শুক্রবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

আমি কাউকে ভালোবাসি বা

আমি কাউকে ভালোবাসি বা আমার কারো সাথে প্রেম করতে ইচ্ছা হয় বা কাউকে নিয়ে আমি একি ছাদের নিচে থাকবো এটা ক্যান জানি আমার আশেপাশের মানুষ বিশ্বাস করতে চায় না। সবাই মনেকরে ফাইজলামি করতেছি!! যার কারনে কারো সাথে এসব ভালোলাগা ভালোবাসার কথা শেয়ার করতে গেলে হেসে উড়ায় দেয়।
.
এ কারনে ব্যাপারটা অনেক দিন মনের মাঝে চেপে রাখছি। কথা পেটে চেপেরাখা উচিৎ না, এতে মাথা ব্যাথা বাড়ে। আসলেই বাড়ছে। কালকে সারারাত ঘুমাতে পারিনি তার চিন্তায়।
তাই ভাবলাম জানায়াই দেই। কিন্তু কিভাবে জানাব এটাই বুঝতে পারছিলাম না
.
আমি একটাকে ভালোবাসি। আমাদের অফিসেই সে আমাদের সাথেই ৯-৬টা কাজ করে। ভালই সুন্দ্রী বলা যায়, গায়ের রঙ ধবধবা ফর্সা। বাট সে কানে শুনে না, কথাও বলতে পারে না। প্রায় দেখি হা করে কিছু বলতে চায় কিন্তু পারে না।
.
হু তার শারিরিক প্রতিবন্ধকতা আছে কিন্তু বিশ্বাস করেন আমি এতো ভালো মনের কাউকে এখনো দেখি নি। খুবি লক্ষি একপিস। যে কারো মন মেজাজ ঠান্ডা করে দেবার এক অদ্ভুত ক্ষমতা আছে তার মাঝে। এর প্রমান আমি নিজে।
.
না খেয়ে তাড়াহুড়া করে সকাল সকাল জ্যাম জুম ঠেলে অফিস যেতে যেতে এমনেই প্রতিদিন মাথা গরম হয়ে যায়। কিন্তু অফিসে যায়ে তাকে দেখলে, তার কাছে কিছু সময় থাকলে, তার কাজ, আচারন, আতিথেয়তা দেখলে কিছুক্ষনের মাঝে আমি পুরা রিফ্রেস!!
.
হতে পারে সে কথা বলতে পারে না, হতে পারে সে কানে শুনে না কিন্তু কাউকে প্রশান্তিময় অনুভূতি দেবার এক অদ্ভুত ক্ষমতা তার মাঝে আছে যা এখন অনেকের মাঝেই পাওয়া যায়না।
.
দুই দিন আগে একটা স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম বিয়ের খরচ নিয়ে। টাকা ছাড়া আপনি আপনার ভালোবাসাকেও আপন করতে পাবেন না। কারন আমাদের সমাজ ব্যাবস্থাটাই এমন।
.
আসলে তাকে ঘরে তুলে আনার মত এবং বাকি লাইফ তার ভরন পোষোন চালানর মত এত আয় রোজগার আমার এখনো হয় নি। তাই বাসায়ো বলতে পারছি না পরে আবার না বাপে তার কথা শুইন্না আমারেই ঘর থেকে বাহির কইরা দেয় 
.
.
.
কিন্তু মাই ডিয়ার এসি,
তুমি বোবা কালা যাই হও
আমি তোমাকেই ভালবাসি।
.
আপাতত তুমি অফিসেই থাকো, শুধু একটা অনুরোধ... এই ঠাডা গরমে আমার উপর মাঝে মধ্যে রাগ করে নষ্ট হইয়ো না।
.
এ ফ্যাসিবাদী সরকার হয়তো এসির উপর ট্যাক্স কমাবে না, কারেন্ট বিল কমাবে না। এ ঘুনেধরা সমাজ হয়তো তোমাকে আনতে দেখে “এহ ফকিন্নির ভাব দেখো, খাওন জুটে না আবার এসি মারায়” বলে খোঁচাবে।
.
কিন্তু মনেরেখো মাই জরিনা, আমি মাইনষের কথার ধার ধারিনা।
একদিন তোমাকে ঘরে তুলে এনে সবার মাথার উপর বসানোর মত টাকা আমারো হবে। তোমার ভরন পোষোনের খরচ চালানর অবস্থা আমারও আসবে।
ভালোবাসার জয় হবেই 

বুধবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

গত কয়েক বছরে মাইনষের বিয়া শাদী দেইখা

গত কয়েক বছরে মাইনষের বিয়া শাদী দেইখা যা বুঝলাম, কুটিকুটি ট্যাকার ব্যাকাপ না থাকলে বিয়া করন যাইবো না।
.
এখনকার গায়ে হলুদ আগের মত বাড়ির ছাদে প্যান্ডেল টাঙ্গাইয়া করলে পোষায় না। এরজন্য পুংপাং চাইনিজ রেস্ট্রুরেন্ট বুক দেওন লাগে। সেই লেভেলের স্টেজ করন লাগে।
বর কনেরে আগে হলুদে ঘরের থেকেই সাজায় দিতো, এখন হলুদেও পার্লারে যাওন লাগে। শুধু কনে গেলে হয় না, লগে পুরা এক ব্যাটেলিয়নেরো পালিশ করায়া আনন লাগে।
.
স্কুল ড্রেসের লাহান হলুদেও এখন আগত গেস্টদের সবাইকে একি কালারের শাড়ী পাঞ্জাবী দেওন লাগে। ডিজে আনন লাগে, নাচ গানের শিল্পীও ভাড়া করা লাগে।
.
ওপেন সিক্রেট খরচ আরেকটা হচ্ছে মিড নাইটে ফ্রেন্ড/কাজিনেগো মদের বতলের আবদার, না করা যাবে না। যেই মাইয়া বাপের জনমে কফিও খায় নাই হেও হেইদিন দুই এক প্যাগ মারে, বিদেশী সিগারেট টানে!! আর পোলাডির কথা নাহয় বাদই দিলাম।
.
হেরপর যেনতেন জায়গায় বিয়া করন যাইবোনা তাইলে নিজেদের+গেস্টদের ফেবুকে চেকিন দিতে ইজ্জতে বাধবে। সো লাখটাকা ভাড়ার কনভেসশন সেন্টার বুক দেও। যেই কনভেনশন সেন্টারের ভাড়া প্রায় লাখ টাকা তার খাওনের রেট নিশ্চই কাকেলা ডাব্বার মত না। ৪০০ টাকার প্লেট ৮০০ নিবে।
.
এই ডাবল রেটকে এবার হাজার খানেক গেস্ট দিয়ে গুন করেন। সাথে আবার জনপ্রতি ‘ইউনিক’/‘গর্জিয়াস’ কার্ডের খরচ দিয়াও গুন কইরেন। খরচের ডিজিট আটাইতে নরমাল ক্যাল্কুলেটারেও কস্ট হইয়া যাইবো।
.
এখনকার বিয়াতে সব কিছুর চেয়ে ইম্পর্টেন্ট পার্ট হচ্ছে ফটোগ্রাফি। নামি দামী ফটোগ্রাফার ডাইক্কা প্রি ওয়েডিং, ওয়েডিং, পোষ্ট ওয়েডিং ফটোগ্রাফি কইরা ঐখানেই প্রায় আধালাখ টাকার ধাক্কা সামলাও।
.
এডিতো সাইডের ব্যাপার স্যাপার, আসল খরচের জায়গাই তো বাদ দিসি।
মিনিমাম ৫-১০ ভরি স্বর্ণ না হইলে মাইয়ারে সাজান যায় না!! (দুইন্নাইতে কি স্বর্ণ ছাড়া আর কোন কিছু দিয়া অলঙ্কার বানায় না নাকি!!  )
শাড়ীও দেখি নাম্বার আছে। বিয়ার প্রথম শাড়ী, দ্বিতীয় শাড়ী তৃতীয় শাড়ী!! কোনডার দাম ২৫-৫০ হাজারের কম না। সাথে আবার সেই ফুল গ্যাং সহ পার্লার খরচ তো আছেই।
.
পোলাডিও কম যায় না। এখন পোলাগোরেও পার্লারে যাওন লাগে। ১৫-২০ দিন আগের থেকে ফেইসিয়াল ফুইসিয়াল স্পা মারন লাগে। যেই পোলা ইহো জনমে কোনদিন ২০০ টাকার উপ্রে ঘড়ি পিন্দে নাই তারে বিয়ার দিন রাডো/রোলেক্স পিন্দন লাগবো। এক্সপেন্সিভ শেরয়ানী/ সুট কোট এইসব তো আছেই। আজীবন খুর দিয়া শেভ করা পোলার বিয়াতে ফিউশন রেজার লাগে  
.
‘গেট ধরা’ আগে ছিলো বিয়াতে মজার পার্ট এখন আতঙ্কের পার্ট। ২০-৫০ হাজার বা এক লাখ এখন কমন ব্যাপার গেটে!!
কাবিনের সময় চলে আরেক কামড়াকামড়ি। কাবিনের টাকা দেয়ার ক্ষমতা পোলার আসলেই আছে কি নাই তাঁর দিকে কারো খবর নাই, ১৫-২০ লাখ প্লাস কাবিন না হইলে সমাজে ইজ্জত থাকে না!
.
.
এরপরো দেখবেন কাউরে খুশি করন যায় না। মাইনষে বিয়াতে আইবো, গলা হমান খাইবো এরপর টুথপিক দিয়া দাঁত খোঁচাইতে খোঁচাইতে ‘মাংসো মঞ্জে নাই’/ ‘পোলা মোডা’/ ‘মাইয়া কালা’/ ‘মেয়ের শাশুড়ির ননদের ভাসুরের তালতো ভাইয়ের খালতো ভইনের চোখ ট্যারা’ এইসব কইতে কইতে আপনার খাইয়া আপনারেই খোঁচায় যাইবো..
.
এখনো কিচ্ছা শেষ হয় নাই। হানিমুন বাকি আছে।
বাপের জনমে এসি ট্যাক্সিক্যাবে চড়ার এক্সপেরিয়ান্স না থাকলেও বিমানে কইরা কক্সবাজার যাইতে হবে এন্ড বিমানে উডার মূহুর্তে একটা আর নাইম্মা আরেকটা চেকিন দিতে হবে।
আপনি যেই লেভেলেরই পাব্লিক হন না ক্যান হানিমুনে অবশ্যই ফাইভস্টার হোটেলে থাকতে হবে। বাত্তি নিভানির মোমেন্ট ছাড়া বাকি সব মোমেন্টের ছবি ফেবুকে দিতে হবে।
আর ইনফিনিটি পুলে বউ জামাই গলা হমান পানিতে নাইম্মা একটা সেলফি ফেবুকে না দিলে এযুগে হানিমুন সম্পন্ন হয় না।  
.
.
এতো কিছু করার পরে যদি সুখি হয় তাইলে তো আলহামদুলিল্লা, মগর স্যাড নিউজ ইজ ‘ডিভোর্স’ ব্যাপারটা এখন ক্যান্সারের মতই এভেলেভেল হইয়া গেছে। আর সাংসারিক কাইজ্জা কইরা শুধু সামাজিক সম্মান রক্ষার্থে ফেইক হাসি দিয়া নিয়ম রক্ষার সংসার করে যাচ্ছে এমন কাপলের সংখ্যা কোন অংশে কম না।
.
হইবোও না বা ক্যান? এতোক্ষন যেই আয়োজনের কিচ্ছা কইলাম এটা কিন্তু কোন কুটিপুতির ঘরের বিয়ে না। আমার আপনের মত মিডেল্কক্লাস ফ্যামেলির।
.
একটা মিডেলক্লাস ফ্যামেলির ছেলে পড়াশুনা শেষে কয় টাকাইবা কামাইতে পারে বা ছেলে মেয়ের বাবা-মার কয় টাকাইবা সেইভিংস থাকে যে একটা পোলামাইয়া বিয়া দিতে এমন হাতি ঘোড়ার আয়োজন করার ক্যাপাসিটি থাকবে?
.
‘লোকে কি বলবে’ বা মাইনষেরে একটু দেখানির জন্য বিবাহিত জীবনের শুরুটাই করা লাগে লোনের বোঝা নিয়া। কেউ তা উত্রায় যাইতে পারে আর বেশিরভাগই টানাটানির মধ্যে পড়ে। আর এই টানা টানির মাঝে একজনে ধর্য্যহারা হইলেই সংসারে টানপড়োন শুরু হয়, ক্ষেত্রবিশেষে সংসারো শেষ হইয়া যায়।
.
শুধু “লোকে কি বলবে” ব্যাপারটাই শেষ হয় না। সংসারের আগে, সংসারের সময় বা সংসার ভাঙ্গার পরেও ‘লোকের বলা’ চলতেই থাকে।

মঙ্গলবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

ছেলেরাও কাঁদে........

মেয়েদের 'মন' সাধারনত কোমল হয়। কোমল মনে একটু আঘাত পেলে মেয়েরা কাঁদে। কখনো সবার সামনেই কাঁদে, কখনো নিজ রুমে অন্যের চোখের আড়ালে বালিস ভিজিয়ে কাঁদে। কাঁদলে মন হালকা হয়। মেয়েরা অল্প আঘাতেই কেদে ফেলে। তাই হয়তো তাদের মন সবসময় হালকা/কোমল থাকে।
.
ছেলেদের মনো শুরুতে কোমল থাকে। কিন্তু কেন যেন ছেলেদের মাথায় ঢুকিয়ে দেয়া হয় ছেলেদের কাদতে নেই। যে কোন কঠিন আঘত বয়ে গেলেও ছেলেদের কাঁদতে হয় না। এতে মনের উপর চাপ বাড়ে। বাড়তে বাড়তে মন কঠিন হয়ে যায়। ছেলেরা কাঁদতে ভূলে যায়।
.
.
এরপরো কিছু ছেলেকে কাঁদতে হয়। পরিস্তিতি তাদের কাঁদতে বাধ্য করে। সে সময় তারা না কেঁদে থাকতে পারে না। এ সময় তাদের কাঁদতে দেখলে 'লোকে কি বলবে' সে ভয় কাজ করে না।
.
তারা পেয়াজ কাটতে গেলে কাঁদে। তাদের চোখে ধুলাবালি পড়লে কাঁদে।
অথবা চোখের সমস্যার কারনে আমার মত সকাল রাত দু বেলা চোখে দু ফোটা আইড্রপ দিতে গিয়েও ছেলেরা কাঁদে........

ফিউচারে অর্থমন্ত্রী হবার লক্ষন

দিনকাল খুব একটা সুবিধার ঠেকতাছে না। অনেকটা আবুল মালের মত দিন যাইতাছে। চাচায় মুখ খুল্লেই যেমন কেউ না কেউ গোসসা করে, এরপরে রাস্তা ব্লক করে। হোক সে শেয়ার ব্যাবসায়ী বা শিক্ষক বা ছাত্র।
.
আমারো একি হাল। ইদানিং যার লগেই কথা কই হেইডাই দেখি কথাবার্তা শুইন্না গোসসা করে!! এর পরে ব্লক দেয়!!
.
বুঝতাছিনা এইডা কি কপালে শনির লক্ষন না ফিউচারে অর্থমন্ত্রী হবার লক্ষন 

শুক্রবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

পাব্লিক ভার্সিটি প্রাইভেট ভার্সিটি

পাব্লিক ভার্সিটির স্টুডেন্ট কয়, “ফার্মের মুরগীগুলার গার্লফ্রেন্ডের পিছে বাপের হাজার টাকা খরছ করতে সমস্যা নাই, ভ্যাট দিতে সমস্যা”
.
প্রাইভেট ভার্সিটির স্টুডেন্ট কয় “ ফ্রি পড়াশুনা করার পরো পান থেকে চুন খশলে যেই ফকিন্নিরা অন্যের গাড়ী ভাংতে পারে তারা কি বুঝবে এক্সট্রা ভ্যাটের চাপ কি জিনিস”
.
আম্লিগের সাপোর্টার কয় “যেই ‘জয় বাংলা’ দিয়ে স্বাধীনতা এনেছি সেই জয় বাংলাকে ব্যাঙ্গো করে আন্দোলন!! ছিঃ... শেইম...” 
.
এন্টি আম্লিগের সাপোর্টার কয়, “ যখন ‘জয় বাংলা’ বলে ভার্সিটির টিচারদের উপর হামলা চালান তখন জয় বাংলার ইজ্জত যায় না?”
.
.
.
অশ্লীল হলেও সত্য, আমাদের শরীরের পাশাপাশি মনের মাঝেও ‘পাছা’ শব্দটা অতপ্রত ভাবে জড়িত।
আমরা যেমন একটু চান্স পাইলেই একে অন্যের পাছায় আঙ্গুল দিতে ভালোবাসি তেমনি আমরা যে কোন ইস্যুতেই পাছার মত দুই ভাগ হতেও ভালোবাসি।
.
যত যাই করি দিন শেষে আসলে আমরা ‘পাছা’ থেকে কখনোই দূরে থাকতে পারি না 

বৃহস্পতিবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

আমার বাপে রাষ্টবিজ্ঞানে মাস্টার্স পেশা

আমার বাপে রাষ্টবিজ্ঞানে মাস্টার্স। পেশা ব্যাংকার!! তাও আবার আইটির দায়িত্বে!!
.
আমার এক মামা ইসলামিক স্টাডিজে মাস্টার্স। তার পেশাও ব্যাংকার!!
.
আমার এক ফ্রেন্ডেরে দেখলাম কমার্স থেকে মেট্টিক ইন্টার এর পরে ডিগ্রী পাস কোর্স করতে এখন সে নেটোয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার!!
.
আরেক ফ্রেন্ড শুরু থেকেই সাইন্স ব্যাকগ্রাউন্ডে পড়ে ইঞ্জিনিয়ার (EEE) এখন সে MBA করতেছে ব্যাংকার হবে!!
.
আমার এক ক্লাসমেট ফিন্যান্সে মাস্টার্স সে ঔষূধ কোম্পানির মার্কেটিং অফিসার!!
.
আরেক ফ্রেন্ড মার্কেটিং এ মাস্টার্স সে এখন একটা গ্রুপ অফ কোম্পানীতে এডমিন (মানে ম্যানেজমেন্টের কাম যদিও হারাদিন ইউটিউবে মুভি দেইখা সময় কাটায়  !! )
.
আরেক ফ্রেন্ড ম্যানেজমেন্টে এ মাস্টার্স সে এখন একাউন্টেন্ট!!
.
ক্লাসের আরেক ফ্রেন্ড আমার সাথেই ফিন্যান্সে অনার্স মাস্টার্স শেষ করে এখন চায়ের দোকানদার!!
.
আমি ফিন্যান্স ব্যাংকিং এ মাস্টার্স, একবার আমার আইটি অফিসারের জব অফার আইছিলো আরেকবার ইন্টারভিউ কল আসছিলো “Programming Engineer” হিসাবে!!! কমার্সে পইড়া ইঞ্জিনিয়ার!! আর এখন করি একাউন্টেন্ট কাম সাপ্লাই চেইন এর কাম।
.
.
“ও আমার দেশের মাটি তোমার পরে ঠেকাই মাথা” আই মিন ইংলিশে যারে কয় দেশের মাটিরে হেটস অফ।
দুনিয়াতে এমন এভেলেভেল মাল্টিটেলেন্ট সিটিজেন মনেহয় শুধু এই দেশেই পাওন যায়। পড়ালেখা করে এক সাবজেক্টে কাম পায় আরেক সাবজেক্টে!!
.
এছাড়া অনার্স, মাস্টার্স, সাথে আবার এম্বিয়ে, হ্যান কোর্স, ত্যান কোর্স কইরাও বেকার যেডি বইসা আছে তাগো হিসাব নাহয় বাদই দিলাম।
.
সোনার বাংলার সোনার শিক্ষা ব্যাবস্থা, যেই শিক্ষা শেষে শিক্ষা মত কাম পাওন যায় না হেইডার লাইজ্ঞা আবার ভ্যাটো দেওন লাগবো!!
.
শুধু একটা সার্টিফিকেট নামক কাগজের জন্য বেহুদা কামে যে বেহুদা পড়াশুনা কইরা সময়ডি নষ্ট করাইছে, ঐ সময় নষ্টের জন্য জরিমানা চাইয়া যে পোলাপাইনে এখনো রাস্তায় নামে নাই এইডাই বহুত 

সোমবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

ন্যাচারেলি আ’ম কিউট

১. একবার বানিজ্য মেলায় “ফ্রেস” এর প্যাভিলিওনে ঢুকসিলাম। সেলস গার্ল কয়, স্যার এই প্রডাক্ট টা কিনলে ফ্রেসের কিউউউট একটা মিনারেল ওয়াটার বটল ফ্রি।
মিনারেল ওয়াটার আবার কিউট হয় ক্যামনে, দেখান দেখি 
১০০ না ১৫০ মিলির একটা বাইট্টা বা ছোট খাটো মিনারেল ওয়াটার বোতল দেখাইলো। এই দেখেন, কিউট না!!! 
.
২. আঙ্গুলের তিন ভাগের এক ভাগ সাইজের বই আকৃতির কয়টা রাবার কিনছিলাম পিচ্চির জন্য। এক জনে দেইখা কয় ওয়াও, কি কিউট বুক!! 
.
৩. এক রমনী আঙ্গুলের সাইজের একখান জুতা দেখাইলো যার ভিত্রে নবজাত বাচ্চারো ঠেং ঢুকবে কিনা সন্দেহ। ‘দেখতো জুতাটা কিউট না!!’
.
.
আমি ইংলিশে বকলম পাব্লিক। মাইনষের মুখে দুই চার ওয়ার্ড ইংলিশ শুইন্না শুইন্না শিখার চেস্টা করি। যাই হোক, উচ্চ শিক্ষিত মাইনষের কথা বার্তা থেকে যা বুঝলাম ‘বাইট্টা/ছোট খাটো’ বস্তু এর ইংরেজী হচ্ছে ‘কিউট’।
.
.
ও, আমি আবার প্রকৃতিগত ভাবে ছোট খাটো মানুষ বা বাইট্টা মানুষ।
সো ইংলিশে হবে, ‘ন্যাচারেলি আ’ম কিউট' 

শনিবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

সারা দুনিয়াতেই মানবতার নিদ্রা ভাঙ্গাইতে

যা বুঝলাম, সারা দুনিয়াতেই মানবতার নিদ্রা ভাঙ্গাইতে হইলে দুই একটা মানবকে চিরনিদ্রায় যাইতে হয়....... হোক সে স্বদেশী জিহাদ বা ভিনদেশী আয়লান....

বুধবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

বাংলার ভেনিস

জীবনে একক্ষান টার্গেট আছিলো সেকেন্ড হ্যান্ড বিমডাব্লু গাড়ী কিনমু। কিন্তু এখন দেখতাছি এই ভেনিস থুক্কু ঢাকায় গাড়ীর আর কোন প্রয়োজন নাই।
.
এইম চেঞ্জ।
বিমডাব্লু নৌকা কিনুম। দরকার হইলে নৌকা কিন্না নৌকার আগায় বিমডাব্লুর লোগো লাগায় দিমু।
নৌকা এখন সময়ের দাবী 
.
বিঃদ্রঃ 'নৌকা' শব্দটা থাকায় এইডারে কোন খাউজ্জানির পার্টির কাছে আওমিলিগীয় স্ট্যাটাস মনেহইলে 'নৌকার' জায়গায় 'টাইটানিক'ও পড়তে পারেন।
বৃষ্টি হইলেই যেই পানি উডে, এতে অনায়সে টাইটানিকো চালান যাইবো 

মঙ্গলবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

কুফা দিন

১. আজকে কি হইলো কে জানে, কোন নবাবজাদার পুতে (সিএনজিয়ালা) দেখি আমারে লইতে চায় মগর অন্যরা দেখি ঠিকি যাইতাছে। অবশেষে এক শাহাজাদা সেলিমের মনে এই নাদান প্রজার জন্য দয়া হইছে 
.
২. যাইতে যাইতে বৃষ্টির আগমন। খারাপ না, ঠান্ডা ঠান্ডা আবহাওয়া। সিএনজির দুই পাশের রেকসিন নামায় দিছি কিন্তু উপরে, সাইডের থে দেখি ফোঁটায় ফোঁটায় রহমত পড়তাছে।
এতো সিএনজি থাকতে এই ফুটা সিএনজিতেই আমারে উঠতে হইবো, আর এইডায় উঠার পরি বৃষ্টি শুরু হইতে হইবো  
.
৩. একটা জিনিস টোগাইতে বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে নবাবপুরের এই মাথার থে হেই মাথায় গেলাম, রাস্তা ফকফকা। কতখন পরে সেই জিনিসের যদিও ইয়াতা পাতা পাইছি বাট ফেরত আইসা দেখি ঐসব দোকানের সামনে হাটু পানি!!
এতো দোকান থাকতে আমার দরকারী দোকানের সামনেই হাটু পানি হইতে হইবো ক্যা? 
.
৪. কাজ শেষ কইরা অফিস যামু অখন দেখি কোন সিএনজিই যাইতে চায় না! এখন আর সকালের মত কোন নবাবের মনে রহমত নাজিল হয় নাই।
ঢাকায় এতো জায়গা থাকতে যেইখানে সিএনজিয়ালারা যাইবার চায় না ঐখানের আমার কর্ম হইতে হইবো ক্যা?? 
.
৫. রিক্সা + হাইটা কোতায় কোতায় যাও অফিসের কাছাকাছি আইলাম আতকা রিক্সার ব্রেকে আমার ঠেং এর বুইরা আঙ্গুলে পেরেক ঢুইক্কা ছ্যারাব্যারা হইয়া গেলো!! ভালোমত চাইপ্পা ধইরাও রক্ত থামাইতে পারিনা! বুইড়া আঙ্গুলে এতো রক্ত আহে কইত্ত!!
কোন রিক্সার পা দানিতে এমন জং ধরা পেরেক দেখি নাই। এত রিক্সা থাকতে আমার কপালে এই পেরেক বাহির হওয়া রিক্সাই জুটলো। 
.
৬. রিক্সায়ালারে কইলাম তারাতাড়ি কোন এক ক্লিনিক/ফার্মেসিতে নিতে। এমনেই তাড়াহুড়া এর ভিত্রে হটাত প্যাডেলের চেইন গেছে ছিড়া!! 
.
৭. রাস্তার পাশে রিক্সার চেইন ঠিক কইরাইতেছে। আমি রিক্সায় ঠেং ধইরা বইসা আছি। আতকা পিছের থেকে রিক্সা না সিএনজি কোন হারামিয়ে জানি ধাক্কা দিয়া গেছেগা 
হারামজাদা রাস্তায় এতো ফাকা জায়গা থাকতে তোরে আমার রিক্সার পিছেই ধাক্কাডা দিতে হইবো, তাও আবার এই ঠেং কাটার দিনে 
.
৮. গুলশান কোন এঙ্গেল থে দামী এলাকা আমার মাথায় ধরে না। দরকারের টাইমে কিছুই পাওন যায় না এইখানে।
সামান্য মাথা ব্যাথার জন্য পুরা গুলশান ঘাইট্টা একটা ডিস্পিরিন টোগায় পাইনাই, আর আইজগা কোন ক্লিনিক পাইনা।
গুলশানে পাওয়ার মধ্যে আমি খালি ড্রেন উপচায় গু মুতের পানিই পাইছি 
.
৯. শেষমেশ ঠেকায় পইড়া ঠেং কাটার জন্য ডাকাইতের হাতেই ধরা দিসি। মানে ল্যাবেইডে গেছি। ১০০টাকার ইঞ্জেকশনের লাইগা ৮০০ ট্যায়া ভিজিট দেওন লাগবো, তাও গেলাম। সব সিরিয়াল ঠিকি আছে এক্কারে আমার সিরিয়ালের আগখান দিয়া ডাক্তারের পরিচিত কেডা জানি আইসা ঢূইকা পড়ছে। ডাক্তার হ্যাঁও কইতারেনা, নাও কইতারেনা।
আমার সিরিয়ালের সামনেই তোগো আইতে হইবো ক্যা। ৫টা মিনিট পরে আইলে কি হইতো >
.
১০. ডাক্তার দেখলো, ঐষুধ লিখলো, ইঞ্জেকশন লিখলো মগর ডাক্তার এখানে ইঞ্জেকশন পুশ করে না। নিচে ফার্মেসিতে গেলাম। এই এলাকার ফার্মেসিয়ালারাও এই কাম করে না!!
ইঞ্জেকশন দেওনের আশায় হুদ্দাই ট্যায়া কতডি খরছ 
.
১১. অফিসে আইসা দেখি আমার ১০০ ডলার নাই!! এতো ঠাডার মাঝে এইডারে আর ঠাডা মনেহয় নাই। বিকজ আজকে কুফা দিবস 
.
১২. বাহির হইয়া আবার সেই একি কাহিনী। কোন নবাবজাদা খ্যাপ মারতে রাজি না, বাসো নাই। লুলা ঠেং নিয়া দেড় ঘন্টা দাড়ায়া যাও পাইছি ১০০ মিটার আগাইতে ১০০ মিনিট!! আজকেই নাকি জগত বিখ্যাত জ্যাম লাগছে। সব রোডেই একি হাল!! 
.
.
বুঝিনারে ভাই, আমার পিছেই কি সবসময় কুফা লগে না কুফার পিছে আমি লাগি 

ইরানীর বার্থডে

মাস খানেক আগে, কাম নাই হুদাও পিসিতে বইসা আছি এইডা হেইডা গুতাই। সাথে এক ফ্রেন্ড ছিলো। আতকা ইরানীর ফটো সামনে আইয়া পড়ছে। (হুবহু সব কথা মনে নাই, কথাগুলা অনেকটা এমনই ছিলো)
.
ফ্রেন্ডঃ ‘মাম্মাআআআ এয় কেডা  ’
‘চিনবি না’
- ‘আমার চিনার দরকার নাই, তুই চিনোস? ’
.
“হ চিনি”
- “একটা লাইন ঘাট কইরা দেস না”
‘আবে ধামড়া এইডা বিবাহিত’
.
- “তাইলে তো আরো ভালো, বেক কিছুতেই এক্সপেরিয়ান্সড মাইনষের ডিমান্ড বেশি। আমার চেয়ে ঘর সংসার ভালো বুঝবো”
.
‘খালি বিয়াইত্তা না ধামড়া, তোর কোমরের সমান সাইজের উনার একটা টম ক্রুজ টাইপ পোলাও আছে’
.
- ‘বাহ কাম তো আরো কমায় দিছে। নায়িকার লগে নায়ক মার্কা বাচ্চা ভি ফ্রি!! আমার পোলা হইলে কোন কাকের ঠেং বকের ঠেং হইতো কে জানে’
বুঝছি অতি সৌন্দর্য্য দেইখা এইডা বেশি এক্সাইটেড হইয়া গেছে। এইডার লগে আর কথা বাড়ায় কাম নাই।
.
.
মাথায় এক শয়তানি ভুত চাপছে। কয়দিন পরে এক মাইয়া ফ্রেন্ডেরে ইরানীর ছবি দেখায় কইলাম দেখতো এয় দেখতে কেমন?
(ভ্যাটকাইয়া) ‘উম্মম্মম্মম্মম্ম আছেএএএএ, খারাপ না চলে আরকি। সুন্দর আছে, তাও কেমন জানি, আছে সুন্দর, কিন্তু একটু অন্য রকম আরকি’ 
.
.
আরেক্টারে দেখাইলামঃ “এইডা তো মহাসুন্দ্রী।”
- “হ এইডাই ইরানী”
“ও আইচ্ছা এইডা নি ইরানী। (ঠোট উল্টায়) আছে সুন্দর তয় পরথমে যেমন ভাবছি ঠিক তেমন না, আছে আরকি মোটামুটি চলে খারাপ নাহ” 
.
মোরাল অফ দ্যা স্টোরিঃ
পৃথিবীতে কোন সুন্দর মাইয়া নাই। যদি প্রমান চান তাইলে কোন মেয়েরে তার চেনাজানা/নাম শুনছে এমন কোন মেয়ের ছবি দেখাইয়েন, সুন্দ্রী হইলেও জিন্দেগীতেও সুন্দ্রী কইবো না 
কোতায় কোতায় আছে/ চলে/ মোটামুটি কইলেই বুঝবেন ইহা মহাসুন্দ্রী বাট কইতে তার গা জলতাছে 
.
অফ টপিকঃ আইজগা ইরানীর হ্যাফি বাড্ডে। পরথমে তো ভাবছিলাম আমার হমান। পরে যা শুনলাম তাতে ‘ফার্স্ট পার্টের’* মত আবার দিল ছ্যারাব্যাড়া হইলো। এইডা বলে আমারো সিনিয়ার!! 
মনিষীরা ঠিকি বলেছেন, সিনিয়র গুলাই ক্রাশ খাওনের মত হয় (প্রমানিত)
.
*ফার্স্ট পার্টের লিঙ্কঃ https://www.facebook.com/sm.susan/posts/10202316210608770


ফেবুক পোষ্ট লিঙ্কঃ https://www.facebook.com/sm.susan/posts/10205078958475740 

সোমবার, ৩১ আগস্ট, ২০১৫

গ্লো গ্লো গাল


ব্যাংকে গেলে ব্যাংকারেরা আমার দিকে এক্সট্রা এটেনশনদেয়। আমারে গ্লো গ্লো গাল বেশি সময় ধরে দেখার জন্য হুদাই হাজারটা প্রশ্ন করে টাইম ওয়েস্ট করে, ডাইনে বামের অন্যান্যরা আমার দিকে ত্যারা চোখে চায় 
সরকারী অফিসে গেলে সবাই আমাকে এই টেবিল হতে সেই টেবিলে টানাটানি করে। 
.
আর কয়দিন যাবত এখন পারলে প্রতি গলিতে গলিতে পুলিশে আমারে রিক্সা/সিএনজি থামায় জিজ্ঞাসাবাদ করে!!
.
জানি নিন্দুকেরা বলবে আমার রৈদে পুড়া গাঞ্জুট্টি মার্কা চেহারার কারনে জনগন এমন করে।
তাঁরা তো এমন বলবেই, বিকজ হেটার্স গনা হেইট 
.
যাইহোক গুলশান থাকায় এক সুন্দ্রি অফিসার আছে। মাঝে মধ্যেই দেখি এঙ্গেলিনা গলির মত কোমরে পিস্তল নিয়া গলির সব ফুঠপাত উঠায় দেয়। ডরে সামনে যাইবার পারিনা না 
.
মগর ইদানিং গুলশানের অলি গলি দিয়া যাওনের সময় তাঁর চ্যালাব্যালারা যেমনে আমার দিকে বদ নজর দেয় মনেহয় শিগ্রই সুন্দ্রী অফিসারের লগে সাক্ষাত হইয়া যাইবো।
.
তয় সাক্ষাতের সময় আমি থাকমু চৌদ্ধ শিকের ভিত্রে হ্যান্ডকাপ পিন্দা আর লেডী চুলবুল পান্ডে থাকবো ডান্ডা হাতে, এর পরে যে কি ইতিহাস রচিত হইবো একমাত্র উপয়ালাই জানে 

বৃহস্পতিবার, ২৭ আগস্ট, ২০১৫

ব্যাংকে টাকা থুইতে গেলে বা উডাইতে গেলে

ব্যাংকে টাকা থুইতে গেলে বা উডাইতে গেলে ব্যাংকারডি যেমনে সন্দেহজনক দৃষ্টিতে চায় মনেহয় যেন ট্রাঞ্জেকশন করতে যাই নাই বিশাল কোন অপরাধ করতে গেছি  
.
তাঁর উপ্রে কতডি আছে হেগো সামনে গেলে তো মনেহয় রিমান্ডসেলে আইছি।
.
একাউন্ট এটা আপনার? না অন্যের ? না অফিসের? টাকা কি আপনার না অন্যের? নাম কি আপনার? ফোন নাম্বার কি আপনার? সাইন কি আপনার? কোন ব্রাঞ্চে একাউন্ট? সাইন আগের চেয়ে একটু বাকা লাগতেছে , উহু মিল নাই মিল নাই (৪৫ ডিগ্রীর জায়গায় পৌনে ৪৬ ডিগ্রী বাকা হইছে সাইন) আরো দুইটা সাইন দেন.......... উহু কেমন জানি, আরেকটা সাইন দেন... আপনার একাউন্ট তো? অকে ২ মিনিট দাড়ান স্যারের কাছে দিচ্ছি......... (২ মিনিট কইয়া হের পরে ১৫ মিনিট)
.
.
আব্বে হালায় তোমার চোক্ষের সামনে যেই পিসিডা আছে হেইডায় কি ঘোড়ার আন্ডাডা সেইভ কইরা থুইছো যে প্রতিবার গেলে ২ ঘন্টা ওয়েট করনের পরে আরো ২০০ প্রশ্নের এনাসার দিয়া টাকা ডিপজিট/উইড্রো করন লাগে 

বুধবার, ২৬ আগস্ট, ২০১৫

আজিব দেশ, আজিব কালচার

১. “নার্গিসের ছেলে ফরিদ kfc তে ম্যানেজার পোস্টে জব করে আর ধামড়া তুই কি করছ?”
.
< “আমারে দিয়া জব হবে না। আমি ব্যাবসা করুম ফ্রাইড চিকেনের। ভালো চলে এখন। ভাল লাভ”
.
“তোরে গ্রেজুয়েশন করাইছি কি মুরগীর দোকানদারী আর বাবুর্চিগিরি করার জন্য?? এইডা কোন লেভেল হইলো?? পোলা কি করে জিগাইলে কি কমু মাইনষেরে? কে বিয়া কররে এই মুরগীয়ালারে?? এর চেয়ে ফরিদ কে সিভি টা দে, দেখ ও তরে kfc তে কোন ভালো পোস্টে জব টব দিতে পারে কিনা squint emoticon ”
.
(ভাজা মুরগীর (ফ্রাইড চিকেন) দোকানের কোট টাই পিন্দা গোলামের ‘লেভেল’ আছে মগর ভাজা মুরগীর দোকানের মালিকের ‘লেভেল’ নাই!!! confused emoticon )
.
.
২. “কিরে ভইন তোর মাইয়ার বলে বিয়া??”
< “হুম সামনের মাসে, দাওয়াত পাইয়া যাবি”
“তো ছেলে কি করে?”
< “ ছেলে এমেরিকা থেকে আসছে”
.
“মাশাল্লাহ মাশাল্লাহ। আমার বলদডারে আর মানুষ করতে পারলাম না। কি সারা রাইত ল্যাপটপ নিয়া পইড়া থাকে, এইটা থেকেই নাকি ঘরে বসে ডলার কামায়!! এইডা কোন কাম হইলো? কত্ত কইলাম এমেরিকায় তোর মামার কাছে কাগজ পত্র পাঠা দেখ ভিসা পাইলে তো গতি একটা হইয়াই গেলো। শুনলো না”
.
(‘আম্রিকা থেকে আইছে’ এইডাও একখান প্রফেশন!! বাট ফ্রিল্যান্সিং করে দেশে বসে আম্রিকান ডলার কামানো কোন প্রফেশন না!! squint emoticon )
.
.
উপরের দুইটাই সত্য ঘটনা শুধু নাম আর কথাগুলা একটু ঘুয়ারা প্যাচায়া দিছি। প্রায় একি রকম আরো কিছু কাহিনি জানি।
.
এক ভাইয়ে চালের আড়তের মালিক সাথে আরো ব্যাবসা আছে এবং সেখানে অনেকেই জব করে যা দিয়ে আরো কিছু মানুষের পেট চলে।
আরেক ভাই ব্যাচে স্টুডেন্ট পড়ায়া মাসে লাখ টাকা কামায়, আরেকজন ফ্রিল্যান্সিং করে হাজার ডলার ইনকাম করে ঘরে বসেই।
.
বাট বিয়ার সময় এদের সবাইরে এই লাখ টাকার ফ্রিডম কাজ হাইড কইরা হাজার টাকার ৯টা টু বস যতটায় ছাড়ে ততটা পর্যন্ত কর্পোরেট গোলামীর জব নিতে হইছে। ফ্রিডম কাজ করা পোলাপাইনেরে বলে মাইয়ারা বিয়া করবার চায় না!!। colonthree emoticon
.
ঝাতির বিবেক ঝান্তে চায় কোন মেয়ের সাথে কি আসলেই কোন ছেলের বিয়া হয় না ছেলের “শো অফ প্রফেশনের” এর সাথে বিয়া হয়??
.
হালার কোন কালে না কোন কালে বিয়া হইবো তখন পাত্রী পক্ষকে কি বলবে এই কারনে নিজের পছন্দের প্রফেশনে যাওন যাইবো না, পাত্রী পক্ষের ডিমান্ডের প্রফেশন বাইচ্ছা নিতে হইবো!!
.
আজিব একখান দেশ আমগো, আজিব মানুষ আমরা, আজিব আমগো চিন্তাভাবনা, পুরাই আজিব কালচার!! squint emoticon

রবিবার, ২৩ আগস্ট, ২০১৫

পুরান ঢাকার বাসিন্দা

পুরান ঢাকার বাসিন্দাগো আমার আয়রন ম্যানের বংশধর মনেহয়, তা নাইলে এই জায়গায় বেশি দিন সারভাইব করা পসিবল না।
.
নবাবপুর থেকে বংশালের জন্য রিক্সায় উঠছি। আমি অতি অস্থির পাব্লিক, নরমালি জ্যাম বেশি হইলে নাইম্মা হাটা ধরি দূরত্ব যতই হোক না ক্যান।
.
মগর মাশাল্লাহ দিলে যেই জ্যাম, আমি রিক্সার থে নাইম্মা হাটুম কি ঐ জায়গায় কুত্তায় ল্যাজ নাড়াইতে হইলেও তারে উপরে নিচে নাড়ান লাগবো, ডাইনে বামে নাড়ানিরও জায়গা নাই!! squint emoticon
.
পুরান ঢাকার মাইনষের এতো টাকা, দুই পাশের ড্রেনের উপ্রে ডাকনা দিলে কি এমন পাপ হয়রে ভাই? একটু হাটনের জায়গা তো পাওন যায় squint emoticon
.
.
(বিঃদ্রঃ কাউরে আন্ডারস্টিমেট করার জন্য কই নাই, যা দেখছি তাই কইছি। আমি মিরপুর এরিয়ায় থাকি এন্ড নো অফেন্স আমগো এলাকা ঢাকা শহরের সবচেয়ে ফয়িন্নি এন্ড খেইত্তা এলাকা colonthree emoticon )

শনিবার, ২২ আগস্ট, ২০১৫

সানি লিওন কেডা??

এক চাচায় এক পিচ্চিরে জিগায়, ‘আইচ্ছা অনেকের মুখে সানি লিওনের নাম শুনতাছি। এয় কেডা?’
.
মানুষ সামাজিক জীব। এখন ময়মুরুব্বির সামনে অসামাজিক কথা কওয়াডা শরমের ব্যাপার।
তাই স্মার্ট পিচ্চি একটু ঘুরায় উত্তর দিছে, “সানি লিওন হচ্ছে সে যার বিমান চালানির লাইসেন্স আছে কিন্তু এখন রিক্সা চালায়!!”

মঙ্গলবার, ১৮ আগস্ট, ২০১৫

মাই ডিয়ার এক্স আনস্মার্ট মোবাইল

মাই ডিয়ার এক্স আনস্মার্ট মোবাইল,
.
লোকমুখে শুনতাম ফকিন্নি অবস্থায় বউ/গার্লফ্রেন্ড চিনা যায়। কথাটা অনেক ক্ষেত্রেই সত্য কিন্তু ফকিন্নি অবস্থায় যে মোবাইল ফোনও চিনা যায় তা তুই না থাকলে কইখনোই বুঝতাম না grumpy emoticon 
.
একটু নাহয় আমি টাইট সিচুয়েশনে আছি, আয়ের চেয়ে নাহয় লোন একটু বেশিই রয়ে গেছে তাই বলে এমনে খাড়ায় পল্টি মারা মানায়??? যে সময় সাপ্তাহে ১টা কল আসতো না তখন পুরা ঠিক।
এখন দিনে ১০০ উপর কল আসে আর এখন তোর কথা হুনন যায় না, উল্টা মাইনষের গাইল খাইতে হয় grumpy emoticon
.
নষ্ট হওয়ারো তো একটা টাইমিং আছে। পকেট যখন মাইনাসে তার উপ্রে এক্কারে ওয়ারেন্টি শেষের সময় নষ্ট হইতে হইবো। এখন ট্যায়া পামু কই ঠিক করানির লাইজ্ঞা?? grumpy emoticon
.
কথায় আছে হাতি যখন খাদে পড়ে তখন পিপড়াও লাত্থি মারে। আজকে বাসের সাথে বাড়ি খাইয়া আমার রিং ফিঙ্গার ফাইটা গেছে আর তুই আতকা খুশিতে অটো রিংটোন বাজাইছোস!! grumpy emoticon
.
মনে রাখিস সখিনা (সিম্ফনি থেকে সখিনা) এক বর্ষায় বৃষ্টি যায় না। আর এখন তো সারা বছরই বৃষ্টি হয়। দিন আমারো আইবো। আমার রিং ফিঙ্গার ফাটলে কি হইবো খুইল্লা তো আর পইড়া যায় নাই squint emoticon
.
একদিন হেই ফিঙ্গারে তোর সামনে দেখায় দেখায় আমি গোল্ডের কেসিং এর আইফোন ফিতার ঝুলায় যদি না ঘুরাইছি তাইলে জিন্দেগীতে আর মোবাইলে ট্যাকাই ভরুম না, ইয়াদ রাখিস squint emoticon
.
ইতি
তোর এক্স আনস্মার্ট বিএফ 

রবিবার, ১৬ আগস্ট, ২০১৫

‎সুসানরেইন্সের_ভুংভাং_ক্লাস‬ পার্ট-২

আপনে বেকার, মাইনষে আপনারে অকর্মা কইয়া খোচাইবো
আপনে জব করেন, মাইনষে আপনারে কামলা কইয়া খোঁচাইবো
আপনে ব্যাবসা করেন, মাইনষে আপনারে জবের অযোগ্য কইয়া খোঁচাইবো 
.
আপনে বিয়া করেন নাই, মাইনষে আপনারে আইবুড়া কইয়া খোঁচাইবো
আপনে বিয়া করছেন, মাইনষে আপনাগো ‘মানায় নাই’ খোঁচাইবো
.
আপনের টাকা নাই, মাইনষে আপনারে ফয়িন্নি কইয়া খোঁচাইবো
আপনে টাকায়ালা, মাইশষে আপনারে ‘হেই দিনের ফয়িন্নি’ কইয়া খোঁচাইবো
.
আপনে চেহারায় মেকাপ দিছেন, মাইনষে আপনারে ফেইক রুপসী কইয়া খোঁচাইবো
আপনে মেকাপ দেননাই, মাইনষে আপনারে খ্যাত কইয়া খোঁচাইবো
.
আপনে A+ পান নাই, মাইনষে আপনারে ডাল স্টুডেন্ট কইয়া খোঁচাইবো
আপনে A+ পাইছেন, মাইনষে আপনারে গোল্ডেন না পাওয়ার জন্য খোঁচাইব
আপনে গোল্ডেন পাইছেন, ‘গোল্ডেন তো এখন গরু ছাগলেও পায়’ কইয়া মাইনষে আপনারে খোঁচাইব
.
আপনে সুন্নতি তরিকায় চলেন, মাইনষে আপনারে টিটকারির সুরে ‘মোল্লা’ কইয়া খোঁচাইব
আপনে হাঙ্কি পাঙ্কি হইয়া চলেন মাইনষে আপনারে খারাপ মানুষ কইয়া খোঁচাইবো
.
মানে সব ক্ষেত্রেই দেখবেন, আপনি উপরে যেতে থাকলে মাইনসে আপনাকে খোঁচায় হোক আর যেভাবেই হোক নিচে নামায় দেয়ার চেষ্টা করে। আর আপনে যদি নিচে থাকেন তাইলে আপনাকে পাড়ায় আর নিচে নামায় দেয়া হয়।
.
কিন্তু সবাই এমন করে ক্যান? এর কারনটা কি?
.
আসলে এই সৌরজগতের বাঙ্গালী নামে এক প্রজাতি একটা সূত্র ধরে চলে।
সূত্রটা হলো, “প্রত্যেক ক্রিয়ারই একটা সমান ও বিপরীত এন্টিক্রিয়া আই মিন প্রতিক্রিয়া থাকে”
একে আমরা আপকামিং নোবেল জয়ী বিজ্ঞানী সুসানরেইন্স এর উপ্রে উঠার সূত্র নামে চিনি sunglasses emoticon
.
আসেন এই সূত্রের ব্যাখ্যা দেই।
যখন কেউ আপনাকে উপর থেকে নিচের দিকে টেনে নামায় তখন এটা ক্রিয়া হয়। এর এন্টি ক্রিয়ায় মানে বিপরীত প্রতিক্রিয়ায় সেই লোক উপরে উঠে যায়।
.
আবার ধরেন আপনে অলরেডি নিচে নেমে আছেন। এর পরো কেউ যখন আপনার ঘেডিতে পাড়া দিয়া আপনাকে আরো নিচে নামাতে চায় সেটা ক্রিয়া।
এন্ড এর এন্টি ক্রিয়ায় সে আপনার ঘেডিত পাড়া দিয়া একধাপ উপরে উঠে যায়।
.
এই দুইন্নাইতে কে না চায় উপ্রে উঠতে? আর বাঙ্গালী চায় আরো শটকাটে উঠতে তাই তারা সুসানরেন্স এর ক্রিয়া-এন্টিক্রিয়ার সূত্র এপ্লাই করে একে অন্যকে খোচানির মধ্যমে নিচে নামায় নিজে উপ্রে উঠে যাওয়ার চেষ্টায় লিপ্ত থাকে!!
.
.
বিঃদ্রঃ শখানেক বছর আগে নিউমন না নিউটন মানে এক ব্যাক্তি কার্টেসী না দিয়াই আমার এই সূত্রকে তার গতির তৃতীয় সূত্র নামে চালায় দিছে!!
আরে ব্যাটা আমি নাহয় আর কয় বছর পরে দুইন্নাইত পয়দা হমু এর লাইজ্ঞা চান্সে আমার মেধা এমনে কার্টেসী ছাড়া নিজের নামে চালায় দিবি???
.
যাই হোক বড় বড় মহাবিশ্বে এই সব ছোট ছোট ফল্ট হইয়াই থাকে। বড় বড় বিজ্ঞানীরা এইসব ছোট খাটো ব্যাপার নিয়া মাথা ঘামায় না, আমিও ঘামাইলাম না sunglasses emoticon
.
জানি অনেক জ্ঞানপাপী আমাকে বলদ বলবে।
বলুক, হু কেয়ার্স। হেটার্স গনা হেইট sunglasses emoticon

শনিবার, ১৫ আগস্ট, ২০১৫

পৈচাশিক আনন্দ মিস করা উচিৎ না

লাইফে কম বেশি সবারই ভদ্র চেহারার অতি বিশ্বাসী কিছু হারামীর সাথে পরিচয় হয় যাদের আতকা পল্টিবাজ শকিং কাজ কারবারে সুইসাইড করতে মনেচায়।
.
.
কিন্তু সত্যি বলতে এদের সাথে সম্পর্ক ভালো রাখা উচিৎ।
কারন দিন সবারই ঘুইরা আসে এবং সুদে আসলে সহ আসে। কাছ থেকে এগো 'কুত্তেকি মৌত' দেখার মাঝে এক অন্যরকম পৈচাশিক আনন্দ আছে devil emoticon 
.
সম্পর্ক নষ্ট কইরা বা আগে আগে সুইসাইড কইরা এই পৈচাশিক আনন্দ মিস করাটা বোকামী devil emoticon

সুসানরেইন্সের_ভাংভাং_ক্লাস‬ পার্ট-১

ইদানিং দেখি সাইন্স নিয়া বহুত নাড়ানাড়া যাইতাছে ফেবুকে। কেউ কেউ ম্যাটার, এন্টি ম্যাটারের ম্যাটার নিয়া মারামারিও করে ভার্চুয়ালি। চামে কেউ কেউ সেলিব্রেটিও হইয়া যাইতাছে এই সুযোগে tongue emoticon
.
আমিও বা বইয়া থাকুম ক্যা। লন আইজগা ম্যাথমেটিক্স ক্লাশ লই।
পোলাপাইন লাম ছাম দিয়া সাইন্স বুঝাইতে পারলে আমিও ভুগিচুগি দিয়া ম্যাথ বুঝাইবার পারুমsquint emoticon
.
.
অফিস ম্যাথমেটিক্সঃ
পইতাল বস+ পইতাল কর্মী= প্রফিট
পইতাল বস+ বলদা কর্মী= প্রডাকশন
বলদা বস+ পইতাল কর্মী= ফাকিবাজি এন্ড প্রমশন
বলদা বস+বলদা কর্মী= ওভারটাইম
.
শপিং ম্যাথঃ
ছেলেরা এক টাকার ‘প্রয়োজনীয়’ বস্তু কিনতে দুই টাকা খরচ করে, যা তার খুবই দরকার।
মেয়েরা দুই টাকার ‘অপ্রয়োজনীয়’ বস্তু কিনতে এক টাকা খরচ করে যা তার কোন দরকারই নাই!!
.
রিলেশন ম্যাথঃ
ছেলে+ছেলে= ফাজিল (আম্রিকায় রংধনু)
মেয়ে+মেয়ে= গীবত (আম্রিকায় রংধনু)
ছেলে+মেয়ে= জাস্ট ফ্রেন্ড
ডিস্লারয়ালা ছেলে+মেয়ে= প্রথমে লাভার পরে ভাইবোন squint emoticon
বাইকয়ালা ছেলে+মেয়ে= লাভার (ভার্সিটি পর্যন্তই)
(মেয়ে+বেকার ছেলে)+গাড়ীয়ালা ছেলে= ব্রেকাপ
গাড়ীয়ালা ছেলে+মেয়ে= বিয়া
.
হ্যাপিন্যাস ম্যাথঃ
একজন ছেলের সাথে সুখী হইতে হইলে তারে অনেক বুঝতে হবে এবং অল্প ভালোবাসলেই চলবে।
একজন মেয়ের সাথে সুখী হইতে হইলে তারে অনেক ভালোবাসতে হবে এবং ভুলেও বুঝার ট্রাই করা যাবে না squint emoticon
.
.
.
নিন্দুকেরা বলবে এগুলা গুগল থেকে নেয়া কার্টেসী দেয় নাই।
কউজ্ঞা।
হেটার্স গনা হেইট, অনলি সুসানরেইন ইজ রিয়্যাল

বুধবার, ১২ আগস্ট, ২০১৫

হরর ড্রিম পড়াশুনা

হরর ড্রিমে ঘুম ভাইঙ্গা গেছে। হরর ড্রিম দেখলে যত সাহসী মানুষই হোক তার হার্ট বিট বেড়ে যাবে, শীতেও তার কপালে ঘাম হবে। আর আমি তো জাতেই বিলাইর ছাও, সো হরর ড্রিমে ঘুম ভাঙ্গার পর ফার্স্ট টাইম কি অবস্থা হয় বুঝতেই পারেন।
.
হরর ড্রিম আই মিন ভয়ানক সপ্ন বলতে নরমালি ভৌতিক সপ্নকেই বুঝায় বা নিজের অথবা কাছের কারো কোন ক্ষয় ক্ষতিমূলক কিছু সপ্নে দেখা কে বুঝায়।
.
কিন্তু আমার ক্ষেত্রে ভিন্ন। এই টাইপের তথা কথিত ভৌতিক সপ্ন দেইখা ঘুম ভাংলে উল্টা মনেহয় যা শালা ভালই তো বীনা টিকেটে থ্রিডি হরর মুভি দেখতাছিলাম, আবার মালিকায় হামিরার লগে সাইড চরিত্রেও আছিলাম। আর কতক্ষন পরে ঘুম ভাংলে ভাল হইয়তো!! wink emoticon
বাট বিলিভ ইট ওর নট যেই হরর ড্রিম আমি সবচেয়ে বেশি ভয় পাই তা হল পড়ালেখা বিষয়ক!!!
.
সপ্নে দেখতাছিলাম আমার এক্সাম কিন্তু কোন পড়া শেষ হয় নাই,
ধুমায়া পড়তাছি কিছু মাথায় ঢুকতাছে না,
পড়তে পড়েতে এক্সামের টাইম হইয়া গেছে আমার খবর নাই,
খবর যখন হইছে তখন দেখি টাইম বেশি নাই সো স্কুল/কলেজ ড্রেস পরুম না এমনেই থ্রি কোয়াটার পিন্দা যামুগা কনফিউসড।
.
পরীক্ষার হলে যাইয়া দেখি আধা ঘন্টা লেট,
রুম টোগায়া দেখি স্কুল/কলেজের সবচেয়ে ঘাউড়া টিচার পড়ছে ডিউটিতে,
সিট টোগায়া দেখি এক্কারে টিচারের সামনের ব্যাঞ্চ,
উত্তর পত্র পূরন করতে গিয়া দেখি তাড়াহুড়ায় প্রবেশপত্র আনি নাই,
প্রশ্নপত্র হাতে পাইয়া দেখি সব প্রশ্ন আনকমন পড়ছে,
এতো টেনশনে বাথরুম চাপসে কিন্তু টিচারে কয় এক ঘন্টার আগে বাথরুম যাইতে দিবে না।

আরো আধা ঘন্টা কস্ট কইরা হোল্ড করার পরে ঘড়ির দিকে তাকায়া দেখি মাত্র পৌনে তিন মিনিট পার হইছে grumpy emoticon
পরীক্ষা দিমু না বাথরুমে কখন যামু হেই টেনশনে কপাল থেকে শুরু করে সারা গায়ে ঘাম বের হওয়া শুরু হইছে এন্ড...........................
.
.
ঘুম ভাইঙ্গা দেখি ঠান্ডা আভাহওয়া উইথ ঠান্ডা রুমের মধ্যেও আমার সারা গা ঘামে ডুইব্বা আছে।
.
হারামো মিছা কই নাই। আল্লাহ বাঁচাইছে পড়ালেখা এখন সপ্নেই আটকাইয়া থাকে বাস্তবে এই আজাব আগেই পার কইরা আইছি

মঙ্গলবার, ১১ আগস্ট, ২০১৫

মানুষের রচনা

মানুষের রচনা।
লেখকঃ গরু
...
মানুষ আমাদের মত গৃহপালিত হইলেও একটি স্বর্থপর প্রজাতির প্রানী। তবে কিছু কিছু মানুষের কাম কাজ দেখলে সন্দেহ হয় এরা আসলে গৃহপালিত না রাস্তায় পালিত।
যাই হোক মানুষের দুইটি কান, দুটি চোখ, দুই হাত, দুই পা, একটি নাক সাথে নাকে দুইটা ফুটা, গলা সবই আছে তবে গলায় আমাদের মত দড়ি থাকে না।
অনেকেই গলায় দড়ি পড়ে কিন্তু এটা দিয়ে তাদের বেঁধে রাখা হয় না। একে তারা চেইন বলে থাকে।
.
মানুষের মাথায় ছোট বড় লোম থাকে। তারা এই লোম কে ছোট করার জন্য মাসে একবার সেলুনে যায়।
স্ত্রী প্রজাতীর মানুষ অবশ্য এই লোম শুধু ছোট করার জন্যই না, তারা এই লোম সোজা, কোকড়া করার জন্যও সেলুনে যায়। তাদের সেলুনকে পার্লার বলে।
এই পার্লার নামক জায়গায় স্ত্রী প্রজাতীর মানুষেরা মুখে রং মাখে। একে মেকাপ বলে। অনেকে গা ডলে থাকে, একে স্পা বলে।
.
মাথা ছাড়াও মানুষের শরীরে আরো অনেক জায়গায় লোম আছে যা লজ্জার কারনে ছোট করতে কোথাও যায় না। কিন্তু এই লোমগুলোকে গালি আকারে ব্যাবহার করার সময় তারা লজ্জা পায় না!! confused emoticon
.
মানুষের কান আমাদের চেয়ে অনেক ছোট। বেশিরভাগ মানুষ তাদের কানে তারটার লাগিয়ে গান শুনে।
.
মানুষ তাদের চোখের উপর ঢাকনা লাগায়। একে তারা চশমা বলে। তবে বেশিরভাগ মানুষ চোখে দেখলেও ক্যান জানি বেশিরভাগ জিনিস না দেখার ভান করে থাকে। একে তারা ‘চোখে টিনের চশমা’ লাগিয়ে রাখা বলে।
.
মানুষেরো বাচ্চা হয় তবে তারা জন্মের আইলসা। আমরা জন্মের ঘন্টা খানেকের মধ্যেই হাটা শুরু করি আর তাদের হাটা শুরু করতে বছর পার হয়ে যায়। আর তাদের গায়ে জামা থাকায় তারা যেখানে সেখানে হিসুটিসু করতে পারে না।
অনেকে অবশ্য যেখানে সেখানে হিসু করার লাইসেন্স নিয়ে ঘুরে, একে ডায়পার বলে।
.
মানুষ খুবই ভোজনরসিক। তবে মানুষ খাওয়ার চেয়ে খাওয়ার রেস্ট্রুরেন্ট আর খাওয়ার ছবি তুলে ফেসবুকে রিভিউ দিতে বেশি পছন্দ করে। এরা নিজেদের ফুডি বলে থাকে।
.
মানুষের কাছে মোবাইল/ট্যাব নামে একটা যন্ত্র থাকে। এটা তাদের নিত্যসঙ্গী, বাথরুমে কমডে হাগা থেকে শুরু করে বিছানায় খ্যাতার তলে ঘুমানোর সময় পর্যন্ত সব সময় এটা তাদের সাথে থাকে।
.
কিছু মানুষ রকেট লাঞ্চারের মত একটা যন্ত্র নিয়ে ঘুরে একে ডিস্লার বলে। এই ডিস্লারয়ালাদের ফটোগ্রাফার বলা হয়। সাধারনত স্ত্রী প্রজাতির মানুষেরা এই ডিস্লার দেখলে পটে যায়!!
.
এছাড়াও মানুষ অত্যান্ত প্রেমময় প্রানী। ইদানিং মানুষের মাঝে প্রেম উপচায় পড়তে দেখা যায়। এতো বেশিই প্রেম, কে যে কার সাথে কখন প্রেম করে তা বুঝা মুশকিল। বিবাহ পূর্ববর্তি প্রেমকে এরা এফ্যায়ার এবং বিবাহ পরবর্তী প্রেমকে এরা পরকিয়া বলে।
.
তবে মানুষের মধ্যে একটা জাত আছে যারা যে কোন দরকারে অন্যের উপকারে এগিয়ে আসে। এদেরকে অন্যান্য মানুষেরা ‘গরু’ বলে থাকে!!!

শুক্রবার, ৭ আগস্ট, ২০১৫

ফুচকা ইউ, ফুচকা মি

“হেই ম্যান, হু’সাপ??” 
- “এইতো আছি, তেমন একটা ভালো না?”
.
“ও খামন ম্যান। হোয়াই ভালো না”
- “বাদ দেন আমার কথা। আপনি কেমন আছেন?”
“ইয়া আ’ম গুদ” 
.
- “ঈদে কি গ্রামে গেছিলেন?”
“নপ”
.
- “ও ঢাকায় ছিলেন”
“ইয়াপ”
.
- “ফ্রেন্ড দের সাথে তো মনেহয় ভালই মজা করছেন ঈদে”
.
“ইয়া, ইউ সি, এভেড়ি ইয়াড় আমড়া সব ফ্রেন্ডসড়া গ্যাট ঠুগ্যাদাড় কড়ি ঈডে। সো ইউ নো ভালই ফান হয়। বাট জাস্ট এ মিনিট, হোয়াই ইউ সো আপসেট ব্রো??”
.
- “আরে ভাই কইয়েন না, আবারো ব্যাবসায় কড খাইছি ”
.
“ইয়াআআআআ হাহহাহা, ফাক্ক ইউ ম্যাআআআআন...(দুনিয়া ফাটানো হাসির ইমো) বললাম না আপনাকে দিয়ে বিজন্যাস হবে না, শুধু শুধু ইনভেস্ট করেন”
.
- “ভাই শুধু আমার না, আপনেরটার দামো পইড়া গেছে। পুরা অর্ধেক। ঈদের খুশিতে মনেহয় আর খোঁজ খবর রাখেন নাই”
.
“অউউউউ শীট, জিজাস ক্রাইস। হোয়াট দ্যা হ্যাল ইজ গোয়িং অন... ম্যাআআআআন জাস্ট ফাক্কক মিইইইইইইইইইই (দেয়ালে মাথা বাইড়ানোর ইমো)”
.
.
.
কাল্পনিক কাহিনি হইলেও ইদানিং এমন ইয়ুপ, নোপ, ইউ নো, ফুচকা ইউ, ফুচকা মি মার্কা কথা ভালই শুনা যায়। এরা বুইজ্ঝা এডি কয় নাকি ফ্যাশনের ঠেলায় কয় কে জানে।
.
.
আল্ট্রা মর্ডান উচ্চশিক্ষিত জেনারেশনের মাইয়ার গলার কাটিং বড় হইতে হইতে বুকের মাঝে আইয়া পড়ে আবার পোলার প্যান্ট পাছার অর্ধেকে ঝুইল্লা থাকে। ফলাফল দুইজনেরই বাহিরে যা দেখা যায় তা দেখতে প্রায় সেইম!! colonthree emoticon
সম অধিকার প্রতিষ্ঠায় তাও নাহয় এডি “যার যার পার্সোনাল ব্যাপার” কইয়া চালায় দেওন যায়।colonthree emoticon 
.
মগর বাজান, ইয়ো ইয়ো ভাষাডি তো অন্তত জায়গা বুইজ্ঝা এপ্লাই করবি। এডি ত আর যার যার পার্সনাল ব্যাপার কইরা এভোয়েড কইরা যাওন যায় না।
.
এমনেও রংধনুর যুগ তার উপ্রে এক পোলা যদি আরেক পোলার সামনে দাঁড়ায় কয় “ফাক্ক ইউ ম্যাআআআআআন” বা “অউ ম্যাআআআন ফাক মি” এলা কিরাম ডা লাগে!! 
তখন মনডা তো কয় এই ফাকা ফাকি শুনার আগে পায়ের তলায় মাডিটা ফাক হইয়া গেলেই বাঁচি squint emoticon