বৃহস্পতিবার, ৩০ এপ্রিল, ২০১৫

পাকিস্তানের ত্রান

মোটামুটি গুগল ঘাইট্টা যা জানলাম
নেপালের ভূমিকম্পের পরে দুইন্নাইর সব দেশ পাঠাইল ফার্স্ট এইড সাথে শুকনা খাবার সামগ্রী,
আর পাকিস্তান পাঠাইলো 'গরুর মাংসের মসলা!!!!!' confused emoticon

চিন্তা করতাছি পাকিস্তানের শুধু জাতীয় পশুই কি ছাগল না ওইদেশে ছাগল গাছেও ধরে???

বুধবার, ২৯ এপ্রিল, ২০১৫

মানুষ মরে গেলে পচে যায়, বেচে থাকলে বদলায়

মানুষ মরে গেলে পচে যায়, বেচে থাকলে বদলায়।
ট্যাকা বাড়লে বদলায়, কেউ একটু পাত্তা দিলে বদলায়, লাই পাইলেও বদলায় 

মঙ্গলবার, ২৮ এপ্রিল, ২০১৫

মেয়র নির্বাচন

"ছক্কা উঠাছে, আমি মই দিয়া ২৫ ঘর উপ্রে যামু"
.
-'ঐ না আমি দেখছি দুই উঠছে, তোরে সাপে কাটবো, ৩০ ঘর নিচে যাবি'
.
"নাআ আমি দেখছি ছক্কা উঠছে, সমদ সাক্ষি।"
.
-' সমদ তো কাইন্ঠা। বক্কর সাক্ষি, দুই উঠছে'
.
"নাআআআআ ছক্কা উঠছে"
.
-'নাআআ দুই উঠছে'
.
"ধ্যাত তোর সাপ লুডুর গুষ্টি মারি। খেলুম না"
.
-'না খেল্লে নাই, তাইলে আমিই জিতছি। ' sunglasses emoticon
.
.
বিঃদ্রঃ ইহা ছোটকালের সৃতিচারন মূলক স্টাটাস। কোন দেশের রাজনৈতিক কর্মকান্ডের সাথে মিলে গেলে সুসান দায়ী নহে colonthree emoticon

সোমবার, ২৭ এপ্রিল, ২০১৫

লেভেল অফ ভার্চুয়াল জেনারেশনঃ

লেভেল অফ ভার্চুয়াল জেনারেশনঃ
.
স্টাটাসঃ "আবারো ভূমিকম্প হইছে"
.
.
কমেন্টসঃ "প্রুফ কি? লিঙ্ক দেন!!"
colonthree emoticon

রবিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০১৫

ট্রেন আসার সাইরেন বাজা অবস্থায় রেল লাইনের উপ্রে উঠলে আমগো গাড়ী বন্ধ হইয়া যায়।
.
রাস্তা পার হইতে গেলে অবশ্যই আমার চোখে ধুলা পড়ে বা চোখ চুলকায়।
.
ইলেক্টিক ব্যাট দিয়া মশা বাইড়াইতে গেলে নিজেই উল্টা শক খাই unsure emoticon
.
দুই দিন ধইরা অফিস টাইমে ভূমিকম্পের নাড়ানি মগর এমন এক বিল্ডিং অফিস করি যেইডার সিঁড়ি অফ আর লিফট থাকে খোলা!! মানে ভূমিকম্পে খাড়ায় কড।
.
আবার এখন দেখি নয়া গুজব, কারে জানি কোন এলিয়নে কইয়া গেছে রাইতের বেলা মঙ্গল গ্রহ থেকে মহাজাগতিক রশ্নি আসবে পৃথিবীতে colonthree emoticon ইলেক্ট্রিক ডিভাইস থেকে দূরে থাকতে কয়। এতো অসম্ভব।
.
মোট কথা ভাবসাব খুব একটা ভালো ঠেকতাছে না। বহুত ফাত্রামী করছি, মন থেকে যে যা বদদোয়া দিছেন দিছেন এলা মাফ টাফ কইরা দিয়েন। হুদ্দাই এতো গোসসা নিয়া এই নাদান বান্দারে মনের কোনে ঠাই দিয়া রাখার কোন মানে নাই tongue emoticon
.
আর দেনা পাওনার হিসাবে আমি মনেহয় কারো কাছে কিছু পাইনা কিছু 'গাইল' ছাড়া unsure emoticon
আর আমার কাছে অনেকেই অনেক কিছু পান এডিও নিজ গুনে মওকুফ কইরা দিয়েন আখেরাতে ৭০ গুন বেশি পাইবেন ইনশাল্লাহ।

গতকালকের ভূমিকম্প থেকে আমরা যা শিখলাম

গতকালকের ভূমিকম্প থেকে আমরা যা শিখলাম।
.
১. প্রথমত বুঝাগেলো ভূমিকম্প একটি চরম আনন্দদায়ক ব্যাপার। মানুষ কোন কিছুতে আনন্দ পাইলে ‘হালের ক্রেজ’ ট্রিট চায়। হয়তো কয়দিন পরে এমনো দেখার লাগতে পারে একজন আরেক জনেরে কইতাছে “মাম্মাআআআআ আর্থকোয়াকে তোর বাড়ি বেশি শেইক করছে। সেলিব্রেট করুম, ট্রিট দে!!”
.
২. দ্বিতীয়ত জীবনের চেয়ে সেলফির মূল্য অনেক বেশি। শেল্টার খুজার আগের একটা 'শেকফি' না তুল্লে জীবন বৃথা প্রয়োজনে এর চেয়ে পিলারের চাপা খাইয়া মইরা যাওয়া ভালো!!
.
৩. দুনিয়ার সবাই টাকার জন্য স্বর্থপর হইলেও বাঙ্গালী এক্ষেত্রে উদার। ফার্স্টেট ওয়েদার ফরকাস্টের জন্য কোন টাকা পাবেনা জেনেও ভূমিকম্পের প্রথম দুই সেকেন্ডে উসাইন বোল্টের গতিতে “ভূমিকম্প হচ্ছে” স্ট্যাটাস দিয়ে এর পরে শেল্টার খুঁজবে। কন কত্ত বড় উদার দিল হইলে ভূমিকম্পের সময় মাইনষে এই কাম করতে পারে squint emoticon
.
৪. ভূমিকম্পের শেষে সুঁইয়ের মত সোজা ২০ তলা বিল্ডিংটাও কিছু মানুষের কাছে ৪৫ ডিগ্রী ত্যাড়া মনেহবে। দেয়ালে রঙ উইঠা যাওয়া কোন অংশরে ফাটল মনেহবে এবং তারা তা অন্য জনকে দেখাবে, ভাইরাস আকারে অন্যদের মাঝেও এটা ছড়াতে থাকবে।
২-৪ জন ফোন করে তেতুলিয়া-টেকনাফের আত্মিয়কে জানাবে যে ‘ঢাকায় যেইইইইইইইইইই একটা ভূমিকম্প হইছে নাআআআআ আমার সামনের ২০ তলা বিল্ডিং ফাইটা পুরা কাইত হইয়া গেছে” এবং কিছুক্ষনের মধ্যে অনলাইন পত্রিকায় আসবে “ভূমিকম্পে গুলশানে বিল্ডিং ধস (লাইভ ভিডিও সহ)” colonthree emoticon
.
৫. ভূমিকম্প পরবর্তি পাব্লিক এটেনশন পাইতে ৪০ বছর আগে উগান্ডার ভূমিকম্পে কোন গ্রামের ধ্বংসলিলার ছবি গুগল থেকে নামায়া তা রংপুরের ছবি বইলা আপডেট দিতে হবে।
.
৬. কিছু পাব্লিককে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এরিয়া থেকে হাজার মেইল দূরে থেকেও “সেইফ” চেকিন দিয়ে লিস্টের ফ্রেন্ডদের টাইম লাইন নোটিফিকেশনে ফাটায়া ফেলবে। সাথে হুযুগে বাঙ্গালীর এই বলদামির কারনে ঐ এপের স্টাটেস্টিক্স হিসাব আউলা ঝাউলা কইরা মূল টার্গেটেরই মা বেহেন কইরা দিবে।
.
৭. আগের দিন ভূমিকম্প শেষে পরের দিন অফিসে যাওয়ার সময় বাসে হকারের মুখে শুনতে পাবেন “তিন দেশে ভূমিকম্প, মাত্র তিন টাকা!!!” confused emoticon
.
৮. কিছু পাব্লিক ফেবুকে হ্যাস ট্যাগের মাধ্যমে উদ্ধার কাজে নামবে!!
.
৯. আর সবচেয়ে বড় জিনিস যেটা বুঝলাম, আমরা চরম সাহসী। এমন কি যে আমাদের বানাইছে সেই উপরয়ালাও আমগো সামনে কিছুই না!! (নাউযুবিল্লাহ, তয় আমগো ভাব সাবে তাই কয়)
.
কালবৈশাখী ঝড় বা ঘুর্নিঝড়ে আমগো মনে কবিতা আসে, খিচুড়ি ইলিশ খাইতে মনেচায়। ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেই “এই ঝিরি বৃষ্টি, তোমার আমার প্রেমের সৃষ্টি” বা “বারিশ কো আনে দো, দেখলুজ্ঞা”!!
শুধু ভূমিকম্পেরই একটা ভয় আগে যাও মাইনষের মধ্যে দেখতাম এখন মনেহয় এই “ইউ নো হোয়াট” জানামায় ওইটাও আমারা ওভারকাম কইরা ফেলছি।
.
সাড়ে সাত স্কেলে ঝাঁকি দিয়াও আল্লাহ আমাদের মন ঝাঁকাইতে পারে নাই!!! (নো অফেন্স, ইঙ্কলুড মি ওলসো)।
খুব কম মানুষই মনেহয় ঝাঁকি খাইয়া বাইচ্চা যাওয়ার পরে শোকর আদায় কইরা দুই রাকাত নফল নামাজ পড়ছে।
.
দোয়া কইরেন আল্লাহ যাতে আপনেরে আমারে ফাইনাল ‘ঝাঁকি’ খাওয়ার আগেই যেন নিজেরে ‘ঝালাই’ কইরা নেয়ার তৌফিক দেয়। নাইলে মরার পরে অনন্তকাল কবরে ফেরেস্তাগো ‘ঝাঁকাঝাঁকি’ ট্রিট এন্ড শেকফি বিহীন ‘সেলিব্রেট’ করন লাগবো। squint emoticon

শনিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০১৫

ভূমিকম্প পরবর্তি রিএকশন

ভূমিকম্প পরবর্তি রিএকশনঃ
.
সরকারী দলীয় মন্ত্রীঃ 'এইটা বিরধী দলের নাড়াচাড়ার কারনে হইছে।'
.
বিরধীদলঃ ' মেয়র নির্বাচনের প্রচারনা থেকে জনগনের দৃষ্টি সরাইতেই ফ্যাসিবাদি সরকার ইচ্ছাকৃত ভাবে ভূমিকম্প সৃস্টি করছে।'
.
পাকিস্তান ক্রিকেট দলঃ 'এমনেই লাস্ট চার ম্যাচ যেই কাপাকাপির উপ্রে আছি, ভূমিকম্প কখন হইলো টেরই পাই নাই।'
.
অফিসের বসঃ 'ইলিয়াইচ্চাআআআআ সকাল সকাল কফির লগে কি মিশাই দিলি। মাথা ঘুরায় ক্যাআআআআ'
.
ফেসবুকারঃ 'যারা ভুমিকম্প টের পাইছেন তারা লাইক দেন, যারা পান নাই তারা কমেন্ট করেন।'
.
অনলাইন পত্রিকাঃ কেঁপে উঠলো নায়লার.... (ভিডিও সহ)
(ভিত্রে ভিডিও নাই, লেখা ভূমিকম্পে কেঁপে উঠলো নায়লার বাসা colonthree emoticon )
.
নায়লা নাঈমঃ 'ইটস হিউউউউউউউউউউজ ম্যাসিভ আর্থকোয়াক আই হ্যাড এভাড় ফিল।'
.
অনন্ত জলিলঃ 'আমি হাইচ্চু দিসিলাম, দেখি পুরা সাউথ এশিয়া কাইপ্পা উঠছে!!!'
.
.
(BTW মানুষ যে কত অসহায় তা ভুমিকম্প হইলেই টের পাওয়া যায়। আল্লাহ সবাইরে হেফাজত করুক)

খেলা যখন চলতেছিলো

খেলা যখন চলতেছিলো তখন কি একটা কথার ফাঁকে আম্মা বলতেছিলো বেইনসাফি কর্মের ফল মানুষ দুনিয়াতে থাকতেই পায়। হয়তো যার টা সে নিজে দেখতে না পাইলেও তার ফিউচার জেনারেশন হইলেও তা দেখে। 
অনেক্ষন ধরে নেটে খুজতেছিলাম এমন কোন কাহিনি আছে কিনা এবাউট পাকিস্তান ভার্সেস বাংলাদেশ। অবশেষে পাইলাম সাব্বির আহমেদের টাইম লাইনে। 
আসলেই দিন সবাইরই আসে। একটু আগে হোক আর পরে হোক।
.....................
১৯৮৬ সালের কথা। বাংলাদেশের বয়স মাত্র ১৫ বছর, আর এদেশের ক্রিকেটের বয়স মাত্র ১ বছর। এশিয়া কাপ খেলতে যাবে, কিন্তু বিমানের টিকিট কেনার টাকা নেই। এসিসি টাকা দিতে চেয়েছিলো, বাংলাদেশ রাজি হলো না, বরং বাসে করেই গেলো। আমাদের তখন ব্যায়াম করার জিমন্যাশিয়াম নেই। ওরা ১১ জন বিদেশের জিমে ব্যায়াম করে ক্লান্ত হয়ে গেল। ঐ সময় স্যালাইন খাওয়া দরকার। কিন্তু বিদেশী স্যালাইন কেনার টাকাও যে নেই। দেশীয় উপায়ে লবন দিয়ে স্যালাইন বানানো হলো। এ নিয়ে পাকিস্তানি মিডিয়ায় কত হাসাহাসি। পরদিন শক্তিশালী পাকিস্তানের সাথে খেলা। তাইতো রাতে ঘুম এলো না স্বপ্নচারী ঐ ১১ জনের চোখে ।
.
সকালে খুশি মনে ১১ জন আগেই মাঠে ঢুকে গেলো প্র্যাকটিসে। কিন্তু পাকিস্তানের কেউ আসলো না। টসের সময় পাক ক্যাপ্টেন ইমরান খান মাঠের বাইরে থেকে ইশারায় ডাকলেন বাংলার ক্যাপ্টেন লিপুকে। ইমরানের আপত্তি, তোমাদের সাথে টস করে কি লাভ? তোমরাই বলো কী চাও? ব্যাট নাকি বল? লিপু বললো, আমরা টস চাই।ম্যাচ রেফারিও চাপ দিলো ইমরানকে। তখন ইমরান বললো, তাহলে এখানেই টস করেন। আমি কষ্ট করে মাঠের পিচ পর্যন্ত যাবো না। অবশেষে টস হলো মাঠের বাইরে। বাংলাদেশ ব্যাট করতে নামলো। ইমরান তার মূল বোলারদের বাদ দিয়ে পার্টটাইম বোলারদের দিয়ে বল করাতে লাগলো, আর আমাদের ১টা করে উইকেট পড়তে থাকলো। ভাষ্যকার হাসতে হাসতে বলে উঠলো, "আজ যদি পাকিস্তানীদের স্ত্রী রা বল করতেন, তারাও নিশ্চয়ই উইকেট পেতেন।"
.
২০১৫ সাল। পাকিস্তানে বহুদিন ধরে ক্রিকেট বন্ধ। স্পন্সররা চলে যাচ্ছে। তাদের একাডেমীগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। জিম, প্র্যাকটিসের জন্য তারা এখন দুবাইয়ের জিমন্যাসিয়াম ব্যবহার করে। বাংলাদেশে আসার আগে তাদের বিমানের টিকেট কেনার টাকা নেই। কে দিবে টিকেটের টাকা? এগিয়ে আসলো বাংলাদেশ। যেই দেশটার সামান্য স্যালাইন কেনার টাকা ছিলো না বলে হাসাহাসি হয়েছিলো, সেই দেশটা তুলে দিলো আড়াই লক্ষ ডলার! খেলার মাঠে অধিনায়ক মাশরাফি একই কাজ করলেন, যেটা পাকিস্তান করেছিলো ২৯টি বছর আগে। মূল বোলারদের বল না দিয়ে বল দিচ্ছিলো নাসির, সাব্বির, রিয়াদদের। আর তাতেই পাকিস্তানের একেকটা করে উইকেট পড়ছিলো। 
.
ধারাভাষ্যে তখন বসে আছেন বাংলাদেশের আতাহার আর পাকিস্তানের আমীর সোহেল। ২৯ বছর আগের সেই দিনটাতেও এই দুইজন খেলেছিলেন, দুইজনেই ছিলেন দুই দেশের ওপেনার। কিন্তু ইতিহাস মিললো না। আজ আতাহার কিন্তু সেভাবে হাসি-ঠাট্টা করলো না, যেভাবে ২৯ বছর আগে হেসেছিলো পাকিস্তানী ভাষ্যকার। 
.
তবে খেলা শেষে চুপ থাকতে পারলো না পাশে বসে থাকা সেদিনের পাকিস্তানী খেলোয়াড় আমীর সোহেল। তিনি বললেন, " আমি বাংলাদেশের দর্শকদের চোখে আজ আনন্দের রঙধনু দেখতে পাচ্ছি। আনন্দ, যা পাকিস্তানকে ছুয়ে গিয়েছিলো সুদূর অতীতে। সেই আনন্দ হাতবদল করে ইসলামাবাদ থেকে ঢাকায় ফিরে এসেছে। আনন্দপ্রিয় এই দেশটি দিন দিন এগিয়ে যাচ্ছে তাদের ক্রিকেটে,তাদের অবকাঠামোয়,তাদের অর্থনীতিতে।"
.
২৯ বছর আগের সেদিন একজন পাকিস্তানি কথা বলেছিলেন বাংলাদেশের পক্ষে, তিনি ওয়াসিম আকরাম। তিনি পাকিস্তানি মিডিয়াকে বলেছিলেন বাংলাদেশকে নিয়ে বাজে কিছু না লিখতে। তিনি বলেছিলেন, বাংলাদেশের সুদিন আসবে,সেদিন তো আপনাদেরকেই লজ্জা পেতে হবে। আজ ২৯ বছর পর তামিম ইকবাল একই কাজ করলেন। বাংলাদেশের মিডিয়াকে বললেন, "ক্রিকেটে খারাপ সময় যায়। এক সময় আমরাও অনেক ম্যাচ হেরেছি,হারতে হারতে শিখেছি। আমার শুভকামনা রইলো, পাকিস্তান খুব জলদি come back করবে"
.
ইংরেজীতে একটা কথার কথা আছে, "History repeats itself" সেই কথাটা যে এমনভাবে সত্যি হবে, ইতিহাসের দেনাগুলো যে এভাবে শোধ হবে ভাবিনি।
-------------------------------------------
(সংগৃহীত)

শুক্রবার, ২৪ এপ্রিল, ২০১৫

পাকিস্তান না ফাকিস্তান

"কিয়ারে ফাকিস্তান দেইয়ের হারি গেছে??"
.
- "তুই ফাকিস্তানেরে ফাকিস্তান কইলি কিল্লাই? ওডা তুই অন্য দেশেরে সম্মান দিতে জানস না, নিজে সম্মান ফাইবি ক্যান্নে?"
.
"ওররে আঁই ফাকিস্তান কইলাম কোন সমে? আঁই তো ঠিক করি ফাকিস্তানই কইছি।"
.
- "তুই অনো ফাকিস্তানেরে ফাকিস্তান করি, আবার কস আই ফাকিস্তান না, ফাকিস্তান কইছি। ওডা বাইচালি করছ নি আঁর লগে??"
.
.
বিঃদ্রঃ এইটা দুই নোয়াখাইল্লার কথোপকথন। আর নোয়াখালিতে মাইনষে 'প' রেও 'ফ' কয় আবার 'ফ' রেও 'ফ' কয়।
সো এজ এ নোয়াখাইল্লা রক্তের মানুষ, আমি তো 'ফাকিস্তান' কইতেই পারি। আমি কি বিকৃতি করছি নাকি? নামই তো অগো এমন wink emoticon

বৃহস্পতিবার, ২৩ এপ্রিল, ২০১৫

তুমি কি সত্যিই কোন মাইয়ার পাড়া খাইছিলা আজকে?

একোডিং টু লাস্ট স্টাটাসঃ
.
"তুমি কি সত্যিই কোন মাইয়ার পাড়া খাইছিলা আজকে??"
.
- 'হু'
.
'হিল তো তাই এমন বেশি লাগে'
.
'আরে হিল ছিলো না ফ্লাট জুতা। এর লাইজ্ঞাই তো কইলাম চিকনা চাকনা মাইয়া পাড়া দেওনের সময় এতো এক্সট্রা ওয়েট কই পায়???'
.
'তুমি বুঝলা ক্যামনে মেয়ে চিকনা না মোটা?? ওওওওও মাইয়া পাড়া দিতাছিলো আর তুমি বইসা বইসা মাইয়ার ফিগার মেজারমেন্ট করতাছিলা!! ছিঃ '
.
confused emoticon
.
.
এল্লে, ওয় হুদ্দা কামে পাড়া দিলো হেইডা দোষ না, কেডায় পাড়া দিলো ঐডারে দেখাটাই দোষ হইয়া গেলো!!! grumpy emoticon

কান্ধে দোষ নেওনের ঠিকাদারির লাইজ্ঞা পোলা হইয়া জন্মাইলাম!!

সকাল বেলা ঘুমের ঘোরে কোন বাসযাত্রী ব্যাডা যদি পাশের সিটে বসা নারীর গায়ে হেইলা পড়ে (হোক সেটা ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত) তখন নারী যাত্রীর চোখ রাঙ্গানীর ধরনে কয় এটা নিঃসন্দেহে ‘সেক্সুয়াল হ্যারেসমেন্ট’ ছিলো।
.
সকাল বেলা ঘুমের ঘোরে কোন বাসযাত্রী মাইয়া যদি পাশের সিটের ব্যাডার গায়ে হেইলা পড়ে (মাইয়ারা আমার জানা মতে ইচ্ছা কইরা এমন করে না) তখন ঘুম থেকে জাইজ্ঞা নারীর চোখ রাঙ্গানীর ধরনও দেখি একি রকমই থাকে!!! confused emoticon
.
ঝাতির বিবেক ঝানতে চায়, এইডাও কি তাইলে সেক্সুয়াল হ্যারেসমেন্ট এর ভিত্রে পড়ে??? confused emoticon
.
আবে হালায় কোন দুনিয়ায় জন্মাইলাম। তোর গায়ে পড়লেও আমার দোষ, আমার গায়ে পড়লেও আমার দোষ!!!
দুইন্নাইতে পোলা হইয়া জন্মাইয়া দোষ করলাম না কান্ধে দোষ নেওনের ঠিকাদারি লওয়ার লাইজ্ঞা পোলা হইয়া জন্মাইলাম!! grumpy emoticon
.
অফ টপিকঃ চিকনা চাকনা মাইয়াডি অন্যের জুতার উপ্রে পাড়া দেওনের সময় এতো এক্সট্রা ওয়েট পায় কইত্থে?? grumpy emoticon

সোমবার, ২০ এপ্রিল, ২০১৫

মরার টাইম ঘনায়া আইছে মনেহয়। 
প্রতিদিন দুইবার কইরা আইতে যাইতে মহাখালী রেল ক্রসিং পার হইতে হয়। প্রব্লেম ঐটা না প্রব্লেম হইলো বেশিরভাগ সময়ই আমগো গাড়ি ক্রসিং এর ব্যারিগেট পার হইলেই ট্রেন আসার এলার্ম বাজা শুরু করে আর যখন আমগো গাড়ি এক্কারে ক্রসিং এ মাঝ বরাবর উঠে তখন এমন জ্যাম বাধে, না সামনে যাওন যায় না পিছে যাওন যায়!!!!!
.
এমনে চলতে থাকলে ট্রেনের তলে পইড়া আর মরন লাগবো না, হের আগেই কোনদিন ডরেই মইরা যামু আল্লাই জানে squint emoticon

রবিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০১৫

ইরানীকে চিঠি

তারিখঃ যেদিন দেখতে পাইবেন সেই দিন
.
বরাবর,
মিস ইরানী
চৌধুরী সাহেবের বাসা,
বড়লোক এলাকা, ঢাকা।
.
বিষয়ঃ ‘ফিমেল মার্সিডিজ’ প্রদানের মাধ্যমে শাশুড়ি হবার জন্য আবেদন।
.
জনাবা,
বিনীত নিবেদন এই যে, আমি আপনার উপ্রে ৯৯% ক্রাশ খাইয়া হ্যাং করা বাংলা সিনেমার গরীবের ছেলে ‘ওমর সানি’ বলতে পারেন। বাকি এক পার্সেন্ট ক্রাশ খাইতে গিয়া যখন জানলাম ‘চৌধুরিইইইইইইইইই’ আপনারে আগেই বাগায়া নিয়া গেছে আবার আপনাদের একটা ‘মেল মডেলের মার্সিডিজ বেঞ্চও’ আছে, তখন থেকেই শকের চোটে হ্যাং খাইয়া আছি।
.
হ্যাং এর কারনে প্রতিদিন নয়া নয়া ফটো দেইখা একবার কইরা ব্যাকগ্রাউন্ড প্রোগ্রামে ক্রাশ খাইলেও মনিটরে ক্রাশের % এর পরিমানটা দেখা সম্ভব হচ্ছে না। হ্যাং থেকে বাচার জন্য নতুন কারো উপ্রে জোর কইরা ক্রাশ খামু হেই চান্সো পাইতাছিনা। কি বাচ্চা কি বুইড়া, যে দিকে চাই হেই দিকেই খালি বুকিং এর সমারহ।
.
কিন্তু কবি বলেছেন, আশা হারাইতে নাই কারন মানুষ তারা আশার সমান বড়। কবির বাণী মাথায় রেখেই মার্সিডিজের ফ্যাক্টরি থেকে কবে একটা ফিমেল মডেলের মার্সিডিজ আসবে আর মিশা সওদাগরের পোলা রকির আগেই আমি তা বুকিং দিয়া আপনারে শাশুড়ি বানায়ালামু সেই আশায় বইসা থাকতে থাকতে পাশের গলির ‘আশা’ আপাও নিরাশা কইরা ‘পাশা’র সাথে পাশাপাশি সংসার কইরা অলরেডি ‘পোরশে’ ঘরে আনার কাজে ব্যাস্ত হইয়া পড়ছে colonthree emoticon
.
অতএব বিনীত নিবেদন এইযে, এইবার নিজের রূপের ব্রাইটনেস একটু কমায়া আপনার কাছাকাছি ডিজাইনের একটা ফিমেল মডেলের ‘মার্সিডিজ’ দুনিয়াতে সরবরাহ করে এই গরীবের শাশুড়ি আম্মার জায়গা দখল করলে ঝাতি প্রতিদিন একবার কইরা হ্যাঙ্গিত ক্রাশ খাওয়া থেকে বাঁচবে এবং আপনার কাছে চির কৃতজ্ঞ থাকবে।
.
বিনীত নিবেদক
গরীবের ছেলে
SMS
ফয়িন্নি এলাকা, ঢাকা।
.
.
Enclo: মেল-ফিমেল ‘মার্সিডিজ’ বা ‘পোরশে’ কি জিনিস তা জানতে চাইলে মাস খানেক আগের এই পোস্ট লিঙ্ক দ্রস্টব্য। (সব কথা কি আবেদন পত্রে বলা যায়? tongue emoticon )
https://www.facebook.com/sm.susan/posts/10202996687860276

শনিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০১৫

মশা

মশা তাড়াইতে নয়া আইটেম গুড নাইট ম্যাজিক পেপার ধইরাইলাম। তিন মিনিটের ভিত্রে বলে কাম শুরু করে।
.
কথা সত্য, তয় তা মশার উপ্রে না, মাইনষের উপ্রে। 
.
মশা আগের মতই আমার লগে টিলোস্প্লেস খেলতাছে এর আমি আস্তে আস্তে ঝিমাইয়া পড়তাছি ম্যাজিক পেপারের পোড়া গন্ধে 

শুক্রবার, ১৭ এপ্রিল, ২০১৫

পহেলা বৈশাখ TSC ইস্যু

কোন প্রকার প্রটেকশন না নিয়ে রাতের তিনটার সময় তিন লাখ টাকা নিয়ে ঢাকা শহরের কোন আন্ধার গলি দিয়ে হাটার সময় কোন ছিনতাইকারী যদি আপনাকে ছুরি মেরে টাকা সব নিয়ে যায় তাইলে সবার সামনে বেকুব হিসাবে আপনেই চিহ্নিত হবেন। (ইমারজেন্সি ব্যাপার হইলে আলাদা হিসাব)
.
গোজামিল লাগাতাছে, আরেকটু বুঝায়া বলি। আমি বলতেছিনা ছিনতাই ভালো কাজ। নিঃসন্দেহে চরম খারাপ অপরাধ কিন্তু প্র্যাক্টিক্যালি চিন্তা করেন, এইটা আম্রিকা বা দুবাই না। এইটা বাংলাদেশ। রাত বিরাতে এইদেশে ছিনতাই একেবারে কমন ঘটনা যা আপনে আমি সবাই জানি। এই কারনে এইদেশে ছিনতাইকারীরে খাচায় না ভরে পুরা সিএনজিকেই খাঁচা বানাইতে হয় প্যাসিঞ্জারকে বাঁচানোর জন্য।
.
কারন ছিনতাই হয়ে যাবার পরে হয়তো বহুত মাইনষে বহুত ডায়ালগ মারবে। ম্যান্টালিটি চেঞ্জ করা উচিত, প্রশাসনকে কঠোর হওয়া উচিত, আমাদের সোচ্চার হওয়া উচিত হ্যান ত্যান করা উচিৎ বাট আপনে আমি বেকেই জানি এডি চাইলেই হঠাত করে চেঞ্জ সম্ভব না কিন্তু যার যা হারানির তা তো হারাইয়াই ফেলছে।
.
এইবার আহেন হট টপিক পহেলা বৈশাখ। এইখানেও সেইম। এই বছর বেশি হইছে তাই হাউ কাউও বেশি হইতাছে কিন্তু সত্যি বলতে এইটা প্রতি বছরেরই কমন কাহিনি। যারা যায় তাদের বেশিরভাগই ভালো করে জানে এইজায়গায় ভিড় বেশি, সো এমন কিছু হবার চান্স আছে।
.
আমার ফ্রেন্ডসার্কেলে মাইয়া কতডি আছে প্রতিবছরই DU যায় কারন জানে তাগো গায়ে টাচ করারো মুরদ কারো নাই, গায়ে হাত দিলে ঐ হাত আর ফেরত যাইবো না।
আর কিছু আছে নিরিহ টাইপ, একবার যাইয়া চাপচুপ খাইয়া আইসা কান ধরছে জিন্দেগীতে আর পহেলা বৈশাখে ভিড়ের মাঝে যাবে না, অন্য কোন কম ভিড় এরিয়ায় যাবে বা বাহিরই হবে না।
.
মূল কথা হচ্ছে নিজের সেফটি নিজের কাছে। আপনি যেইখানে নিজেকে সেইফ মনে না করেন ঐখানে না যাওয়াই বেটার। এটাকে অনেকেই হয়তো বলবেন অন্যায় কে প্রশ্রয় দেয়া বাট কি করার??
.
সমাধান দিতাছেন অনেকে ‘মেন্টালিটি চেঞ্জ করার’। কার মেন্টালিটি চ্যাঞ্জ করবেন? যেডি এমন হেডি জন্মের থেকেই এমন, থাকবেও এমন।
.
আবার অনেকে বলবেন রুখে দাড়াতে। আপনেই কন ঐ জায়গায় যদি আপনি থাকতেন আপনি কি করতেন? DU এলাকায় কোন গ্যাঞ্জাম বাধলে কাউরে পাগলা কুত্তায় না কামড়াইলে আগায় যায় না। কারন এতে সমাধান কিছু তো হবেই না উল্টা আপনেও জড়ায়া যাবেন।
.
আর আপনার সাথে যদি আপনার মা-বোন- মেয়ে-বউ-ফ্রেন্ড এমন কেউ থাকে তাইলে তো আরো আগে তারে নিয়া ঐ এরিয়া ছাড়ার পথ খুজবেন কারন জানেন ৪০-৫০ জনে যদি আপনার টার দিকে নজর দেয় তাইলে আপনি এতগুলারার সাথে কিছুই করতে পারবেন না।
.
যেইখানে একটা ছেলে হইয়াই আপনি কিছু করতে পারবেন না ঐখানে একটা মেয়ে একা কিভাবে এতোগুলার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে??
.
কেউ কইতাছেন পুলিশ এক্টিভ না। আমার কথা DU তে পুলিশ রাখতে কইছেও বা কেডা?? কারন ঐখানে পুলিশো অসহায়। চোখের সামনে অন্যান্য নরমাল দিনে DU তে কিলাকিলি হইতে দেখছি। পুলিশ আগায়া গেছে উল্টা হলের পোলাপাইন পুলিশের উপ্রেই চওড়া হয়!!
সিস্টেমটাই আগের থেকে বানায়া রাখছে এমন, তাই কোন ঝামেলা হইলে বুঝার উপায় নাই এইটাকি ভার্সিটি পোলাপাইনের গ্যাঞ্জাম না বাহিরের ছেলেপেলেদের। তাই অন্য মানুষদের মত পুলিশো আগায় না আর এটাই বাস্তব।
.
এবার অনেকেই কইবেন তাইলে কি কোন উৎসবেই যাবো না, মুখ বুঝে ঘরে বসে থাকবো?
আবেগের বশে যাইয়া মূল্যবান কিছু হারানোর চেয়ে ঘরের ছাদে ফ্রেন্ডদের নিয়া খিচুড়ি ইলিশ খাওয়া কি বেটার না?
.
আমি বিএমডাব্লুয়ালার ঘরে জন্মাই নাই এখন যদি বলি সুইজারল্যান্ডে আমার বয়সি পোলাপাইন বিএমডাব্লুতে চড়ে তাইলে আমি ক্যান চড়তে পারবো না?
পারা উচিত বাট পারমুনা কারন আমি সুইজারল্যান্ডের কোন বড়লোকের ঘরে জন্মাই নাই। বাংলাদেশের মিডেল ক্লাস এক ফ্যামেলিতে জন্মাইছি সো আমারে BMW এর সপ্ন বাদ দিয়া লোকাল বাসে ঝুলতে হবে। হয়তো কোন এক দিন BMW হইলেও হইতে পারে, আর না হইলেও আফসোস করার কিছু নাই কারন আমি মিডেলক্লাস বাঙ্গালী, কোন সুইডিস বা লন্ডনী না।
.
তেমনই জন্মাইছেন যেহেতু বাংলাদেশে সো বাংলাদেশ হিসাবেই চিন্তা করেন। দুবাই বা সুইজারল্যান্ডে মানুষ কিভাবে চলে, তাদের মেন্টালিটি কি, আঈন কেমন কঠোর, আমাদের এখানে এমন হইলে কি হইতো তার সাথে মিলায়া শুধু আফসোসই বাড়বে, লাভের বেলায় কিছুই হবে না।
.
এরপরো কথা আছে। হাজার সচেতন থাকার পরো কিন্তু অনেক এক্সিডেন্ট ঘটে। যদি এমন কিছু ঘইটাই যায় তাইলে মন খারাপ হবে সাভাবিক তবে বেশি মন খারাপ করার কিছু নাই।
আপনার সাইড থেকে আপনি ঠিক থাকার পরো আপনার সাথে অন্যায় কিছু ঘটছে কিন্তু সব শেষ হইয়া যায় নাই। শেষ বিচার বইলাও একটা দিন কিন্তু বাকি আছে। আপনার দোষ না থাকার পরো আপনার সাথে অন্যায় হওয়া মানে আপনার ডিপোজিট বাড়ছে। শেষ বিচারে সে আপনাকে এই অপরাধের মাসুল দিবে, যা ঐদিন আপনার জন্য বোনাস স্বরূপ হবে। grin emoticon
.
সো কিপ কাম এন্ড বি প্রাক্টিক্যাল।
.
(এডিটেডঃ আমি ভাই কাউরে সারা জীবন ঘরে বইসা থাকতে কই নাই। যা কইছি তা হইলো অবস্থা বুইঝা ব্যাবস্থা। আপনার যদি ২৫ কেজি আলগানির ক্ষমতা থাকে তাইলে ২৫ কেজিই আলগান, বীরত্ব দেখানির জন্য ৫০ কেজি আল্গাইতে গিয়া কোমড় ভাঙ্গার তো দরকার নাই। যখন ৫০ কেজি আলগাইতে পারবেন তখন ৫০ কেজি আলগাইয়েন grin emoticon )

শুক্রবার, ১০ এপ্রিল, ২০১৫

থার্ড পার্সন’

প্রায় পাঁচ-ছয় বছর আগে ফেসবুকে এক She এর সাথে পরিচয়। সম্পর্ক প্রথমে “আপনি” এর পর “তুমি” এরপর “তুই” এ এসে ঠেকলো। মোটামুটি বেস্ট ফ্রেন্ড বলা যায়। একজন আরেকজনের নাড়ি নক্ষত্রের সব খবরই জানে। স্টাটাসে লাইক কমেন্টের কারনে একজনের আইডি আরেক জনের ফ্রেন্ড লিস্টের সবার সামনে শো হয়।
.
এভাবে আমার ফ্রেন্ডলিস্টে এক ফ্রেন্ড He সেই She কে রিকু পাঠায়। অতঃপর তারাও প্রথমে “আপনি” এরপর “তুমি” এরপরে “তুমি”তেই আটকাইয়া যায়। তাদের মাঝে ফোন নম্বর বিনিময় হয়, দেখা হয়, কথা হয়, ঘুরা হয়, প্রেম হয়, ভালবাসা হয়, হ্যান হয়, ত্যান হয়, সব হয় লাস্টে ব্রেকাপ হয়ে একজন আরেকজনেরে ব্লকো মারে!!
.
অতঃপর সেই She এসে ইনবক্সে He এর সাথে ঘটা সব কাহিনী বলে, অন্যদিকে সেই He ও ইনবক্স/ফোনে She এর সাথে ঘটা সব কাহিনী বলে। আর আমি শুইন্না gasp emoticon হইয়া চিন্তা করি “এডি আবার কখন হইলো!!”
তো প্রবলেম হইলো, She এর মতে ‘সব দোষ he এর, ফালতু একটু পোলা’ আবার He এর মতে “সব দোষ She এর, ফালতু একটা মাইয়া!!”
.
আমি আর কি করুম, দুইজনেই যখন ফ্রেন্ড আবার দুইজনেই যখন দুইডারে ব্লক মারছে আবার দুইজনের মতেই যখন দুইজনে ‘ফালতু’ তাই আমিও শান্তনার স্বরে দুই জনেরেই বলি “আরে গেছে ভালো হইছে, বাইচ্চা গেছস”
.
কিন্তু কথায় আছে পঁচা ডিম প্রেমের মরা কোনডাই জলে ডোবে না। সো যতই নিজেগো গাইল্লাক তাঁরা ডুববে না।
.
কয়দিন পরে তাঁরা ব্লক খুলে। আবার তাদের সাথে দেখা হয়, কথা হয়, ঘুরা হয়, প্রেম হয়, ভালবাসা হয়, হ্যান হয়, ত্যান হয়, সব হয় সাথে এই অধমেকে নিয়াও আলোচনা হয়। 
.
এবং যখন একে অপরের মুখে শুনে আমি কইছি “আরে গেছে ভালো হইছে, বাইচ্চা গেছস” তাহারা দুইজনেই আমারে আনফ্রেন্ড/ব্লক মাইরা অতঃপর সুখে শান্তিতে বসবাস করিতে থাকে!!
.
.
হাল্লারপালারা, শুরু করলি সব আমার ছুতায়, আমি কাউরে কিছু করলামই না অখন দেখি লাস্টে আমিই বাদ!!! confused emoticon 
.
.
উপরের কাহিনিটা একদম রিয়েল, তয় এইটা একটা কাহিনী না। এই He এর জায়গায় She বা She এর জায়গায় He উলট পালট করে বছর এর পরিমান কমায় বাড়ায় দিলে এমন কাহিনী না হইলেও ১০-১৫ টা হইবো।
.
চাকরি কন, ব্যাবসা কন, আর যে কোন সম্পর্কের কথাই কন, সবসময় দেখবেন এই হালার থার্ড পার্সনডি আইয়া অলয়েজ আপনারেই ‘থার্ড পার্সন’ বানায় দিবো। 

বুধবার, ৮ এপ্রিল, ২০১৫

এক সময়ের বিরক্তি, আরেক সময়ের আসক্তি

ল্যাদা কালে ক্লাস ওয়ান থেকে ফাইভ পর্যন্ত পাঁচ বছরে আমি ৫বার স্কুল চেঞ্জ করছি। মগর একটা স্কুলেরো ড্রেস পছন্দ হয় নাই। স্কুলের প্যান্ট থাকতো কটকইট্টা নীল কালারের কিন্তু পছন্দ কালা প্যান্ট, তাঁর উপ্রে পকেটে পিন দিয়ে ব্যাচ লাগাইতে হইতো ঐটাও ভালো লাগতো না পছন্দ ছিলো পকেটেই এম্ব্র্যডারি করা ব্যাচ। আর সবচেয়ে বেশি মাইর খাইছি যেটার জন্য তা হইলো জুতা।
স্কুল ভেদে সাদা/নীল রং এর পিটি সু ছিলো, আর আমার পছন্দ ছিলো কালা শু।
.
কলেজে উঠার পরে বিএফ শাহীনের ভর্তি ফরমই উঠাই নাই শুধু তাগো ড্রেসকোড দেইখা। নীল শার্ট, হইলদা প্যান্ট (ঠিক হলুদ না, কাছা কাছি কালার) আর হেই বিরক্তিকর পিটি শু। আর আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজে ভর্তি হওয়ার কারণ ঠিক তাঁর উল্টাটা। ড্রেস উইথ আখেরাতের ময়দান মার্কা এলাকা।
.
এটা যে শুধু আমার চয়েজ তা না। আমার সাথে ফ্রেন্ডদের চয়েজ দেখতাম প্রায় একি রকম। মানে পিনের আলগা ব্যাচ, হলুদ/নীল প্যান্ট আর পিটি শু কারই দেখতাম পছন্দ ছিলো না। এডি পিন্দতে হইবো শুনলেই বিরক্ত লাগতো।
.
তো এগুলা ২০০৩-০৪ পর্যন্ত সময়ের কিচ্ছা। যুগ চেঞ্জ হইছে। এখন ২০১৫।
এখন পোলাপাইন বিয়া শাদি, অফিস, ডেটিং, মিটিং, কোচিং এ যায় কটকইট্টা লাল/নীল/হলুদ প্যান্ট পিন্দা।
শুধু সাদা বা নীল না আর কত রকমের স্কুলের হেই বিরক্তিকর পিটি শু পিন্দে যারে কয় এখন ‘কনভার্স’
.
ব্যাগে/পকেটে ১-২টা না, ১৪ রকমের ব্যাচ লাগায়।
এখন তো সাইকেলিস্ট, ফুডিস্ট, ফটোগ্রাফিস্ট থে শুরু কইরা ‘হ্যান ইষ্ট’ ‘ত্যান ইস্ট’ এমন কত্ত ‘ইষ্ট’ গ্রুপ বাহির হইছে, প্রথম প্রথম তো ভাবতাম আর্মি/স্কাউটের মত এডিও মনেহয় কোন ‘ইস্ট’ গ্রুপের রেংকিং এর নিশানী। পরে এক পিচ্চিয়ে কইলো এডি বলে ফ্যাশন, এই সবের প্রতিই নাকি এখন সবার আসক্তি colonthree emoticon
.
.
ওয়ান্স আপন এ টাইম প্রবাদ আছিলো ‘এক দেশের বুলি আরেক দেশের গালি’... এখন হয়তো প্রবাদো চেঞ্জ হওনের টাইম হইছে। কয়দিন পরে হয়তো কইবো, “এক সময়ের বিরক্তি, আরেক সময়ের আসক্তি” colonthree emoticon

রবিবার, ৫ এপ্রিল, ২০১৫

ভলভো না বলবো

“দোস্তওওও গাড়ী তো একটা কিনে ফেলাইছি” grin emoticon
< “কি গাড়ী কিনলি?”
.
“বলবো”
< “এখনই বল, কি গাড়ী কিনলি?”
“বইলেছিতো বলবো”
.
< “আরে বাপ বলবিই যখন, তো এখন বলতে সমস্যা কি? বল”
“ একবার বলল্লাম না বলবো ”
.
< “একটা গাড়ী কিন্না কি ভাব বাইড়া গেছে। গাড়ীর নামই তো জিগাইছি, গাড়ী নিয়া যামু তো কই না”
.
“আরেএএএ ভাব লিলাম কই?”
< “তাইলে গাড়ীর নাম কস না ক্যা?”
“কত্তবার কইরে বললাম বলবো, তোরে আর কতবার বলবো?”
grumpy emoticon grumpy emoticon
.
.
আসলে ব্যাডায় কইছে ওর গাড়ীর নাম ‘ভলভো’ (VOLVO) কিন্তু তাঁর উচ্চারন গত প্রব্লেমের কারনে ‘ভলভো’ হইয়া গেছে ‘বলবো’!! confused emoticon
.
তো আমার কয় দিন ধইরা মুখে ঘা, তাই আমার অবস্থাও অনেকটা এমন ঐ ‘ভলভোরে’ ‘বলবো’ কওয়ার মত।
.
নিজের কথা নিজেই বুঝি না মাইনষে যে আমার কথা শুইন্না মনে মনে কি গাইল্লান গাইল্লায় আল্লায় জানে frown emoticon

কুফা

সকালেঃ
কাজিপাড়ায় দাড়ায়া আছি, বাস যায় সিট খালি নাই। দাড়ায়া আছি, বাস যায় সিট খালি নাই। দাড়ায়া আছি, বাস যায় সিট খালি নাই। 
রাস্তা পার হইয়া উল্টা পাশে গেছি মিরপুর যাওয়ার জন্য দেখি এখন পর পর তিনটা বাস খালি গেছে, মগর আমি রাস্তার অপজিটে confused emoticon
.
বিকালেঃ
বনানীতে বাসে বইসা আছি বাসো জ্যামে বইসা আছে। বাসে বইসা আছি বাসো জ্যামে বইসা আছে। বাসে বইসা আছি বাসো জ্যামে বইসা আছে। 
হাব ভাবে কয় আইজগা সারা রাইত এমনি বইয়া থাকতে হইবো। বাস থেকে নাইম্মা ক্যান্টনমেন্ট দিয়া যাওয়া ভালো হবে।
নামলাম, বাস থেকে ৫-৭ গজ পিছনে গেলাম। ওত্তেরি জ্যাম গায়েব!!! সব গাড়ি দেখি কার রেইস লাগাইছে!! confused emoticon 
.
বুঝলাম না হালার কাহিনী, সকাল বিকাল এডি কি ঘটতাছে আমার লগে!! grumpy emoticon

শুক্রবার, ৩ এপ্রিল, ২০১৫

হ্যাপি আপা

ল্যাদা কালে বই এ পড়ছিলাম যুগে যুগে উপরয়ালা অনেক মনিষী পাঠাইছেন মানুষেরে লাইনে আনার জন্য আর এইযুগে মুখবই (ফেসবুক) এ দেখি বছর বছর নতুন পাগলের আমদানী হয় মাইনষেরে এন্টারটেইন দেয়ার জন্য squint emoticon 
.
ওয়ান্স আপন এ টাইম ফেসবুকের কোল জুড়ে এলো 'ভচ দ্যা আরিপ কান'। এই আরিফ খানের এন্টারটেইনের সাথে পাল্লা দিয়া আরিফ আর হোসেন/আরিফ জেবতিকেরাও পারে নাই tongue emoticon
.
এর পর আইলো জলিল সাব। তবে জলিল সাবে শুধু মুভি কইরাই শেষ, বাকি ট্রোল বানানির কাম ফেসবুকে আম জনতাই করতো। 
.
অতপর দেশে মডেলিং এ বিপ্লব ঘটাইতে আইলো নায়লা আপা। তারে অবশ্য "আমারে কেউ পছন্দ করে না" টাইপ নারী জাতীর পথ প্রদর্শক বলা যায়। বিদ্ঘুইট্টা ডিসপ্লে উইথ ইয়োলো জিকজ্যাক দাঁত নিয়াও যে সুপার মডেল হওয়া যায় তা নায়লা আপারে না দেখলে বুঝা যাইতো না। colonthree emoticon
.
১০ দিন ভুকা নাঙ্গা ছবির পরে একদিন ফুল ড্রেসে ছবি উইথ ইসলামের বানী সম্বলিত স্ট্যাটাস!! ব্যাপারটা কোন অংশে কম এন্টারটেইনিং না। তাঁর উপ্রে এখন আবার তারে ' ইটস হিউউউউউগ' 'মেসিইইইইভ' ডায়ালগয়ালা ভিডিও আপলোডানির ভূতেও পাইছে।
.
যাই হোক নায়লা আপার পরে চিত্র জগতের মাহি আপায় ফেসবুকে নিজেরে একটু অন্য ভাবে পরিচয় করায়া দেয়া শুরু করছে।
আগে জানতাম সুন্দ্রীগো ঘিলু মাথায় থাকে না থাকে হাটুতে (আগে এইডাই বিশ্বাস করতাম খালি ইরানী আপারে দেইখা বুঝচ্ছি কিছু কিছু সুন্দ্রির ঘিলু মাথাতেও থাকে tongue emoticon )
.
মাহি আপার ক্ষেত্রেও এর ব্যাতিক্রম না, ব্যাতিক্রম হইলো এগো ঘরের সুন্দ্রি বান্দ্রি সবার ঘিলুই যে হাটুতে থাকে তা তাদের পাগলা ফ্যামেলি পিক কয় দিন পর পর ফেবুকে আপলোড না দিলে জানতামই না!!
.
এন্টারটেইনের লেটেস্ট ভার্সন হ্যাপি আপা। ইনি মনেহয় উপরের সবার পাগলামীরে ছাড়ায়া গেছেন এমন কি এরশাদ কাকুও এর সামনে কিছুই না।
.
কি নাই উনার টাইম লাইনে? নায়লার মত আধা নাঙ্গা ছবি, মাহি/আরিপ কানের মত উদভট ছবি, তার উপ্রে সকাল বিকাল এরশাদিয় টাইপ ১৮০ ডিগ্রী পল্টিময় বক্তব্য।
আবার হুনলাম ক্লাস ফাইভ থেকে নাকি সনেটো লেখে!! গতকাল নতুন করে লেখালাখির ঘোষনা দিছে। confused emoticon
(আল্লাহ বাংলার কবি সাহিত্যিকদের শত বছরের সুনামটা অন্তত রক্ষা কইরো)
.
এমন এন্টারটেইনিং পার্সন আমি আইজ পর্যন্ত দেখি নাই, মনেহয় অন্য কেউও দেখে নাই। এই কারনেই ছয় মাস আগেও যেই হ্যাপিরে কেউ চিনতো না আজকে সে লাখপতি ফলোয়ার।
এই লাখপতি ফলোয়ারের মাঝে আমিও একজন হিসাবে গর্বিত।
.
দোয়া করি তোর পাগলামী দিন দিন বাড়ুক। ফলোয়ার লাখ থেকে কোটিতে গিয়া ঠেকুক, দেশ ও ঝাতি তোর 'সনেট' পইড়া হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খাক squint emoticon

বৃষ্টি-বর্ষা-শীলা

ঘরে থাকলে বৃষ্টি মজার, বাহিরে থাকলে বৃষ্টি প্যারার।
আজকের দিনটা আসলে প্যারারই। 
বৃষ্টিতে ভিজ্জা গাড়িতে উইঠা দেখি সিট ফাঁকা মগর রাস্তা ফাঁকা নাই!! গুলশান থে হাইটা ক্যান্টনমেন্ট পর্যন্ত আইলাম এলা রাস্তা ফাঁকা মগর গাড়ি একটাও ফাঁকা নাই!!! confused emoticon
বৃষ্টির মধ্যে আবার হাটা ক্যান্টনমেন্ট টু মিরপুর...
.
জীবন-যৌবন সব রাস্তায় ‘বৃষ্টির’ কাছেই দিয়া আইলাম ‘বর্ষার’ জন্য আর কিছু রইলো না।
ঐ দিকে বৃষ্টির সাথে ‘শীলা’ও আইছিল। আমার লগে ‘বৃষ্টি-শীলারে’ দেইখা ঘরের ‘বিজলী’ ৫ ঘন্টার জন্য গোসসা কইরা চাইলা গেছে!! এমন যাওয়াই গেছে জেনারেটরের ‘বিজলিরে’ হুদ্দাও নিয়া গেছে!!!
.
যা বুঝলাম প্যারা দিতে শুধু মাইয়া মানুষই না, মাইয়াগো নামের অন্যান্য আইটেমো কোন অংশে কম যায় না