বৃহস্পতিবার, ২৮ আগস্ট, ২০১৪

ওজন

ল্যাদা কালে  যখন ওজন ৪০ কেজি তখন  কোন আত্মিয়র বাসায় গেলেঃ “সুসাআআআআআআন তুই আগের থেকে দেখি অনেক শুকায়া গেছোস!!!”

যখন ওজন ৫০ কেজি তখন কোন আত্মিয়র বাসায় গেলেঃ “সুসাআআআআআআন তুই আগের থেকে দেখি অনেক শুকায়া গেছোস!!!”

যখন ওজন ৬০ কেজি তখন কোন আত্মিয়র বাসায় গেলেঃ “সুসাআআআআআআন তুই আগের থেকে দেখি অনেক শুকায়া গেছোস!!!”

যখন ওজন কইম্মা ৫৪ কেজি তখন কোন আত্মিয়র বাসায় গেলেঃ “সুসাআআআআআআন তুই আগের থেকে দেখি অনেক শুকায়া গেছোস!!!”

এখন ওজন ৬৭ কেজি, এখনো কোন আত্মিয়র বাসায় গেলেঃ “সুসাআআআআআআন তুই আগের থেকে দেখি অনেক শুকায়া গেছোস!!!”




বুঝলাম  না হালার কাহিনি!!! এইডা কি আসলেই ‘শুকায়া গেছির’ হাঁ হুতাশ না ওয়েলকাম জানানির কোন তরিকা!!! o.O

বুধবার, ২৭ আগস্ট, ২০১৪

সেলফ ডিপেন্ডেন্ট

“কিরে আর কত অন্যের উপর ডিপেন্ডেন্ট থাকবি??? এইবার সেলফ ডিপেন্ডডেন্ট হ”
.
< “আমি তো সেলফ ডিপেন্ডেন্টই”
.
“ক্যামনে???  ”
.
< “এইযে দেখো না আমি নিজের ছবি নিজে তুলি যারে কয় সেলফি। অন্যের ছবি তুইল্লা দেওনের আশার উপর নির্ভর করতে হয় না। সো আ’ম সেলফ ডিপেন্ডেন্ট  ”
 — 

মঙ্গলবার, ২৬ আগস্ট, ২০১৪

কবিরাজ

আমার বড় খালার লিভারে প্রব্লেম ছিল (যিনি কয়দিন আগে ইন্তেকাল করেছেন)। ১০-১১ দিন বারডেমে ছিলো। তাদের পক্ষে আর পসিবল না, তাঁরা গ্যাস্টো-লিভারের একজন টপ লেভেলের ডাক্তারকে রেফার করে দিছেন। এবার বারডেম থেকে খালাকে ল্যাবেইডে ঐ ডাক্তারের আন্ডারে ভর্তি করানো হল। উনি খালার শরীর থেকে একটা স্যাম্পল নিয়ে ইন্ডিয়ায় টেস্টের জন্য পাঠাইছেন। আসতে ৭ দিন লাগবে এর উপরেই নির্ভর করবে খালাকে দেশে রাখা যাবে না বাহিরে নিতে হবে।
.
তো এলাকার আরেক আন্টি আইলো আমগো বাসায়। আম্মার কাছ থেকে সব কথা শুনে কইতাছে (কথা গুলা অনেকটা এমন )

“আরে ধূরো আপনেরা কিযে করেন। হুদ্দাই ডাক্তারের পিছে ট্যাকা কতডি খরছ করতাছেন। এই রোগ এমনে সারবো নি??? আমার পরিচিত কবিরাজ একটা আছে। লন ঐডার চেম্বারে।”

< “কোন কবিরাজ?? চেম্বারো আছে??  ”

“হুম বড় কবিরাজ। চেম্বারে বসে  ”

< “নাম কি? ”

“কবিরাজ চুমকির মা দাড়ান এখুনি ফোন দিতাছি ”
.
বাসায় থাকতেই ‘কবিরাজ চুমকির মা’ কে আন্টি কল দিলো,

“আপা কেমন আছেন? আপনি কি চেম্বারে??”

< “এইতো আছি ভালো। হুম চেম্বারে। ক্যান?”

“না একটু দরকার আছে। এক আপার লিভারের অসুখ, তাই আসবো”

< “আচ্ছা আসেন। একটু তাড়াতাড়ি আইসেন। আমার হাসবেন্ড অসুস্থ। তারে নিয়া আবার ডাক্তারের কাছে যাইতে হবে!!!!!!!”

  

সোমবার, ২৫ আগস্ট, ২০১৪

DSLR চেহারা

“আপনাকে আজকে ১০ নম্বরে দেখছিলাম। এতো ডাকলাম, আপনার আশে পাশের মাইনষে তাকাইলো কিন্তু আপনি তাকাইলেন না ক্যান?? চেহারা একটু সুন্দর হইছে আবার একটা মেয়ে পিছন থেকে ডাকতেছে তাই বুঝি ভাব মারলেন??”
.
< “আমি গত এক মাস ধইরা ১০ নম্বরের আশেপাশে দিয়া যাই না, তুমি আমারে দেখলা ক্যামনে?? আবার চেহারা সুন্দর!!! কি দিন আইলো আজকাল হনুমানো মাইনষের কাছে সুন্দর লাগা শুরু হইছে!!” 
.
“আপনি ১০ নম্বরে যান নাই!!?? তাহলে আপনার কি জমজ ভাই আছে নাকি?”
.
< “নাহ”
.
“তাইলে আপনেই ছিলেন। আমি আপনাকেই দেখছি, চাপা সমগ্র ভার্চুয়াল স্টাটাসে মাইরেন আমার সাথে মাইরা লাভ নাই”
.
< “তুমি তো আমারে কোন দিন সামনা সামনি দেখই নাই ক্যামনে সিউর হইলা ঐডা আমিই ছিলাম??”
.
“ক্যান ফেসবুকে ছবি দেখছি না, ব্ল্যাক টিশার্টে।”
.
< “ ১০ নম্বরে যারে দেখছো ওর গালে কয় হাজার ছ্যাদা আছিলো??”
.
“ছ্যাদা থাকবে ক্যান আজিব!!! আপনার গালে কি ছ্যাদা আছে নাকি??”
.
< “ওয় কেমন কালা???”
.
“আরে ধুর কালো হবে ক্যান?? ফর্সা তো, পুরা আপনার মত”
.
“তাইলে তোমার জন্য একটা কথাই বলার আছে, ‘প্রো পিক দেখে কেউ হইছ না খুশি আড়ালে DSLR ক্যাম্রা হাসে  ”
.
.
মোরালঃ এতদিন মিথ্যা বলার একটা যন্ত্র ছিলো নাম “মোবাইল”
গত কয় বছর যাবত মিথ্যা দেখানোর একটা যন্ত্র এভেলেবেল হইছে.. নাম DSLR..
DSLR এ আমার ছবি দেইক্ষা আমি নিজেরেই নিজে চিনি না আরেকটায় আমারে কোন দিন না দেইক্ষাই আইছে ছবি দেইক্ষা চিনতে!!!! কারবার... হুররররররর 

রবিবার, ২৪ আগস্ট, ২০১৪

পরীক্ষা

শুক্রুবার সোনালী ব্যাংক এর MCQ পরীক্ষা দিতে গেলাম। সিট পড়ছে বিজ্ঞান কলেজে। এক ব্যাঞ্চে ৪ জন!!! স্কুল কলেজ এর সময় পরীক্ষায় এমন সিট প্লান পাওয়ার জন্য দুই চার রাকাত নফল নামজো পইড়া ফালাইতাম তাও আল্লায় কবুল করতো না আর ঐদিন তিন জন ব্যাঞ্চে বইসা আল্লাহ আল্লাহ করতাছি চতুর্থ জন যাতে না আসে। এমনেই গরম আর চাপা চাপি কইরা গরম হওয়ার ইচ্ছা নাই।
বরাবরের মত এইবারো আল্লায় দোয়া কবুল করে নাই। ঘন্টা বাজার ঠিক আগ মূহুর্তে ৪নং ভাইজানো আইসা পড়ছেন >
.
তো এতো চাপাচাপি ভাবে বসে পরীক্ষার একটা বেনিফিট তো নেয়া উচিৎ  একটা অংক করলাম। উত্তর যেটা আইলো সেটা মনেহয় MCQ কোশ্চেনের D নম্বর উত্তর। তার পরো আরো একটু সিউর হওয়ার জন্য ডাইনের ভাই জানের খাতার দিকে চাইলাম, হাজার হইলেও ভূল মার্কে নাম্বার তো পামুই না উল্টা নম্বর মাইনাস!!!
.
ডাইনের ভাই এর উত্তর মনেহয় ছিল A.
বাম পাশে চাইলাম। বাম পাশের ভাইয়ের উত্তর দেখি B!!!!
মহাজ্বালা!! তার পাশের ভাই জানের টা দিকে চাইলাম। তার উত্তর দেখি C !!!!!!!
 
.
এলা ছারছে নি কাম। কনফিউছন কমাইতে গিয়া দিলাম নি আরো বাড়ায়া!!!
আমার লগেই ক্যা এই আজগুবি মাল গুলার সিট পড়তে হইবো  

শুক্রবার, ২২ আগস্ট, ২০১৪

সেলফি না ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফি!!

শুরুতে একটা ছোট গল্প বলিঃ
# মেয়েটি তাহার ঠোঁট কে রাজ হাসের মত করিয়া একটি সেলফি তুলিয়া ফেসবুকে আপলোড করিলো।
সরল সোজা সাদা মনের ছেলেটি কমেন্ট করিলোঃ “সো নাইছ, তুমি খুব ভালো ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফার হতে পারবা। আই এপ্রিশিয়েট ইট”
অতঃপর ছেলেটি মেয়ে কর্তিক ব্লকড হইলো। ছেলেটি বুঝিলো না প্রশংসা পাইয়াও ক্যান মেয়েটি তাকে ব্লক করিলো!!
.
দুবাই প্রবাসী মামুর কল্যানে সম্ভবত ২০০৭ এ প্রথম নোকিয়ার একটা ক্যাম্রা মোবাইল হাতে পাই। মোবাইলের ফিছন দি ক্যাম্রা। আমার ছবি তুইল্লা দেওনের জন্য কোন কালেই কেউ ছিলো না এখনো নাই। তাই মোবাইল ঘুরায়া আন্দাজ কইরা নিজেই নিজের ছবি তুলতাম। ২০০৮ এ আরেক প্রবাসী কাজিনের কল্যানে পাই নোকিয়ার N80. এইডার সামনে পিছে দুইহানেই ক্যাম্রা যার কারনে ‘নিজেই নিজের ছবি তোলা’ টা অনেক সহজ হইল।
কিন্তু ক্যান জানি ছবি গুলান দেখলে আমি সহ কেউই ঠাওর করতে পারতো না এডি কি আসলে মাইনষের ফটো না চিড়িয়াখানায় তোলা কোন ওয়াইল্ড লাইফ ফটো!!
.
.
২০১৪ তে আইসা দেখি ‘নিজেই নিজের ছবি তোলারে’ এখন ‘সেলফি’ কয়। সেলফিতে দেখতে যতই প্রতিবন্ধী টাইপ লাগুক বা চিড়িয়াখানার বান্দরের মত লাগুক এই “ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফিই” এখন হাল ফ্যাশন 

বুধবার, ২০ আগস্ট, ২০১৪

সুইসাইড মিশন

“স্যার আর একজন আছেন। পাঠিয়ে দিবো??”
“হুম দিন। সাথে এক কাপ কফি পাঠান তো”
.
“ আপনি একাউন্টস অফিসারের জন্য এপ্লাই করেছেন। আচ্ছা বলেন তো সর্ব প্রথম বঙ্গ নামের উল্লেখ পাওয়া যায় কোন গ্রন্থে??”
.
< “জানি না স্যার ”
.
“ ‘ঐতরেয় আরণ্যকে’। আপনি একজন বাঙ্গালী, আর বঙ্গ নামটা প্রথম কই পাওয়া যায় তাই জানেন না!!অকে, তাহলে বলেন তো who is the father of english poetry?”
.
<“নো আইডিয়া এবাউট দিস ”
.
“খুবি সিম্পল এন্সার। Chucer is the father of english poetry. এটা তো অন্তত জানা উচিৎ ছিলো একজন গ্রেজুয়েট হিসাবে। কি পড়াশুনা করছেন। অকে বলেন তো আমাজন এর আয়তন কত??? ”
.
< “সরি স্যার এটাও সঠিক পারছিনা”
.
“মালয়শিয়ার হারিয়ে যাওয়া বিমানে কয় জন মালয়শিয়ান যাত্রী ছিলো?”
.
< “সঠিক মনে নাই। ৪৪ বা ৪৫ জন মনে হয়”
.
“ কি জানেন আপনি??? কিছুই তো জানেন না। পুরা জীবন টাইতো বৃথা দেখছি। এই জিরো ঘিলু দিয়ে কি করবেন লাইফে?”
.
< “স্যার মানুষের জীবন কত বছর??”
.
“এটা বলা কি পসিবল নাকি? এভারেজ ৬৫-৭০ বছর। এর আগে পরেও মারা যেতে পারে মানুষ”
.
< “তার মানে ঐ এভারেজ হিসাবে আমাকে এখনো আরো ৩০-৪০ বছর বৃথা লাইফ লিড করতে হবে!!”
.
“এক্সেটলি। এই জ্ঞান নিয়ে কিছুই করতে পারবেন না। আপনি না জানেন বাংলা সম্পর্কে, না জানেন ইংরেজী সম্পর্কে, না রাখেন দুনিয়াদারীর খবর। কিছুই তো জানেন না। লাইফে সাকসেসফুল হবেন কিভাবে? ”
.
< “স্যার আপনি কি সাকসেসফুল?”
.
“আপনার কি মনে হয়? আমি কি এমনে এমনে এই চেয়ারে বসেছি?? আ’ম এ ফার্স্ট ক্লাস গেজেটেড অফিসার অফ বাংলাদেশ গভর্মেন্ট। সাথে ওয়েল নৌউন্ড মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে কন্সাল্টেন্ট হিসাবে আছি। অলমোস্ট লাখ টাকা স্যালারী ড্র করি। দেশের সেরা ভার্সিটি থেকে পড়াশুনা করেছি। স্কলারশিপে এমেরিকা থেকে পোস্ট গ্রেজুয়েশন করে এসেছি। দেশের সেরা স্কুলে আমি ফার্স্ট বয় ছিলাম। আপনার আর আমার বয়স তো আলমোস্ট সেইম, প্রায় একি এইজে আপনি কই আর আমি কই?? এর পরো কি ডাউট আছে কে সাকসেফুল?? তারপরো আমি বলবো না আমি সাকসেসফুল। আমাকে লাইফে সর্বোচ্চ সাকসেসের জন্য আরো পথ পাড়ি দিতে হবে”
.
< “স্যার এইটা তো ঐ ‘এভারেজ ৬৫-৭০ বছর’ লাইফের জন্য। এর পরের অনন্তকালের লাইফের জন্য কি করছেন??”
.
“হাহাহাহ। সিলি কোশ্চেন!! আমাদের ফেসবুক পেইজে ছবি দেখেন নি নাকি ফেসবুক আইডিও নেই এই যুগে??? আচ্ছা এখানে ঐযে আপনার পিছনে দেয়ালে ছবিগুলো দেখেন। আমি এই নিয়া ৩টা মসজিদ করে দিয়েছি ফুল এয়ার কন্ডিশন্ড, ডান পাশের ছবিতে দেখেন শীতার্তদের মাঝে শ’খানেক কম্বল বিতরন করেছি, এই পাশের ছবিতে দেখুন নিয়মিত রক্ত দিচ্ছি, ঐপাশের ছবিতে দেখুন ৫০০ মানুষ কে যাকাতের শাড়ি আর লুঙ্গী দিয়েছি এইবার। অন্য বারের ছবি গুলো এখানে নেই। ফেসবুকে আমার ওয়েলফেয়ার অরগানাইজেশন এর পেইজে সব ছবি আপডেট করি। অনেক মানুষ লাইক করে আমাকে এপ্রিশিয়েট করে। কমেন্ট গুলো পড়লেও বুঝবেন আলহামদুলিল্লাহ অনেক মানুষের দোয়া আছে আমার সাথে।”
.
< “এইগুলাত শো অফ হইয়া গেলো না?? আল্লাহ তো দান এমন ভাবে করতে বলছে যাতে ডান হাতে করলে বাম হাতেও তের না পায়”
.
“শো অফ হবে কেন?? আমারটা দেখে মানুষ যাতে ইনস্পায়ার্ড হয় সে জন্য আমি এগুলো আপ দেই। তাড়াছাড়া আমি ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়ি, রোজা রাখি”
.
< “স্যার তো সেই আছরের আগের থেকে একজন একজন করে ইন্টারভিউ নিচ্ছেন। এখন তো মাগরিব শেষ হয়ে এশার টাইম প্রায়। নামাজ কি পড়ছিলেন??”
.
“আজকে বিজি ছিলাম তাই নাহয় পড়া হয় নি। এমনিতে পড়ি সবসময়।”
.
<“স্যার একটা লাস্ট প্রশ্ন করি??”
.
< “করেন”
.
“গোছলের ফরজ কয়টা???”
.
< “আপনি কি আমার পরীক্ষা নিচ্ছেন???? গোছলের আবার কয়টা ফরজ ৫-৭টা হবে হয়তো। শাওয়াড় ছেড়ে পুরা শরীর ওয়াশ করলেই তো ফরজ নফল সব হয়ে যায়। এটা কোন প্রশ্ন হলো?? বি প্রফেশনাল ”
.
“আপনি যে মাঝে মধ্যে গার্লফ্রেন্ড্রে নিয়া কক্সবাজারে হলিডে পালন করতে যান বা পিএ কে নিয়ে সিঙ্গাপুরে যান, যাই হোক যেখানেই যান যাই করেন আল্লাহ ক্ষমাশীল। মাফ চাইলে মাফ কইরা দেয় সব গুনাহ। কিন্তু ক্ষমা চাইতে হইলেও তো পাক শরীরে চাইতে হয় ক্ষমা। গোছলের ফরজটাই যদি না জানেন তাইলে শরীর পাক করবেন ক্যামনে। আর এমনেই যদি মারা যান জাহান্নাম যাইতে আর কস্ট করতে হইবো না, সাকসেস্ফুল্লি বিনা হিসাবেই যাইবেন গা, এই ওয়েলফেয়ার টেয়ার কোন কাজে আসবে না।”
.
< “ হোয়াট রাবিশ!! মানে কি???”
.
“স্যার আমার তো মাত্র ৬৫-৭০ বছরের লাইফ বৃথা পরের লাইফে হয়তো কিছুটা চান্স আছে সাকসেসের, নাও থাকতে পারে... আপনার তো দেখছি অনন্ত কালই বৃথা। সুইসাইড মিশনের মধ্যে আছেন। বেস্ট অফ লাক”

ডিফারেন্স বিটুইন শেখ সাদী এন্ড ছাগলের লাদী

“আমার বাংলাদেশ” এর উপস্থাপক রাজীব ভাই অনেক দিন আগে একটা স্টাটাস দিছিলেন হু বহু মনে না থাকলেও যার সারমর্ম অনেকটা এমন, ফেসবুকে উনি কয়দিন অনুপুস্থিত থাকলে বা স্টাটাস না দিলে তার কাছে অনেক ইনবক্স আসে, 
.
“ভাই স্টাটাস নাই ক্যান?”/“শরীর খারাপ নাকি?”/ “আপনার লেখা না দেখলে ভালো লাগে না”/ “ভাই কোন প্রব্লেমে আছেন নাকি? শেয়ার করতে পারেন, দেখি আপনার জন্য কিছু করতে পারি কিনা”/ “ভাই আমাদের ছেড়ে হঠাত নাই হয়ে গেলেন ক্যান? আমাদের কোন আচারনে কস্ট পাইছেন?” ইত্যাদি....
..
..
আমার লগে অনেকটা মিল আছে।  আমিও মাঝে মধ্যে অনিবার্য কারন বসত কয়দিন ফেসবুকে না আসলে আমার ইনবক্স মেসেজে ভরে যায়... মেসেজ গুলা অনেকটা এমন টাইপের,
.
“হউরের পোলা ভাব চো*ও?? কোন চিপায় হান্দাইয়া রইছোস???”
.
“সুসান সোনাআআআআআআ তোমাকে কি এখন স্টাটাস পয়দা করার জন্য আল্লদ করে বলতে হবে, ভাইয়াআআআআআআআ আপনার স্টাটাস না দেখলে আমার ঘুমই হয় না? হারামজাদা অনলাইনে আয়!!!  ”
.
“ঐ কুত্তা, মরছোস??”
.
“এড মি প্লিজ, আই এম একটিভ”
.
“মিয়াভাই আপনার ফুটানি সব বুঝি, আছেন তো ঠিকি অফ লাইনে। বইয়া বইয়া নিশ্চই তামাসা দেখতাছেন আপনেরে কে কে মিস করে? হে হে কেউই করে না। আপনার আলগা ভাব দেখার টাইম নাই, দূরে গিয়া মরেন ”
.
“এই কালেমা ২০ জনকে ফরোয়ার্ড করলে আজকে রাতের মধ্যেই কোন সুখবর পাবেন, না করলে আগামী ২০ বছরেও কোন সুখবর পাবেন না।”
.
“কয়টা ফলোয়ার আছে বলে এত ভাব নেয়ার কিছু নাই। ফ্রেন্ড রিকু এক্সেপ্ট না করলে বলে দিতেন। এভাবে ঝুলায় রেখে ফলোয়ার না বাড়ালেও পারতেন!! আপনাদের মত চিপ মেন্টালিটির মানুষদের জন্য ফেসবুকে বসতেই ইচ্ছা করে না!!খাটাস একটা ”
.
“যাক আল্লায় তোরে উঠায়া লইয়া দেশ,জাতি ও ফেসবুকেরে এতো দিনে উদ্ধার করছে!!! কালকেই মসজিদে এই খুশিতে ২ টাকা দিমু ”

..
..

দিস ইজ দ্যা ডিফারেন্স বিটুইন শেখ সাদী এন্ড ছাগলের লাদী 

শুক্রবার, ৮ আগস্ট, ২০১৪

বর্ষার বিয়ে

১. ল্যাদা কাল থেকেই কিল্লাইগা জানি বর্ষার সাথে আমার খোদার ৩০টা দিন কিলাকিলি বাধতো। আল্লাদি মার্কা কিলাকিলি না, WWF রেস্লিং হইতো। এর সঠিক কারন আইজ পর্যন্ত কেউ বাহির করতে পারে নাই। বাসা চেঞ্জ করায় ক্লাস থ্রি এর পরে আর বর্ষার সাথে দেখা নাই। 
অনেক বছর পরে সম্ভবত কলেজে পড়ার সময় ২০০৪ বা ০৫ সালে ঈদে বাসায় আসছিলো। ঐবারই লাস্ট বর্ষার সাথে কথা হয়। হেইদিনো পচাইছি  
(যদিও বড় হইয়া উরাধুরা সুন্দরী হইয়া গেছিলো, তো কিছে?  হু কেয়ার্স  )
.
২. আগে বর্ষাকে আমি হারামো দেখতে পারতাম না কিন্তু এই বছর থেকে মানে ২০১৪তে হঠাৎ বর্ষাকে ভালো লাগা শুরু করছে। শুধু ভালো না মন থেকে ভালো লাগে। সিরিয়াসলি।  
.
৩. এই বছর সম্ভবত মার্চে বর্ষা আমার ফ্রেন্ড রিকু একসেপ্ট করে। প্রথম দিন চ্যাটে মোটামুটি ভালই কথা হয় এর পরে ব্যাস্ততার কারনে আর তেমন আড্ডা মারা হয় নাই।
.
আগামীকাল ৮ই আগস্ট। বর্ষার বিয়ে.........
.
.
.
ভাই বেরাদরেরা, হেড লাইন দেইক্ষাই বিভ্রান্ত হইয়েন না। নিজে নিজে সুসানের সাথে বর্ষার রাসায়নিক বিক্রিয়া মিলানির আগে একটু হোল্ড করেন। সব খোলাসা করতাছি।
.
(১) নং এর বর্ষা আমাগো এক্স বাড়িয়ালার ভাগনী। ওর লগে আমার সম্পর্ক টম এন্ড জেরী লেভেলের। এবং আইজ পর্যন্ত আমগো দুইটার ভিত্রে কোন শান্তি চুক্তি হয় নাই। ঐসব সুন্দরী ফুন্দরী চেহারা ধুইয়া পানি খাওনের টাইম নাই, ঠুয়াঠুয়ি টু বি কন্টিনিউ 
.
(২) নং এর বর্ষা হচ্ছে রেইনি সিজন বা বৃষ্টি (রেইন) কে বুঝাইছি। বৃষ্টি বা বর্ষাকাল আমার কোন কালেই পছন্দ ছিলো না। শীতকাল পছন্দ। কিন্তু আল্লাহয় এইবার অল্প শীত আর ৪০-৪২ ডিগ্রী প্লাস গরম দেখায়া দেওনে এখন বর্ষাকালো পছন্দের তালিকায় চইলা আসছে। তাও ভালা বৃষ্টি হইলে দুনিয়া কিছুটা ঠান্ডা থাকে। ঠান্ডা থাকাটাই আসলে পছন্দের কারন।
.
(৩) নং এর বর্ষা হচ্ছে আমার ভার্চুয়াল ফ্রেন্ড Sanjida Islam Barsha। মার্চ থেকে ওর সাথে আমার ভার্চুয়ালি পরিচয়।

আগামীকাল ৮ই আগস্ট। শোকের মাস আগস্টে আরেকটা শোকের দিন। আগামীকাল বর্ষার কোরবানী থুক্কু শুভ বিবাহ। জীবিত অবস্থায় মেয়েটা অনেক মেধাবী ও ভালো মানুষ ছিলো। আবিয়াইত্তা ওয়ার্ল্ডের এই ক্ষতি অপূরনীয়। Maiden জীবন থেকে তার এই অকাল প্রস্থানে ঝাতি গভীর ভাবে শোকাহত। আমরা তার মেইডেন আত্মার শান্তি কামনা করি।

মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, ২০১৪

সুন্দ্রী না বান্দ্রী

ওয়ান্স আপন এ টাইম একি কলেজের দুই সেকশনের দুই জনের সাথে কথোপকথনঃ
.
.
“খুব টেনশনে আছি”
.
< “ হুনো টেনশনের কিছু নাই। সুন্দরীরা কোন খানেই কোন ব্যাপারে আটকায় না  ”
.
“ সুন্দরী হইয়া লাভ নাই দুনিয়া বড়ই কঠিন”
.
< “ সুন্দরী বান্দরী সবার জন্যই কঠিন তয় সুন্দরীদের জন্য কিছুটা সুবিধাজনক”
.
“ আমি সেরাম সুন্দরী না”
.
< “ তোমার গ্রুপ ফটোর সাথে মিলায়া দেখো তোমার চেয়ে বেশি সুন্দরী কেডা আছে? কলেজে শুধু রূপারেই দেখছিলাম তোমার চেয়ে বেশি সুন্দরী, সেকেন্ডেই তুমি।”
.
“রূপা টা কে???  ”
.
< “আমার কলেজ ফ্রেন্ড  ”
.
“আমার লগে রূপারে মিলাইলা!!!!  এখুনি ছবি দেখাও, দেখি ওয় কেমন সুন্দরী”
.
< “ঐ যুগে মোবাইলে ক্যাম্রা এভেলেভেল ছিলো না, তাই ছবি নাই। তয় ওই টপ সুন্দরী আছিলো কলেজে  ”
.
“হুহ শিহাব ( কলেজ ফ্রেন্ড) বলছে আমিই কলেজের টপ সুন্দরী  ”
.
.
বুঝলাম না কাহিনি। ২ মিনিট আগে কইলো “আমি সিরাম সুন্দ্রী না” ২ মিনিট পরে কয় “আমি কলেজে টপ সুন্দ্রী!!!!!” 
আপু সমাজ কখন যে তারে সুন্দ্রী ভাবে আর কখন যে তারে বান্দ্রী ভাবে কিছুই মাথায় ঢুকে না!!