সোমবার, ৩১ আগস্ট, ২০১৫

গ্লো গ্লো গাল


ব্যাংকে গেলে ব্যাংকারেরা আমার দিকে এক্সট্রা এটেনশনদেয়। আমারে গ্লো গ্লো গাল বেশি সময় ধরে দেখার জন্য হুদাই হাজারটা প্রশ্ন করে টাইম ওয়েস্ট করে, ডাইনে বামের অন্যান্যরা আমার দিকে ত্যারা চোখে চায় 
সরকারী অফিসে গেলে সবাই আমাকে এই টেবিল হতে সেই টেবিলে টানাটানি করে। 
.
আর কয়দিন যাবত এখন পারলে প্রতি গলিতে গলিতে পুলিশে আমারে রিক্সা/সিএনজি থামায় জিজ্ঞাসাবাদ করে!!
.
জানি নিন্দুকেরা বলবে আমার রৈদে পুড়া গাঞ্জুট্টি মার্কা চেহারার কারনে জনগন এমন করে।
তাঁরা তো এমন বলবেই, বিকজ হেটার্স গনা হেইট 
.
যাইহোক গুলশান থাকায় এক সুন্দ্রি অফিসার আছে। মাঝে মধ্যেই দেখি এঙ্গেলিনা গলির মত কোমরে পিস্তল নিয়া গলির সব ফুঠপাত উঠায় দেয়। ডরে সামনে যাইবার পারিনা না 
.
মগর ইদানিং গুলশানের অলি গলি দিয়া যাওনের সময় তাঁর চ্যালাব্যালারা যেমনে আমার দিকে বদ নজর দেয় মনেহয় শিগ্রই সুন্দ্রী অফিসারের লগে সাক্ষাত হইয়া যাইবো।
.
তয় সাক্ষাতের সময় আমি থাকমু চৌদ্ধ শিকের ভিত্রে হ্যান্ডকাপ পিন্দা আর লেডী চুলবুল পান্ডে থাকবো ডান্ডা হাতে, এর পরে যে কি ইতিহাস রচিত হইবো একমাত্র উপয়ালাই জানে 

বৃহস্পতিবার, ২৭ আগস্ট, ২০১৫

ব্যাংকে টাকা থুইতে গেলে বা উডাইতে গেলে

ব্যাংকে টাকা থুইতে গেলে বা উডাইতে গেলে ব্যাংকারডি যেমনে সন্দেহজনক দৃষ্টিতে চায় মনেহয় যেন ট্রাঞ্জেকশন করতে যাই নাই বিশাল কোন অপরাধ করতে গেছি  
.
তাঁর উপ্রে কতডি আছে হেগো সামনে গেলে তো মনেহয় রিমান্ডসেলে আইছি।
.
একাউন্ট এটা আপনার? না অন্যের ? না অফিসের? টাকা কি আপনার না অন্যের? নাম কি আপনার? ফোন নাম্বার কি আপনার? সাইন কি আপনার? কোন ব্রাঞ্চে একাউন্ট? সাইন আগের চেয়ে একটু বাকা লাগতেছে , উহু মিল নাই মিল নাই (৪৫ ডিগ্রীর জায়গায় পৌনে ৪৬ ডিগ্রী বাকা হইছে সাইন) আরো দুইটা সাইন দেন.......... উহু কেমন জানি, আরেকটা সাইন দেন... আপনার একাউন্ট তো? অকে ২ মিনিট দাড়ান স্যারের কাছে দিচ্ছি......... (২ মিনিট কইয়া হের পরে ১৫ মিনিট)
.
.
আব্বে হালায় তোমার চোক্ষের সামনে যেই পিসিডা আছে হেইডায় কি ঘোড়ার আন্ডাডা সেইভ কইরা থুইছো যে প্রতিবার গেলে ২ ঘন্টা ওয়েট করনের পরে আরো ২০০ প্রশ্নের এনাসার দিয়া টাকা ডিপজিট/উইড্রো করন লাগে 

বুধবার, ২৬ আগস্ট, ২০১৫

আজিব দেশ, আজিব কালচার

১. “নার্গিসের ছেলে ফরিদ kfc তে ম্যানেজার পোস্টে জব করে আর ধামড়া তুই কি করছ?”
.
< “আমারে দিয়া জব হবে না। আমি ব্যাবসা করুম ফ্রাইড চিকেনের। ভালো চলে এখন। ভাল লাভ”
.
“তোরে গ্রেজুয়েশন করাইছি কি মুরগীর দোকানদারী আর বাবুর্চিগিরি করার জন্য?? এইডা কোন লেভেল হইলো?? পোলা কি করে জিগাইলে কি কমু মাইনষেরে? কে বিয়া কররে এই মুরগীয়ালারে?? এর চেয়ে ফরিদ কে সিভি টা দে, দেখ ও তরে kfc তে কোন ভালো পোস্টে জব টব দিতে পারে কিনা squint emoticon ”
.
(ভাজা মুরগীর (ফ্রাইড চিকেন) দোকানের কোট টাই পিন্দা গোলামের ‘লেভেল’ আছে মগর ভাজা মুরগীর দোকানের মালিকের ‘লেভেল’ নাই!!! confused emoticon )
.
.
২. “কিরে ভইন তোর মাইয়ার বলে বিয়া??”
< “হুম সামনের মাসে, দাওয়াত পাইয়া যাবি”
“তো ছেলে কি করে?”
< “ ছেলে এমেরিকা থেকে আসছে”
.
“মাশাল্লাহ মাশাল্লাহ। আমার বলদডারে আর মানুষ করতে পারলাম না। কি সারা রাইত ল্যাপটপ নিয়া পইড়া থাকে, এইটা থেকেই নাকি ঘরে বসে ডলার কামায়!! এইডা কোন কাম হইলো? কত্ত কইলাম এমেরিকায় তোর মামার কাছে কাগজ পত্র পাঠা দেখ ভিসা পাইলে তো গতি একটা হইয়াই গেলো। শুনলো না”
.
(‘আম্রিকা থেকে আইছে’ এইডাও একখান প্রফেশন!! বাট ফ্রিল্যান্সিং করে দেশে বসে আম্রিকান ডলার কামানো কোন প্রফেশন না!! squint emoticon )
.
.
উপরের দুইটাই সত্য ঘটনা শুধু নাম আর কথাগুলা একটু ঘুয়ারা প্যাচায়া দিছি। প্রায় একি রকম আরো কিছু কাহিনি জানি।
.
এক ভাইয়ে চালের আড়তের মালিক সাথে আরো ব্যাবসা আছে এবং সেখানে অনেকেই জব করে যা দিয়ে আরো কিছু মানুষের পেট চলে।
আরেক ভাই ব্যাচে স্টুডেন্ট পড়ায়া মাসে লাখ টাকা কামায়, আরেকজন ফ্রিল্যান্সিং করে হাজার ডলার ইনকাম করে ঘরে বসেই।
.
বাট বিয়ার সময় এদের সবাইরে এই লাখ টাকার ফ্রিডম কাজ হাইড কইরা হাজার টাকার ৯টা টু বস যতটায় ছাড়ে ততটা পর্যন্ত কর্পোরেট গোলামীর জব নিতে হইছে। ফ্রিডম কাজ করা পোলাপাইনেরে বলে মাইয়ারা বিয়া করবার চায় না!!। colonthree emoticon
.
ঝাতির বিবেক ঝান্তে চায় কোন মেয়ের সাথে কি আসলেই কোন ছেলের বিয়া হয় না ছেলের “শো অফ প্রফেশনের” এর সাথে বিয়া হয়??
.
হালার কোন কালে না কোন কালে বিয়া হইবো তখন পাত্রী পক্ষকে কি বলবে এই কারনে নিজের পছন্দের প্রফেশনে যাওন যাইবো না, পাত্রী পক্ষের ডিমান্ডের প্রফেশন বাইচ্ছা নিতে হইবো!!
.
আজিব একখান দেশ আমগো, আজিব মানুষ আমরা, আজিব আমগো চিন্তাভাবনা, পুরাই আজিব কালচার!! squint emoticon

রবিবার, ২৩ আগস্ট, ২০১৫

পুরান ঢাকার বাসিন্দা

পুরান ঢাকার বাসিন্দাগো আমার আয়রন ম্যানের বংশধর মনেহয়, তা নাইলে এই জায়গায় বেশি দিন সারভাইব করা পসিবল না।
.
নবাবপুর থেকে বংশালের জন্য রিক্সায় উঠছি। আমি অতি অস্থির পাব্লিক, নরমালি জ্যাম বেশি হইলে নাইম্মা হাটা ধরি দূরত্ব যতই হোক না ক্যান।
.
মগর মাশাল্লাহ দিলে যেই জ্যাম, আমি রিক্সার থে নাইম্মা হাটুম কি ঐ জায়গায় কুত্তায় ল্যাজ নাড়াইতে হইলেও তারে উপরে নিচে নাড়ান লাগবো, ডাইনে বামে নাড়ানিরও জায়গা নাই!! squint emoticon
.
পুরান ঢাকার মাইনষের এতো টাকা, দুই পাশের ড্রেনের উপ্রে ডাকনা দিলে কি এমন পাপ হয়রে ভাই? একটু হাটনের জায়গা তো পাওন যায় squint emoticon
.
.
(বিঃদ্রঃ কাউরে আন্ডারস্টিমেট করার জন্য কই নাই, যা দেখছি তাই কইছি। আমি মিরপুর এরিয়ায় থাকি এন্ড নো অফেন্স আমগো এলাকা ঢাকা শহরের সবচেয়ে ফয়িন্নি এন্ড খেইত্তা এলাকা colonthree emoticon )

শনিবার, ২২ আগস্ট, ২০১৫

সানি লিওন কেডা??

এক চাচায় এক পিচ্চিরে জিগায়, ‘আইচ্ছা অনেকের মুখে সানি লিওনের নাম শুনতাছি। এয় কেডা?’
.
মানুষ সামাজিক জীব। এখন ময়মুরুব্বির সামনে অসামাজিক কথা কওয়াডা শরমের ব্যাপার।
তাই স্মার্ট পিচ্চি একটু ঘুরায় উত্তর দিছে, “সানি লিওন হচ্ছে সে যার বিমান চালানির লাইসেন্স আছে কিন্তু এখন রিক্সা চালায়!!”

মঙ্গলবার, ১৮ আগস্ট, ২০১৫

মাই ডিয়ার এক্স আনস্মার্ট মোবাইল

মাই ডিয়ার এক্স আনস্মার্ট মোবাইল,
.
লোকমুখে শুনতাম ফকিন্নি অবস্থায় বউ/গার্লফ্রেন্ড চিনা যায়। কথাটা অনেক ক্ষেত্রেই সত্য কিন্তু ফকিন্নি অবস্থায় যে মোবাইল ফোনও চিনা যায় তা তুই না থাকলে কইখনোই বুঝতাম না grumpy emoticon 
.
একটু নাহয় আমি টাইট সিচুয়েশনে আছি, আয়ের চেয়ে নাহয় লোন একটু বেশিই রয়ে গেছে তাই বলে এমনে খাড়ায় পল্টি মারা মানায়??? যে সময় সাপ্তাহে ১টা কল আসতো না তখন পুরা ঠিক।
এখন দিনে ১০০ উপর কল আসে আর এখন তোর কথা হুনন যায় না, উল্টা মাইনষের গাইল খাইতে হয় grumpy emoticon
.
নষ্ট হওয়ারো তো একটা টাইমিং আছে। পকেট যখন মাইনাসে তার উপ্রে এক্কারে ওয়ারেন্টি শেষের সময় নষ্ট হইতে হইবো। এখন ট্যায়া পামু কই ঠিক করানির লাইজ্ঞা?? grumpy emoticon
.
কথায় আছে হাতি যখন খাদে পড়ে তখন পিপড়াও লাত্থি মারে। আজকে বাসের সাথে বাড়ি খাইয়া আমার রিং ফিঙ্গার ফাইটা গেছে আর তুই আতকা খুশিতে অটো রিংটোন বাজাইছোস!! grumpy emoticon
.
মনে রাখিস সখিনা (সিম্ফনি থেকে সখিনা) এক বর্ষায় বৃষ্টি যায় না। আর এখন তো সারা বছরই বৃষ্টি হয়। দিন আমারো আইবো। আমার রিং ফিঙ্গার ফাটলে কি হইবো খুইল্লা তো আর পইড়া যায় নাই squint emoticon
.
একদিন হেই ফিঙ্গারে তোর সামনে দেখায় দেখায় আমি গোল্ডের কেসিং এর আইফোন ফিতার ঝুলায় যদি না ঘুরাইছি তাইলে জিন্দেগীতে আর মোবাইলে ট্যাকাই ভরুম না, ইয়াদ রাখিস squint emoticon
.
ইতি
তোর এক্স আনস্মার্ট বিএফ 

রবিবার, ১৬ আগস্ট, ২০১৫

‎সুসানরেইন্সের_ভুংভাং_ক্লাস‬ পার্ট-২

আপনে বেকার, মাইনষে আপনারে অকর্মা কইয়া খোচাইবো
আপনে জব করেন, মাইনষে আপনারে কামলা কইয়া খোঁচাইবো
আপনে ব্যাবসা করেন, মাইনষে আপনারে জবের অযোগ্য কইয়া খোঁচাইবো 
.
আপনে বিয়া করেন নাই, মাইনষে আপনারে আইবুড়া কইয়া খোঁচাইবো
আপনে বিয়া করছেন, মাইনষে আপনাগো ‘মানায় নাই’ খোঁচাইবো
.
আপনের টাকা নাই, মাইনষে আপনারে ফয়িন্নি কইয়া খোঁচাইবো
আপনে টাকায়ালা, মাইশষে আপনারে ‘হেই দিনের ফয়িন্নি’ কইয়া খোঁচাইবো
.
আপনে চেহারায় মেকাপ দিছেন, মাইনষে আপনারে ফেইক রুপসী কইয়া খোঁচাইবো
আপনে মেকাপ দেননাই, মাইনষে আপনারে খ্যাত কইয়া খোঁচাইবো
.
আপনে A+ পান নাই, মাইনষে আপনারে ডাল স্টুডেন্ট কইয়া খোঁচাইবো
আপনে A+ পাইছেন, মাইনষে আপনারে গোল্ডেন না পাওয়ার জন্য খোঁচাইব
আপনে গোল্ডেন পাইছেন, ‘গোল্ডেন তো এখন গরু ছাগলেও পায়’ কইয়া মাইনষে আপনারে খোঁচাইব
.
আপনে সুন্নতি তরিকায় চলেন, মাইনষে আপনারে টিটকারির সুরে ‘মোল্লা’ কইয়া খোঁচাইব
আপনে হাঙ্কি পাঙ্কি হইয়া চলেন মাইনষে আপনারে খারাপ মানুষ কইয়া খোঁচাইবো
.
মানে সব ক্ষেত্রেই দেখবেন, আপনি উপরে যেতে থাকলে মাইনসে আপনাকে খোঁচায় হোক আর যেভাবেই হোক নিচে নামায় দেয়ার চেষ্টা করে। আর আপনে যদি নিচে থাকেন তাইলে আপনাকে পাড়ায় আর নিচে নামায় দেয়া হয়।
.
কিন্তু সবাই এমন করে ক্যান? এর কারনটা কি?
.
আসলে এই সৌরজগতের বাঙ্গালী নামে এক প্রজাতি একটা সূত্র ধরে চলে।
সূত্রটা হলো, “প্রত্যেক ক্রিয়ারই একটা সমান ও বিপরীত এন্টিক্রিয়া আই মিন প্রতিক্রিয়া থাকে”
একে আমরা আপকামিং নোবেল জয়ী বিজ্ঞানী সুসানরেইন্স এর উপ্রে উঠার সূত্র নামে চিনি sunglasses emoticon
.
আসেন এই সূত্রের ব্যাখ্যা দেই।
যখন কেউ আপনাকে উপর থেকে নিচের দিকে টেনে নামায় তখন এটা ক্রিয়া হয়। এর এন্টি ক্রিয়ায় মানে বিপরীত প্রতিক্রিয়ায় সেই লোক উপরে উঠে যায়।
.
আবার ধরেন আপনে অলরেডি নিচে নেমে আছেন। এর পরো কেউ যখন আপনার ঘেডিতে পাড়া দিয়া আপনাকে আরো নিচে নামাতে চায় সেটা ক্রিয়া।
এন্ড এর এন্টি ক্রিয়ায় সে আপনার ঘেডিত পাড়া দিয়া একধাপ উপরে উঠে যায়।
.
এই দুইন্নাইতে কে না চায় উপ্রে উঠতে? আর বাঙ্গালী চায় আরো শটকাটে উঠতে তাই তারা সুসানরেন্স এর ক্রিয়া-এন্টিক্রিয়ার সূত্র এপ্লাই করে একে অন্যকে খোচানির মধ্যমে নিচে নামায় নিজে উপ্রে উঠে যাওয়ার চেষ্টায় লিপ্ত থাকে!!
.
.
বিঃদ্রঃ শখানেক বছর আগে নিউমন না নিউটন মানে এক ব্যাক্তি কার্টেসী না দিয়াই আমার এই সূত্রকে তার গতির তৃতীয় সূত্র নামে চালায় দিছে!!
আরে ব্যাটা আমি নাহয় আর কয় বছর পরে দুইন্নাইত পয়দা হমু এর লাইজ্ঞা চান্সে আমার মেধা এমনে কার্টেসী ছাড়া নিজের নামে চালায় দিবি???
.
যাই হোক বড় বড় মহাবিশ্বে এই সব ছোট ছোট ফল্ট হইয়াই থাকে। বড় বড় বিজ্ঞানীরা এইসব ছোট খাটো ব্যাপার নিয়া মাথা ঘামায় না, আমিও ঘামাইলাম না sunglasses emoticon
.
জানি অনেক জ্ঞানপাপী আমাকে বলদ বলবে।
বলুক, হু কেয়ার্স। হেটার্স গনা হেইট sunglasses emoticon

শনিবার, ১৫ আগস্ট, ২০১৫

পৈচাশিক আনন্দ মিস করা উচিৎ না

লাইফে কম বেশি সবারই ভদ্র চেহারার অতি বিশ্বাসী কিছু হারামীর সাথে পরিচয় হয় যাদের আতকা পল্টিবাজ শকিং কাজ কারবারে সুইসাইড করতে মনেচায়।
.
.
কিন্তু সত্যি বলতে এদের সাথে সম্পর্ক ভালো রাখা উচিৎ।
কারন দিন সবারই ঘুইরা আসে এবং সুদে আসলে সহ আসে। কাছ থেকে এগো 'কুত্তেকি মৌত' দেখার মাঝে এক অন্যরকম পৈচাশিক আনন্দ আছে devil emoticon 
.
সম্পর্ক নষ্ট কইরা বা আগে আগে সুইসাইড কইরা এই পৈচাশিক আনন্দ মিস করাটা বোকামী devil emoticon

সুসানরেইন্সের_ভাংভাং_ক্লাস‬ পার্ট-১

ইদানিং দেখি সাইন্স নিয়া বহুত নাড়ানাড়া যাইতাছে ফেবুকে। কেউ কেউ ম্যাটার, এন্টি ম্যাটারের ম্যাটার নিয়া মারামারিও করে ভার্চুয়ালি। চামে কেউ কেউ সেলিব্রেটিও হইয়া যাইতাছে এই সুযোগে tongue emoticon
.
আমিও বা বইয়া থাকুম ক্যা। লন আইজগা ম্যাথমেটিক্স ক্লাশ লই।
পোলাপাইন লাম ছাম দিয়া সাইন্স বুঝাইতে পারলে আমিও ভুগিচুগি দিয়া ম্যাথ বুঝাইবার পারুমsquint emoticon
.
.
অফিস ম্যাথমেটিক্সঃ
পইতাল বস+ পইতাল কর্মী= প্রফিট
পইতাল বস+ বলদা কর্মী= প্রডাকশন
বলদা বস+ পইতাল কর্মী= ফাকিবাজি এন্ড প্রমশন
বলদা বস+বলদা কর্মী= ওভারটাইম
.
শপিং ম্যাথঃ
ছেলেরা এক টাকার ‘প্রয়োজনীয়’ বস্তু কিনতে দুই টাকা খরচ করে, যা তার খুবই দরকার।
মেয়েরা দুই টাকার ‘অপ্রয়োজনীয়’ বস্তু কিনতে এক টাকা খরচ করে যা তার কোন দরকারই নাই!!
.
রিলেশন ম্যাথঃ
ছেলে+ছেলে= ফাজিল (আম্রিকায় রংধনু)
মেয়ে+মেয়ে= গীবত (আম্রিকায় রংধনু)
ছেলে+মেয়ে= জাস্ট ফ্রেন্ড
ডিস্লারয়ালা ছেলে+মেয়ে= প্রথমে লাভার পরে ভাইবোন squint emoticon
বাইকয়ালা ছেলে+মেয়ে= লাভার (ভার্সিটি পর্যন্তই)
(মেয়ে+বেকার ছেলে)+গাড়ীয়ালা ছেলে= ব্রেকাপ
গাড়ীয়ালা ছেলে+মেয়ে= বিয়া
.
হ্যাপিন্যাস ম্যাথঃ
একজন ছেলের সাথে সুখী হইতে হইলে তারে অনেক বুঝতে হবে এবং অল্প ভালোবাসলেই চলবে।
একজন মেয়ের সাথে সুখী হইতে হইলে তারে অনেক ভালোবাসতে হবে এবং ভুলেও বুঝার ট্রাই করা যাবে না squint emoticon
.
.
.
নিন্দুকেরা বলবে এগুলা গুগল থেকে নেয়া কার্টেসী দেয় নাই।
কউজ্ঞা।
হেটার্স গনা হেইট, অনলি সুসানরেইন ইজ রিয়্যাল

বুধবার, ১২ আগস্ট, ২০১৫

হরর ড্রিম পড়াশুনা

হরর ড্রিমে ঘুম ভাইঙ্গা গেছে। হরর ড্রিম দেখলে যত সাহসী মানুষই হোক তার হার্ট বিট বেড়ে যাবে, শীতেও তার কপালে ঘাম হবে। আর আমি তো জাতেই বিলাইর ছাও, সো হরর ড্রিমে ঘুম ভাঙ্গার পর ফার্স্ট টাইম কি অবস্থা হয় বুঝতেই পারেন।
.
হরর ড্রিম আই মিন ভয়ানক সপ্ন বলতে নরমালি ভৌতিক সপ্নকেই বুঝায় বা নিজের অথবা কাছের কারো কোন ক্ষয় ক্ষতিমূলক কিছু সপ্নে দেখা কে বুঝায়।
.
কিন্তু আমার ক্ষেত্রে ভিন্ন। এই টাইপের তথা কথিত ভৌতিক সপ্ন দেইখা ঘুম ভাংলে উল্টা মনেহয় যা শালা ভালই তো বীনা টিকেটে থ্রিডি হরর মুভি দেখতাছিলাম, আবার মালিকায় হামিরার লগে সাইড চরিত্রেও আছিলাম। আর কতক্ষন পরে ঘুম ভাংলে ভাল হইয়তো!! wink emoticon
বাট বিলিভ ইট ওর নট যেই হরর ড্রিম আমি সবচেয়ে বেশি ভয় পাই তা হল পড়ালেখা বিষয়ক!!!
.
সপ্নে দেখতাছিলাম আমার এক্সাম কিন্তু কোন পড়া শেষ হয় নাই,
ধুমায়া পড়তাছি কিছু মাথায় ঢুকতাছে না,
পড়তে পড়েতে এক্সামের টাইম হইয়া গেছে আমার খবর নাই,
খবর যখন হইছে তখন দেখি টাইম বেশি নাই সো স্কুল/কলেজ ড্রেস পরুম না এমনেই থ্রি কোয়াটার পিন্দা যামুগা কনফিউসড।
.
পরীক্ষার হলে যাইয়া দেখি আধা ঘন্টা লেট,
রুম টোগায়া দেখি স্কুল/কলেজের সবচেয়ে ঘাউড়া টিচার পড়ছে ডিউটিতে,
সিট টোগায়া দেখি এক্কারে টিচারের সামনের ব্যাঞ্চ,
উত্তর পত্র পূরন করতে গিয়া দেখি তাড়াহুড়ায় প্রবেশপত্র আনি নাই,
প্রশ্নপত্র হাতে পাইয়া দেখি সব প্রশ্ন আনকমন পড়ছে,
এতো টেনশনে বাথরুম চাপসে কিন্তু টিচারে কয় এক ঘন্টার আগে বাথরুম যাইতে দিবে না।

আরো আধা ঘন্টা কস্ট কইরা হোল্ড করার পরে ঘড়ির দিকে তাকায়া দেখি মাত্র পৌনে তিন মিনিট পার হইছে grumpy emoticon
পরীক্ষা দিমু না বাথরুমে কখন যামু হেই টেনশনে কপাল থেকে শুরু করে সারা গায়ে ঘাম বের হওয়া শুরু হইছে এন্ড...........................
.
.
ঘুম ভাইঙ্গা দেখি ঠান্ডা আভাহওয়া উইথ ঠান্ডা রুমের মধ্যেও আমার সারা গা ঘামে ডুইব্বা আছে।
.
হারামো মিছা কই নাই। আল্লাহ বাঁচাইছে পড়ালেখা এখন সপ্নেই আটকাইয়া থাকে বাস্তবে এই আজাব আগেই পার কইরা আইছি

মঙ্গলবার, ১১ আগস্ট, ২০১৫

মানুষের রচনা

মানুষের রচনা।
লেখকঃ গরু
...
মানুষ আমাদের মত গৃহপালিত হইলেও একটি স্বর্থপর প্রজাতির প্রানী। তবে কিছু কিছু মানুষের কাম কাজ দেখলে সন্দেহ হয় এরা আসলে গৃহপালিত না রাস্তায় পালিত।
যাই হোক মানুষের দুইটি কান, দুটি চোখ, দুই হাত, দুই পা, একটি নাক সাথে নাকে দুইটা ফুটা, গলা সবই আছে তবে গলায় আমাদের মত দড়ি থাকে না।
অনেকেই গলায় দড়ি পড়ে কিন্তু এটা দিয়ে তাদের বেঁধে রাখা হয় না। একে তারা চেইন বলে থাকে।
.
মানুষের মাথায় ছোট বড় লোম থাকে। তারা এই লোম কে ছোট করার জন্য মাসে একবার সেলুনে যায়।
স্ত্রী প্রজাতীর মানুষ অবশ্য এই লোম শুধু ছোট করার জন্যই না, তারা এই লোম সোজা, কোকড়া করার জন্যও সেলুনে যায়। তাদের সেলুনকে পার্লার বলে।
এই পার্লার নামক জায়গায় স্ত্রী প্রজাতীর মানুষেরা মুখে রং মাখে। একে মেকাপ বলে। অনেকে গা ডলে থাকে, একে স্পা বলে।
.
মাথা ছাড়াও মানুষের শরীরে আরো অনেক জায়গায় লোম আছে যা লজ্জার কারনে ছোট করতে কোথাও যায় না। কিন্তু এই লোমগুলোকে গালি আকারে ব্যাবহার করার সময় তারা লজ্জা পায় না!! confused emoticon
.
মানুষের কান আমাদের চেয়ে অনেক ছোট। বেশিরভাগ মানুষ তাদের কানে তারটার লাগিয়ে গান শুনে।
.
মানুষ তাদের চোখের উপর ঢাকনা লাগায়। একে তারা চশমা বলে। তবে বেশিরভাগ মানুষ চোখে দেখলেও ক্যান জানি বেশিরভাগ জিনিস না দেখার ভান করে থাকে। একে তারা ‘চোখে টিনের চশমা’ লাগিয়ে রাখা বলে।
.
মানুষেরো বাচ্চা হয় তবে তারা জন্মের আইলসা। আমরা জন্মের ঘন্টা খানেকের মধ্যেই হাটা শুরু করি আর তাদের হাটা শুরু করতে বছর পার হয়ে যায়। আর তাদের গায়ে জামা থাকায় তারা যেখানে সেখানে হিসুটিসু করতে পারে না।
অনেকে অবশ্য যেখানে সেখানে হিসু করার লাইসেন্স নিয়ে ঘুরে, একে ডায়পার বলে।
.
মানুষ খুবই ভোজনরসিক। তবে মানুষ খাওয়ার চেয়ে খাওয়ার রেস্ট্রুরেন্ট আর খাওয়ার ছবি তুলে ফেসবুকে রিভিউ দিতে বেশি পছন্দ করে। এরা নিজেদের ফুডি বলে থাকে।
.
মানুষের কাছে মোবাইল/ট্যাব নামে একটা যন্ত্র থাকে। এটা তাদের নিত্যসঙ্গী, বাথরুমে কমডে হাগা থেকে শুরু করে বিছানায় খ্যাতার তলে ঘুমানোর সময় পর্যন্ত সব সময় এটা তাদের সাথে থাকে।
.
কিছু মানুষ রকেট লাঞ্চারের মত একটা যন্ত্র নিয়ে ঘুরে একে ডিস্লার বলে। এই ডিস্লারয়ালাদের ফটোগ্রাফার বলা হয়। সাধারনত স্ত্রী প্রজাতির মানুষেরা এই ডিস্লার দেখলে পটে যায়!!
.
এছাড়াও মানুষ অত্যান্ত প্রেমময় প্রানী। ইদানিং মানুষের মাঝে প্রেম উপচায় পড়তে দেখা যায়। এতো বেশিই প্রেম, কে যে কার সাথে কখন প্রেম করে তা বুঝা মুশকিল। বিবাহ পূর্ববর্তি প্রেমকে এরা এফ্যায়ার এবং বিবাহ পরবর্তী প্রেমকে এরা পরকিয়া বলে।
.
তবে মানুষের মধ্যে একটা জাত আছে যারা যে কোন দরকারে অন্যের উপকারে এগিয়ে আসে। এদেরকে অন্যান্য মানুষেরা ‘গরু’ বলে থাকে!!!

শুক্রবার, ৭ আগস্ট, ২০১৫

ফুচকা ইউ, ফুচকা মি

“হেই ম্যান, হু’সাপ??” 
- “এইতো আছি, তেমন একটা ভালো না?”
.
“ও খামন ম্যান। হোয়াই ভালো না”
- “বাদ দেন আমার কথা। আপনি কেমন আছেন?”
“ইয়া আ’ম গুদ” 
.
- “ঈদে কি গ্রামে গেছিলেন?”
“নপ”
.
- “ও ঢাকায় ছিলেন”
“ইয়াপ”
.
- “ফ্রেন্ড দের সাথে তো মনেহয় ভালই মজা করছেন ঈদে”
.
“ইয়া, ইউ সি, এভেড়ি ইয়াড় আমড়া সব ফ্রেন্ডসড়া গ্যাট ঠুগ্যাদাড় কড়ি ঈডে। সো ইউ নো ভালই ফান হয়। বাট জাস্ট এ মিনিট, হোয়াই ইউ সো আপসেট ব্রো??”
.
- “আরে ভাই কইয়েন না, আবারো ব্যাবসায় কড খাইছি ”
.
“ইয়াআআআআ হাহহাহা, ফাক্ক ইউ ম্যাআআআআন...(দুনিয়া ফাটানো হাসির ইমো) বললাম না আপনাকে দিয়ে বিজন্যাস হবে না, শুধু শুধু ইনভেস্ট করেন”
.
- “ভাই শুধু আমার না, আপনেরটার দামো পইড়া গেছে। পুরা অর্ধেক। ঈদের খুশিতে মনেহয় আর খোঁজ খবর রাখেন নাই”
.
“অউউউউ শীট, জিজাস ক্রাইস। হোয়াট দ্যা হ্যাল ইজ গোয়িং অন... ম্যাআআআআন জাস্ট ফাক্কক মিইইইইইইইইইই (দেয়ালে মাথা বাইড়ানোর ইমো)”
.
.
.
কাল্পনিক কাহিনি হইলেও ইদানিং এমন ইয়ুপ, নোপ, ইউ নো, ফুচকা ইউ, ফুচকা মি মার্কা কথা ভালই শুনা যায়। এরা বুইজ্ঝা এডি কয় নাকি ফ্যাশনের ঠেলায় কয় কে জানে।
.
.
আল্ট্রা মর্ডান উচ্চশিক্ষিত জেনারেশনের মাইয়ার গলার কাটিং বড় হইতে হইতে বুকের মাঝে আইয়া পড়ে আবার পোলার প্যান্ট পাছার অর্ধেকে ঝুইল্লা থাকে। ফলাফল দুইজনেরই বাহিরে যা দেখা যায় তা দেখতে প্রায় সেইম!! colonthree emoticon
সম অধিকার প্রতিষ্ঠায় তাও নাহয় এডি “যার যার পার্সোনাল ব্যাপার” কইয়া চালায় দেওন যায়।colonthree emoticon 
.
মগর বাজান, ইয়ো ইয়ো ভাষাডি তো অন্তত জায়গা বুইজ্ঝা এপ্লাই করবি। এডি ত আর যার যার পার্সনাল ব্যাপার কইরা এভোয়েড কইরা যাওন যায় না।
.
এমনেও রংধনুর যুগ তার উপ্রে এক পোলা যদি আরেক পোলার সামনে দাঁড়ায় কয় “ফাক্ক ইউ ম্যাআআআআআন” বা “অউ ম্যাআআআন ফাক মি” এলা কিরাম ডা লাগে!! 
তখন মনডা তো কয় এই ফাকা ফাকি শুনার আগে পায়ের তলায় মাডিটা ফাক হইয়া গেলেই বাঁচি squint emoticon

মঙ্গলবার, ৪ আগস্ট, ২০১৫

নায়লা নাঈমের রাতের চাহিদা মিটালো ফুপা

"এবার নায়লা নাইমের রাতের চাহিদা মিটালো ফুপা (ভিডিও সহ)"
.
বিঃদ্রঃ ফুপা= ফুড পান্ডা
.
.
( যে কোন কিছু নিয়া আমিও এমন হেড লাইন লিখতে জানি। সো আমারে কেউ পার্টাইম অনলাইন পত্রিকার রিপর্টার হিসাবে লইতে পারেন )

সোমবার, ৩ আগস্ট, ২০১৫

মেয়েদের সাথে ফ্রেন্ডশীপ করার সহজ উপায়

অনেকের তারকা চিহ্নিত প্রশ্নঃ "মেয়েদের সাথে ফ্রেন্ডশীপ করার সহজ উপায় কি?"
.
উত্তরঃ ডাইরেক্ট যাইয়া তারে প্রোপজ কইরা বসেন। দেখবেন উত্তরে কইবো,
"এটা কখনো সম্ভব না তবে আমরা ভালো ফ্রেন্ড হতে পারি"

কফি পার্ট টু

মফস্বলে বড় হওয়া বক্কর সাহেব নতুন জয়েন করেছে গুলশানে এক প্রাইভেট কোম্পানীতে। অফিসে শুরু থেকেই তাঁর হাব ভাব অনেকটা বাসর রাইতে বিলাই মারার মত। মানে শুরুতেই তিনি সব কাজে সবাইকে বুঝায় দিতে চান তিনি আসলে কিছু একটা!!
.
যাই হোক একদিন তাঁর কলিগ সায়িফ কাজের ফাঁকে কফি খাওয়ার জন্য বক্কর সাহেবকে সাথে করে বাহিরে এক কফি শপে নিয়ে গেলো।
ওয়েটার আসতেই সায়িফঃ “কি খাবেন? চা না কফি?”
বক্করঃ “অফকোর্স কফি। আমি চা একদম খেতে পারি না sunglasses emoticon
.
সায়িফ দুটো লত্তে অর্ডার করলো।
বক্করঃ (তাচ্ছিল্য ভরে) “আপনাদের এখানে এস্প্রেসো পাওয়া যায় না??”
ওয়েটারঃ “জি স্যার, অবশ্যই”
বক্করঃ (অত্যান্ত ভাবের সাথে) “তাহলে আমার জন্য একটা এস্প্রেসো হবে” sunglasses emoticon
.
সায়িফঃ “সিউর আপনি এস্প্রেসো খাবেন?? confused emoticon
বক্করঃ ‘ইয়া শিয়র... আমি সবসময় এস্প্রেসোই খাই। কেন আপনি খান না??’
সায়িফঃ “নারে ভাই এডি আমার গলা দিয়া নামে না”
বক্করঃ “হা হা সবাই আসলে সব কিছু খেতে পারে না। চরম কফি খোরেরাই এটা খেতে পারে। আপনিও আস্তে আস্তে একদিন পারবেন” sunglasses emoticon
.
ওয়েটার এসে কফি দিয়ে গেলো সায়িফকে বড় এক কাপে লত্তে আর বক্করকে ছুট্ট একটা কাপে এস্প্রেসো!!
.
বক্করঃ “ওয়েটার, আপনাকে কি আমরা কফির জন্য পে করবো না এমন কিছু বলছি?”
ওয়েটারঃ “না স্যার, কেন, কোন প্রবলেম?”
বক্করঃ “ আই নো এস্প্রেসো এক্সপেনসিভ sunglasses emoticon তাই বলে এতো ছোট কাপে কেন? রেগুলার সাইজের কাপে এনে দিন। বিল বেশি হলে করে দিবেন, পে করবো। বাট এই কাপে কফি তো এক চুমুকেই শেষ হয়ে যাবে squint emoticon
ওয়েটারঃ “স্যার এস্প্রেসোর রেগুলার কাপ তো এই সাইজেরই হয়”
.
সায়িফ আর ওয়েটার দুইজনেই মুচকি মুচকি হাসে। সায়িফেরো বুঝা হইয়া গেছে চান্দু বাপের জনমে এস্প্রেসো খায় নাই, হলিউড মুভিটুভি বা এমন কোন জায়গা থেকে হয়তো নাম শুনছে। হেইডারই ফাপড় নিতাছে।
.
সায়িফঃ “বক্কর ভাই টেনশন লইয়ে না, আগে এইটা খান ওরা আরো দিবে। এইখানে এইটা প্যাগের লাহান সার্ভ করে, অল্প অল্প কইরা দেয় tongue emoticon
.
কফি কাপে বক্করের প্রথম চুমকের এক্সপ্রেশন দেখায় জন্য সায়িফের সাথে ওয়েটারো মনেহয় ওয়েট করছিলো। বক্কর সাহেবের কফি কাপে প্রথম চুমুক দিতেই জোর করে হাসি আর ভ্যাবাচ্যাকা মিলায় যেই চেহারা করছে তাতে আগামী ৫-৭ দিন সায়িফের কোন হাসির কাহিনি না দেখলেও চলবে tongue emoticon
.
.
তো এতো কাহিনি কওয়ার কারন হইলো, আপনি যদি কোন কিছু সম্পর্কে না জানেন সেইটা সরাসরি বলার মাঝে শরমের কিছু নাই। জীবনে অনেক কিছুই প্রথমবার হয়। একজন মানুষ সব কিছু জানবে বা সব কাজেরই এক্সপেরিয়ান্স নিতে পারবে এমন কোন কথা নাই।
.
বরং সব জানি সব চিনি টাইপ জ্ঞানী পার্ট নেয়ার চেয়ে, জাইন্নাও বেকুব থাকা আরো শান্তির। এত কোন মিসটেক হলে অন্যের হাসির কারন হবার ভয় নাই। টেনশন ফ্রি থাকা যায় wink emoticon
.
.
পার্ট লওয়ার লাইজ্ঞা হুদ্দাই বাসর রাইতে বিলাই মারতে গিয়া উল্টা নিজের ইমেজ রিক্সে ফালানির কি দরকার?
বিলাই মারার চেয়ে বিলাইরে পোষ মানাইতে পারলে বরং পার্ট আরো বাড়ে।

রবিবার, ২ আগস্ট, ২০১৫

কিসের আলামত

১. ঘুমের থে উঠছি। বেসিনে যাইয়া ব্রাশ নিছি মগর পেস্ট টোগায়া পাইনা। খুঁজতে খুঁজতে ওয়াড্রপের উপ্রে পাইলাম টিউবটা। ব্রাশে পেস্ট নিতে গিয়া দেখি আমি স্যাভলন ক্রিম নিতাছি ব্রাশে!!
.
২. ঘরে মশা বিরক্ত বানায়া ফালাইছে। এরসলের বোতল নিয়া স্প্রে করতে যামু। অত্তেরি!! এইডা দেখি শেভিং ফোম > 
.
৩. শেভ করুম। শেভিং ফোমের বোতল হাতে নিয়ে স্প্রে করুম মগর এরুম পানি পানি লাগে ক্যা!! চাইয়া দেখি এইডা বডি স্প্রের বোতল!!
.
৪. পিসির সামনে বইসা আছিলাম। আম্মায় আতকা আইসা ডিম আনতে কইলো। প্যান্ট ঢিলা বেল্ট টোগাইতাছি। ৫-৭ মিনিট খুইজ্জা কোথাও বেল্ট পাইলাম না, ঐ দিকে আম্মাও চিল্লাইতেছে ডিম আইনা দেয়ার জন্য। এর চেয়ে বরং কোমর টাইট পেন্ট পড়ি। প্যান্ট চেঞ্জ করতে গিয়া দেখি বেল্ট কোমরেই, ঢিলা কইরা রাখছিলাম!!
.
৫. এক ফ্রেন্ডে ফোন দিছে। একটা দরকারী কাজে বাহিরে যাইতে হইবো। কথা বলতেছি আর সাথে বাহির হওয়ার জন্য শার্ট পড়লাম, মানিব্যাগ নিলাম, ঘড়ি পড়লাম, মোবাইলের হেডফোন নিলাম কিন্তু হালার মোবাইলই টোগায়া পাইনা।
টেবিল, চেয়ার, ফ্রিজ, ওয়াড্রফ, বিসনা কোনহানেই মোবাইল নাই!! মেজাজ খ্রাফ কইরা ফ্রেন্ডরে পরে কল করতাছি কইয়া লাইনটা কাটছি আর দেখি মোবাইল আমার হাতেই!! confused emoticon
.
৬. অফিসে কাম করতাছি। ঠান্ডায় ঠোট ফাইট্টা রইছে। ট্যাপস্টিক খুইল্লা ঠোঁটে লাগাইতে যামু দেখি এইডা মার্কার পেন!!!!! confused emoticon
.
বুঝতাছিনারে ভাই এডি কিয়ের আলামত unsure emoticon