বৃহস্পতিবার, ২৬ মার্চ, ২০১৫

কুত্তার পেডে ঘি হজম হয় না

নয়া অফিস, নয়া নয়া মানুষ। আমি কামে কাজে নতুন বাট পোস্ট হিসাবে মোটামুটি মাঝামাঝি। ফলাফল সিনিয়ারেরা তো সুসান কইয়াই ডাকে, সেইম পজিশন+ কাছাকাছি এইজে ইঞ্জিনিয়ার আছে অনেক গুলান। আমরা এক জন আরেক জনেরে ভাই কইয়া ডাকি বাট প্রবলেম ইজ ‘কাজের ক্ষেত্রে’ একটু জুনিয়ার থেকে শুরু করে আরো নিচের দিকে যারা তারা উঠতে বইতে আইতে যাইতে স্যার স্যার কয়।
.
রিসিপশনের রমণীডাও স্যার কয়, এইডা কিছু হইলো? মনেহয় যেন আমি হের চেয়ে ৫০ বছরের বড়!! squint emoticon 
(হের বিএফ এর চেয়ে ছোড আছি শুধু আমার বাইক নাই এই পার্থক্য squint emoticon )
.
নরমালী এইডা খারাপ না বাট আমার কাছে কিরাম কিরাম জানি আন ইজি লাগে!!!! ভাবি পৃথিবীর বুঝি এতই খারাপ দিন আইয়া পড়লো সুসানেরেও কিছু মাইনষের এখন স্যার স্যার ডাকন লাগবো!!!
.
প্রথম দিকে তো ‘স্যার’ শুইন্না আবেগের বেগ অনেক বাইড়া গেছিলো। চিন্তা করছিলাম বাংলা সিনেমার মত আম্মারে কল কইরা কমু “আম্মাআআআ জানো তোমার ছেলেরে মাইনষে এখন স্যার কয়” আর আম্মায় কইবো,
“আজ যদি তোর বাবা বেঁচে থাকতো.......” তখনই মনে পড়ছে, আবে হালায় আমার বাপ তো বাইচ্চাই আছে। হুদ্দাই আবেগের ঠেলায় জ্যাতা বাপেরে মাইরা কাম নাই।
.
বহুত কষ্টে আবেগের উপ্রে হার্ড ব্রেক করছি, কারন সামনে গরম কাল তখন আবার ওয়াসা পানি না দিলে এই আবেগের পানি দিয়াই কাম চালান লাগবো।
.
মুরুব্বিরা ঠিকি কয়, ‘কুত্তার পেডে ঘি হজম হয় না’। আসলেই তাই।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন