মঙ্গলবার, ৩০ জুন, ২০১৫

রোজাদারকে ইফতার করানো

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “যে ব্যক্তি রোজাদারকে ইফতার করাল সে রোজাদারের মতোই ছওয়াব পেল, আর রোজাদার ব্যক্তির ছাওয়াব কোনো অংশে কম হল না"
.
কিন্তু কথা হইলো জনগন যেই বিজি তাতে আর অন্যকে সব সময় ইফতার কারানো হয়ে উঠে না।
অনেকে রমজানে একটা দিন হয়তো আয়োজন করে করান যারে বলে “ইফতার পার্টি”/ “ইফতার ট্রিট”।
আবার অনেকে এই মুখরোচক খাবারের আয়োজনের অসামর্থতার কারনে “লোকে কি বলবে” এই ডরে অন্যকে ইফতার চাইলেও করাতে পারেন না।
.
ঢাকা শহরে যেই জ্যাম ৪টায় বাসে উঠলে মাগরিবের ১মিনিট আগে যাইয়া বাসায় পাড়া দেওন লাগে। তো এক কাম করতে পারেন। জ্যামে যখন থাকতেই হবে তো বাকি রমজানের দিন গুলোয় প্রতিদিন না পারেন সাপ্তাহে ২-৪ দিন একটু ঐ হিসাব করেই বাসে উইঠেন যাতে ইফতার আপনি বাসে করতে পারে।
সাথে সামর্থ অনুযায়ী ছোট্ট এক প্যাকেট খেজুর বা সাথে পানির বোতল নিয়া উঠলেন।
.
এবার ইফতারের টাইমে প্যাকেট খুলেন। একটা খুজুর নিয়ে নিজে ইফতার করেন সাথে বাকি প্যাকেটটা পাশের জনের কাছে পাস করে দেন। কিছুক্ষন পরে দেখবেন আপনার ঐ ছোট্ট খুজুরের প্যাকেট বা পানির বোতল পুরো বাসে অটো এক হাত থেকে অন্য হাতে পাস হচ্ছে এবং অনেক মানুষ আপনার দেয়ার খাবারে রোজা শেষ করছে।
.
এতে বেনিফিট হইলোঃ
১. এক সাথে অনেক মানুষকে ইফতার করানোর কারনে একসাথে অনেক রোজাদারের সওয়াব পাবেন।
.
২. কম খাওয়ানোর অসামর্থতার জন্য সো কলড “ডুড ফ্রেন্ডদের” কাছ থেকে খোটা খাওয়ার ভয় নাই।
.
৩. বাঙ্গালী আদিলকা জাতি হিসাবে পরিচিত হইলেও এই টাইমে একটা অন্যরকম দৃশ্য দেখবেন। ফাও খাবার পাইয়াও দেখবেন কেউ খাবারের উপ্রে ঝাপায় পড়তেছে না উল্টা নিজে যত সম্ভব কম খেয়ে অন্যকে খাবার দিতে ব্যাস্ত হয়ে পড়েছে!
.
৪. এন্ড ফাইনালি একটু কস্ট সহ্য কইরাও “প্রশান্তি” কি জিনিস তা টের পাইবেন।
.
বিঃদ্রঃ আবার দেইখেন কষ্ট কইরা এই কাম শেষে ভি আঙ্গুল দেখায় সেলফি তুইলা “ভালো কাজ দেখিয়ে অন্যকে উৎসাহিত করা উচিৎ তাই দিলাম” এই ফাউল মর্মে ফেবুকে পোষ্ট দিতে যাইয়েন না।
সব কস্ট কইলাম বৃথা যাইবো।

রবিবার, ২৮ জুন, ২০১৫

এদেশে ঘুষ খাওয়া জায়েজ কিন্তু

১. “এদেশে ঘুষ খাওয়া জায়েজ কিন্তু কিস করা নাজায়েজ!!”
২. “এদেশে সুদ খাওয়া জায়েজ কিন্তু মদ খাওয়া নাজায়েজ!!”
৩. “এদেশে পর্ন দেখা, প্রেম করা, পরচর্চা করা খারাপ না কিন্তু সমকামী বিয়েতে সাপর্ট করলেই মানুষ খারাপ!!”
.
.
ডায়ালগ গুলা আমার না। ফেবুকে প্রায় সময় বিভিন্ন ওয়ালে স্ট্যাটাস আকারে দেখি এইসব।লিখলে এমন আরো অনেক কিছুই লিখা যাবে।
সত্যি বলতে কথা সবগুলাই লজিক্যাল। কিন্তু বড় খারাপ প্রচলিত আছে তাই ছোট খারাপটারেও ভালো বইলা উৎসাহ দিতে হইবো এইডা কোন জায়গায় লেখা আছে??
.
ধরেন পৃথিবীতে সব মিলায় খারাপ কাজের সংখ্যা ১০০টা। এর মধ্যে কোন একজন ৯৯টা খারাপ কাজই করে। যেকোন কারনে সে একটা আকাম থেকে দূরে আছে।
এখন কি তারে ঐ বাকি ১টা আকামে উৎসাহিত করবেন নাকি চেস্টা করবেন সে যেই পাপ কাজ থেকে দূরে আছে সেটা সহ অন্য পাপ কাজ থেকেও তাকে সরিয়ে আনার?
অবশ্যই সেকেন্ডটাই করার কথা।
.
হুম এই দেশে ওপেন ঘুষ খাওয়া, ইন্টারেস্ট নামে সুদ খাওয়া কমন ঘটনা কিন্তু ওপেন কিস করা, বা মাতাল হয়ে ঘুরে বেড়ানো এতো কমন না। কামটা হয়তো সুদ-ঘুষ খাওয়া থেকে কম খারাপ হতে পারে কিন্তু খারাপ তো?
.
হট টপিক সমকামী বিয়া নিয়া অনেকেরে স্ট্যাটাসেই দেখলাম “স্বাধীন চিন্তা”/ “মুক্ত চিন্তার”/ freedom/ humanity এই সব শব্দ দিয়া সমকামী বিয়ের পক্ষে মত দিতে।কারো যদি সমগত্রীয় কাউরে পছন্দ হয় তাইলে তাকে নাকি সেই দিকে যাইতে দেয়ার পক্ষে মত দেয়া উচিৎ!! এর বিপক্ষে গেলে বলে হিপ্রোক্রেট, মধ্যযুগীয় চিন্তাভাবনা!!
.
মত প্রকাশের স্বাধীনতা আছে বইলা কি ভালো খারাপো বিবেচনায় আনবেন না?? দুনিয়াতে আমাদের মুক্ত ভাবে ছেড়ে দেয়া হইছে ঠিক, সাথে একটা গ্রন্থও দিয়ে দেয়া হইছে (সেটা যে ধর্মেরই হোক)যাতে অনেক বিধি নিষেধ আছে।
.
মানুষের স্বাধীন ভাবে অনেক কিছুই করতে মনে চাবে কিন্তু আমরা চাইলে সব করতে পারবো না। আর করলে এর পরিনতি কি হবে তার জন্য নতুন করে ওয়াজ করতে হবে না, সবাই জানে।
.
এইসব সাব্জেক্টের পক্ষে লিখলে মাইনষে “শো শুইট”/ ‘শেলুট’ কয় হেই লোভে নাহয় লিখলেন আবার যারা পাঠক তাঁরা নিজেগো সুশিল, উচ্চশিক্ষিত, আধুনিক বুঝাইতে ঐসব স্ট্যাটাসের লগে তাল দিয়া শেয়ার কমেন্টো করলেন।
.
কিন্তু আপনার এই আকামের পক্ষে লেখা বা তাতে শত হাজার লাইক কমেন্ট সাপোর্ট দেখে যাইয়া দেখেন অন্য কোন এক আবুল হয়তো এইসব কাজে উৎসাহিত হচ্ছে।
ভালো ভালো ভার্সিটি পড়ুয়া এতো শিক্ষিত মানুষের এর এতো সাপর্ট দেখে তাঁর কাছে ব্যাপারটা সঠিক মনে হইতেই পারে।
.
তো সেই আবুল যে আপনাদের ‘মুক্ত চিন্তার’ কথায় উৎসাহিত হইয়া পাপ কাজে জড়ায় যাইতেছে হোক সেটা যত ছোটই, আপনি কি সেই দায় এড়াইতে পারবেন??
.
হারাদিনে আমরা এমনেই যেই পরিমান পাপ কামাই হেইডার হিসাব দিয়াই তো কুল পামুনা, হুদ্দাই আধুনিক মন মানুষিকতা বুঝাইতে পাপে উৎসাহিত কইরা অন্যের পাপের দায় নিজের কান্ধে নেওনের কি দরকার?
.
আমরা কেউ ফেরেস্তা না। কম বেশি সবাই কোন না কোন অন্যায় বা পাপাচারে লিপ্ত। আমি দাড়ি রাখি না, টাখনুর নিচে প্যান্ট পিন্দি, ছবি তুলি এগুলা সবই আমাদের ধর্মানুসারে খারাপ কিন্তু এর মানে তো এই না যে এগুলারে খারাপ বলা যাবে না বা আধুনিক মনমানুষিকতা বুঝানির লাইজ্ঞা নিজের খারাপিটারেও ভাল বইলা চালায় দিতে হবে!!
.
.
মুক্তভাবে চিন্তা করা ভালো তয় আবার বেশি মুক্ত হইতে যাইয়েন না। পরে জাহান্নামে ফেরেস্তাডি যখন মুক্ত ভাবে উন্মুক্ত পাছায় তেল মুক্ত আছিলা বাঁশ দিবো হেইডা থেকে কইলাম তখন মুক্তি পাওয়ার আর পথ থাকবো না।
মাইন্ড ইট। squint emoticon

শনিবার, ২৭ জুন, ২০১৫

আম্রিকা যাওনের খায়েস

আমগো লাহান আধা বুইড়া এভার আকাইম্মা গাধাডির জন্য আম্রিকা যাওনের সহজ পথ হচ্ছে আম্রিকান সিটিজেন কোন মাইয়া বিয়া কইরা উড়াল দেয়া। মগর এত ঠেকা তো কারো পড়ে নাই।
.
আম্রিকায় চেনা পরিচিত মাইয়া যতডি আছে সব কয়ডাই বিয়াইত্তা। একবার মনে কয় অগরে কই, "আঈনের ফাঁক ফোকর দিয়া আমারে তর ফেইক হাসবেন্ড বানায় আম্রিকা লইয়া যা। আই শপত আপন ভইনের দৃষ্টিতে দেখুম। শুধু আম্রিকা যাওয়া দিয়া কাম"
মগর ওগো জামাইডি কি রিএক্ট করে হেই ডরে আর কই নাই। unsure emoticon
.
এইবার পোলাগো দিন আইছে। আম্রিকায় এখন পোলা পোলা মাইয়া মাইয়া বিয়া করনের আঈন পাশ হইছে। মানে নয়া সুযোগের হাতছানি। wink emoticon
.
এক আম্রিকান প্রবাসী ভাইজানেরে কইলাম,
আঈন তো পাশ হইছে ভাই আঈনের ফাঁক ফোকর দিয়া আমারে আম্রিকা লইয়া যান না। জবান আপনারে টাচ কইরাও দেখুম না।
.
ভাই জানের উত্তর,
হুদ্দাই রিক্স লন ক্যা? আপনে আমারে টাচ করবেন না বুঝলাম কিন্তু আমি যে আপনারে কিছু করুম না হেইডা কে কইলো ??
gasp emoticon gasp emoticon gasp emoticon
— feeling এই ছিলো তোর মনে!!!

হে ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি

হে ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি,
তুমি দেখিতে বড় মিষ্টি,
কিন্তু রাস্তায় করলা এ কোন বন্যার সৃষ্টি,
গরম লাগে না এইটাই আপাতত আত্মতুষ্টি,
উল্টা পাল্টা লেখা দেখে কেউ 
করিসনে উদ্ধার আমার গুষ্টি,
এর চেয়ে বসে বসে মুড়ি খাও দু এক মুষ্টি 

শেষ যামানা

কই জানি একটা কথা পড়ছিলাম রেফারেন্স মনে নাই সারমর্ম অনেকটা এমন, তুমি যা জানো তা অন্যকে জানাও। তুমি জানার পরো যদি অন্যকে তা না জানাও এবং এই কারনে যে যদি বিপথগামী হয় তাইলে তুমিও এর দায় এড়াইতে পারবা না, সো তুমিও পাপের ভাগীদার হইবা। frown emoticon
.
এইবার খাইলাম নি কড। নিজে না কইরাও অন্যের পাপ বহন করন লাগবো!!! gasp emoticon
যদিও ধর্মের বুলি আমার ক্যারেক্টারের সাথে ঠিক যায় না, আমার হোমপেইজে হাদিস কোরয়ানের বাণী দেখলে মাইনষে হাসবো নিশ্চিত। frown emoticon
.
নিচের হাদিসটা হোম্পপেইজ ব্রাউজ করতে গিয়া পাইছি। এই যামানার ভাইয়াসমাজের নেতাগিরি আর আপুসমাজের ড্রেসাপ গেটাপের (হোক সেটা ফ্যাশনেবল হিযাবয়ালী) লগে ১০০% যায়। তাই পোস্ট দিলাম। এলা “বীর পুরুষ” এন্ড “নারীবাদী” সমাজ ব্লকাইলে ব্লকান। উপরয়ালা কথা, শুনতে খারাপ লাগ্লেও কিশশু ক্ররার নাই colonthree emoticon
.
হযরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, দুই ধরণের মানুষ জাহান্নামে যাবে যাদেরকে এখনো কেউ দেখেনি।
(১) ঐসমস্ত পুরুষ যাদের কাছে গরুর লেজের মত লাঠি থাকবে ও তা দ্বারা তারা মানুষদেরকে মারবে।
(২) ঐসমস্ত নারী যারা পোশাক পরার পরও উলংঙ্গ থাকবে।তারা পুরুষদেরকে নিজেদের দিকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করবে এবং পুরুষের দিকে আকৃষ্ট থাকবে। তাদের মাথার চুল উটের কোহানের মত উঁচু বানিয়ে রাখবে। তারা জান্নাতে যাবে না এবং জান্নাতের খোশবুও পাবে না। অথচ জান্নাতের খোশবু এমন এমন দূর থেকে পাওয়া যাবে।
(মুসলিম শরীফ ২ খ. ২০৫ পৃ.)

শনিবার, ২০ জুন, ২০১৫

রমজান মাস সংযমের মাস কিন্তু

• রমজান মাস সংযমের মাস কিন্তু এই মাসে আমরা সবচেয়ে বেশি খাই ইফতার আর সেহেরীতে।
• রমজান মাস সংযমের মাস কিন্তু এই মাসে আমরা সবচেয়ে বেশি কেনাকাটার জন্য মার্কেটে দৌড়াই।
• রমজান মাস সংযমের মাস কিন্তু এই মাসে আমরা একেক জনে ৫-৬ সেট কাপড় কিনি।
• রমজান মাস সংযমের মাস কিন্তু এই মাসে আমরা সবচেয়ে বেশি দাম বাড়ায় গলা কাটি কাস্টমারের।
• রমজান মাস সংযমের মাস কিন্তু এই মাসে আমরা খাবার দোকান বন্ধ রাখতে বলি জিব্বা সামলাইতে পারিনা বলে।
• রমজান মাস সংযমের মাস কিন্তু এই মাসে আমরা তারাবীর নামাজ ৮ রাকাত না ২০ রাকাত নাকি পড়াই দরকার নাই তা নিয়ে সবচেয়ে বেশি কাইজ্জা করি।
• রমজান মাস সংযমের মাস আর এই মাসে আমরা কে কবে কত ভালো খাবার দিয়ে ইফতার করলো তার ছবি আপলড করে ফেসবুকে শো অফ করি।
• রমজান মাস সংযমের মাস আর এই মাসে আমরা সবচেয়ে বেশি মেজাজ খিটখিটে রাখি পেটে খাওন নাই বলে squint emoticon
• রমজান মাস সংযমের মাস আর এই মাসে আমরা সবচেয়ে বেশি সুযোগ নেয়ার চেস্টা করি (ইফতারের আগে দিয়া একটা রিক্সা/ সিএনজি ভাড়া করতে যাইয়েন, ভাড়া হুইন্না আকাশ থে পড়বেন squint emoticon )
• রমজান মাস সংযমের মাস কিন্তু এই মাসে আমরা সবচেয়ে বেশি হিংসা করি অন্যের দামী কেনাকাটা দেখে।
• রমজান মাস সংযমের মাস কিন্তু এই মাসে আমরা বাপের এবিলিটির দিকে না দেখে অদৃশ্য “গলায় পাড়া” দিয়ে বাপের কাছ থেকে শখের জিনিস আদায় করি।
• রমজান মাস সংযমের মাস কিন্তু এই মাসে আমরা ঘরের মেয়েদের উপর সবচেয়ে বেশি জুলুম করি
(সেহেরী বানানো এর পরে ধোয়ামোছা, রোজারেখে সারা দিনের কাজ, ইফতার বানানো এর পরে ধোয়ামোছা, রাতের খাবার তৈরী, তারাবী, পরের দিনের সেহেরীর পিপারেশন এতো কিছুর পরো এইটা ওইটা মন মত হয় নাই বইলা অভিযোগ... জুলুমই তো)
.
.
তবে আমরা যে রমজানে সংযম একেবারেই করি না তা না। কিছু ক্ষেত্রে সংযম করি
• আমরা যাকাত দিতে গেলে সংযম করি
• আমরা ফিতরা দিতে গেলে সংযম করি
• আমরা অনেকে আবার রোজা রাখায় বেহুদা সংযম করি। অনেকে ‘প্রথম রোজা আর লাস্ট রোজা রাখলেই সব রোজা রাখা হয়ে যাবে’ ল্যাদা কালের এমন লুতুপুতু ফতয়াও দিয়ে থাকি colonthree emoticon
• আমরা রোজায় শ্রমিকদের পাওনা দেয়ার বেলায় সংযম পালন করি (প্রতি বছরই দেখবেন ঈদের আগে গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন বোনাস নিয়ে আন্দোলন)
• আমরা নিজেরা অনেক খাইলেও অন্য গরীব রোজাদারকে খাওয়াইতে গেলে সংযম করি
• আমরা যাকাতের জন্য ভালো কাপড় দেয়ার ব্যাপারে সংযম করি (যাকাত স্পেশাল যেই কাপড় হেইডা এক ধোয়া দিলে ঘর মুছার ত্যানার চেয়েও খারাপ অবস্থা হইয়া যায় squint emoticon )
• আমরা সামর্থ থাকার পরো পুরো যাকাতের টাকায় একটা গরীব পরিবারকে স্যাটেল করে দেয়ার ব্যাপারে সংযম পালন করি (এতো টাকা মাত্র একটা পরিবারেরে দিমু!! এর চেয়ে ১০০ পরিবারেরে কাপড় দিলে সোসাইটিতে সম্মান বাড়বো squint emoticon )
.
.
সত্যি কইতে আমরা আসলে জাতেই একখান বেয়াড়া জাতি। যা করার তা করি না। আর যা করা উচিৎ না, হেইডাই বেশি করি squint emoticon

মিরপুর টু মতিঝিল অনলি ২০ মিনিট!

মিরপুর টু মতিঝিল অনলি ২০ মিনিট!!!!!!!!!!! confused emoticon
.
.
ইয়ে এইটা কি 'ভেরিফাইড' ঢাকা, না কোন 'ফেইক' ঢাকা!!!
আতকা জ্যাম বিহীন ঢাকা বিশ্বাস হইতাছে না।
'পোক' দিয়া দেখতে মন চাইতাছে কিন্তু ম্যানহোলে পইড়া "ব্লক" হইয়া গেলে আবার দুনিয়া থেকে "আনফ্রেন্ড" হইয়া যামু কিনা হেই ডরে আছি unsure emoticon

সোমবার, ১৫ জুন, ২০১৫

আপনার মশারী কি ছিঁড়ে গেছে?

আপনার মশারী কি ছিঁড়ে গেছে? সেলাই করার সময় পাচ্ছেন না? নতুন মশারী কিনতেও পারছেন না? মশার জ্বালায় জীবন অতিষ্ঠ?
.
তাহলে এক কাজ করুনঃ আগের ছেঁড়া জায়গার পাশে নতুন করে আরেকটা ছিদ্র করুন!
তারপর একটা বড় কাগজ রোল করে কাগজের দুই মুখ মশারীর বাইরের দিকে রেখে এক ছিদ্র দিয়ে ঢুকিয়ে আরেক ছিদ্র দিয়ে বের করে দিন!
.
এতে করে মশারা কনফিউজড হয়ে যাবে এটা ভেবে যে,
"মশারীর ভিতরে ঢুকার সাথে সাথেই অটোম্যাটিক্যালি বের হয়ে যাইতেসি ক্যামনে!?"
confused emoticon
.
মশার কামড় থেকে বাঁচাও হল, মশাদের সাথে একটু মজা নেয়াও হল! wink emoticon
.
.
এপিক বুদ্ধি কার্টেসীঃ তমাল ফাহমি

শুক্রবার, ১২ জুন, ২০১৫

পাগলামির চারটা পর্যায় থাকে

পাগলামির চারটা পর্যায় থাকে।
.
১। প্রাথমিক পর্যায়ের পাগল
২। মধ্যম পর্যায়ের পাগল
৩। এক্সট্রিম পর্যায়ের পাগল
৪। 'নাজনিন হ্যাপি' পর্যায়ের পাগল colonthree emoticon

শনিবার, ৬ জুন, ২০১৫

অফিসে ইম্পর্টেন্ট রুম

কম বেশি সব অফিসেই বিশেষ করে প্রাইভেট অফিসগুলোতে যার যার কাজের জায়গার পাশাপাশি আরো কিছু জায়গা থাকে এমপ্লয়িদের জন্য।
যেমনঃ কিচেন, ডাইনিং, বাথরুম, রিসিপশন রুম, কনফারেন্স রুম, প্রেয়ার রুম ইত্যাদি।
.
অনেক অফিসে আলাদা স্মোকিং রুমো থাকে কিন্তু একটা মোস্ট ইম্পর্টেন্ট রুম কোন অফিসেই থাকে না। প্রায় সময় এমন সব সিচুয়েশন ক্রিয়েট হয় যখন আপনে সামনেও যাইতে পারবেন না পিছেই আইতে পারবেন না।
কিযে পারবেন আর কি যে পারবেন না নিজেও কইতে পারবেন না। তখন বাথরুমের চেয়েও হেই রুম অতি ইম্পর্টেন্ট হইয়া দাঁড়ায়।
.
.
হেইডা হইতাছে হাত পাও ছাইড়া 'আম্মাআআআআআআ আমি তো শ্যাষ' কইয়া চিল্লায়া কান্দনের লাইজ্ঞা কোন সাউন্ডপ্রুফ রুম 

শুক্রবার, ৫ জুন, ২০১৫

এসি পার্ট ২

এসি। পার্টঃ২
.
১. স্টুডেন্ট লাইফে আমার লাহান অস্তিবস্তির ফয়িন্নি পোলাপাইন প্রচন্ড গরমে বাহিরে গেলে আশে পাশে কোন এসি মার্কেট বা দোকানে ঢুকে। কতক্ষন ঘুরা ঘুরি করে। এসির হাওয়া খায়। ঠান্ডা হয় দিল জুড়ায়। মাঝে মধ্যে এগো মনেহয় ‘দোকানে যখন ঢুকছি একটু দাম জিগাই।‘
.
কিন্তু দাম শুইন্নাই পোলাপাইনের আত্মা শুকায় যায়!! এত্তদাম! এরপর ঠান্ডা হইয়া হেলতে দুলতে বাহির হইয়া কয়, 
‘হেহ গুলিস্তানের মোড়ে একি জিনিস যখন ২০০ টাকায় পাওন যায় ঐ জিনিস এসি মার্কেট তন ২,০০০ টাকায় কিনতাম!! পাগলে কামড়াইছে?? চান্সে ফ্রিরির উপ্রে এসির হাওয়া খাইয়া আইছি’ sunglasses emoticon
.
অতঃপর সে এসি মার্কেটের এসির হাওয়া খাইয়া গুলিস্তানের মোড়ের থে গেঞ্জি কিন্না খুশি মনে বাড়ি ফিরে।
সত্যি বলতে সেই গেঞ্জিটা গার্মেন্টস থেকে রিজেক্ট হওয়া। (তবে এইখানে ভালো অনেক জিনিসই আছে কপাল ভালো থাকলে পাওয়া যায়)
.
২. এসি বাড়িতে থাকা মানুষজন এসি গাড়িতে করে এসি মার্কেটে যায়া শপিং করে। তাদের মতে ‘যতই কও গুলিস্তানের জিনিস আর এসি মার্কেটের জিনিস তফাত আছে। সবাই এফোর্ড কর্তে পারে না হুহ’
.
কিন্তু সত্যি কথা হইলো এসি মার্কেটের বেশিরভাগ জিনিস আসলেই গুলিস্তান, নবাবপুর বা চকবাজার থেকে পাইকারী দরে কিনা। মানে এইখানে ২০০ টাকার অনেক জিনিসই ২০০০ এ সেল হয় যা বেশিরভাগ ক্রেতাই ধরতে পারে না।(তবে এইখানে ভালো অনেক জিনিসই আছে কপাল ভাল হইলে পাওয়া যায়)
.
.
উপ্রের দুই সমীকরণ লন এবার একটু অন্য লাইনে মিলাই।
.
স্টুডেন্ট লাইফে বেকার নাদান পোলাপাইনের গ্যাঞ্জি-প্যান্ট পিন্দা স্মার্ট গার্লফ্রেন্ড অনেকটা এসি মার্কেটের মতন।
.
ফয়িন্নির ছাও সেই এসি মার্কেটের উপ্রে ক্রাশ খায়, এসির কাছে গেলে তাঁর দিল ঠান্ডা হয়, তাদের মাঝে প্রেম ভালোবাসা বাড়ে। হেরপর আদারে বাদাড়ে অনেক উম্মাউম্মি কইরা আত্মা ঠান্ডা করে then একটা সময় ভাবে এইডার ম্যান্টেনেস cost- ডিমান্ড অনেক হাই!!
এর চেয়ে অজপাড়া গ্রামের এক্টারে বিয়া করলে আরো কম খরচে কম প্যারায় চালান যাইবো। দুইডাই তো একি,মাইয়াই তো। তার উপ্রে বিয়ার আগেই তো কাম শেষ। সো এই রিজেক্টারে টা টা!!
.
আবার অন্যদিকে সেই ‘টা টা’ হওয়া এসি মার্কেট গাড়িয়ালা কাস্টমারে সাদরে আমন্ত্রন জানায়। তিনি গুলিস্তানের রিজেক্ট মালের বড় পাইকার ব্যাবসায়ী।
তারে লামছাম কইয়া বুঝায়, ‘এইটা একদম বেস্ট, লেটেস্ট, ব্রেন্ড নিউ। দাম যদিও একটু বেশি কিন্তু ভালো জিনিসের দাম তো বেশি হবেই’
গাড়িয়ালা খুশি হইয়া ঐ এসি মার্কেট থেকে গুলিস্তানের জিনিস কিন্না খুশি মনে বাড়ি ফিরে।
.
.
দিনশেষে গুলিস্তানের ব্যাবসায়ী খুশি ‘রিজেক্ট জিনিস কম দামে হইলেও অন্যরে গছায় দিসি’,
.
ফয়িন্নিও খুশি, ‘এসি মার্কেটের জিনিস কম দামে গুলিস্তানে পাইছি আর চান্সে ফ্রি এসির হাওয়া খাইছি’,
.
এসি মার্কেট খুশি, ‘মুরগী এক্টারে পাইছি, ২০০ টাকার জিনিস ২০০০ টাকায় বেইচ্চা দিসি টেরো পায় নাই’
.
গাড়িয়ালায় খুশি, ‘হারাদিন গুলিস্তানে রিজেক্ট জিনিস বেইচ্চা নিজে ব্রেন্ড নিউ, আনকমন, গর্জিয়াস জিনিস পাইছি। ’
.
.
আসলে এখনের দুনিয়াডা একটা বেকুব চক্র। এভাবেই প্রতি নিয়ত আমরা বিভিন্ন লেভেলের মানুষ, বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন ভাবে বেকুব হইয়াও নিজেরে চালাক ভাইবা খুশি থাকি grin emoticon

নোয়াখাইল্লা

"আচ্ছা আপনারা নোয়াখালির মানুষ 'প' কে 'ফ' বলেন ক্যানো?"
-"আন্ডা আবার কবে 'ফ'রে 'ফ' কইলা?? confused emoticon "
.
"এই যে বললেন। আবার যেমন 'পাঁচ' কে 'ফাঁছ' বলেন "
-"ও কিয়া গো কয়? ফাঁছেরে ফাঁছ কইতাম নো তো কিয়া কইতাম??"
.
"ক্যানো আপনার কি মনেহয় না 'পাঁচ' আর 'ফাঁছ' দুটার মাঝে পার্থক্য আছে?"
-" আন্নের নানি ফাঁছ কন আর আঁর নানি ফাঁছ কন, যেন্নেই কন ফাঁছ তো ফাঁচই। ফাঁছ দি তো আর আষ্টগা বুঝাইতো নো। ফার্থক্য ফাইলেন কই? দোনোগাই তো এক"
.
"এই যেমন বললেন 'ফার্থক্য'। 'ফার্থক্য' আর 'পার্থক্য' দুইটা তো আলাদা উচ্চারন। আপনি পার্থক্য দেখছেন না এই দুটোর মাঝে? "
- "নাহ আঁই তো ফার্থক্য আর ফার্থক্যে মাইঝ দি কোন ফার্থক্য টোগাই ফাইয়ের না"...........
confused emoticon
.
.
.
(অবুঝ জনগনের জন্য কিছু শব্দার্থ tongue emoticon আন্ডা= আমরা, নো= না, আন্নের নানি= আপনার মত, আষ্টগা= আট টা, ফাইলেন=পাইলেন, দোনোগা= দুইটাই)

ইস্টাইল

১। ‘মাম্মা নয়া গেঞ্জি পিন্দলা মগর ছিড়া ক্যা?’
- “ছিড়া না, এইডা ইস্টাইল”
.
২। ‘প্যান্টের দেখি রঙ উইঠা গেছে’
-‘রঙ উঠে নাই, এইডা ইস্টাইল’
.
৩। ‘কাপড় উল্টা পিন্দলি ক্যা??’
-‘উল্টা পিন্দিনাই, সেলাইটাই এমন। এইডা ইস্টাইল’
.
৪। ‘কিরে তুই কিছু খাছ না ক্যা?’
-‘ডায়েট কন্ট্রল করি। এইডা ইস্টাইল’
.
৫। ‘তুই এতো ফ্যাট ফুড খাছ ক্যা??’
-‘ফুডিস্ট এর যুগ। বেশি খাওয়া এযুগের ইস্টাইল’
.
৬। ‘বাহ, অফিসেও দেখি সুন্নতি তরিকায় টাখনুর উপরে প্যান্ট পিন্দা আহেন। মাশাল্লাহ মাশাল্লাহ হুজুর হইয়া যাইতেছেন।’
-‘হুজুর হইতাছি না, এইডা এখনকার ইস্টাইল’
.
৭। 'কিরে তোর বাইকের হেড লাইট কই?'
- 'খুইল্লা থুইছি। এইডা স্টাইল'
.
৮। ‘আপায় দেখি হিজাব পড়া ধরছেন। মাশাল্লাহ পর্দা পশিদা করা ভালো।’
-‘হিজাব এযুগের ইশাটাইল। ক্যান আমাকে শুইট লাগছে না??’
.
৯। ‘কিরে তুই খাইতে বইলেও ছবি তুলছ ক্যা?’
-‘খাওয়ার আগে খাওনের ছবি তুলা ইস্টাইল’
.
১০। ‘তুই তো মোবাইল দিয়াই ঠিক মত ছবি তুলতে পারছ না, গলায় ডিস্লার ঝুলায় কই যাস?’
-‘ছবি তুলতে পারি আর না পারি গলায় ডিস্লার ঝুলানিও একটা ইস্টাইল’
.
১১। ‘কিরে আরেকটা কার জুতা পিন্দা আইছোস। দুই জুতা দুই কালার ক্যা?’
-‘দুইডাই আমার জুতা। দুই কালারের জুতা এখনের ইস্টাইল’
.
১২। ‘দোকানদারেরে তোর বাপও মামা ডাকে তুইও মামা ডাকছ!! কাহিনি কি?’
-‘সবাইরে মাম্মা ডাকা এখনকার ইস্টাইল’
.
১৩। ‘তোর চুল বড় ক্যা’
-‘এইডা ঝাকানাকা ইস্টাইল’
.
১৪। ‘হঠাত টাকলা হইলি ক্যা?’
-‘এইডা ভিন ডিজেল ইস্টাইল’
.
১৫। ‘কিরে তুই মাইয়াগো মত কানে দুল পিন্দছ ক্যা?’
-‘এইডা ইস্টাইল’
.
১৬। “কিরে দেয়াল ঘড়িতে বেল্ট লাগায় হাতে পিন্দলি ক্যা ”
- ‘দেয়াল ঘড়ি না, বড় ডায়ালের ঘড়িই এখন ইস্টাইল’
.
১৭। ‘ছেরীগো লাহান হাতে পার্স লইয়া ঘুরছ ক্যা’
-‘এইডা পার্স না, এইটা ট্যাব। হাতে লইয়া ঘুরাটা একটা ইস্টাইল’
১৮।। ‘তোর চুলে জং ধরলো ক্যামনে? তেল দেস না??’
- ‘জং ধরেনাই, কালার করছি। এইডা ইস্টাইল’
.
১৯. 'ঐ বেশরম, প্যান্ট উপ্রে উডা। জাইংগা দেহা যায় ক্যা'
-'দেহা যায় না, দেহাই। এইডা ইস্টাইল' squint emoticon
.
.
যা বুঝলাম যে কোন আজগুবি ব্যাপারে ‘ক্যা’ জাতীয় প্রশ্নের সবচেয়ে সোজা উত্তর ‘এইডা ইস্টাইল’।
ব্যাস কিচ্ছা, খতম আপনে ফ্যাশনেবল colonthree emoticon

বৃহস্পতিবার, ৪ জুন, ২০১৫

Window ac vs Split ac

হাজবেন্ড হচ্ছে Split AC এর মত।
.
ঘর ঠান্ডা করার জন্য বাহিরে সে রোদে পুড়ে বা বৃষ্টিতে ভিজে কেমন লোড নিচ্ছে তা দেইক্ষা কারো কাম নাই। 
ওর ডিজাইনটাই এমন যা ঘরের ক্ষয়ক্ষতি কম করবে (জাস্ট ছুট্ট একটা ফুডা করতে হয় দেয়ালে ) যে ঘরকে Silent, Cool রাখতে বাধ্য থাকবে এবং সবসময় রিমোট দ্বারা অন্যের হাতে নিয়ন্ত্রিত হবে tongue emoticon
.
.
আর ওয়াইফ হচ্ছে উইন্ডো এসির মত।
.
ঘর ঠান্ডা রাখার জন্য এমন সাউন্ড করে যা ঘরে বাহিরে দুই জায়গাই কাপায়া ফালায়।
তারে রিমোট দারা কন্ট্রোল করা গেলেও অনেকেই সরাসরি হাত দিয়াও ক্রন্ট্রোল করে (বহুত খ্রাফ কাম)।
তারে ঘরে আনতে হইলে দেয়ালের বড় একটা অংশ ত্যাগ করার লাগে (যদিও সে থাকা অবস্থায় তা বুঝা যায় না ) আর হঠাত চলে গেলে দেয়ালে বড় রকম দাগ থেকে যায়।
.
তয় কাম যদি ঠিক মত করে তাইলে একি মানের Split AC এর চেয়ে উইন্ডো এসি ঘর তাড়াতাড়ি এন্ড বেশি ঠান্ডা রাখে।
(হাদে কি কয় Home is not home without mom kiki emoticon )
.
.
(প্রথম অংশটা একটা বিদেশী পেইজের ছায়া অবলম্বনে লেখা)