রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

ওয়েডিং রিং

পোলাপাইনে দুই দিন পর পরি দেখি রিলেশনশীপ স্টাটাস বদলায়। কখন যে কে কার লগে কোন রিলেশনে চলে সেইটা মনে রাখাই টাফ। একবার এক ফ্রেন্ড আর তার গার্ল ফ্রেন্ডের সাথে আমরা তিন জনে কনফারেন্স কলে কথা কইতেছিলাম। আতকা কইয়া বইলাম “তুমি দেশে আসবা কবে!!” তখন আমার মনেই নাই যে এইডা তার এক্স লন্ডনী গার্লফ্রেন্ড না, এইডা নয়া চিটাইংগা গার্লফ্রেন্ড!!!! লাগ্লো নি প্যাচ!!

তো যাইহোক পোলাপাইন রিলেশন জিনিস্টারে যতটা সস্তা বানায়া ফালাইছে ব্যাপারটা আসলে আদি কাল থেকে অতটা সস্তা ছিল না। বাদ দেন এডি উচ্চমর্গীয় কথাবার্তা। এই রিলেশন ফিলেশন যারা করে হেরা এডি ভালো বুঝে আমি নাদান দর্শক খালি দেইক্ষাই যাই 

আজকে নেট থেকে পাওয়া নয়া একখান জিনিস শেয়ার করি। হাতের পাঁচটা আঙুল থাকতে ওয়েডিং রিং (বিয়ের আঙটি) কেন শুধু অনামিকাতেই পরানো হয়.. ?

চাইনীজ দের অনেকেই বিশ্বাস করে হাতের পাঁচটি আঙুল পাঁচটি সম্পর্ক কে প্রতিনিধিত্ব করে। এ বিষয়ে চমৎকার একটি মতবাদ আছে!
-
বৃদ্ধাঙ্গুলী (প্রথম আঙুল)- পিতা-মাতা
তর্জনী (দ্বিতীয় আঙুল)- ভাই-বোন
মধ্যমা (তৃতীয় আঙুল)- নিজেকে
অনামিকা (চতুর্থ আঙুল)- জীবন সঙ্গী (স্বামী/স্ত্রী)
কনিষ্ঠা (পঞ্চম আঙুল)- সন্তান

এবার আসুন ছোট্ট একটি পরীক্ষা করি
ধাপ-১: প্রথমে দুই হাতের তালু পরস্পরের মুখোমুখি রেখে দুই হাতের দশটি আঙুল এক করুন। মধ্যমা দুইটি ভাঁজ করে পিঠাপিঠি লাগান। অর অন্য চারটি আঙুলের ফিংগার টিপ পরস্পর পরস্পরকে স্পর্শ করে থাকবে।

ধাপ-২: বৃদ্ধাঙ্গুলী দুইটি পরস্পর হতে পৃথক করুন। দেখবেন পৃথক হয়ে যাবে। বাবা-মা সারাজীবন আপনার
সাথে থাকবেন না, আগে পরে উনারা আপনাকে ছেড়ে চলে যাবেন। বা সাথে থাকলেও একটা সময় আপনাকে তাদের থেকে আলাদা ভাবে কাজ করতে হবে। (বৃদ্ধাঙ্গুলী দুইটি আবার পূর্বের অবস্থায় নিয়ে আসুন)।

ধাপ-৩: এবার তর্জনী দুইটি পরস্পর হতে পৃথক করুন। পৃথক হয়ে যাবে। ভাই বোন-দেরও নিজেদের সংসার হবে, জীবনের বাস্তবাতায় তারাও একদিন আপনার থেকে পৃথক হয়ে যাবে। (তর্জনী দুইটি আবার পূর্বের অবস্থায় নিয়ে আসুন)।

ধাপ-৪: এবার কনিষ্ঠ আঙুল দুইটি পৃথক করুন, এই আঙুল দুইটিও পৃথক হয়ে যাবে। একটা নির্দিষ্ট বয়সের পর আপনার সন্তানরাও বড় হবে, স্বাবলম্বী হবে... তাদেরও ঘর সংসার হবে। হয়তো তারাও আপনার থেকে পৃথক হয়ে যাবে বা যেতে হবে। (কনিষ্ঠা দুইটি আবার পূর্বের অবস্থায় আনুন)।

ধাপ-৫: এবার অনামিকা দুইটি পরস্পর থেকে পৃথক করার চেষ্টা করুন। আপনি বিস্মিত হবেন... অনামিকা দুইটি পৃথক হচ্ছেনা! আপনি আবারও চেষ্টা করে দেখতে পারেন....অনামিকা পৃথক করা সম্ভব হবেনা।
আপনার জীবনসঙ্গী আপনার সারা জীবনের সাথী.... একে অন্যেরসাথে সুখে দুঃখে সবসময় পাশাপাশি কাছাকাছি থাকবেন ঠিক অনামিকার মত....


এটা এক্সপেক্ট করেই অনামিকায় ওয়েডিং রিং পরানো হয় মগর জাতি বড়ই ফার্স্ট। বাকিরা প্রাকৃতিক নিয়মে ছেড়ে যাওয়ার আগেই জাতি তাদেরই “অনামিকার” জন্য ছেড়ে দেয়!! শেষে “অনামিকাও” সব সময় সাথে থাকে না... কখনো ফিজিক্যালি থাকে না আবার কখনো সামাজিকতা রক্ষায় চক্ষু লজ্জায় ফিজিক্যালি থাকলেও মেন্টালী সাথে থাকে না। মানে কাছে থেকেও নাই..

শুরুতেই কইছিলাম ‘রিলশন’ ব্যাপারটা আদি কাল থেকে এতো সস্তা ছিলো না যতটা আধুনিক পোলাপাইন এইডারে সস্তার চেয়েও সস্তা বানায়াফালাইছে...

1 টি মন্তব্য: