“মাইক্রো এসডি কার্ড আছে??”
< “আছে কত জিবি লাগবে??”
“চার জিবি দেন”
< “চার জিবি তো নাই। আট আর দুই জিবি আছে। আট জিবি নেন। সাড়ে তিনশ রাখতে পারব ”
.
“আমার এইডায় সাপর্ট করে ৪জিবি আমি আট জিবি দিয়া কি করুম”
.
“আমার এইডায় সাপর্ট করে ৪জিবি আমি আট জিবি দিয়া কি করুম”
< “তাইলে দুই জিবি নেন ২২০/- রাখা যাবে”
“লাগবে না, চার জিবির দামই আড়াইশো। হুদ্দাই ৩০-৪০ টাকা ডিফারেন্সের জন্য অর্ধেক মেমরী নিয়া লাভ নাই।”
< “না না, দুই আর চার জিবিতে বেশি ডিফারেন্স নাই। বরং দুই জিবি টা টিকে বেশি+ অনেক সময় ২জিবির কেবি ৪ জিবির চেয়েও বেশি হয়, এইখানে বাস স্পিড ক্লক স্পিডের ব্যাপার আছে। অনেকে তো এইডা বুঝেই না। নাইলে কি আর মাত্র ৩০-৪০ টাকা ডিফারেন্সে ডাবল মেমরী দেয়া যায় নাকি। ২ জিবি দুইশ হইলে চার জিবি তো ৪০০ হওয়ার কথা ”
.
“আমার কপালে কি লেখা আছে দেখা যায়??”
.
“আমার কপালে কি লেখা আছে দেখা যায়??”
< “না কিছু লেখা নাই তো, কিছুই তো দেখা যায় না”
“আমার তো মনেহয় আপনে ঠিকি দেখতাছেন আমার কপালে ‘আহাম্মক-বলদ-আবাল-বেকুব-ছাগল’ এমন টাইপ কিছু লেখা.... যেই জিনিস নাই তো নাই, তোরে এত উল্টাপাল্টা বুঝ দিতে কয় কেডা?? দুই জিবি তে চার জিবির চেয়ে বেশি মেমরী!! ক্লক স্পিড-বাস স্পিড আমারে চিনাস!!?? কানশা বেড়ায়া ঠাড়ায় এমন একখান বন দিমু যেই খাদের থে ঢাহা শহরে উইঠা আইছস লোক ঠকানির লাইজ্ঞা আবার ঐখাদেই যাইয়া পড়বি”
< “ভাই যেমনেই হোক বেইচ্চা টার্গেট তো পুরন করার লাগে, নাইলে মালিকে তো আবার আমারেই খেদায়া দিবো”
.
.
.
হারাম ইনকাম শুধু সরকারী চাকুরিতেই নাই, হারাম প্রাইভেট চাকুরিতেও আছে, হারাম ব্যাবসাতেও আছে।
.
.
.
হারাম ইনকাম শুধু সরকারী চাকুরিতেই নাই, হারাম প্রাইভেট চাকুরিতেও আছে, হারাম ব্যাবসাতেও আছে।
চাকুরীর ক্ষেত্রে ‘স্যারেরা’ একে কমিশন বা সাইড ইনকাম বা এক্সট্রা ইনকাম বলে, ব্যাবসার ক্ষেত্রে একে ব্যাবসায়ীরা ‘মুরগী বানায়া লাভ’ বলে। এইসব লামছাম বুঝানি দুনিয়ার ৫০-৬০ বছর হায়াত পর্যন্তই। দুইন্নাইতে পাঠানির টার্গেট পূরন না হইলে এক বিঘাত উপরে সূর্যের তলে বইসা শেষ বিচারের দিন কইলাম এই সব বুঝায়া পার পাওন যাইবো না।
মাইন্ড ইট।
মাইন্ড ইট।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন