শুক্রবার, ৫ জুন, ২০১৫

এসি পার্ট ২

এসি। পার্টঃ২
.
১. স্টুডেন্ট লাইফে আমার লাহান অস্তিবস্তির ফয়িন্নি পোলাপাইন প্রচন্ড গরমে বাহিরে গেলে আশে পাশে কোন এসি মার্কেট বা দোকানে ঢুকে। কতক্ষন ঘুরা ঘুরি করে। এসির হাওয়া খায়। ঠান্ডা হয় দিল জুড়ায়। মাঝে মধ্যে এগো মনেহয় ‘দোকানে যখন ঢুকছি একটু দাম জিগাই।‘
.
কিন্তু দাম শুইন্নাই পোলাপাইনের আত্মা শুকায় যায়!! এত্তদাম! এরপর ঠান্ডা হইয়া হেলতে দুলতে বাহির হইয়া কয়, 
‘হেহ গুলিস্তানের মোড়ে একি জিনিস যখন ২০০ টাকায় পাওন যায় ঐ জিনিস এসি মার্কেট তন ২,০০০ টাকায় কিনতাম!! পাগলে কামড়াইছে?? চান্সে ফ্রিরির উপ্রে এসির হাওয়া খাইয়া আইছি’ sunglasses emoticon
.
অতঃপর সে এসি মার্কেটের এসির হাওয়া খাইয়া গুলিস্তানের মোড়ের থে গেঞ্জি কিন্না খুশি মনে বাড়ি ফিরে।
সত্যি বলতে সেই গেঞ্জিটা গার্মেন্টস থেকে রিজেক্ট হওয়া। (তবে এইখানে ভালো অনেক জিনিসই আছে কপাল ভালো থাকলে পাওয়া যায়)
.
২. এসি বাড়িতে থাকা মানুষজন এসি গাড়িতে করে এসি মার্কেটে যায়া শপিং করে। তাদের মতে ‘যতই কও গুলিস্তানের জিনিস আর এসি মার্কেটের জিনিস তফাত আছে। সবাই এফোর্ড কর্তে পারে না হুহ’
.
কিন্তু সত্যি কথা হইলো এসি মার্কেটের বেশিরভাগ জিনিস আসলেই গুলিস্তান, নবাবপুর বা চকবাজার থেকে পাইকারী দরে কিনা। মানে এইখানে ২০০ টাকার অনেক জিনিসই ২০০০ এ সেল হয় যা বেশিরভাগ ক্রেতাই ধরতে পারে না।(তবে এইখানে ভালো অনেক জিনিসই আছে কপাল ভাল হইলে পাওয়া যায়)
.
.
উপ্রের দুই সমীকরণ লন এবার একটু অন্য লাইনে মিলাই।
.
স্টুডেন্ট লাইফে বেকার নাদান পোলাপাইনের গ্যাঞ্জি-প্যান্ট পিন্দা স্মার্ট গার্লফ্রেন্ড অনেকটা এসি মার্কেটের মতন।
.
ফয়িন্নির ছাও সেই এসি মার্কেটের উপ্রে ক্রাশ খায়, এসির কাছে গেলে তাঁর দিল ঠান্ডা হয়, তাদের মাঝে প্রেম ভালোবাসা বাড়ে। হেরপর আদারে বাদাড়ে অনেক উম্মাউম্মি কইরা আত্মা ঠান্ডা করে then একটা সময় ভাবে এইডার ম্যান্টেনেস cost- ডিমান্ড অনেক হাই!!
এর চেয়ে অজপাড়া গ্রামের এক্টারে বিয়া করলে আরো কম খরচে কম প্যারায় চালান যাইবো। দুইডাই তো একি,মাইয়াই তো। তার উপ্রে বিয়ার আগেই তো কাম শেষ। সো এই রিজেক্টারে টা টা!!
.
আবার অন্যদিকে সেই ‘টা টা’ হওয়া এসি মার্কেট গাড়িয়ালা কাস্টমারে সাদরে আমন্ত্রন জানায়। তিনি গুলিস্তানের রিজেক্ট মালের বড় পাইকার ব্যাবসায়ী।
তারে লামছাম কইয়া বুঝায়, ‘এইটা একদম বেস্ট, লেটেস্ট, ব্রেন্ড নিউ। দাম যদিও একটু বেশি কিন্তু ভালো জিনিসের দাম তো বেশি হবেই’
গাড়িয়ালা খুশি হইয়া ঐ এসি মার্কেট থেকে গুলিস্তানের জিনিস কিন্না খুশি মনে বাড়ি ফিরে।
.
.
দিনশেষে গুলিস্তানের ব্যাবসায়ী খুশি ‘রিজেক্ট জিনিস কম দামে হইলেও অন্যরে গছায় দিসি’,
.
ফয়িন্নিও খুশি, ‘এসি মার্কেটের জিনিস কম দামে গুলিস্তানে পাইছি আর চান্সে ফ্রি এসির হাওয়া খাইছি’,
.
এসি মার্কেট খুশি, ‘মুরগী এক্টারে পাইছি, ২০০ টাকার জিনিস ২০০০ টাকায় বেইচ্চা দিসি টেরো পায় নাই’
.
গাড়িয়ালায় খুশি, ‘হারাদিন গুলিস্তানে রিজেক্ট জিনিস বেইচ্চা নিজে ব্রেন্ড নিউ, আনকমন, গর্জিয়াস জিনিস পাইছি। ’
.
.
আসলে এখনের দুনিয়াডা একটা বেকুব চক্র। এভাবেই প্রতি নিয়ত আমরা বিভিন্ন লেভেলের মানুষ, বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন ভাবে বেকুব হইয়াও নিজেরে চালাক ভাইবা খুশি থাকি grin emoticon

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন