রবিবার, ১৬ আগস্ট, ২০১৫

‎সুসানরেইন্সের_ভুংভাং_ক্লাস‬ পার্ট-২

আপনে বেকার, মাইনষে আপনারে অকর্মা কইয়া খোচাইবো
আপনে জব করেন, মাইনষে আপনারে কামলা কইয়া খোঁচাইবো
আপনে ব্যাবসা করেন, মাইনষে আপনারে জবের অযোগ্য কইয়া খোঁচাইবো 
.
আপনে বিয়া করেন নাই, মাইনষে আপনারে আইবুড়া কইয়া খোঁচাইবো
আপনে বিয়া করছেন, মাইনষে আপনাগো ‘মানায় নাই’ খোঁচাইবো
.
আপনের টাকা নাই, মাইনষে আপনারে ফয়িন্নি কইয়া খোঁচাইবো
আপনে টাকায়ালা, মাইশষে আপনারে ‘হেই দিনের ফয়িন্নি’ কইয়া খোঁচাইবো
.
আপনে চেহারায় মেকাপ দিছেন, মাইনষে আপনারে ফেইক রুপসী কইয়া খোঁচাইবো
আপনে মেকাপ দেননাই, মাইনষে আপনারে খ্যাত কইয়া খোঁচাইবো
.
আপনে A+ পান নাই, মাইনষে আপনারে ডাল স্টুডেন্ট কইয়া খোঁচাইবো
আপনে A+ পাইছেন, মাইনষে আপনারে গোল্ডেন না পাওয়ার জন্য খোঁচাইব
আপনে গোল্ডেন পাইছেন, ‘গোল্ডেন তো এখন গরু ছাগলেও পায়’ কইয়া মাইনষে আপনারে খোঁচাইব
.
আপনে সুন্নতি তরিকায় চলেন, মাইনষে আপনারে টিটকারির সুরে ‘মোল্লা’ কইয়া খোঁচাইব
আপনে হাঙ্কি পাঙ্কি হইয়া চলেন মাইনষে আপনারে খারাপ মানুষ কইয়া খোঁচাইবো
.
মানে সব ক্ষেত্রেই দেখবেন, আপনি উপরে যেতে থাকলে মাইনসে আপনাকে খোঁচায় হোক আর যেভাবেই হোক নিচে নামায় দেয়ার চেষ্টা করে। আর আপনে যদি নিচে থাকেন তাইলে আপনাকে পাড়ায় আর নিচে নামায় দেয়া হয়।
.
কিন্তু সবাই এমন করে ক্যান? এর কারনটা কি?
.
আসলে এই সৌরজগতের বাঙ্গালী নামে এক প্রজাতি একটা সূত্র ধরে চলে।
সূত্রটা হলো, “প্রত্যেক ক্রিয়ারই একটা সমান ও বিপরীত এন্টিক্রিয়া আই মিন প্রতিক্রিয়া থাকে”
একে আমরা আপকামিং নোবেল জয়ী বিজ্ঞানী সুসানরেইন্স এর উপ্রে উঠার সূত্র নামে চিনি sunglasses emoticon
.
আসেন এই সূত্রের ব্যাখ্যা দেই।
যখন কেউ আপনাকে উপর থেকে নিচের দিকে টেনে নামায় তখন এটা ক্রিয়া হয়। এর এন্টি ক্রিয়ায় মানে বিপরীত প্রতিক্রিয়ায় সেই লোক উপরে উঠে যায়।
.
আবার ধরেন আপনে অলরেডি নিচে নেমে আছেন। এর পরো কেউ যখন আপনার ঘেডিতে পাড়া দিয়া আপনাকে আরো নিচে নামাতে চায় সেটা ক্রিয়া।
এন্ড এর এন্টি ক্রিয়ায় সে আপনার ঘেডিত পাড়া দিয়া একধাপ উপরে উঠে যায়।
.
এই দুইন্নাইতে কে না চায় উপ্রে উঠতে? আর বাঙ্গালী চায় আরো শটকাটে উঠতে তাই তারা সুসানরেন্স এর ক্রিয়া-এন্টিক্রিয়ার সূত্র এপ্লাই করে একে অন্যকে খোচানির মধ্যমে নিচে নামায় নিজে উপ্রে উঠে যাওয়ার চেষ্টায় লিপ্ত থাকে!!
.
.
বিঃদ্রঃ শখানেক বছর আগে নিউমন না নিউটন মানে এক ব্যাক্তি কার্টেসী না দিয়াই আমার এই সূত্রকে তার গতির তৃতীয় সূত্র নামে চালায় দিছে!!
আরে ব্যাটা আমি নাহয় আর কয় বছর পরে দুইন্নাইত পয়দা হমু এর লাইজ্ঞা চান্সে আমার মেধা এমনে কার্টেসী ছাড়া নিজের নামে চালায় দিবি???
.
যাই হোক বড় বড় মহাবিশ্বে এই সব ছোট ছোট ফল্ট হইয়াই থাকে। বড় বড় বিজ্ঞানীরা এইসব ছোট খাটো ব্যাপার নিয়া মাথা ঘামায় না, আমিও ঘামাইলাম না sunglasses emoticon
.
জানি অনেক জ্ঞানপাপী আমাকে বলদ বলবে।
বলুক, হু কেয়ার্স। হেটার্স গনা হেইট sunglasses emoticon

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন