বৃহস্পতিবার, ২৮ মে, ২০১৫

কথার সময় কাপড় ঠিক করা

একটা ব্যাপার কেউ খেয়াল করছেন কিনা জানি না, একটা চরম বিরক্তিকর মোমেন্ট যখন কোন মেয়ের সাথে কথা বলতেছেন আর ওয় কন্টিনিউয়াস কাপড়/ওড়না ঠিক করতাছে!!!
.
আবে হালায় কথা কইতাছি তোর মুখের দিকে চাইয়া তা গায়ের কাপড় লইয়া এতো মোচড়া মুচড়ি করতাছোছ ক্যা? মনেহয় যেন তোর লগে কথা কইতাছিনা, বইয়া বইয়া তর ফিগার গিলতাছি grumpy emoticon
.
প্রথম দুই চাইবার মানন যায়, নরমাল। বাট আপনে যতক্ষন কারো সামনে আছেন ততক্ষনই যদি আপনার সামনের জন শুরু থেকে প্রতি সেকেন্ডে কাপড়ই ঠিক করে তাইলে ক্যামনডা লাগে কন তো? 
.
নিজের কাছেই তো বিব্রতকর মনেহয়। মনেহয় আবার আমারে কি না কি ভাইবা বইয়া রইছে বা আমার এক্সপ্রেশনেই কোন ফল্ট আছে তাই হয়তো সামনে থাকতে আনকম্ফোটেবল ফিল করতেছে।
ফলাফল ৩০ মিনিট কথা কওয়ার নিয়ত কইরা আইলে ৩ মিনিটেই সারমর্মটা বইলা কাট মারো।
.
আধুনিক মানুষ, আপনেগো তো কাপড় নিয়া কোন কথা বলা যাবে না। তাইলে তো আবার ‘মেন্টালিটি’/ ‘দৃষ্টিভঙ্গি’ খারাপ ছেলে হইয়া যামু তাই কাপড় নিয়া কিছু কইতাছিও না।
.
কাপড় যা মনেচায় পিন্দা বাহির হন, মনে চাইলে না পিন্দাও বাহির হন প্রব্লেম নাই বাট যে কাপড় পড়লে আরেক জনের সামনে আইয়া ঠিক মত কথাই কইতে পারবেন না কাপড় ঠিক করার জ্বালায়, ছিঁড়া খ্যাতার লাহান উপরে ঢাকলে নিচে খালি হইয়া যায়, নিচে ঢাকলে উপরে খালি হইয়া যায় হেমন কাপড় পিন্দা বাহির হইতে কয় ক্যাডা?
.
.
অগ্রীম রিপ্লাই কমেন্টঃ “নিজের মেন্টালিটি চেঞ্জ করেন”/ “দৃষ্টিভঙ্গী চেঞ্জ করেন” অনেকেই কমেন্টে এই পুরান টেপ রেকর্ডার বাজাইবেন জানি।
মুখের দিকে চাইয়া কথা কওয়ার পরেও যদি মনেহয় মেন্টালিটি আরো চেঞ্জ করতে হইবো তাইলে ‘মেন্টালই’ হইয়া যাওন লাগবো।
.
আর দৃষ্টিভঙ্গি কইতে যে আসলে কি বুঝাইতে চান বুঝি না।
কোনদিন দেখা যাইবো দৃষ্টিভঙ্গী চেঞ্জ কইতে ছেলেদের চোখের পাতা দুইডা সেলাই কইরা হাতে সাদা ছড়ি নিয়া হাটার দাবি কইরা বইবেন আল্লাহয় জানে। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন