শনিবার, ২৯ মার্চ, ২০১৪

বিভিন্ন সময়ে পেপারের কিছু খবরের হেডলাইন

বিভিন্ন সময়ে পেপারের কিছু খবরের হেডলাইন এমন থাকে....
.
১. “DSLR ক্যামেরার দিকে বেশি ঝুকছে তরুনেরা” .... ছবিঃ DSLR হাতে একটা মেয়ে!! 
.
২. “কম্পিউটার মেলায় তরুনদের উপচে পড়া ভিড়”..... ছবিঃ কয়েকটা মেয়ে ল্যাপটপ দেখছে!!
.
৩. “ফেসবুকে বেশি আসক্ত হয়ে পড়ছে তরুনেরা”..... ছবিঃ একটা মেয়ে তার পিসি তে ফেসবুক ব্রাউজ করছে!!
.
৪. “রক্তদান সহ সামাজিক দায়বদ্ধতার ব্যাপারে হাসি মুখে এগিয়ে আসছে তরুনেরা”..... ছবিঃ কয়েকটা মেয়ে শীতে দূস্থ দের কম্বল দিচ্ছে বা একটা মেয়ে রক্ত দান করছে।
.
৫. “সম্পর্কে স্থায়িত্ব রাখতে পারছে না তরুনেরা, তরুনদের মাঝে বাড়ছে হতাশা” ছবিঃ ছ্যাকা খাইয়া এক হতাশ মাইয়া মাথায় হাত দিয়া আছে বা মুখ লুকিয়ে কাদছে!!
.
৬. সর্বশেষ গতকাল প্রথম আলোর ক্রোড়পত্রে দেখলাম “এ সাপ্তাহের নায়ক” চিটাগাং ভার্সিটির এক আপু “তানজিনা উর্মি”... কুড়িয়ে পাওয়া এক বাচ্চাকে মায়ের কোলে তুলে দেয়ার জন্য তাকে “এ সাপ্তাহের নায়ক” বলা হয়েছে (তাঁর জন্য রিস্পেক্ট)

.
প্রশ্নঃ হোয়াট’স দ্যা মিনিং অফ ‘তরুন’ এন্ড ‘তরুনী’ অর ‘নায়ক’ এন্ড ‘নায়িকা’ ?
.

উত্তরঃ একোডিং টু পেপারের ছবি এন্ড হেডলাইন, ‘পোলা’ ইজ নোউন এজ “তরুনী” এন্ড “নায়িকা” এবং
‘মাইয়া’ ইজ নোউন এজ “তরুন” এন্ড “নায়ক” ...!!
.

মন্তব্যঃ বুঝতাছিনা এতদিন কি ভূল শিখলাম না সাংবাদিকেগো নতুন কইরা ক্লাস ওয়ানে ভর্তি করায়া জেন্ডার বিষয়ক তালিম দিতে হইবো!!!?

বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ, ২০১৪

এক ফ্রেন্ডের ফ্রেন্ডে এর সাথে নয়া পরিচয় হইছে ফেসবুকে

এক ফ্রেন্ডের ফ্রেন্ডে এর সাথে নয়া পরিচয় হইছে ফেসবুকে। তো গতকাল তার এঙ্গেজমেন্ট হলো। তার ওয়ালে শুভেচ্ছা জানায়া কিছু লিখতে গেছিলাম এমন সময় আম্মা রুমে ঢুকছে। মনিটরে ওর টাইমলাইন দেখেই জিগায়,

“ঐ এইডা কেডা?? আগে কখনো দেখছি বলে তো মনে পড়ে না।”
.
< “হুম দেখো নাই। এইটা বর্ষা।”
.
“নয়া জুটাইসোস না? আমি বুঝিনা তুই সুন্দর দেইক্ষা কারো দিকে নজর দিতে পারছ না ক্যান!!??? কইত্থে কাকের ঠেং বকের ঠেং কতডির দিকে নজর দেস!!”
.
< “আরি নজর দিলাম কই?? আর জুটামু কি? আমার আগেই আরেক জনে লইয়া গেছে। গতকাল এঙ্গেজমেন্ট হইয়া গেছে। হেইডার জন্য উইশ কইরা মেসেজ লিখতাছি হিতি ওয়ালে।”
.
“ও এঙ্গেজ হয়ে গেছে। আইচ্ছা ছবিটা একটু বড় করতো। এদ্দুর ছবিতে চেহারা বুঝতাছি না, চশমাটাও আনলাম না। বড় কর দেখি।”
.
প্রফাইল পিকটা বড় করে দেখালাম।

“মাশাল্লাহ মাশাল্লাহ, কি কিউট একটা মেয়ে। আমি তো ছোট ছবিতে প্রথম বুঝিই নাই। মেয়ে তো খুব সুন্দরী। (মাথায় একটা থাবর দিয়া) ধুরো বলদা, মিছ করছোস!! এরুম সুন্দরী কেউ হাতছাড়া করে!!! ধ্যাত, তুই কোন কামেরই না!!!”
.
আমারে হিংসিত কইরা দিয়া একটা বিটলা হাসি মাইরা আম্মায় রুম থে গেলো গা!!
.
.

বিঃদ্রঃ আমার মা জননী আমার সাথে কোন মেয়েকে দেখে যদি বুঝে যে এটা সিঙ্গেল তাইলে এই মেয়ের মত বিদঘুইট্টা পেত্নি দুনিয়াতে দ্বিতীয়টা আর নাই, যাতে আমি এইটার দিকে নজর না দেই 

আবার যদি শুনে এইটা এঙ্গেজ বা বিবাহিত তাইলে এইটাই মত হুর পরীও দুনিয়াতে আর নাই, যাতে আমি অতিব হিংসিত হই!!!

এই নোয়াখাইল্লা বুড়িডারে লইয়া কইযে যাইতাম...

সোমবার, ২৪ মার্চ, ২০১৪

এটা হজম করার ক্ষমতা আমার নাই....

Once upon a time আমি চরম লেভেলের মেন্টালি স্ট্রং ছেলে ছিলাম। আমার খুব কাছের মানুষজন মারা গেলেও আমার মনে তেমন কোন ছেদ ভেদ কাজ করতো না। “হায়াত শেষ মইরা গেছে, তো এতো কান্দনের কিছে!!!? কান্দলে কি ফেরত আসবে নাকি?? কান্দন্টাই লস প্রজেক্ট!!! একদিন আমিও এমন মইরা যামু!!!” এমন ছিল আমার চিন্তা ভাবনা।
.

আমার এক ফ্রেন্ড আছে, বেস্ট ফ্রেন্ড... ও আমার হাব ভাব মতি গতি সবই বুঝে like my mom (যদিও আমার একটা বলদামির কারনে ইদানিং সম্পর্ক খারাপ যাচ্ছে, I wish আবার আগের মত হইয়া যাবো আমরা। জাস্ট খারাপ টাইম টা পার হবার অপেক্ষায় আছি) তো তার মতে আমি নাকি চরম সেন্টু টাইপ পাব্লিক!!! ফার্স্ট যদিও আমি তার এই কথা ইগ্নোর করতাম বাট এখন দেখতেছি কথা আসলেই সত্য।
.

রুবেল কল করে বলল আমাদের এক ব্যাচমেটের মা মারা গেছে (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রজিউন)... ব্যাচমেটের সাথে আমার সম্পর্ক অনেকটা ফরমাল টাইপ, আর উনার মাকে আমি কোন কালে দেখিও নাই উনার সম্পর্কে জানতামো না। কিন্তু উনার ইন্তেকালের খবর শুনে অটো চোখে পানি চলে আসছে। আন্টির জন্য না (আল্লাহ আন্টিকে বেহেস্ত নসিব করুক), আসছে শোকরে!!
.

হয়তো আমার অনেক কিছুই নাই, অনেক কিছু থেকেই বঞ্চিত বা আমার সমবয়সী অনেকের থেকেই আমি অনেক ক্ষেত্রে অনেক পিছানো কিন্তু আল্লায় দিলে এখনও আমার বাবা মা সহি সালামতে সুস্থ ভাবে বেঁচে আছে যেটা অনেকেরই নাই 
.

যখন মারাত্মক ডিপ্রেসড থাকি, মাঝেমধ্যে সুইসাইডো করতে মনেচায় তখন এতো বড় ধামড়া পোলা হইয়াও জাস্ট আম্মার কাছে যেয়ে শুয়ে থাকি... সব ডিপ্রেশন গায়েব হয়ে যায়!!! মা জিনিসটা আসলেই একটা ম্যাজিক.....
.

আমার সব সময় একটা আজগুবি এবং সেলফিশ টাইপ উইশ আছে, কোন বাবা মাই যেন কোনদিন দুনিয়া ছেড়ে না যান!!!!!!!!
.

অন্তত আমার আগে যেন না যান.... এটা হজম করার ক্ষমতা আমার নাই....

রবিবার, ২৩ মার্চ, ২০১৪

আমার এক ফ্রেন্ডের পাশের বাসার এক পুচকি এসে বলতছে

আমার এক ফ্রেন্ডের পাশের বাসার এক পুচকি এসে বলতছে

> “সবাই শুনো, আমি এক পাতা ট্যাবলেট খাইছি, আমি একটু পরে মারা যাবো.....!!!”

< “তোরে কইলো কে যে ট্যাবলেট খাইলে মানুষ মারা যায়?”

> “আমি সিনেমায় দেখছি”

< “তা কি ট্যাবলেট খাইছস নিয়া আয় দেখি”

........

.........

.......

কতক্ষন পর ও একটা খালি সিভিটের পাতা নিয়া আসছে!!!!!!!!!!!!!!
 — feeling মাইরালাহ.

বুধবার, ১৯ মার্চ, ২০১৪

যেদিনি আমার কোন ভালো সময় কাটবে

যেদিনি আমার কোন ভালো সময় কাটবে যাকে বলতে পারেন মেমরেবল মোমেন্ট/ সুন্দর মূহুর্ত/ মজার টাইম......... সোজা কথা টাইমটা পাস হবার পর ফুরফুরা ফিল হয় এবং এমন টাইম আবার পাওয়ার ইচ্ছা হয়, ঠিক তার ২-১ দিনের মধ্যেই আমার উপরে যে কোন একটা ঠাডা পড়বে। ইহা অবধারিত।

তেমনি সোমবার এক ফ্রেন্ড বাসায় আসলো। অনেক্ষন আড্ডা মারলাম। যেখানে আমি আগে প্রতিদিন আইডিবিতে আড্ডা মারতাম সেখানে প্রায় ২-২.৫ মাস ঘরে বোরিং কাটানোর পর আবার অনেক্ষন আড্ডা মারা হলো।

এর পর প্রায় ৭-৮মাস পর এক কলেজ ফ্রেন্ডের সাথে ফোনে অনেক্ষন কথা হইলো। এর একটু পরেই আরেক ফ্রেন্ড অনেক দিন পরে ফোন দিল। নিজেকে খুব ফুরফুরা লাগছে... দিনটা ভালই গেলো 
তার মানে কপালে শনি ঘুর ঘুর করতাছে...........

পরদিন মঙ্গল বার রাতে কাজিনের থেকে আনা একটা এক্সপেন্সিভ ব্রান্ডের হেড ফোন হঠাত ভেঙ্গে গেছে!!! তার চেয়ে বড় কথা এটা কাজিনেরো না তার এক ফ্রেন্ডের!! ৪-৫০০ টাকার নরমাল জিনিস হইলে ব্যাপার ছিলো না... একটু দামী ব্রান্ডের তাই কইলজাও শুকায়া গেছে ঘটনা টা দেইক্ষা!! তার উপর বেকার পাব্লিক।

নিজের “গুড লাকের” উপর মারাত্মক মেজাজ খারাপ হইছে ক্যান আমার সাথেই সব সময় এমন হয়!! তার পরো মেজাজ ঠিক করলাম থাক একটা হেড ফোনই তো... ম্যানেজ করে দিবো।

আজ বুধবার। ফেভিলের একটা সুপারগ্লু দিয়া হেডফোনটা কনেক কসরত করে জোড়া দিছি। ২ মিনিটেই সুপার গ্লু জোড়া লেগে যায় ১০ মিনিট রাখলাম। এবার টেস্ট করে দেখার পালা ঠিক আছে কিনা।

কানে দিয়ে কতক্ষন ধুম ধারাক্কা গান শুনলাম সাথে খুশিতে রুমে হালকা ফ্ল্যাশ মব ও করে নিলাম 

গান শুনতে ভালই লাগতেছে.. গান শুনতেছি আর ভাবতেছি এইডা আসলে ঠাডা আছিলো না... তাইলে আমি এতো ফুরফুরা থাকতাম না। মাথায় তাইলে এখনো ঠাডা পড়া বাকি আছে। তাইলে কি হইতে পারে??

থাক এতো চিন্তা করে লাভ নাই। যখনের টা তখন দেখা যাবে। হেড ফোনটা খুলে রেখে দেই, আবারও ভাইঙ্গা যাইতে পারে...........

ও ত্তেরি হেড ফোন দেখি মাথার থে খুলে না!!!!!! তখন কি ১০ মিনিটেও সুপারগ্লু শুকায় নাই!!! এইডা কোন জাতের সুপারগ্লু!!!

ঠাডা তাইলে এইডা আছিলো..!!! এখন কি তাইলে আমারে বেল্লু হইতে হইবো!!!!!
মাম্মিইইইইইইইইইইইই আমিতো শেষ......... হেড ফোন হেড থে খুলে না ক্যাআআআআআআআআআ  

মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ, ২০১৪

মেয়েদের টেনিস খেলা চলছে...

এক ফ্রেন্ডের বাসায় তাহার রুমে বইসা আছি। পাশেই তাহার পুচকি ছোট ভইনের রুম। টিভি দেখতেছে মনেহয়। ভলিউম বাড়ানো। কিছুক্ষন পর শুনি “আহ... উহ... ইয়াআআআআআহহহ... আহ....!!!   ”

পুরাই মখা হইয়া গেলাম। ফ্রেন্ড নাস্তা নিয়া আইলো আর কইতাছি, “দোস্ত তোমগো বাসাটা খুব পছন্দ হইছে”

< “ব্যাটা গরীবের ঘর দেইক্ষা মজা লস??”

“আরে বাপ তোগো বাসার এনভারোমেন্টের কথা কইতাছি। মনেহয় যেন আম্রিকা আইছি। সবাই কোত্ত ফ্রিলি যা মনে চায় করে!! কোন শরম ভরম নাই  ”

< “মানে কি?   ”

“একটু কান পাইত্তা হুনো, পাশের রুমের টিভির থে কি সাউন্ড আসে!!”

টিভির সাউন্ড “আহ... উহ... ইয়াআআআআআহহহ... আহ....!!!”

ফ্রেন্ড পুরা অপ্রস্তুত হইয়া গেলো। “দোস্ত মাইন্ড খাইছ না.. আইজগা ওরেএএএ..”

ভইনের রুমের সামনে যাইয়া, “ঐ তুই কি করছ??”
< “ টিভি দেখি”

“অফ কইরা এদিক আয়”

< “আরে এখন আসা যাবে না, এক্সাটিং মোমেন্ট। কি বলবা বলো চোখ সরাইতে পারবো না..........!!!!!! মিস হয়ে যাবে!!!!! ”

ফ্রেন্ড আর অপ্রস্তুত হইয়া গেলো.... রাগে দুঃখে শেষে ক্রিকেট ব্যাট নিয়া ভইনের রুমে যাইয়া ওরে মনেহয় ছক্কা মারতে যাবে এমন সময় আমিও দৌড়ায়া ফ্রেন্ডরে ধরতে গেছি.... আর দুই জনেই টিভির দিকে চাইয়া বেকুব হইয়া গেলাম....

টিভিতে তখনো মেয়েদের টেনিস খেলা চলছে... “আহ... উহ... ইয়াআআআআআহহহ... আহ....!!!”

ছুডু ভুইনডা আমগো দিকে ভয়ে ফ্যাল ফ্যালায়া চাইয়া রইছে। এক্সপ্রেশন এমন
“ওগো সমস্যাডা কি”

রবিবার, ১৬ মার্চ, ২০১৪

একটারেও খালি পাই না ক্যাআআআআআআআআআআ

আমার কলেজ ভার্সিটি লাইফের কিছু রমনী ফ্রেন্ড কুলের সহিত চ্যাটের হাইলাইট’স দেখাই...

১. “কিরে ঐ এখনো বিয়া করছ না ক্যা? নাকি আমার কুলখানির কাঙ্গালী ভোজের অনুষ্ঠানের লগেই বিয়ার আয়োজন চালায়া দিবি চিন্তা করছোস??”

< “আরে বাল মন মত পোলা টোগায়া পাইনা, নাইলে কি আর বইয়া থাকি!!”

“৩ডা প্রেম কইরা তিন বার ব্রেকাপ কইরালাইছোস এখনো একটা জামাই সেট করতে পারলি না!! পরে বুইড়া থুত্তুইরা একটা বিয়া করন লাগবো কইয়া রাখলাম”

< “টেনশন কিয়ের। বুইড়া মইরা যাওয়ার পরে তুই আছোস না.... হের প্রপার্টিজ দিয়া তোর লগে সংসার করুম  ”

২. এইডার বিয়ার কথা মোটামুটি বহুত আগাইছে..

“হুনো বিয়ার পরে আমার সাথের চ্যাট মেসেজ সব ডিলিট মাইরা দিও। আমার তো আবার যারে তারে আইলাবু কইয়ালাওয়ার স্বভাব। ব্যাডায় মেসেজ চেক করতে গিয়া যদি এতো লাবু ইমু দেখে নগদ ডিভর্স দিব।”

< “ এতো চিন্তার কি আছে সোনাআআআআআআআআআআ। তুমি আছো না... ডিভর্স দিলে তোমার কাছে আইসা পড়ুম!!!!!!!  ”

৩. এইডা বিবাহিত.......

“ঐ সুসাইন্না ল দুইডা মিল্লা কোথাও ভাইজ্ঞা যাই!! দুইন্নাইদারি আর সহ্য হয় না!!!”

< “তাইলে তোর জামাইর কি হইবো?”

“ আরে ধুর... এইডারে লইয়া আর কয় দিন.. ভাল্লাগে না!!!!!!!”

< “তাইলে ঐডারে বিয়া করছিল ক্যা!!!?  ”

“ এইডার লগে যদি না বনে তাইলে তুই তো স্ট্যান্ডবাই আছোছি, এর লাইগাই একটা রিক্স লইছিলাম আরকি...!!!!!!!!  ”

হারামজাদিগো ডিভর্সের পরে সুসান ফার্স্ট চয়েজ ক্যাআআআআআআআআআআআআ............... বিয়ের আগে কি দোষ করছে!!!!!!!!!!! হেই সময় একটারেও খালি পাই না ক্যাআআআআআআআআআআ    

শনিবার, ১৫ মার্চ, ২০১৪

"যাত্রাবাড়ি টু মিরপুর-১০" এর দূরত্ব বেশি

ফেনী থেকে সকাল ৯:৩০ এ বাসে উঠে ঢাকায় যাত্রাবাড়ি এসে নামলাম ১২:৩০ এ। টোটাল সময় লাগলো ৩ঘন্টা।

যাত্রাবাড়ি থেকে ১২:৩০ এ রওনা দিয়ে মিরপুর-১০ আসলাম ৪:০০টায়!!! টোটাল সময় লাগলো ৩.৫ ঘন্টা!!!

সুতারাং "ঢাকা(যাত্রাবাড়ি) টু ফেনী" এর চেয়ে "যাত্রাবাড়ি টু মিরপুর-১০" এর দূরত্ব বেশি... (প্রমাণিত) 
 — feeling angry.

শুক্রবার, ১৪ মার্চ, ২০১৪

“দোস্ত আমি মনে হয় আর বাচুম নারে”

“দোস্ত আমি মনে হয় আর বাচুম নারে”

< “ক্যা? আজরাঈল কি তোরে SMS এ শুভেচ্ছা বার্তা পাঠাছে নি?”

“ঐ ফাইজলামি রাখ। ‘ওর’ বিয়া হইয়া যাইতাছে, আর আমার বুকে ব্যাথা বাড়তাছে আর তুই মজা লস!!!  ”

< “বুকের যে খানে হাত দিয়া রাখছোস, ব্যাথা কি ঐখানে?”

“হুম, প্রচন্ড ব্যাথা.... আর বাচুম নারে দোস্ত।”

< “আরে বাঁচবি। ট্যাবলেট খা, ঠিক হইয়া যাবে”

“কস কি?? এই সবের আবার ট্যাবলেট আছে নাকি!!!?”

< “আছে না?? অবশ্যই আছে। নাইলে সাইক্রেটিস্টেরা পাগল ঠিক করে ক্যামনে। ৮-১০ দিন সকাল-রাত ট্যাবলেট খা। ঠিক হইয়া যাবে। ”

“তাড়াতাড়ি ট্যাবলেটের নাম ক। আর পারতেছি না।”

< “এন্টাসিড খা!!”

“ঐ সবসময় তোর এই সব ফাইজলামি ভাল্লাগেনা........ ‘ও’ আরেক জনের হইয়া যাইতাছে আর হেই ব্যাথা সারাইতে তুই আমারে কস গ্যাস্টিকের ট্যাবলেট খাইতে!!!”

< “ ঠিকি তো আছে। বুকের ডাইন পাশে কি কখনো ‘ওর’ জন্য ব্যাথা করে নাকি?? ঐডা তো বাম পাশের কাম। ডাইন পাশ গ্যাস্টিকের জন্য বরাদ্ধ। তাছাড়া হারামীরা এতো তাড়াতাড়ি মরে না টেনশিত হইছ না   ”

সোমবার, ৩ মার্চ, ২০১৪

T20 ওয়ার্ল্ড কাপ উপলক্ষে

T20 ওয়ার্ল্ড কাপ উপলক্ষে বাসায় সামনের রাস্তার ম্যানহোল/ড্রেন গুলার ঢাকনা খুলে কয়দিন অনেক পয় পরিস্কার আভিযান চলেছে। কাজ শেষে রাস্তার ম্যানহোল গুলার উপরে গ্রিলের ঢাকনা লাগায় দেয়া হইছে যাতে বৃষ্টি হবার সাথে সাথেই পানি নেমে যেতে পারে, কোন প্রকার জলাবদ্ধতার সৃস্টি না হয়। 

এরপর কয়দিন হাইফাই হেভি যন্ত্রপাতি আইনা হাইওয়ের লাহান স্মুথ রাস্তাটার উপরে আবার কার্পেটিং করে পুরা মাক্ষন মার্কা রাস্তা বানায়া ফেলা হইছে। অনেকটা মোজাইক ভাইঙ্গা টাইলস লাগানোর মত অবস্থা।


গত কয়দিন দেখি মাক্ষন মার্কা রাস্তার মাঝখানে ভাঙ্গা হচ্ছে!!! গ্রিলের ম্যানহোলের ঢাকনা গুলান এর উপর পিচ ঢালাই দেয়াতে ম্যানহোলের ভিতরে ঢালাই এর মসলা পড়ে ম্যানহোল বন্ধ হয়ে যাবার অবস্থা!! রাস্তা ভেঙ্গে ঢাকনা খুলে তা আবার পরিস্কার করে আবার................

আসলে হেরা করতে চায়টা কি? ট্যাকা কি আজকাল গাছে ধরে নি??? 

রবিবার, ২ মার্চ, ২০১৪

নীলক্ষেতে বই কিনতে গেছিলাম। সাথে আরেক ফ্রেন্ড Kaniz Iffat Toma যাওয়ার কথা আছিলো কিন্তু অনিবার্য কারন বসত তার যাওয়া হয় নাই তাই তার টাও লগে কইরা কিন্না আনতে গেছি।

তো প্রায় সব দোকানেই “প্রফেসর্স” এর বই এর দাম চায় ৪০০-৪২০ (এটা আরেক জনে কিনছিলো ৪৬৮ টাকা দিয়ে সো দাম কমই মনে হইলো তাও আরো কয় দোকানে দাম দেখলাম) আরেকটা বই “ওরাকল” দাম চায় ২৮০-৩০০।

কিছুক্ষেন পরে একটা দোকানে “প্রফেসর্স” চাইলো একদাম ৩০০ আর “ওরাকলের” টা ২৫০!! বই গুলান একটু ঘাইটা দেইক্ষা সাথে আরো একটা বই সহ দামাদামি করে ৫৯০ এ কিনে নিলাম ৩টা বই।

ফুঠপাতে এক দোকানে দেখি ঐ দুইটা বই, দোকানদার এক পিচ্চি। সম্ভবত নোয়াখাইল্লা। জিগাইলাম,

“ঐ বই এইটা কত রে?”

< আমার ব্যাগের দিকে তাকায়া “আন্নে তো একবার ইগা কিনছেন, আবার দাম জিগাই কিরবেন?”

“ক্যা একবার কিনলে কি দাম আর জিগান যায় না নাকি?”

< “তা জায়। তো কত দি কিনছেন “ফ্রফেসর্সের” ইগা?”

“৩০০ টাকা”

< “   ওরে কিয়া গো কন ইগিন!!! তিনশওওওওও!!! ফাগল নি কোনো আন্নে?? এগুন তো আন্ডা (আমরা) দুইশ হত্তুর (২৭০) করি বেঁচি!! আর হিগা(ওরাকল) কত দি কিনছেন?”

“এইটা ২৪০/- ”

< “ও মারে মাআআআআআআ দেখিছো নি কারবার!! আন্নেতো দেইয়ের হুরা বেক্কলেয়েনা!! ইগা আন্ডা ১৮০ করি কিনি। ২৪০ বাড়ীড় কাছের কথা!! আহাইরে আন্নেরে তো হুরা খাই দিছে!! এইচ্চা বেক্কলামি মাইনষে করে?? আহাইরেহ তু তু তু তু... বহুত ট্যায়া লই গেছ!!”

“আইচ্ছা বাদ দেও, ঐ ৮-১০ পেইজ এর শিটটা কত?”

< “এন্নে ৪০ টেয়া করি বেচি, আন্নে তো বহুত ঠকি আইছেন। যান আন্নের লাই ৩০ টেয়া।”

“ব্যাটা এইটা ফটোকপি করলে লাগবোনা ১০টাকা তুই দাম চাছ ৩০টাকা!! ”

< “আইচ্ছা ১০টেয়া দিয়েন, লই যান!!!”

“১০টাকায় যখন দিবি তো একটু আগে এতো দরদ দেখায়া ৩০টাকা চাইলি যে??”

< “আরে এইচ্চা বেকুফ ফাঁইলে কনে ছাইড়বো, তাই আঁইও এক্কানা বাজাই চাইলাম আঁরি। অন তো দেইয়ের বুদ্ধি খুলি গেছে, আন্নেরে বুদ্ধি দিও ভুল কইচ্চি!!”
 
 — feeling ফিউর ইনষাল্টিত.