে হিসাব করা যায়, এলার্ম বাজানো যায়, ঘড়ি দেখা যায়, নেট চালানো যায়, গাছের আম পাড়া যায়। আমি কি কখনো এইসব বলছিলাম?? আর দাম তো বলিই নাই। এক লাখ ঊনষাট হাজার পয়সা (১,৫৯,০০০পয়সা)!!
.
একটা আইফোনের দাম কত?? ৭০-৮০ হাজার টাকা। ঐ টাকা তো আমি ৫ মিনিটে তিন বার গইন্না ফেরত দিতে পারমু। কিন্তু ওয় পারবে ১,৫৯,০০০পয়সা ৫ক্যান ২৫ মিনিটেও গনতে??
আমি কি কখনো এতো দামি (!!) সেট নিয়া শো অফ করছি?? করছি বলেন?? যত্তসব  

বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর, ২০১৪

ফয়িন্নিগোরে ফেসবুক আইডি খুইল্লা দেছে কেডা

“ভাই আমি সেলিব্রেটি ছিলাম, রিকুটা এক্সেপ্ট করেন”
- “সেলিব্রেটি ছিলেন!!?? কোন চ্যানেলে দেখায়, দেখছি বইলা তো মনে পড়ে না’
“আরে টিভিতে না, ফেসবুক সেলিব্রেটি ছিলাম। ঐ আইডিটা নষ্ট হইয়া গেছে। এইটা নতুন। এইটাতেও কয়দিনের মধ্যে সেলিব্রেটি হইয়া যাবে”

- “বুঝলাম না কাহিনি। সেলিব্রেটি ছিলেন এখন নাই, আবার কয় দিনের মধ্যে হইয়া যাইবেন!! সেলিব্রেটি হইয়া থাকলে তো সবাই চিনবে, নতুন কইরা হওয়ার কি আছে??”

“আরে বুঝেন নাই? আমার ঐ আইডিতে ৫০০০ ফ্রেন্ড ছিলো। এইটায় তো এখনো ৫০০০ ফ্রেন্ড হয় নাই, তয় হইয়া যাবে কয়দিনেই। এক্সেপ্ট করেন, কয়দিন পরে আমিও আপনার মত হইয়া যাবো, সমান সমান”

- “আমার মত হইয়া যাবেন মানে?? ”
"মানে আমার কিছু সেলিব্রেটি ফ্রেন্ড দরকার যারা আমার পোস্টে লাইক কমেন্ট করলে অনেক ফ্রেন্ড রিকু আসবে আর আপনের মত সেলিব্রেটি হইয়া যাবো। আপনার ৫০০০ ফ্রেন্ড হইছে না??”
.
- “আমার তো ৫০০০ ফ্রেন্ড হয় নাই, হবেও না কোনদিন।”
“ওহো, ৫০০০ ফ্রেন্ড নাই!! তাইলে তো আপনে সেলিব্রেটি না। আচ্ছা থাক”
 
.
.
.
এই ফয়িন্নিগোরে ফেসবুক আইডি খুইল্লা দেছে কেডা!!

বুধবার, ২৬ নভেম্বর, ২০১৪

ছবি দেইখা বদজম

এক আফার সাথে কয়েক দিনের কথোপকথনঃ (হুবহু এমন না শুধু সারমর্ম দিছি)
একদিনঃ
“ফেসবুকে তোমার ছবি দাও না ক্যান?? ”
< “চেহারা ভালা না  ”
.
পরেরদিনঃ
“ঐ তোমার ছবি দেও প্রোফাইলে দেখি, কি এক পিচ্চির ছবি দিয়া রাখছো”
< “আমার ছবি দিলে আর ভূলেও চাইবা না প্রোফাইলের দিকে, এরচেয়ে পিচ্চিরেই দেখো  ”
.
আরেক দিনঃ
“তুমি কি মাইয়া যে পর্দা করতাছো। প্রতিদিন যার স্টাটাস পড়ি তার চেহারাই দেখুম না এইডা ক্যামন। আজকে আপলোড করো ”
< “ বাহিরে যাইতাছি, পরে আইসা চিন্তা করুম আমি পোলা না মাইয়া  ”
.
অন্য একদিনঃ
“ওকে তোমারে প্রো পিক দিতে হবে না, ইনবক্স করো একটা ছবি”
< “চেহারা জাতে উঠুক এর পরে করুম, নাইলে বদ হজম হইবো  ”
“ঐ ছ্যামড়া আমি কি তোর লগে প্রেম করুম নাকি যে চেহারা জাতে উঠতে হবে?? এতো ভাব লস ক্যান, ছবি পাঠা”
.
.
আসলেই ভাব বেশি হইয়া যাইতাছে, একটা ছবি পাঠাইলাম।
.
.
অতঃপর আপা আর কোনদিন আমারে নক করে নাই 
আগেই কইছিলাম, খোমা দেখবার চাইছ না বদহজম হইবো 

সোমবার, ২৪ নভেম্বর, ২০১৪

Everything is fair in Love &……….

(রাফ ওয়ার্ড ইউজ করার জন্য আগের দুঃখিত)
আমার এক স্কুল ফ্রেন্ড কি একটা ব্যাপারে জানি একবার কইছিলো
“একটা জিনিস খেয়াল করে দেখিস যারা রাস্তার পাশে দাঁড়াইয়া মুতে তাদের শরম পাওয়া উচিৎ বাট তারা শরম পায়না কিন্তু যারা রাস্তা দিয়া হাইটা যায় তারাই বরং শরমে তাকায় না!!”

ইদানিং ব্যাপারটা উপলব্ধি করতাছি একটু অন্য ভাবে। যারা রিক্সায়/পার্কে চুম্মা চুম্মি বা স্পর্শকারতর জায়গায় হাত চালাচালি করে তাদের কোন শরম নাই কিন্তু যারা গুড়াগাড়া পোলাইন বা ময়মুরুবির সাথে রাস্তায় বের হয় উল্টা তাদেরই ইমব্রেসিং অবস্থায় পড়তে হয়!!

আগেতো তাও রিক্সায় হুড উঠায়া আন্ধার এলাকায় গেলে এর পরে করতো। এখনতো দেখি কপত কপতিরা দিনে দুপুরে হুড নামাইয়াই করে!! আর পার্কে তো আমার মনেহয় একমাত্র ভোরবেলা জগিং করা ছাড়া অন্য টাইমে ফুল ফ্যামেলি নিয়া যাওয়া পসিবল না।

তো এই চুম্মাচাটিয়ালা লাভলুগোরে কই, এডি যদি শুধুই “জাস্ট ফান” হইয়া থাকে তাইলে বাপ হোটেলে যা। প্রস্টিটিউটডিও মনেহয় তোগো চেয়ে অন্তত ভালা আছে। আকাম কুকাম যাই করে হোটেলে করে, কার্তিক মাসের কুত্তার মত রাস্তায় না।

আর যদি এডি ‘শো ষুইট ভালোবাসা’ হয়ে থাকে তাইলে কই, স্কুল কলেজ ভার্সিটি লাইফে এমন শো ষুইট ভালোবাসায় বহুত দেখছি। নিজের চোক্ষে দেখা ইতিহাস বলে কুত্তার যেমন জোড়ার ঠিক নাই।
মানে কোন কুত্তা কোন কুত্তির লগে কখন কোন জায়গায় কি যে করে তার যেমন কোন ঠিক ঠিকানা নাই তেমন এইসব “শো ষুইট ভালোবাসাও” শেষ পর্যন্ত জোড়া ঠিক থাকে না। টুনা টুনির ভালোবাসা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ‘ভালো’ একটা ‘বাসায়’ যাইয়া বাসা বাধার আগেই ক্যান জানি শেষ হইয়া যায়।

আর যদি “ইভরি থিং ইস ফেয়ার ইন লাভ এন্ড ওয়্যার” এই নীতিতে বিশ্বাসী হন, তাইলে সুযোগ বুইঝা খাইয়া দাইয়া আখের ছোবড়া বানায়া ডাস্টবিনে কেউ ছুইড়া ফালায়া দিয়া গেলে তখন আবার আকাশ বাতাস কাঁপায়া হা হুতাশ করতে করতে গলায় দড়ি প্যাচায়া ফ্যানের লগে ঝুইল্লা পইড়েন না।
Because you know, Everything is fair in Love &………..  

শনিবার, ২২ নভেম্বর, ২০১৪

ডাইরেক্ট মা!!!

“পায়ে কি হইছে?”
< “স্টাটাস পড়ে দেখ”
“স্টাটাশে তো লেখা ঠেং এর হাড্ডি ডিস্প্লেস। ডিস্প্লেস কা মতলব ক্যায়া?? কাইন্না আঙ্গুল বুইড়া আঙ্গুলে চইলা আসছে নি ”

< “থাপ্পর খাবি, ব্যাথায় মইরা যায় আর ওয় ফাইজলামি করে ”

“ও তাইলে তো দেখি ভালই ডিস্প্লেস হইছে। ব্যাথা পায়ে বাট এফেক্ট মাথায়। মাথা গরম!!”

< “থাপ্পর খাবি, হাজার হইলেও তোর not be would be teacher”

“ইয়াহ আই নো। হেই কালে ফেসবুক থাকলে আমারে প্রতিদিন রইদে শুকানির টিচারেগো প্রত্যেক্টা মোমেন্ট ফেসবুকে চিপ্পা চিপ্পা উসুল করতাম  এনি ওয়ে ফেবুক বাদ দিয়া রেস্ট নেন”
< “ hum shuyecshyye” (পুরা কনভার্সেশনই বাংলিশে, আপনাদের সুবিধায় বাংলায় দিছি শুধু এই দুই লাইন বাদে)

“shuyecshyye এর বাংলা কি?? আমি চাইনিজ ভাষা পারি না”

< “are gadha shuye shcyee ”
“মাফ করেন। সামনে দেখা হইলে থুক্কু কথা হইলে পরে বুঝুমনে এইডা কি জিনিস. প্রো পিক কি আজকে তুলছেন?”

< “আরে বললাম বাসায় শুয়েই আছি”
“আমি তো দেখতাছি ছবিতে দাড়ায়া আছেন!! ”

< “ঐ ছাগল ছবি ঠেং ভাঙ্গার আগে তোলা, আমি এখনের কথা বলছি  ’
“নো চেঞ্জ!! আগেও টিচারেরা আমারে গাধা/ ছাগল কইতো!! এখনো কয়!! ”

< “ফেসবুকে ছবি দাও না ক্যান? তোমাকে দেখতে চাই”
“হায়লা!! তুই থেকে ডাইরেক্ট তুমি!! আবার ‘দেখতে চাই!!’ শাহরুখ-সুস্মিতার ম্যা হুনা ছবির গন্ধ পাই  ”

< “থাপ্পর খাবি ফাজিল ছ্যামড়া। আমি তোর চেয়ে দুই বছরের বড়, আর তর মায়ের মত...’
.
.
.
আগে তোও ফাইজলামি করবার চাইলে কেউ কেউ ভইন বানায়া দিতো। তাও ভালা। ভইন মানেই কি আপন ভইন নাকি? ভইন খালতো হয় মামতো হয় সো চালায় দেওন যায়।
এইবার কি হুনলাম!! “তর মায়ের মত!!” কিন্তু মা তো খালাম্মাও হয় চাচিআম্মাও হয় বাট................
এবার তো জবান পুরান বন্ধ কইরা দিছে 

বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর, ২০১৪

৭১ এ ফেসবুক থাকলে যা হইতে পারতো

আজকে Arif R Hossain এর স্টাটাসে “ভাগ্যিস ৭১ এ ফেসবুক ছিল না..” এই লাইনটা দেখে নয়া চিন্তা মাথায় ঢুকছে। ১৯৭১ এ ফেসবুক থাকলে কি হইতো?
ভালো খারাপ অনেক কিছুই হইতো। দেখি তার কিছু কাল্পনিক নমুনা।
.
১. ২৫শে মার্চ কালো রাতে পাক হানাদার বাহিনী বাংলার নিরিহ মানুষ উপর হামলা করছে। একটি লাইক একটি থাপ্পর, একটি শেয়ার একটি লাথি।
২. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন। তার জন্য কয়টি লাইক??
.
৩. স্বাধীনতার ঘোষণা মেজর জিয়াউর রহমান দিয়েছেন, কিন্তু কিছু মিথ্যুক সেলিব্রেটি সেটা শেখ মুজিবের নামে প্রচার চালাচ্ছে। শুধু লাইক বেশি হলেই সত্য ঢেকে দেয়া যায় না...

৪. ফ্রেন্দ, আমি ফোর জি একতিভ গুবায়ের(জুবায়েরের টাক্লিশ ভার্সন) তোমারা সবাই গানো(জানো) দেশে গুদ্ধ শুরু হয়েছে। গুদ্ধ শুধু অফলাইনে না অনলাইনেও করতে হবে তাই আমার অনেক একটিভ ফ্রেন্দ দরকার। সো প্লিজ এদ মেহ।

৫. এই যুদ্ধের ময়দানে এক ভাই নামাজ আদায় করছেন। সোবাহানাল্লাহ। তার জন্য কয়টা লাইক?

৬. উফফফ কিছু ভালো লাগেনা। দেশে যে কি গ্যাঞ্জাম শুড়ু হলো Frendzzz দেড় সাথে KFC তে হ্যাং আউট কড়তে পাড়ছিনা, বাহিড়ে কোথাও ঘুড়তে যেতে পাড়ছিনা, আমার বাবুটার সাথে মিট কড়তে পাড়ছি না... আড় ভাল্লাগে না!!

৭. আপনারা যারা যুদ্ধে যেতে পারছেন না তারা চাইলে অনলাইনে বসেও যুদ্ধ করতে পারেন। আমাদের অস্র কেনার জন্য প্রচুর অর্থ দরকার। আপনারা নিচের ইভেন্টে যোগ দিয়ে বিকাশ নম্বরে অর্থ সাহায্য করেও যুদ্ধে পরোক্ষ ভাবে অংশগ্রহন করতে পারেন।
.
৮. নিচের এই লিং টা এক পাকিস্তানী মেজরের। সবাই রিপোর্ট করুন। ফেসবুকে কোন পাকিস্তানির আইডি রাখতে দেয়া যাবে না। (ততক্ষনে তার বাসার দড়জায় আরেক পাকিস্তানী মেজরে খট খটানি শুরু কইরা দিছে)

৯. আধুনিকতার এই যুগে সবার হাতেই একটা করে মোববাইল থাকা স্বাভাবিক। আবার দেশে যুদ্ধের কারনে অনেকের আয় ইনকাম বন্ধ। কিন্তু এই টাইমটা আপনি মোবাইল দিয়ে ঘরে বসেই দিনে ৫০০ টাকা ইনকাম করতে পারেন। আপনি শুধু নিচের লিঙ্কটিতে ঢুকুন। ওখানে কাজগুলো যথাযথভাবে করলেই আপনি পাবেন ৫০০ টার ফ্লেক্সিলোড!

১০. মসজিদ নামাজ পড়ার জায়গা, আর দেখুন কিছু মানুষ মসজিদে আশ্রয় নিয়ে এটাকে বেডরুম বানায়া ফেলছে। মুসলিম হয়ে আরেক মুসলিম ভাই কে ভয় পাওয়ার তো কিছু নাই, ভয় পেলে আল্লাহকে পেতে হবে। সুতারাং এরা কেউ মুসলমান না, সব নাস্তেক। এদের পুশি চাই। 
.
১১. যুদ্ধ নিয়ে একটা গল্পের প্লট মাথায় ঘুরছে, যে কোন সময় লিখে ফেলতে পারি। পর্ব আকারে প্রকাশ করা হবে। যে যে ট্যাগ পেতে চান কমেন্ট করুন।

১২. যশোরে কিছু মুক্তিযোদ্ধা ভাইয়ের জন্য প্রচুর রক্ত প্রয়োজন। A+, b+ O- … যোগাযোগের নম্বর ০১৯১***** (যদি ফেবুক থাকতো তাইলে ভালোর মধ্যে মনেহয় এই একটাই হইতো)
.
১৩. পাক হানাদার বাহিনির ভয়ে সবাই সব কিছু ফেলে পালাচ্ছে, কিন্তু এক জন দেখেন তার গরুটি কে এই দূর্দিনে ফেলে না রেখে সাথে করে নিয়ে যাচ্ছে। তার জন্য একটি লাইক= একটি সেলুট!!
.
১৪. দেশে যুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছে। শেয়ার করে সবাইকে জানিয়ে দিন। এমন আরো লেটেস্ট নিউজ পেতে আমাদের “রেডিও যুদ্ধ” পেইজে লাইক করুন।

১৫. যে ৯টি গুন থাকলে আপনি ঘরে বসেই দেশ স্বাধীন করতে পারবেন তা জানতে ক্লিক করুন ‘প্রিয় যুদ্ধ ডট কম’ এ।
.
১৬. "ধর্ষনের জন্য মেয়েরা দায়ী, তারা হানাদার বাহিনীর সামনে দিয়ে এভাবে বেপর্দায় চলাফেলা করলে ধর্ষন তো হবেই" 

১৭. আর সবচেয়ে বেশি যেটা থাকতো, "মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে সেলফি"/ "নিহত পাক সদস্যের লাশের পাশে সেলফি"/" ট্যাংক এর কামানের আগায় বসে সেলফি "সেলফি ইন যুদ্ধের ময়দান উইথ ফরটি আদার্স পিপল ফিলিং এক্সাইটেড" 
.
.
আসলেই ভাগ্যিস তখন ফেসবুক ছিলো না 

বুধবার, ১৯ নভেম্বর, ২০১৪

পিম্পল সার্জারী!!

এক আপুর স্টাটাস, “হসপিটালটা ভালই। আর অপারেশন ড্রেসটাও আরো জোস.. থ্রি কোয়াটার উইথ টপ। বাট এর পরো ফিলিং ভয় ভয়”


উদবিগ্ন ভাই বেরাদরদের কমেন্টঃ
“ক্যান হি হইছে?”
“কিসের অপারেশন?”
“হসপিটালে ক্যানো!!”

আপার রিপ্লাইঃ “নাকে পিম্পল সার্জারী ”
 


এই পৃথিবীতে আর বাইচ্চা থাকার কোন মানে দেখতাছিনা। মনডা কয় নেটের তারডা গলায় পেচায়া ফ্যানের লগে ঝুইল্লা পড়ি  

রবিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০১৪

ফলোয়ার

একটা নোটিফিকেশন আসলো “অমুক ফলো ইউ”।
কিছুক্ষন পরে মেসেজ “were you a student of adamjee. great entertainment keep it up”
ভাবছি ইনিও মনেহয় আমার মত আদমজীর কোন এক্স স্টুডেন্ট। প্রোফাইলে গিয়ে দেখি আরিইইইইইইইই ইনি আদমজী কলেজের একজন লেকচারার!!

ক্যায়া দিন আগেয়া, যখন আদমজী ক্যান্টনমেন্ট এ পড়তাম মনেহয় এমন কোন দিন নাই যেদিন টিচারগো থাপ্পর-বকা খাই নাই। কিছু কিছু টিচার তো আমারে দেখলে হুদ্দাও থাপড়াইতো (স্পেশালী বাতেন স্যার)

এমন কি একদিন প্রিন্সিপ্যাল স্যারেও (কর্নেল মোফাজ্জল মাওলা) মাঠের মাঝখানে নিয়া ঘন্টা খানেক রোদে দাড় করায়া রাখছিলো আর U শেপ এর আধা স্টেডিয়াম টাইপ কলেজ বিল্ডিংয়ের বারান্দায় পোলাপাইন+টিচারেরা যেমনে ভ্যাটকি মাইরা চাইয়া চাইয়া দেখতাছিলো মনেহয় যেন মাঠে আইপিএল খেলা চলতাছে আর তামিম ব্যাট করতাছে। বাট ডানো খাইয়াও রান করতে পারতাছে না

তো যাই হোক, দিন সবারই আসে। গোবরের মূল্য থুক্কু “মেধার” (!!!) মুল্য একদিন সবাই বুঝতে পারে, শুধু GPA দিয়াই মেধা গননা করা যায় না!! যেমন বিলগেটস, মার্ক জোকার বার্গার এডি সবাই পড়ালেখার মাঝখানে বাং মারা পোলাপাইন এখন তাগো টিচারেরাই তাদের ফলোয়ার।

তো আম্মারে যাইয়া খুব ভাবের সহিত কইলাম, আম্মা you know আগে তো গাইল্লাইতা ক্যান বার বার কলেজে আমার গার্জিয়ানকেই ডাকে। আব দেখো আমারে কলেজের লেকচারারই ফলো করে 
আম্মার উত্তর অনেকটা এমন,
“ক্যাআআআআআআআআ তোরে ফলো করে ক্যা??? ফলো তো মাইনষে চোর বাটপার গুলানেরে করে যাতে সুবিধা মত পাইলে ধরতে পারে। আবার কোন জায়গায় কোন কাহিনি ঘটাইছোস!!!”
  

শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১৪

সত্য হজম হয় না

"আগে নিজের পায়ে দাঁড়াও........."
“আইচ্ছা মাইনষে কি ল্যাদা কাল থেকে হাতের উপ্রে দাঁড়ায় থাকে নি??? পায়ের উপ্রেই তো দাঁড়ায়, তাইলে আর নিজের পায়ে কি দাঁড়াবে??? সরাসরি কইলেই হয় আগে নিজের টাকার উপ্রে দাঁড়াও.... ”
“আরে নাহ আমি কি টাকার কথা বলছি নাকি?”
“তাইলে কি কইছো?”
“আমি তো বলছি.... মানে..আচ্ছা বাদ দেও.....”
.
.
“এই তোমার পা টা সরাও, আমি ঐ দিকে যাবো”
.
কিছুক্ষন পরে,
“এই তোমার ফিগারটা সরাও, আমি বেঞ্চে বসবো”
< “আচ্ছা তোমার বাপ মা কি তোমাকে ভদ্রতা শিখায় নাই?? মেয়েদের সাথে কিভাবে কথা বলতে হয় জানো না?”
“এহানে আবার অভদ্রের কি করলাম? ”

< “ফিগারটা সরাও এটা কি ধরনের কথা??”
“পুরা শরীর দিয়া ব্যাঞ্চ দখল কইরা বইয়া রইছো, তাইলে কি কইতাম?”
< “বললেই পারো 'তুমি একটু সরো', ফিগারটা সরাও এটা কেমন অসভ্য কথা”

“তাইলে একটু আগে যে তুমি কইলা ‘তোমার হাতটা সরাও’... ‘তোমার হাতটা’যদি সভ্য হয় তাইলে ‘তোমার ফিগারটা’ অসভ্য হইতো ক্যরে?? হুদ্দা হাত দিয়া তো বেঞ্চের জায়গা মারো না, পুরা ফিগার দিয়াই তো দখল কইরা থুইছো এই কারনেই তো বললাম ”

< এবার মিনমিনা স্বরে “না তার পরো, কেমন শুনায় না”
.
.
“ আল্লাহয় দাড়ায়া থাকার জন্য পা দিছে, বইসা থাকার জন্যো কিছু না কিছু দিছে। তাইলে হুদ্দাই দাড়ায়া আছো ক্যানো?? বসো”
< “তোমার মুখে কি কিছু আটকায় না??”

“দাড়ায়া আছো, বইতে কইলাম। এইখানে মুখে আটকানির মত কি আছে??  উল্টা বইতে না কইলে তো কইবা ‘অভদ্র, একটু বসতেও বল্লো না’ ”

< “ তা ঠিক আছে বাট, বসার জন্য আল্লাহ কিছু না কিছু দিছে এটা কেমন বাজে কথা??”
“কও কি আল্লাহয় তোমারে বসার জন্য বডিতে কিছু ইন্সটল করে দেয় নাই!! ঠেং এর উপ্রেই দাঁড়াও ঠেং এর উপ্রেই বসো নাকি?? ”

< “ তরেরেরে    ”
.
.
আইচ্ছা মাইনষে সব সময় প্যাচগোচ বাদ দিয়া সরাসরি সত্য কথা শুনতে চায় কিন্তু শুনার পরে এমন করে ক্যা???

বুধবার, ১২ নভেম্বর, ২০১৪

সুন্দরী

দুনিয়াতে কোন মেয়েই সুন্দরী না।

অবাক হইলেন?? বিশ্বাস না হইলে এলাকার যে কোন মেয়ের কাছে যাইয়া ঐ এলাকার সেরা সুন্দরীর ছবি দেখায়া বলেন “এরে দেখতে কেমন লাগে?”

দেখবেন “সুন্দরী” বলা তো দূরের কথা উল্টা “সেরা সুন্দরীর” ১০১টা খুত বাহির কইরা ফালাইছে!!! 

স্যাড বাট ট্রু 

সোমবার, ১০ নভেম্বর, ২০১৪

এবাউট রেপ

লেখাটা একটু এডাল্ট টাইপের, কে কিভাবে নিবে জানি না।
নরমালি মেয়েদের ক্ষেত্রে বিবাহের পূর্বেই কোন ছেলের দ্বারা ভার্জিনিটি হারানোর তিনটা ওয়ে থাকে।
১. সবচেয়ে বেশি যেটা হয়, প্রেম ভালোবাসা করতে গিয়া লিটনে ফ্লাটে বিএফ কর্তৃক ভার্জিনিটি হারায়। একে ‘ষো ষুইট লাভ’ বা ‘ষো ক্যায়াড়িং’ ব্লা ব্লা এমন টাইপ কিছু বিশেষনে বিশেষায়িত করা হয়। 
.
২. টাকার বিনিময়ে কোন ছেলের শয্যাসঙ্গী হয়ে ভার্জিনিটি হারায়। একে পতিতাবৃত্তি বলে। এরা আবার দুই ক্যাটাগরীর।
এক. রাইতের বেলায় পার্কে, ওভারব্রিজের আন্ধারের পতিতা। এদের মানুষ দেখতে পারে না। আর আরেক পিস হচ্ছে ফাইভ স্টার লেভেলের। বাহিরের দুনিয়ায় এরা অনেক গ্লামারাস, অনেক হাক ডাক, অনেক সম্মানো এদের। এরা ফেম বা উচ্চকাংখা এইটাইপ কিছু অর্জনের জন্য বড় বড় হাইক্লাস আদমীদের সাথে বিসনায় যায়।
.
৩. রেপ এর মাধ্যমে।
এবং আমার জানা মতে ৯৯.৯৯% মানুষ ভিকটিমকেই দোষারপ করে। তাঁর ড্রেসের দোষ, তাঁর চলার দোষ আরো বহুত কিছু এবং বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তাদের সামাজিক ভাবে বয়কট করা হয়!! আর রেপার উল্টা অনেক জায়গায় “একখান ব্যাটার মত কাম করছোস” টাইপ প্রশংসাও পায়!!
.
সল্প জ্ঞানে যদ্দুর জানি রেপ তারেই বলে যেটা মেয়েটার অনিচ্ছায় করা হয়। আর স্বাভাবিক ভাবেই একটা মেয়ে তাঁর জীবনের সবচেয়ে বড় সম্বল রক্ষায় জন্য ঐ সময় অবশ্যই যতটা সম্ভব নিজের সর্বশক্তি দিয়ে প্রটেক্টের চেস্টা করে। মানে তাঁর কোন ইচ্ছাই নাই।
অন্য দিকে ১ এবং ২ নং এ কেউই নিজেকে প্রটেক্ট করা তো দূরের কথা উল্টা হাইদ্দা পুরুষটার সাথে বিসনায় যায়।
.
তাইলে এখন সম্মান অসম্মানের দিক দিয়া ঘটনা তো উল্টা হবার কথা আছিলো। ১ ও ২ নং এর গুলানেরে সমাজ বয়কট করার কথা আছিলো। কোন দোষারোপ করতে হইলে তাদের দোষারোপ করার কথা আছিলো। লজ্জা শরমে এক ঘরে হইয়া থাকতে হইলে তারা থাকবে কারন নিজের ইচ্ছায় আকাম বাধাইছে।
.
কিন্তু যে নিজের সম্মান পরপুরুষের কাছে বিলায়া দিতে চায় নাই, জোর জবরদস্তি করে রেপ করা হইছে এতে তাঁর কিছু করার ছিলো না সেখানে তাকে ক্যান সবাই দোষারোপ করবে বা তাকে ক্যান লজ্জার মধ্যে পড়ে একঘরে হয়ে থাকতে হবে বা সবাই কেন কলঙ্কিনী বলে তাঁর দিকে আঙ্গুল তুলবে??
.
এইডা সবাই বুঝে বাট সব জানার পরো তিন চাইর হাত ঘুইরা আসা কলেজের সেরা সুন্দরীরে গার্ল ফ্রেন্ড বানাইতে বেশিরভাগই আগ্রহী থাকে।
টপ প্রস্টিটিউট উরফে ভদ্র ভাষায় টপ মডেলেরে উঠতে বইতে সালাম দেয়ার মাইনষের অভাব হয় না মগর যে রেপ হইছে তারে রাস্তার কুত্তার সম্মান দেয়ার মতও মানুষ টোগায়া পাওয়া যায় না!!!
ফলাফল মহাপাপ জাইন্ননাও মেয়েটা সুইসাইড করে বসে!!
.
.
অফ টপিকঃ নাফি ভাই এর স্টাটাস দেখে জানলাম রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার জাদবপুর গ্রামে এক চৌদ্দ বছরের পিচ্চি বৃহস্পতিবার রাতে রেপ হয়। তাঁর চিৎকারে প্রতিবেশিরা এসে তাকে উদ্ধার করে। তাঁর বাবা লজ্জায় সুইসাইডো করতে চাইছে কিন্তু মেয়ে ঠিকি এতো কাহিনির পরো পরের দিন জেএসসি পরীক্ষা দিয়ে আসছে!!
এতো দিনে যাইয়া এই এক পিস হ্যাডময়ালা মেয়ে দেখলাম। রেপ হইছে তো কিছে?? দোষ কি ওর নাকি?? ১ ও ২ নং পাব্লিক গুলায় যদি স্বইচ্ছায় আকাম কইরাও মাথা উঁচু করে চলতে পারে তাইলে ৩নং মানে রেপড গুলার মাথা আরো উঁচু করে চলা উচিৎ বিকজ ও’ এতো কিছুর পরো ভেঙ্গে পড়ে নাই। ও’ জানে জীবনকে কিভাবে জয় করতে হয়।

শনিবার, ৮ নভেম্বর, ২০১৪

বিয়া নামক কমেডি শো...

পোলাপাইনে বিয়ার উপযুক্ত বয়সে আইলে একটা নতুন ধরনের আজগুবি সিচুয়েশনে পড়তে হয়। যদিও এখনকার বাপ মায় একটু আধুনিক হইছে। ছেলে/মেয়ের জন্য পাত্র পাত্রী টোগানীর আগে অনেকেই জিগায় “তোর কোন নিজস্ব পছন্দ আছে কিনা” মানে লাইন মারসনি কারো লগে 
.
কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় পুত্র বা কন্যা যাকে পছন্দ করে ক্যান জানি বাপমায় ঠিক ঐ পাত্র/পাত্রীটা ছাড়া তামাম দুনিয়ার যে কারো সাথে নিজের সন্তানের বিয়া দিতে রাজি!!! অনেকে রাগ, গোসসা, ঘরের ভিতরে হরতাল, অবরোধ, ইমশনাল ব্লাকমেইল কইরা পছন্দের মানুষকে ঠিকি আনুষ্ঠানিক ভাবে বিয়ে করে নেয় কিন্তু অনেক বাপ-মা মন থেকে মেনে নিতে পারে না। হয় বাপ না হয় মা অথবা দুইজনেই।
এইডার কাহিনি আমার এখনো মাথায় ধরে না। ঘর সংসার করবো পোলা মাইয়া মগর চয়েজ হইতে হইবো আরেকজনের!!! 
.
এইডা তো গেলো লাভ মেরিজের কাহিনি এবার আহেন এরেঞ্জ মেরিজে। ঐডাতো আরেক কমেডি শো। যখন জানবে তাঁর কোন রিলেশন নাই তখন প্রথমে কয়েকটা পাত্র/পাত্রীর বায়ডাটা দেখাবে। এর পরো ডাঙ্গর সন্তানের পছন্দ না হইলে জিগাস করবে ‘আইচ্ছা তোর কেমন ছেলে/মেয়ে পছন্দ বল??’
.
এইডা কোন প্রশ্ন হইলো?? পোলা/মাইয়ায় এইডার কি উত্তর দিবো? কইবো “আমার প্রিন্টের মানুষ পছন্দ না, এক কালার হলে ভালো, চেক চেকও চলে তবে স্ট্রেপের হলে মাচ বেটার। আমি ডার্ক তো তাই লাইট কালার বেশি প্রেফার করি। আর পাত্র/পাত্রীকে অবশ্যই ফ্রি সাইজ হতে হবে, বেশি বডি ফিটিংও আমার ভালো লাগে না আবার ডাবল এক্সেলো কেমন জানি মেক্সির মত লাগে!!! ”

প্রশ্নের ভাবে কয় পাত্র পাত্রী দর্জিবাড়ির মত ঘটকের দোকানে পাওন যায় খালি যাইয়া পছন্দ মত অর্ডার দিলেই পাত্র/পাত্রী ডেলিভারি পাইয়া যাবে!! 
.
আবার ধরেন বিয়ার পাত্রী দেখতে আইছে পাত্রীর বাড়িতে বা তাঁর মামা চাচার বাড়িতে। বিশাল আয়োজন, যেই আয়োজন তাতেও একটা ছোট খাটো বিয়ার অনুষ্ঠান করন যাইবো। অতঃপর পাত্র পাত্রী নামক গরু দর্শন শেষে যদি পছন্দ হয় তো কথা পাকাপাকির মত একটা কথা হতে পারে আইমিন এঙ্গেজমেন্ট নিয়ে অথবা ঐখানেই আংটি পরায়া দিয়া আসতে পারে।
.
আর যদি পছন্দ না হয় তাইলে পাত্রীর হাতে পাত্রের মা কিছু সেলামী টাইপ টাকা গুঞ্জায়া দিয়া মাথায় হাত বুলায়া দোয়া কইরা দিছি ভাব দেখায়া হেহে হিহি করতে করতে পরে জানাবো বলে পাত্রীর বাসা থেকে পাত্র পক্ষ বিদায় নেয়।
কত্ত রঙ্গের ভনিতামি যে দেখন লাগে একেক বিয়াতে!!! পুরাই এক একেকটা কমেডি শো। 

শুক্রবার, ৭ নভেম্বর, ২০১৪

পাব্লিক ভার্সিটির "K" ইউনিট!!

আইজ পর্যন্ত যেই কয় বার কোন পাব্লিক ভার্সিটিতে গেছি হোক সেটা ঢাকা ভার্সিটি, জাহাঙ্গীরনগর ভার্সিটি, জগন্নাথ‌ বা চিটাগাং ভার্সিটি যেই কয়বার গেছি কম বেশি প্রতিবারই দেখি কোন চিপায় চাপায় কেউনা কেউ কারো না কারো সাথে কিলা কিলি পিডা পিডি করতেছে!! 
.
প্রথম যখন চিটাগাং ভার্সিটিতে গেলাম পরীক্ষা দেয়ার জন্য শাটল ট্রেন থেকে নেমে দেখি ট্রেন লাইনের উপরে ৪-৫ জন মিলে একজনকে মারছে পাথর দিয়ে 
জাহাঙ্গীরনগরে এবার কজিন পরীক্ষা দিতে গেলো আর দেখে ঐখানেও এক জনকে কয়েকজনে মারতেছে। জগন্নাথ তো এক বিশ্যজিৎ দিয়াই বিখ্যাত হইয়া গেছে।
.
তো যাই হোক প্রতি বছর ভার্সিটি ভর্তি রেজাল্ট দেয়ার পরে অনেক স্টুডেন্টের হাহাকার শুনা যায়। ‘ডাবল গোল্ডেন পাইয়াও একটা পাব্লিক ভার্সিটিতে চান্স পাই নাই!!’ দুক্ষে অনেকে সুইসাইডো করে!!! 

তাদের জন্য ভার্সিটি কতৃপক্ষ ‘K’ ইউনিট নামে একটা “কিলাকিলি” ডিপার্টমেন্ট খুলতে পারে। এতে অনেক গুলান ভর্তি সিট বাড়বে তয় ক্লাস রুমে লাগেবে না। প্রেটিক্যাল সাবজেক্ট ক্যাম্পাসের রাস্তা ঘাটে মাঠেই ক্লাস নেয়া যাবে।
.
আর এই সাবজেক্টে শিখার অনেক কিছু আছে। 
যেমন সিঙ্গেল কিলাকিলি, গ্রুপ কিলিকিলি, মাইর খাওয়ার সময় কিভাবে প্রটেক্ট করবেন নিজেকে, কিভাবে প্রতিপক্ষ কে মারলে ভিতরে হাড্ডি ফাটবে বাট উপরে কিছু বুঝা যাবে না (যাতে কারো কাছে বিচার না দিতে পারে),আপনি কিভাবে মাইর দিবেন, কোন কোন জায়গায় মাইর দিলে কম শক্তি খরছে বেশি আঘাত করা যায়, কোন কোন জায়গায় মাইর দিবেনা (কারন বাটে পড়লে আপনেও এক দিন খাইবেন তাই আগেই ইনসাফ করে মারা উচিৎ), 
কিভাবে কাউকে ছলে বলে কৌশলে গুম করবেন (কারন দেশে যেমনে গুম হইতেছে কয়দিন পরে গুম করার পোস্টেও ভালো ভার্সিটির স্টুডেন্ডদের “গুম এক্সিকিউটিভ” হিসাবে নিয়োগ দিতে পারে অনেকে) 
এমন আরো অনেক কিছু আছে কিলাকিলি বিষয়ক। আর টিচারেরো অভাব নাই। যারা এখন কিলাকিলি করে তাদেরই কিলাকিলি ডিপার্টমেন্টের টিচার হিসাবে নিয়োগ দেয়া যাবে।
.
এতে এক দিকে যেমন দেশের অনেক ছেলেমেয়ে হা হুতাশ কমবে (কিছু কিছু ক্ষেত্রে সুইসাইডো কমে যাবে) সাথে এইসব ভার্সিটির মেধাবী স্টুডেন্টদের সুনাম বজায় থাকবে। কারন একটা ভার্সিটিতে কিছু পোলাপাইনের আকামের জন্য অন্য হাজার মেধাবীদের ব্লেম হজম করতে হয়। এই ধরনের “K” ইউনিট থাকলে অন্তত তাদের দিকে আঙ্গুল তুলে দিয়ে বাকি মেধাবীরা ব্লেমের হাত থেকে বাঁচতে পারবে। 
আর “k” ইউনিটের ডিকশনারিতে তো “ডর-ভয়” নামে কোন শব্দ নাই। তাদের না পারে ভার্সিটির পোলাপাইনে কিছু কইতে, না পারে টিচারেরা কিছু কইতে আর ভার্সিটিতে পুলিশ তো নিরব দর্শক।

বুধবার, ৫ নভেম্বর, ২০১৪

কনফিউসড রিলেশন

১. “বয়স তো কম হয় নাই বিয়া করবা কবে??”
< “আরে অচেনা কারো সাথে ঘর করার ইচ্ছা নাই। চিনি না জানিনা শুধু কবুল বলেই একি সাথে বিসনা শেয়ার করো!! উউউহ ডিসগাস্টিং!!”
“ অচেনা মানে!!!?? তোমার বিএফ কই?? ”

< “আরে ওয় কোন জব করে না, অর লগে কি আমার বাপ মায় বিয়া দিবে নাকি”
“জব করবে ক্যান??? ওরতো ব্যাবসাই আছে”
< “আরে এইডা তো ওইডা না। সেকেন্ড টা এটা। কবেই ব্রেকাপ হয়ে গেছে। আমি পরের টার কথা বলতেছি”
“ সেকেন্ড টা!! মানে এর আগে আরো একটা আছিলো!! ”

< “হ, নাইলে সেকেন্ড টা হইলো ক্যামনে  ”
.
.
২. ক্রিং ক্রিং (এক ছেলে ফ্রেন্ডের কল)
“হ মাম্মা কও”
- “মাম্মা না মামী” (মেয়ে কন্ঠ!!)
“মানে কি, আপনে কেডা? ”

< “আরে ব্যাডা ওয় আমার গার্লফ্রেন্ড। কনফারেন্স কল ”
- “ কেমন আছো সুসান??”
“হুম ভালো। তোমার কি অবস্থা??”
-“এইতো চলে খারাপ না, ক্লাস এক্সাম নিয়াই তো বিজি”
“পরীক্ষা কবে শেষ হবে?? দেশে আইবা কবে??”
.
লাইন কাইট্টা গেছে.. একটু পরে আবার ফ্রেন্ডের কল
.
“ঐ হারামজাদা দিছিলো তো প্যাজগী বাধায়া!!”
< “এঁ আমি কি করলাম??”

“দেশে আইবা কবে মানে??”
< “আরে ওয় লন্ডন থাকে না?? তাই তো জিগাইলাম কবে আইবা??”
“ধামড়া লন্ডনীডার লগে বহুত আগেই ব্রেকাপ হইয়া গেছে। এইটা দেশেই থাকে  ”
.
পোলাপাইনে এখন এতো তাড়াতাড়ি রিলেশন চেঞ্জ করে কখন যে কে কার লগে আছে হেইডা ঠাওর করাই মুশকিল