মঙ্গলবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

কুফা দিন

১. আজকে কি হইলো কে জানে, কোন নবাবজাদার পুতে (সিএনজিয়ালা) দেখি আমারে লইতে চায় মগর অন্যরা দেখি ঠিকি যাইতাছে। অবশেষে এক শাহাজাদা সেলিমের মনে এই নাদান প্রজার জন্য দয়া হইছে 
.
২. যাইতে যাইতে বৃষ্টির আগমন। খারাপ না, ঠান্ডা ঠান্ডা আবহাওয়া। সিএনজির দুই পাশের রেকসিন নামায় দিছি কিন্তু উপরে, সাইডের থে দেখি ফোঁটায় ফোঁটায় রহমত পড়তাছে।
এতো সিএনজি থাকতে এই ফুটা সিএনজিতেই আমারে উঠতে হইবো, আর এইডায় উঠার পরি বৃষ্টি শুরু হইতে হইবো  
.
৩. একটা জিনিস টোগাইতে বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে নবাবপুরের এই মাথার থে হেই মাথায় গেলাম, রাস্তা ফকফকা। কতখন পরে সেই জিনিসের যদিও ইয়াতা পাতা পাইছি বাট ফেরত আইসা দেখি ঐসব দোকানের সামনে হাটু পানি!!
এতো দোকান থাকতে আমার দরকারী দোকানের সামনেই হাটু পানি হইতে হইবো ক্যা? 
.
৪. কাজ শেষ কইরা অফিস যামু অখন দেখি কোন সিএনজিই যাইতে চায় না! এখন আর সকালের মত কোন নবাবের মনে রহমত নাজিল হয় নাই।
ঢাকায় এতো জায়গা থাকতে যেইখানে সিএনজিয়ালারা যাইবার চায় না ঐখানের আমার কর্ম হইতে হইবো ক্যা?? 
.
৫. রিক্সা + হাইটা কোতায় কোতায় যাও অফিসের কাছাকাছি আইলাম আতকা রিক্সার ব্রেকে আমার ঠেং এর বুইরা আঙ্গুলে পেরেক ঢুইক্কা ছ্যারাব্যারা হইয়া গেলো!! ভালোমত চাইপ্পা ধইরাও রক্ত থামাইতে পারিনা! বুইড়া আঙ্গুলে এতো রক্ত আহে কইত্ত!!
কোন রিক্সার পা দানিতে এমন জং ধরা পেরেক দেখি নাই। এত রিক্সা থাকতে আমার কপালে এই পেরেক বাহির হওয়া রিক্সাই জুটলো। 
.
৬. রিক্সায়ালারে কইলাম তারাতাড়ি কোন এক ক্লিনিক/ফার্মেসিতে নিতে। এমনেই তাড়াহুড়া এর ভিত্রে হটাত প্যাডেলের চেইন গেছে ছিড়া!! 
.
৭. রাস্তার পাশে রিক্সার চেইন ঠিক কইরাইতেছে। আমি রিক্সায় ঠেং ধইরা বইসা আছি। আতকা পিছের থেকে রিক্সা না সিএনজি কোন হারামিয়ে জানি ধাক্কা দিয়া গেছেগা 
হারামজাদা রাস্তায় এতো ফাকা জায়গা থাকতে তোরে আমার রিক্সার পিছেই ধাক্কাডা দিতে হইবো, তাও আবার এই ঠেং কাটার দিনে 
.
৮. গুলশান কোন এঙ্গেল থে দামী এলাকা আমার মাথায় ধরে না। দরকারের টাইমে কিছুই পাওন যায় না এইখানে।
সামান্য মাথা ব্যাথার জন্য পুরা গুলশান ঘাইট্টা একটা ডিস্পিরিন টোগায় পাইনাই, আর আইজগা কোন ক্লিনিক পাইনা।
গুলশানে পাওয়ার মধ্যে আমি খালি ড্রেন উপচায় গু মুতের পানিই পাইছি 
.
৯. শেষমেশ ঠেকায় পইড়া ঠেং কাটার জন্য ডাকাইতের হাতেই ধরা দিসি। মানে ল্যাবেইডে গেছি। ১০০টাকার ইঞ্জেকশনের লাইগা ৮০০ ট্যায়া ভিজিট দেওন লাগবো, তাও গেলাম। সব সিরিয়াল ঠিকি আছে এক্কারে আমার সিরিয়ালের আগখান দিয়া ডাক্তারের পরিচিত কেডা জানি আইসা ঢূইকা পড়ছে। ডাক্তার হ্যাঁও কইতারেনা, নাও কইতারেনা।
আমার সিরিয়ালের সামনেই তোগো আইতে হইবো ক্যা। ৫টা মিনিট পরে আইলে কি হইতো >
.
১০. ডাক্তার দেখলো, ঐষুধ লিখলো, ইঞ্জেকশন লিখলো মগর ডাক্তার এখানে ইঞ্জেকশন পুশ করে না। নিচে ফার্মেসিতে গেলাম। এই এলাকার ফার্মেসিয়ালারাও এই কাম করে না!!
ইঞ্জেকশন দেওনের আশায় হুদ্দাই ট্যায়া কতডি খরছ 
.
১১. অফিসে আইসা দেখি আমার ১০০ ডলার নাই!! এতো ঠাডার মাঝে এইডারে আর ঠাডা মনেহয় নাই। বিকজ আজকে কুফা দিবস 
.
১২. বাহির হইয়া আবার সেই একি কাহিনী। কোন নবাবজাদা খ্যাপ মারতে রাজি না, বাসো নাই। লুলা ঠেং নিয়া দেড় ঘন্টা দাড়ায়া যাও পাইছি ১০০ মিটার আগাইতে ১০০ মিনিট!! আজকেই নাকি জগত বিখ্যাত জ্যাম লাগছে। সব রোডেই একি হাল!! 
.
.
বুঝিনারে ভাই, আমার পিছেই কি সবসময় কুফা লগে না কুফার পিছে আমি লাগি 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন