ছেলে পড়াশুনা শেষ করে। বাবা চাকরি থেকে অবসর নেয়। মায়ের ডায়বেডিক্স, বাতের ব্যাথা শুরু হয়।
দুইজনেরই স্বপ্ন ছেলে ভালো চাকরি পাবে, সংসারের হাল ধরবে, বিয়ে করে ঘরে বউ আনবে। মা বউ এর উপরে সংসার ছেড়ে দিয়ে অবসর নিবে। ফুটফুটে নাতি-নাতনি হবে, ওদের নিয়ে দুই বুড়োবুড়ি তাদের গল্পের ঝুড়ি খুলে বসবে।
.
কিন্তু বুড়বুড়ির স্বপ্ন এক জায়গাতে গিয়ে হ্যাং খায়। কারন ছেলে ‘বেকার’!!।
.
পাশের বাড়ির ছেলেটার ভালো চাকরি হয়। তাঁর মা ছেলের চাকরির খুশিতে মিস্টি নিয়ে আসে সাথে এ বাড়ির ছেলের জন্য এক গাদা আফসোস রেখে যায় কারন এ বাড়ির ছেলে ‘বেকার’।
.
ওদিকে এক মেয়ে স্বপ্ন দেখে তাঁর মনের মানুষের সাথে বিয়ে হবে, ছোট্ট একটা সংসার হবে, পছন্দের মানুষের সাথে সারা জীবন পাশাপাশি থাকবে কিন্তু তাঁর স্বপ্নও এক জায়গায় যেয়ে হ্যাং খায়।
কারন ছেলে ‘বেকার’!!
.
হ্যাং থাকতে থাকতে একদিন মেয়েটার বিয়ে হয় কোন এক গাড়ি/বাড়িয়ালার সাথে। মেয়েটা হয়ত জানেই না যে এককালে তাঁর স্বামী নামক ছেলেটাও ছিলো ‘বেকার’।
.
.
বেকার ছেলেটার অবশ্য স্বপ্ন হ্যাং খায় না, কারন সে স্বপ্ন দেখারই সময় পায় না। বাবাকে রেহাই দিয়ে সংসারের হাল ধরার চিন্তায় রাতের ঘুম হারাম, আর দিনের বেলা চাকরির জন্য এই অফিস থেকে ওই অফিসে দৌড়াদৌড়ি। হ্যাং হওয়ার মধ্যে ভবিষ্যতের চিন্তায় ঘুমটাই হ্যাং হয়।
.
একদিন বেকার ছেলেটারও চাকরি হয়। বুড়া বুড়ির হ্যাং খাওয়া স্বপ্ন গুলো আবার একটিভেট হয়। খাবার টেবিলে বাবা ছেলেতে ঠেলাঠেলি চলে মাছের মাথাটা কে কার প্লেটে দিবে।
.
বুড়ি পারলে পুরা দুনিয়াকে মাইকিং করে জানায় ছেলে আর বেকার নেই। আসে পাশের বাড়িতে ছেলের চাকরির খুশিতে মিস্টি দিয়ে আসে সাথে অন্য বাড়ীর ‘বেকার’ ছেলেটার জন্য এক গাদা আফসোস রেখে আসে।
.
ছেলের প্রমশন হয়। ছেলে গাড়ি কিনে, পুরান বাসা ছেড়ে বাবা মাকে নিয়ে বড় ফ্লাটে উঠে। অতঃপর ছেলের জন্য মেয়ে দেখা শুরু হয়। একদিন কোন এক মেয়ের সাথে বিয়েও হয়ে যায়। ছেলেটা হয়তো জানেই না তাঁর স্ত্রীর আগের ভালোবাসা এখনো ‘বেকার’।
.
.
.
এভাবেই নিয়তির চিত্রনাট্য কাটা কম্পাসের আদলে মাঝের একটা বিন্দুর চারপাশে গোলাকার বৃত্রের মত ঘুরতেই থাকে। এর নামই মধ্যবৃত্ত, নাকি মধ্যবিত্ত।
.
এই মধ্যবিত্তে যাদের জন্ম তাদের মাঝে খুব কম মানুষই এই বৃত্তের বাহিরে যেতে পারে। ইচ্ছা থাকুক আর না থাকুক বেশিরভাগকে এই বৃত্তের মাঝের নিয়তিই মেনে নিতে হয়।
দুইজনেরই স্বপ্ন ছেলে ভালো চাকরি পাবে, সংসারের হাল ধরবে, বিয়ে করে ঘরে বউ আনবে। মা বউ এর উপরে সংসার ছেড়ে দিয়ে অবসর নিবে। ফুটফুটে নাতি-নাতনি হবে, ওদের নিয়ে দুই বুড়োবুড়ি তাদের গল্পের ঝুড়ি খুলে বসবে।
.
কিন্তু বুড়বুড়ির স্বপ্ন এক জায়গাতে গিয়ে হ্যাং খায়। কারন ছেলে ‘বেকার’!!।
.
পাশের বাড়ির ছেলেটার ভালো চাকরি হয়। তাঁর মা ছেলের চাকরির খুশিতে মিস্টি নিয়ে আসে সাথে এ বাড়ির ছেলের জন্য এক গাদা আফসোস রেখে যায় কারন এ বাড়ির ছেলে ‘বেকার’।
.
ওদিকে এক মেয়ে স্বপ্ন দেখে তাঁর মনের মানুষের সাথে বিয়ে হবে, ছোট্ট একটা সংসার হবে, পছন্দের মানুষের সাথে সারা জীবন পাশাপাশি থাকবে কিন্তু তাঁর স্বপ্নও এক জায়গায় যেয়ে হ্যাং খায়।
কারন ছেলে ‘বেকার’!!
.
হ্যাং থাকতে থাকতে একদিন মেয়েটার বিয়ে হয় কোন এক গাড়ি/বাড়িয়ালার সাথে। মেয়েটা হয়ত জানেই না যে এককালে তাঁর স্বামী নামক ছেলেটাও ছিলো ‘বেকার’।
.
.
বেকার ছেলেটার অবশ্য স্বপ্ন হ্যাং খায় না, কারন সে স্বপ্ন দেখারই সময় পায় না। বাবাকে রেহাই দিয়ে সংসারের হাল ধরার চিন্তায় রাতের ঘুম হারাম, আর দিনের বেলা চাকরির জন্য এই অফিস থেকে ওই অফিসে দৌড়াদৌড়ি। হ্যাং হওয়ার মধ্যে ভবিষ্যতের চিন্তায় ঘুমটাই হ্যাং হয়।
.
একদিন বেকার ছেলেটারও চাকরি হয়। বুড়া বুড়ির হ্যাং খাওয়া স্বপ্ন গুলো আবার একটিভেট হয়। খাবার টেবিলে বাবা ছেলেতে ঠেলাঠেলি চলে মাছের মাথাটা কে কার প্লেটে দিবে।
.
বুড়ি পারলে পুরা দুনিয়াকে মাইকিং করে জানায় ছেলে আর বেকার নেই। আসে পাশের বাড়িতে ছেলের চাকরির খুশিতে মিস্টি দিয়ে আসে সাথে অন্য বাড়ীর ‘বেকার’ ছেলেটার জন্য এক গাদা আফসোস রেখে আসে।
.
ছেলের প্রমশন হয়। ছেলে গাড়ি কিনে, পুরান বাসা ছেড়ে বাবা মাকে নিয়ে বড় ফ্লাটে উঠে। অতঃপর ছেলের জন্য মেয়ে দেখা শুরু হয়। একদিন কোন এক মেয়ের সাথে বিয়েও হয়ে যায়। ছেলেটা হয়তো জানেই না তাঁর স্ত্রীর আগের ভালোবাসা এখনো ‘বেকার’।
.
.
.
এভাবেই নিয়তির চিত্রনাট্য কাটা কম্পাসের আদলে মাঝের একটা বিন্দুর চারপাশে গোলাকার বৃত্রের মত ঘুরতেই থাকে। এর নামই মধ্যবৃত্ত, নাকি মধ্যবিত্ত।
.
এই মধ্যবিত্তে যাদের জন্ম তাদের মাঝে খুব কম মানুষই এই বৃত্তের বাহিরে যেতে পারে। ইচ্ছা থাকুক আর না থাকুক বেশিরভাগকে এই বৃত্তের মাঝের নিয়তিই মেনে নিতে হয়।
khub bhalo. khubi bhalo.
উত্তরমুছুন