শুক্রবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০১৩

মা

এক লোক তার গাড়ি পার্ক করে এক ফুল দোকানে গেল। সেখানে তিনি তার মায়ের জন্য কিছু ফুলের অর্ডার দিলেন এবং ঠিকানা দিলেন কোথায় পাঠাতে হবে। তার মা তার থেকে প্রায় ২০০ মাইল দূরে থাকেন। সেখানে ফুলগুলো পাঠানোর জন্য বললেন তিনি।

অর্ডার শেষে যখন গাড়ির কাছে আসলেন দেখলেন যে , ছোট্ট এক মেয়ে গাড়ির পাশে বসে কাঁদছে। তিনি জিজ্ঞেস করলেন কাঁদছো কেন?
মেয়েটি বললো যে, সে তারা মায়ের জন্য একটি গোলাপ কিনতে চায়। কিন্তু তার কাছে টাকা নেই। লোকটি মেয়েটিকে দোকানে নিয়ে গেল এবং ফুল কিনে দিল। এরপর বললো যে, তোমাকে আমি নামিয়ে দিতে পারবো যদি তুমি চাও। মেয়েটি গাড়িতে উঠে বসলো।

লোকটি জিজ্ঞেস করলো কোথায় নামবে?
মেয়েটি কাছেই একটি কবরস্থানের কথা বললো। লোকটি কবরস্থানের কাছে নিয়ে গেল। অবাক হয়ে বললো, এখানে কোথায়! মেয়েটি কিছু না বলে গাড়ি থেকে নেমে নতুন একটি কবরের দিকে এগিয়ে গেল। ওখানে ফুলটি গেঁথে দিয়ে বললো, "আমি তোমাকে ভালোবাসি 'মা'"

লোকটির চোখে পানি চলে আসলো। সে আবার আগের ফুল দোকানে গেল, তার অর্ডারটি বাদ দিলো এবং ফুলের একটি তোড়া কিনলো। এরপর চললো ২০০ মাইল দূরে মায়ের কাছে।

সবাই মা-কে ভালোবাসুন। কখনো মা-কে কষ্ট দিবেন না। যতটা পারুন মা-য়ের সাথে দেখা করুন। কেননা এইমা-ই একসময় আপনাকে চোখে চোখে রাখতো। হয়তো সামনে আপনি চাইলেও এই মা-কে আর এক পলক দেখতে পাবেন না।

অসাধারন না বেসাধারন



কিছু মানুষের সাথে চলাফেরা করে যা বুঝলাম, শিক্ষিত হওয়া ভাল কিন্তু বেশি শিক্ষিত হওয়া ভালো না।
অতি শিক্ষিত মানুষ একটা সাধারন জিনিসকে অসাধারন ভাবে বুঝতে গিয়ে তাঁরা তা “বেসাধারন” বানায়া ফেলে।
সব কিছু এতো বেশি বুঝে যে বুঝতে বুঝতে “বুঝা” কি জিনিস তাই ভুইল্লা যায়গা...!!

আগুন ছাড়া রান্না :P



আমাদের বসের এক ফ্রেন্ড ঢাকার একটা 5 star হোটেলের সিনিয়র লেভেলের শেফ। তো উনি একদিন স্যারকে ফোন করে বললেন যে ওই দিন রাতে একটা টিভি চ্যানেলের রান্নার অনুষ্ঠানে তাকে দেখানো হবে। তিনি সেখানে রাঁধবেন।
তো স্যার সেই দিন সেই অনুষ্ঠান দেখলো। 

কিছু দিন পর ওই শেফের সাথে স্যারের যখন দেখা হল শেফ বলল, “কিরে আমার ওই দিনের রান্নার অনুষ্ঠান টা দেখছিলি?”
স্যার বলে, “হুম, আমি তো দেখছি সাথে পুরা দুনিয়া দেখছে যে তুই আস্তো এক ডিশ বানাইয়া ফেলছোস কিন্তু চুলায় আগুনই ধরাছ নাই....!! আবার কইলি ওই খারাব বলে ইয়াম্মি টাইপ টেস্টও হইছে...!!”
…..

…..

…..

চ্যানেলয়ালাগো কপাল ভালো টিভিতে শুধু দেখা যায়, খাওয়ার টেস্ট পাওয়া যায় না। নাইলে পাবলিকে ওগোরের ওভেনে বেক হওয়ার টেস্ট কি জিনিস বুঝাইয়া দিত।

পাগল বনাম MLM



বাংলাদেশের MLM ব্যাবসা আর তার প্রতি মানুষের আগ্রহ দেখে একটা কৌতুক মনে পড়লো।

একদিন এক পাগল রাস্তায় দাঁড়িয়ে চিল্লাচ্ছে, “পাঁচ, পাঁচ, পাঁচ, পাঁচ, পাঁচ, পাঁচ”
তো একজন পথচারী তাকে দেখেই বুঝেছে যে তার মেন্টাল প্রব্লেম আছে তার পরো তার কাছে গিয়ে জিজ্ঞাস করছে, “ভাই আপনি পাঁচ পাঁচ পাঁচ পাঁচ করছেন কেন? এর মানে কি?”

তো পাগলটা তাকে কাছেই একটা ডোবার পাশে নিয়ে গেল আর ধাক্কা দিয়ে ডোবায় ফেলে দিল এবং আবার চেঁচানো শুরু করলো “ছয় ছয় ছয় ছয় ছয় ছয়”

আমগো দেশের মানুষও তাই। জানে যে এইসব লোভনীয় ফাদে পাড়া দিলে কপাল পুড়বে তাও আবার জাইন্না শুইন্না ভুল করে।

কলেজ পালানো




ইন্টার ফার্স্ট ইয়ারের কথা। আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজে পড়তাম। আর্মি দের কলেজ। তাই প্রথম প্রথম একটু ভয়ে ভয়ে থাকতাম।  পড়া পারি আর না পারি সব সময় ডিসিপ্লিন ঠিক ভাবে মানতাম। ব্যাগ ভর্তি করে সব ক্লাসের বই খাতা নিয়ে আসতাম। পুরা কিন্টারগার্ডেনের পোলাপাইনের মত

তো এক-দেড় মাস পরে কইলজায় একটু একটু পানি আসছে। অনেক বার স্কুল পালাইছি কিন্তু এখনো কলেজ পালানো হয়নি। কলেজ না পালাইতে পারলে কলেজে পড়ার কোন মানেই হয় না...!! :P

আদমজী কলেজের চার পাশেই মোটামুটি উঁচা করে কাটা তারের বেড়া দেয়া। আর গার্ড তো আছেই। খুজতে খুজতে একদিন একটা পালানোর পথ পেলাম। আমাদের ক্যান্টিনের পিছনেই আদমজী স্কুলের পিছনের গেইট। ওই গেইট দিয়ে কিছু দূর গেলেই একটা কংক্রিটের বাউন্ডারী দেয়াল। ওইটা পার হতে পারলেই কাম সারা। শুধু কেউ না দেখলেই হয়।

তো একদিন কয়েক ফ্রেন্ড মিলে কলেজ পালানোর প্ল্যান করেছি। ওইটাই প্রথম কলেজ পালানো। প্ল্যান মত স্কুলের গেইট দিয়ে ঢুকে বাউন্ডারী পর্যন্ত গেলাম। কিন্তু দেখলাম বাউন্ডারীটা একটু উঁচা, আর কাধে ভারী ব্যাগ নিয়ে ওই দেয়াল পার হওয়াটাও মুশকিল। বাউন্ডারির ওপারে তৎকালীন প্রধান্মন্ত্রী খালেদা জিয়ার বাড়ির রাস্তা। সুতারাং ওই রাস্তার সিকিউরিটি অনেক। তাই সবাই কে বললাম, “এককাজ কর, ব্যাগ আগে দেয়ালের ওপাশে ফেলে দেই। ওখান থেকে কেউ নিবে না। এর পর দেয়াল পার হই। তাহলে সুবিধা হবে”

সবাই তাই করলো। এর পর দৌড়ে এসে এক লাফে দেয়ালের উপর উঠলাম। দেয়ালের উপর উঠেই তো আমার মাথায় হাত।
দেয়ালের ওই পাশে যে ইয়ায়ায়ায়া বড় এক ড্রেন আছে তা তো জানতাম না.....!! সুতারাং যা হবার তাই হইছে। ব্যাগ যা এপার থেকে ওপারে ফেলছিলাম তার বেশির ভাগই এই ড্রেনে পরছে।

আর ডানে বামে দেয়ালের উপর বসে থাকা আমার ফ্রেন্ডরা আমার দিকে দাত কামড়িয়ে যেভাবে তাকিয়ে ছিল মনেহয় আজকে আমাকে এই ড্রেনেই কবর দিবে। যেহেতু গোবর ভরা বুদ্ধিটা আমার মাথা থেকেই বের হইছিল :/