আগে টিভি চ্যানেল ছিলো একটা বিটিভি, মাইনষের বাসায় টিভিও থাকতো একটা। আবার সবার বাসায় টিভি না থাকলেও টিভি দেখার জন্য কম বেশি সবার দরজাই সবার জন্য খোলা থাকতো। বিটিভির অধিবেশন শুরু হত ৩টায় শেষ হত সাড়ে ১২টার মধ্যে।
.
প্রতিদিন দেখার মত একটা অনুষ্ঠান হত যেটা দেখার জন্য সারা সাপ্তাহ অপেক্ষায় থাকত সবাই। অনেক সময় বার মনে না থাকলেও অনুষ্ঠান দিয়ে বার মনে করতাম। যেমন গতকাল ম্যাগাইভার ছিলো সো আজকে সোমবার, আজকে তাহলে ওসান গার্ল, তারমানে কালকে মিস্টেরিয়াস আইল্যান্ড, ক্যাপ্টেন প্লানেট, আরেকদিন টিম নাইট রাইডার (এইডার ছুডূ নাইকাডা আমার চাইল্ড হুড ক্রাশ ) মাসে একদিন রবিবার রাত ১১টায় ছায়াছন্দ আর শুক্রুবার সাড়ে ৮টায় আলিফ লায়লা, সাড়ে ১০টায় এক্সফাইলস।
.
এইসব অনুষ্ঠানের টাইমে এলাকার মাঠে মানুষ তো দূরের কথা মশা মাছিও মনেহয় টোগায়া পাওয়া যাইতো না। আর ইত্যাদি হওয়ার দিন তো মনেহয় বাহিরে ১৪৪ ধারা!! আবাল বৃদ্ধ বনিতা যে যেইখানে যেই কাজেই থাকুক ৯টায় আগেই দৌড়ায়া বাসায় হাজির হওয়া চাই। নিজের বাসায় না হইলেও অন্য কোথাও টিভি পাইলে ঐখানে বইসা পড়তো। কেউ খাটে, কেউ সোফায়, নিচে ফ্লোরে কোন বাধ বিচার নাই। রিমোট নিয়ে কোন কাড়াকাড়ি নাই। মোবাইলে কল আসার যন্ত্রনা নাই।
আলিফ লায়লা বা ইত্যাদি শুরুর সময় পুরা এলাকায় সবার বাসা থেকে একি মিউজিক বের হত, সে এক অন্য রকম ফিলিংস।
.
তখন কারেন্টো যাইতো রাতে একবার। সেটাও এক প্রকার এন্টারটেইন্মেন্ট। তখন আইপিএস বা এলিডি বাত্তি বা চার্জার ফ্যান এভেলেভেল ছিলো না। কারেন্ট গেলে সবাই হোওওওওওওও করে উল্লাস প্রকাশ করতো এন্ড নগদ খালি গায়ে বা সেন্ডো গেঞ্জি পরে বাহিরে বাহির হওয়া চাই। শুরু হত এলাকার মাঠে পোলাপাইনের ছুটাছুটি, মধ্যবয়সী আন্টিদের আড্ডা, বাদাম খাওয়া, রাস্তায় আরো বয়স্ক ডায়বেডিক্স চাচা চাচীদের উসাইন বোল্টের স্পিডে হাটিহাটি।
.
বেশির ভাগ বাসায় সবার জন্য কাপড় চোপড় কিনা হত বছরে একবার বা দুবার। শুধু ঈদের সময়। ঈদের আগে আবার কাউকে ঈদের ড্রেস দেখানো যাবে না এমন রিতিও ছিলো। ঈদে নতুন ড্রেস পরা আর সবাইকে দেখানোর মাঝে আলাদা মজা ছিলো। ওটা পরেই সব আত্মীয়র বাসায় যাওয়া, বিয়ে, জন্মদিন সব অনুষ্ঠান পার হতো। তাও মনেহয় পুরান হতো না সেটা স্পেশাল ড্রেসই থাকতো।
.
.
.
এখন টিভির অধিবেশন শুরুও হয় না শেষও হয় না। একটা চাবি মাইরা দিছে ছাইড়া টাইপের ২৪ ঘন্টাই কিছু না কিছু চলে। এতো বেশি চ্যানেল আর এতো বেশি অনুষ্ঠান তার ফাঁকে এতো বেশি এড, কোন চ্যানেলে যে কখন কি হয় তা মনে রাখা তো দূরের কথা এড এর টাইমে চ্যানেল উল্টাইলে কতক্ষন পরে আউলাইয়াই ফালাই একটু আগে কোন চ্যানেলে কি দেখতেছিলাম!!
.
এখন আর আগের মত বাদবিচারহীন ভাবে একসাথে বসে টিভি দেখা হয় না। সবার চোখের সামনেই কিছু না কিছু আছে। একেক ঘরে ২-৩টা করে টিভি, কারো সামনে পিসি, কেউ ল্যাপটপ কেউ ট্যাব বা স্মার্ট ফোনে ফেসবুক বা ইউটিউব বা গেমস নিয়ে বিজি।
.
এখন আর কেউ ড্রেস কিনার জন্য ঈদের অপেক্ষায় থাকে না। মাসেই ৩-৪টা করে কিনে, একটা ড্রেস পরে কোথাও গেলে সেটা পরে আর বাহিরে যাওয়া যাবে না সবাই কি বলবে সো আবার কিনো। সারা বছরই নতুন ড্রেসের ছড়াছড়ি, তাই আর এখন ঈদের ড্রেসে আলাদা কোন আনন্দ লাগে না। কিছু মানুষ শুধু শপিং করতেই আনন্দ পায় (টাকায় তো মাইনষেরে চাবায়)
.
সব কিছু যখন বেশি বেশি তো লোডশেডিংও বা বসে থাকবে কেন। সেও এখন যায় ঘন্টায় ঘন্টায়। কিন্তু এখন আর লোডশেডিং এ কেউ উল্লাস প্রকাশ করে না। কেউ আইপিএস/ জেনারেটরের কল্যানে টেরই পায়না, আর যারা পায় তাঁরা হাসিনারে গাইল্লায়া একটু সুখ খুঁজে।
.
.
আগে সব কিছু ছিলো লিমিটেড কিন্তু আনন্দ ছিলো আনলিমিটেড। এখন সব কিছুই আনলিমিটেড কিন্তু আনন্দটা হয়ে গেছে লিমিডেট।
.
প্রতিদিন দেখার মত একটা অনুষ্ঠান হত যেটা দেখার জন্য সারা সাপ্তাহ অপেক্ষায় থাকত সবাই। অনেক সময় বার মনে না থাকলেও অনুষ্ঠান দিয়ে বার মনে করতাম। যেমন গতকাল ম্যাগাইভার ছিলো সো আজকে সোমবার, আজকে তাহলে ওসান গার্ল, তারমানে কালকে মিস্টেরিয়াস আইল্যান্ড, ক্যাপ্টেন প্লানেট, আরেকদিন টিম নাইট রাইডার (এইডার ছুডূ নাইকাডা আমার চাইল্ড হুড ক্রাশ ) মাসে একদিন রবিবার রাত ১১টায় ছায়াছন্দ আর শুক্রুবার সাড়ে ৮টায় আলিফ লায়লা, সাড়ে ১০টায় এক্সফাইলস।
.
এইসব অনুষ্ঠানের টাইমে এলাকার মাঠে মানুষ তো দূরের কথা মশা মাছিও মনেহয় টোগায়া পাওয়া যাইতো না। আর ইত্যাদি হওয়ার দিন তো মনেহয় বাহিরে ১৪৪ ধারা!! আবাল বৃদ্ধ বনিতা যে যেইখানে যেই কাজেই থাকুক ৯টায় আগেই দৌড়ায়া বাসায় হাজির হওয়া চাই। নিজের বাসায় না হইলেও অন্য কোথাও টিভি পাইলে ঐখানে বইসা পড়তো। কেউ খাটে, কেউ সোফায়, নিচে ফ্লোরে কোন বাধ বিচার নাই। রিমোট নিয়ে কোন কাড়াকাড়ি নাই। মোবাইলে কল আসার যন্ত্রনা নাই।
আলিফ লায়লা বা ইত্যাদি শুরুর সময় পুরা এলাকায় সবার বাসা থেকে একি মিউজিক বের হত, সে এক অন্য রকম ফিলিংস।
.
তখন কারেন্টো যাইতো রাতে একবার। সেটাও এক প্রকার এন্টারটেইন্মেন্ট। তখন আইপিএস বা এলিডি বাত্তি বা চার্জার ফ্যান এভেলেভেল ছিলো না। কারেন্ট গেলে সবাই হোওওওওওওও করে উল্লাস প্রকাশ করতো এন্ড নগদ খালি গায়ে বা সেন্ডো গেঞ্জি পরে বাহিরে বাহির হওয়া চাই। শুরু হত এলাকার মাঠে পোলাপাইনের ছুটাছুটি, মধ্যবয়সী আন্টিদের আড্ডা, বাদাম খাওয়া, রাস্তায় আরো বয়স্ক ডায়বেডিক্স চাচা চাচীদের উসাইন বোল্টের স্পিডে হাটিহাটি।
.
বেশির ভাগ বাসায় সবার জন্য কাপড় চোপড় কিনা হত বছরে একবার বা দুবার। শুধু ঈদের সময়। ঈদের আগে আবার কাউকে ঈদের ড্রেস দেখানো যাবে না এমন রিতিও ছিলো। ঈদে নতুন ড্রেস পরা আর সবাইকে দেখানোর মাঝে আলাদা মজা ছিলো। ওটা পরেই সব আত্মীয়র বাসায় যাওয়া, বিয়ে, জন্মদিন সব অনুষ্ঠান পার হতো। তাও মনেহয় পুরান হতো না সেটা স্পেশাল ড্রেসই থাকতো।
.
.
.
এখন টিভির অধিবেশন শুরুও হয় না শেষও হয় না। একটা চাবি মাইরা দিছে ছাইড়া টাইপের ২৪ ঘন্টাই কিছু না কিছু চলে। এতো বেশি চ্যানেল আর এতো বেশি অনুষ্ঠান তার ফাঁকে এতো বেশি এড, কোন চ্যানেলে যে কখন কি হয় তা মনে রাখা তো দূরের কথা এড এর টাইমে চ্যানেল উল্টাইলে কতক্ষন পরে আউলাইয়াই ফালাই একটু আগে কোন চ্যানেলে কি দেখতেছিলাম!!
.
এখন আর আগের মত বাদবিচারহীন ভাবে একসাথে বসে টিভি দেখা হয় না। সবার চোখের সামনেই কিছু না কিছু আছে। একেক ঘরে ২-৩টা করে টিভি, কারো সামনে পিসি, কেউ ল্যাপটপ কেউ ট্যাব বা স্মার্ট ফোনে ফেসবুক বা ইউটিউব বা গেমস নিয়ে বিজি।
.
এখন আর কেউ ড্রেস কিনার জন্য ঈদের অপেক্ষায় থাকে না। মাসেই ৩-৪টা করে কিনে, একটা ড্রেস পরে কোথাও গেলে সেটা পরে আর বাহিরে যাওয়া যাবে না সবাই কি বলবে সো আবার কিনো। সারা বছরই নতুন ড্রেসের ছড়াছড়ি, তাই আর এখন ঈদের ড্রেসে আলাদা কোন আনন্দ লাগে না। কিছু মানুষ শুধু শপিং করতেই আনন্দ পায় (টাকায় তো মাইনষেরে চাবায়)
.
সব কিছু যখন বেশি বেশি তো লোডশেডিংও বা বসে থাকবে কেন। সেও এখন যায় ঘন্টায় ঘন্টায়। কিন্তু এখন আর লোডশেডিং এ কেউ উল্লাস প্রকাশ করে না। কেউ আইপিএস/ জেনারেটরের কল্যানে টেরই পায়না, আর যারা পায় তাঁরা হাসিনারে গাইল্লায়া একটু সুখ খুঁজে।
.
.
আগে সব কিছু ছিলো লিমিটেড কিন্তু আনন্দ ছিলো আনলিমিটেড। এখন সব কিছুই আনলিমিটেড কিন্তু আনন্দটা হয়ে গেছে লিমিডেট।
আসলেই লিমিটে থাকা ভালো, বেশি বেশি কোন কিছুই ভালো না।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন