এক কালে প্রেমিক-প্রেমিকারা প্রেম করতো কালের বিবর্তনে এখন বিএফ-জিএফেরা প্রেম করে। অনেকের কাছে এইটার লাউ আর কদু মনে হইতে পারে তবে এটা লাউ কদুর মত ব্যাপার না। “প্রেমিক প্রেমিকা জেনারেশন” এবং “বিএফ-জিএফ জেনারেশন” এর মধ্যে পার্থক্যঃ
.
১. প্রেমিক প্রেমিকা জেনারেশন একে অন্যের সাথে সুখ দুঃখ ভাগাভাগি করে নিত, বিএফ-জিএফ জেনারেশন ‘কেয়াড়িং এন্ড শেয়াড়িং” করে।
.
২. প্রেমিক প্রেমিকা জেনারেশন বন্ধুদের জন্য বরাদ্ধ সময়ে ডেট করতো না। বিএফ-জিএফ জেনারেশন শুধুমাত্র দরকার না পড়লে ফ্রেন্ড কি জিনিস তা মনেই রাখে না। ডেটেই জীবন ডেটেই মরন।
.
৩. প্রেমিক প্রেমিকা জেনারেশন মাঝে মধ্যে কালেভদ্রে রিক্সায় ঘুরা আর বাদাম/ফুসকা বা হাওয়াই মিঠাই খেয়ে প্রেমালাপেই বেশি মত্ত থাকতো।
বিএফ-জিএফ জেনারেশন মিনিমাম ফ্রাইড চিকেন উইথ সফট ড্রিংস ছাড়া ক্যান জানি প্রেম করতেই পারে না। এই জেনারেশনে যে ৬ মাস প্রেম করতে পারে তার ঢাকা শহরের নাম করা সব রেস্টুরেন্ট এর মেন্যু মুগস্থ হইয়া যাওয়া অস্বাভাবিক কিছু না। বরং না হওয়াটাই অস্বাভাবিক।
.
৪. প্রেমিক প্রেমিকা জেনারেশনে একজনে তেড়ি বেড়ি করলে অন্যজনে সুইসাইডের হুমকি দিত। বিএফ-জিএফ জেনারেশন এক্ষেত্রে স্ক্রিনশর্ট বা “লিটনের ফ্লাটের ভিডিও” নেটে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেয়।
.
৫. প্রেমিক প্রেমিকা জেনারেশন শুরু থেকেই বাপ মায়ের অবাধ্য ছিলো। প্রেমও করতো পালায়া বিয়াও করতো পালায়া।
বিএফ-জিএফ জেনারেশন প্রেম করার সময় বাপ মায়ের অবাধ্য হলেও বিয়ার টাইমে বাপ মায়ের বাধ্যগত। “বাবা মা মানবে না” এই কথাটা বেশির ভাগ বিএফ-জিএফ এরই “সকল কাজ” সারার পরে যাইয়া মনেপড়ে।
.
৬. প্রেমিক প্রেমিকা জেনারেশন সাপ্তাহে একটা করে নীল খামে এলাকার পিচ্চি ব্রাদার মারফত চিঠি আদান প্রদানের মাধ্যমে যোগাযোগ করতো।
বিএফ-জিএফ জেনারেশন সারাদিনই ডিজিটাল যোগাযোগের উপরেই থাকে। কথা বলতে বলতে মাঝে মধ্যে হাপায়া গেলে বা ব্যাটারী শেষ হইলে ৫-১০ মিনিটের জন্য খ্যান্ত দেয়।
.
৭. প্রেমিক প্রেমিকা জেনারেশন এর পার্সে বা মানিব্যাগে তার লাভারের পাসপোর্ট সাইজের ছবি থাকত। বিএফ-জিএফ জেনারেশন এর স্মার্টফোনে, ল্যাপটপে, ফেসবুক প্রো পিকে তাদের হাজার হাজার কাপল সেলফি থাকে।
.
৮. প্রেমিক প্রেমিকা জেনারেশনের মধ্যে আল্লাহয় লাজ লজ্জা বেশি দিছিলো। তাদের রিলেশনশিপ স্টাটাস কখন কেমন তা খুব কাছের ২-১ জন ফ্রেন্ডরা ছাড়া সহজে কেউ জানতো না। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তাঁরা ভাইজ্ঞা যাওয়ার পরে জাতি এদের রিলেশনের ব্যাপারে জানতো।
বিএফ-জিএফ জেনারেশন এর লাজ লজ্জা ব্যাংক এ ফিক্সড ডিপজিট করা। সকালে ইন এর রিলেশন উইথ মোখলেস, দুপুরে এঙ্গেজ উইথ ছখিনা, বিকালে মেরিড উইথ জরিনা, সন্ধ্যায় ইন আ কমপ্লিকেটেড রিলেশনশীপ, রাতে সিঙ্গেল এবং মধ্য রাতে আবার ইন এ রিলেশনশীপ স্টাটাস পুরা বিশ্ব ফেসবুকের মাধ্যমে দেখতে পায়। (জনগনের বিরক্তি এরা কেয়ার না)
.
৯. প্রেমিক প্রেমিকা জেনারেশন মাঝে মধ্যে খুব ক্লোজ বন্ধুদের সাথে কিছুটা আনন্দঘন মূহুর্ত পার করার জন্য সবাই একসাথ হয়ে সুন্দর কোন জায়গায় আড্ডা দিত।
বিএফ- জিএফ জেনারেশন এখন একটু ডিফ্রেন্ট ভাবে ‘ফান’ বা ‘চিল’ করার জন্য ফেড়ন্সদের সাথে কোন A টু Z “FC” বা সিসা হাউজে হ্যাং আউট করে (যদিও এডির মানে আমি এখনো বুঝি না, খালি শুনি)
.
১০. প্রেমিক প্রেমিকা জেনারেশন একে অন্যের মাঝে “ভালোবাসা” খুঁজতো,
বিএফ জিএফ জেনারেশন একে অন্যের জন্য “ভালো”-“বাসা” খুঁজে। ক্যান খুঁজে তা এই ইমো দিয়াই বুইজ্ঝা নেন
.
১. প্রেমিক প্রেমিকা জেনারেশন একে অন্যের সাথে সুখ দুঃখ ভাগাভাগি করে নিত, বিএফ-জিএফ জেনারেশন ‘কেয়াড়িং এন্ড শেয়াড়িং” করে।
.
২. প্রেমিক প্রেমিকা জেনারেশন বন্ধুদের জন্য বরাদ্ধ সময়ে ডেট করতো না। বিএফ-জিএফ জেনারেশন শুধুমাত্র দরকার না পড়লে ফ্রেন্ড কি জিনিস তা মনেই রাখে না। ডেটেই জীবন ডেটেই মরন।
.
৩. প্রেমিক প্রেমিকা জেনারেশন মাঝে মধ্যে কালেভদ্রে রিক্সায় ঘুরা আর বাদাম/ফুসকা বা হাওয়াই মিঠাই খেয়ে প্রেমালাপেই বেশি মত্ত থাকতো।
বিএফ-জিএফ জেনারেশন মিনিমাম ফ্রাইড চিকেন উইথ সফট ড্রিংস ছাড়া ক্যান জানি প্রেম করতেই পারে না। এই জেনারেশনে যে ৬ মাস প্রেম করতে পারে তার ঢাকা শহরের নাম করা সব রেস্টুরেন্ট এর মেন্যু মুগস্থ হইয়া যাওয়া অস্বাভাবিক কিছু না। বরং না হওয়াটাই অস্বাভাবিক।
.
৪. প্রেমিক প্রেমিকা জেনারেশনে একজনে তেড়ি বেড়ি করলে অন্যজনে সুইসাইডের হুমকি দিত। বিএফ-জিএফ জেনারেশন এক্ষেত্রে স্ক্রিনশর্ট বা “লিটনের ফ্লাটের ভিডিও” নেটে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেয়।
.
৫. প্রেমিক প্রেমিকা জেনারেশন শুরু থেকেই বাপ মায়ের অবাধ্য ছিলো। প্রেমও করতো পালায়া বিয়াও করতো পালায়া।
বিএফ-জিএফ জেনারেশন প্রেম করার সময় বাপ মায়ের অবাধ্য হলেও বিয়ার টাইমে বাপ মায়ের বাধ্যগত। “বাবা মা মানবে না” এই কথাটা বেশির ভাগ বিএফ-জিএফ এরই “সকল কাজ” সারার পরে যাইয়া মনেপড়ে।
.
৬. প্রেমিক প্রেমিকা জেনারেশন সাপ্তাহে একটা করে নীল খামে এলাকার পিচ্চি ব্রাদার মারফত চিঠি আদান প্রদানের মাধ্যমে যোগাযোগ করতো।
বিএফ-জিএফ জেনারেশন সারাদিনই ডিজিটাল যোগাযোগের উপরেই থাকে। কথা বলতে বলতে মাঝে মধ্যে হাপায়া গেলে বা ব্যাটারী শেষ হইলে ৫-১০ মিনিটের জন্য খ্যান্ত দেয়।
.
৭. প্রেমিক প্রেমিকা জেনারেশন এর পার্সে বা মানিব্যাগে তার লাভারের পাসপোর্ট সাইজের ছবি থাকত। বিএফ-জিএফ জেনারেশন এর স্মার্টফোনে, ল্যাপটপে, ফেসবুক প্রো পিকে তাদের হাজার হাজার কাপল সেলফি থাকে।
.
৮. প্রেমিক প্রেমিকা জেনারেশনের মধ্যে আল্লাহয় লাজ লজ্জা বেশি দিছিলো। তাদের রিলেশনশিপ স্টাটাস কখন কেমন তা খুব কাছের ২-১ জন ফ্রেন্ডরা ছাড়া সহজে কেউ জানতো না। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তাঁরা ভাইজ্ঞা যাওয়ার পরে জাতি এদের রিলেশনের ব্যাপারে জানতো।
বিএফ-জিএফ জেনারেশন এর লাজ লজ্জা ব্যাংক এ ফিক্সড ডিপজিট করা। সকালে ইন এর রিলেশন উইথ মোখলেস, দুপুরে এঙ্গেজ উইথ ছখিনা, বিকালে মেরিড উইথ জরিনা, সন্ধ্যায় ইন আ কমপ্লিকেটেড রিলেশনশীপ, রাতে সিঙ্গেল এবং মধ্য রাতে আবার ইন এ রিলেশনশীপ স্টাটাস পুরা বিশ্ব ফেসবুকের মাধ্যমে দেখতে পায়। (জনগনের বিরক্তি এরা কেয়ার না)
.
৯. প্রেমিক প্রেমিকা জেনারেশন মাঝে মধ্যে খুব ক্লোজ বন্ধুদের সাথে কিছুটা আনন্দঘন মূহুর্ত পার করার জন্য সবাই একসাথ হয়ে সুন্দর কোন জায়গায় আড্ডা দিত।
বিএফ- জিএফ জেনারেশন এখন একটু ডিফ্রেন্ট ভাবে ‘ফান’ বা ‘চিল’ করার জন্য ফেড়ন্সদের সাথে কোন A টু Z “FC” বা সিসা হাউজে হ্যাং আউট করে (যদিও এডির মানে আমি এখনো বুঝি না, খালি শুনি)
.
১০. প্রেমিক প্রেমিকা জেনারেশন একে অন্যের মাঝে “ভালোবাসা” খুঁজতো,
বিএফ জিএফ জেনারেশন একে অন্যের জন্য “ভালো”-“বাসা” খুঁজে। ক্যান খুঁজে তা এই ইমো দিয়াই বুইজ্ঝা নেন
দারুণ।
উত্তরমুছুন