বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৩

শিলার-আসিফ নজরুল

শিলার প্রথম বিয়ে আসিফ নজরুলের সাথে। আসিফের সাথে ছাড়াছাড়ি হয়ে
শিলার বিয়ে হয় এক আম্রিকান প্রবাসির সাথে (সম্ভবত অপু নামে একজনের সাথে যে তার ক্লাসমেট ছিল)। 

নজরুলের বিয়ে হয় রোকেয়া প্রাচীর সাথে। রোকেয়া প্রাচীর আগের স্বামী ছিলেন পুলিশ অফিসার যিনি সন্ত্রাসীদের ধরতে গিয়ে মারা যান। 
শীলার বাবা হুমায়ন আহমেদ। কিন্তু তার স্ত্রী শীলার মা নন, তিনি শীলার বান্ধবী!!! শীলার মা 
শীলার বাবার প্রথম স্ত্রী!! 

শীলার আম্রিকান ঘরে দুই সন্তান হয়। শীলার সাথে আম্রিকানের ছাড়াছাড়ি হয়, এদিকে নজরুলের সাথে রোকেয়া প্রাচীর ছাড়াছাড়ি হয়।

সর্বশেষ গতকাল শীলা তার পুরান স্বামী আসিফ নজরুলকে আবার বিবাহ করে নতুন ঘর সংসার শুরু করলেন ............. to be continue

মোরালঃ প্রেক্টিক্যাল ভার্সন অফ হিন্দি সিরিয়াল

(উপরের মেগা সিরিয়ালটি প্রচারিত হল বিভিন্ন পত্রিকার তথ্য মতে। উল্টা পাল্টা কিছু পেয়ে থাকলে সুসান "হলুদ সাংবাদিক" ট্যাগ খাইতে বাধ্য নহে  )

রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০১৩

মর্ডান আপা

এক উঠতি “মডার্ন” আফার সাথে চ্যাট করতে করতে আমার এক মফঃস্বলের আল্ট্রামডার্ন আপুর কথা মনে পড়লো। উনি কলেজ পর্যন্ত ঠিকি আছিলেন কিন্তু ভার্সিটিতে উইঠা তারে কোন ভূতে পাইছে কে জানে উনি হঠাৎ আম্রিকান হইয়া গেছেন!!!!!

উনি এখন কটকটি খান না, উনি ক্যাটবেড়ি সিল্ক খান!! শি সেইস, শিজ ডাই ফর চকলেট!! উনি গোছল করেন না, শাওয়াড় নেন!!

উনি এখন পটেটো চিপস খান না, উনি লেইছ/প্রিঙ্গেলস খান!!! উনি কোক পেপসি খান না, উনি সফট ড্রিঙ্কস খান!!! উনি নুডুলস খান না, স্পেগেটি পাস্তা খান!!

তো এই ধারাবাহিকতায় শীতে নতুন এড হইছে চা পান করেন না উনি জাস্ট অনলি কফি খান! (আসলেই কফি খায় না গরম পানিতে গুড় গোলায়া খায় কে জানে)

আমারে জিগাইলো “তুমি কফি খাও?”

উনার আলগা ভাবগুলান আমারে বহুত এন্টারটেইন্মেন্ট দেয় তাই আর উনার ভাবের সাথে পাঙ্গা নিয়া এন্টারটেইন্মেন্ট নস্ট করার ইচ্ছা নাই। বললাম,

“নাহ, আমার দৌড় চা পর্যন্তই  ”

> “  কি বলে, এই যুগের ছেলে কফি খায় না!!! আজওওওব!! আচ্ছা আমি বানিয়ে আনছি”

< “ আপনি কফি বানাতে পারেন?”

> “অবশ্যই!!!!!!! এটা না পারার কি আছে  ” (দ্বিগুন অবাক)

তো কফি আনার পর জিগাইলাম “কি কফি বানাইলেন? এস্প্রেসো, কাপুচিনো না লত্যে? ”

(যদ্দুর জানি বাংলাদেশী কফি খোরেরা এই কয় টাইপের কফিই বেশি খায় তাই জিগাইলাম উনি কোনডা খায়। কিন্তু তার উত্তর শুইন্না আমি পুরাই মখা হইয়া গেলাম!!)

> “আরে নাআআআআ, এসব না আমিতো Nescafe coffee বানাই সবসময়। অন্য গুলোতে টেস্ট পাইনা!!!! আর এটাই তো সবচেয়ে দামী আর বেশি চলে!!!”

দোয়া করি অনেক উঁচা ফ্যামেলিতে সকল আল্ট্রা + উঠোতি মডার্ন আপাদের বিয়া হোক কিন্তু ভুলেও কোন প্রবাসীর সাথে যাতে বিয়া না হয়। উনারা বিদেশ যাইয়া কোন কফি শপে কফি অর্ডার দিতে গিয়া ওয়েটারদের হাসাক তা আমি চাইনা।

কারন হাসিটাতো আর উনাদের নিয়া হবে না, হবে বাংলাদেশীদের নিয়া 

(বিঃদ্রঃ ইহা একটি কাল্পনিক কনভার্সেশন। “দামী” কফি নেসক্যাফের কোন “ব্রান্ড এম্বাসেডর” এর লাইফের সাথে মিলে গেলে সুসান ঝাড়ি খাইতে বাধ্য নহে  )

বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৩

চকলেট রুপচর্চা

আগে জানতাম আফারা আটা ময়দা বেসন দিয়া চামড়া চর্চা করতো। অখন দিন পাল্টাইছে। এক ফ্রেন্ডের বার্থডেতে একটু বিজি থাকার কারনে যাইতে পারি নাই তাই হেরে অগ্রিম ওর পছন্দের কয়েকটা চকলেট বার গিফট পাঠাইছিলাম।

২দিন পর যখন ওর বাসায় গেলাম দরজা খুলতেই যা দেখলাম তাতে আমার কইলজার পানি বায়বীয় হইয়া উইড়া গেলো!!!!! দুই কালাআআআআআআআ পেত্নি দরজার পিছনে!! ভালো মত তাকায়া দেখি এইডা আমার ফ্রেন্ডটা আর তার ভইন!!

“কিরে তোগো মুখে কি হইছে? ২দিন আগেও তো সাদা আছিলি!!”

> “আরে মুখে কি হবে!! চকলেট ফেসিয়াল করছি!! তুই চকলেট বার গুলো পাঠিয়ে ভালই করেছিস। টিভিতে ওমেন্স ওয়ার্ল্ড এর বিউটিশিয়ান বলছে চকলেট ফেসিয়াল নাকি সবচেয়ে ভালো এবং ত্বকের জন্য উপকারী!! তাই তোর চকলেট গুলো গলিয়ে ফেসিয়াল করছি। সুইট না!!!??”
   

মেজাজটা এমুন খারাপ হইছে। মাইনষে ভাত খাইতে পায় না আর হারামজাদিডি চকলেট বার গালে লাগায়!!!

কোনদিন যে কোন বিউটিশিয়ান রূপচর্চায় গালে সালফিউরিক এসিড ব্যাবহার এর কথা কইবো হেই দিনের অপেক্ষায় আছি। ডেম সিউর এরা হেই দিন ফর্সা হওয়ার জন্য গালে এসিডো মাখা শুরু করতে পারে, অস্বাভাবিক কিছু না।

(বিঃদ্রঃ ইহা একটি কাল্পনিক স্টাটাস। কোন বিউটিশিয়ানের মুরিদের লাইফ স্টাইলের সাথে মিলে গেলে সুসান ফোনে অথবা ইনবক্সে ঝাড়ি/গালি খাইতে বাধ্য নহে  )

সোমবার, ২ ডিসেম্বর, ২০১৩

সেলিব্রেটি হবার চান্স

সেলিব্রেটি হবার একটা ভালো সুযোগ যাইতাছে মনেহয় তাও ফেবু সেলিব্রেটি না টিভি সেলিব্রেটি!!!!

চিন্তা করতাছি BNP তে সক্রিয় রাজনৈতিক কর্মী হিসাবে যোগ দিমু। সরকার যেমনে থুক্কু পুলিশ যেমনে একটার পর একটারে ধরতাছে আর দুই দিন পর পরই ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবও চেঞ্জ হইতাছে এবং তারা পরবর্তি কর্মসূচি ঘোষনার জন্য একসাথে ২০-২৫টা চ্যানেল+ প্রিন্ট মিডিয়ার ক্যামেরার সামনে আইতাছে তাতে আশা করি নির্বাচনের আগে BNP এর সকল লেভেলের কর্মীর একবার করে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব হয়ে মিডিয়ার হেডলাইনে আসার চান্স আসবে!!!!!! (অবশ্য এর পরে যে ১৪শিকে যাইয়া গরম ডিম খাইতে হপে না তার কোন গ্যারেন্টি নাই)

আমিও বা আর বইয়া থাকুম কেরে? এমনেও আমার এক ফ্রেন্ড টিভি সেলিব্রেটি হইয়া যাওয়ার পর আমারে আনফ্রেন্ড মারছে, আমিও “ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব” ওরফে টিভি সেলিব্রেটি হইয়া হিতিরে ব্লক মারাম। এইতো চান্স 
 — feeling সেলিব্রেটি.

রবিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০১৩

ককটেল শুইন্না ঘুম ভাঙ্গা

২৬ বছরেরে লাইফে ২০-২১ বছরই পুরান এয়ার্পোটের কাছে মানে তালতলা শ্যাওড়াপাড়া এলাকায় কাটাইছি। স্বাধীনতা দিবস না বিজয় দিবসের দিন সকাল ৬টায় তোপধ্বনি করা হইতো, ঐ আওয়াজে ঘুম ভাংতো, আলাদা একটা ফিলিংস। ঐ এলাকা ছেড়ে আসার পর থেকে গত ৫-৬ বছর সেই ফিলিংস পাই না  

আজকে বিজয়ের মাসের প্রথম দিন। ঠান্ডা ঠান্ডা দিনে খেতামুড়ি দিয়া ঘুমাইয়া আছি। হঠাৎ তোপধ্বনির আওয়াজ!!!!! ঘুম ভাইঙ্গা গেলো। এবার মনেহয় বিজয়ের মাসের প্রথম দিনেই তোপধ্বনি হচ্ছে!!

আহ মনেহয় যেনো সেই লেদা কালে ফিরা গেলাম, সেই পুরান ফিলিংস। চোখটা ঘড়ির দিকে পড়তেই দেখি সাড়ে ১০টা বাজে!!!!

সাড়ে ১০টায় আবার কিয়ের তোপধ্বনি!!!!  

একটু পর আমার ছোট ভাই+ তার বন্ধু বান্ধব দের হই হই আওয়াজ পাইলাম “ঐ রাস্তায় ককটেল ফুটাইতাছে, ছাদে চলললল, পুলিশ আইসা পড়লে আর ফুটাইবো না.........!!!!!”

এতোক্ষনে বুঝলাম তোপধ্বনি টা কিসের। ঘুমের ঘোরে মনেই ছিলো না যে আমি এখন ঐ আগের এলাকায় নাই।

আগে আমরা স্বাধীনতা দিবসের কামানের তোপধ্বনি শুইন্না এক্সাইটেড হইতাম আর এখন পোলাপাইন ককটের আওয়াজ শুইন্না এক্সাইটেড হয়!!!!

শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর, ২০১৩

ইন্টারভিউ রুমে

একটা প্রাইভেট ফার্মে এমডির রুমে চাকরির ইন্টারভিউ। এমডি তুলনামূলক ইয়াং মানুষ। ৩০-৩২ বছর বয়স হবে। ল্যাপটপে ফেসবুক ব্রাউজ করছেন। মনেহয় ভালোই ফেসবুক এডিক্টেড।

এমডিঃ ফেসবুক ইউজ করেন?

> “জি স্যার করি”

< “বলেন তো ফেসবুকের মালিক এর নাম কি?”

> “জুকাইরা!!!!!!!!” (জিব্বায় কামড়  ) 
“থুক্কু মার্ক জোকার বার্গার!!!!!” (  দ্বিতীয় বারের মত আবার জিব্বায় কামড়। ফেসবুকে ফাইজলামি করে এইসব ওয়ার্ড ইউজ করতে করতে রিয়েল লাইফেও ঢুইক্কা গেছে  )

< “জুকাইরা/ থুক্কু মুক্কু/ জোকার বার্গার!!!!!! হোয়াট দ্যা হেল ইট ইজ???
এই ধড়নের ল্যাঙ্গুয়েজ নিয়ে আপনি এসেছেন এক্সিকিউটিভ পাজিশানের জন্য ইন্টাড়ভিউ দিতে!!!! হাউ রেডিকুলাস!! এধরনের ল্যাঙ্গুয়েজ দিয়ে তো আর কোথাও জব পাবেন না এর চেয়ে বেটাড় এক কাজ কড়েন, দেখেন কোথাও উপজাতি, এলাকাবাসী, প্রতিবন্ধী কৌটায়.............. ”

এইবার এমডিরো জিব্বায় কামড়!!! 

রিসেন্ট ফেসবুকের হট টপিক “কৌটাময়” স্টাটাস সমগ্র পড়তে পড়তে ওনারো মনেহয় মুখ পিছলাইয়া ফেসবুকিয়ো ল্যাঙ্গুয়েজ বাহির হইয়া গেছে!!!

বুঝাই যাচ্ছে বহুত কস্টে হাসি চাইপ্পা আছেন এমডির ঠাট বজায়ে রাখার জন্য। ইশারায় বলল ইন্টার ভিউ শেষ, এখন যান। দরজা খুলে বের হওয়া পর্যন্ত মনেহয় উনি আর হাসি চেপে রাখতে পারলেন না। হোহো করে হেসে দিছেন!!

থাক পিছে তাকায়া উনারে “হাউ রেডিকুলাস” থুক্কু “এম্বাড়সিং” সিচুয়েশনে ফালায়া কাম নাই

রবিবার, ৩ নভেম্বর, ২০১৩

শেফ সুসান (২য় & লাস্ট পার্ট)



আগে মাঝে মধ্যেই এলাকার ব্যাচেলর বা মেছে থাকা ভাই বেরাদরদের সাথে রান্না বিষয়ক ফাপর নিতাম। কইতাম “ধুর মিয়া বুয়া আহে নাই তো কিছে, নিজে নিজে রাধতে পারেন না? এইডা কোন কাম এর ভিতরে পড়ে? আমিতো প্রায় সময় ঘরে নিজের মন মত রাইন্ধা খাই!!! হুদাই KFC, BFC এ যাইয়া ট্যাকা খরছ করন লাগে নি!!” (ফাপরটা মনে হয় একটু বেশিই হইয়া গেছিলো )

তো একদিন এক বড় ভাইয়ে কল দিছে, “শেফ সাব, আমার ভাইগ্না আইছে বাসায়, কয় ফ্রাইড চিকেন খাইবো। ক্যামনে বানাইতাম রিসিপিটা একটু কইবেন?”

ফাপড় মাইরা পড়ছিতো মাইঙ্কা চিপায়, এখন তো না কইলে ইজ্জত থকতো না। পরে পেঁয়াজ বাটা, রসুন বাটা, হ্যান সস-ত্যান সস- বক্কর চক্কর মানে যেই কয়ডা মসলার নাম জানি তা সব এক চামুচ দুই চামুচ দিয়া মুরগী মাখায়া তেলে ভাজতে কইলাম।

২দিন পর ঐ ভাই এর ফোন, মাম্মাআআআআআআআ তুমি তো আসলেই একটা জিনিয়াস। চিকেন ফ্রাই অছাম হইছে। ভাইগ্না তো পুরাডাই খাইয়ালাইছে, আমি ভাগে অল্প একটু পাইছি। আর জ্বালামু না রিসিপিটা আবার কও, লেইক্ষা থুই সাথে আইজগা মেসের সবাইরে খাওয়ামু।

আমি তো তখন আন্তাজে মারছিলাম কিন্তু এমনে যে ঝড়ে বক মইরা যাইবো তা কে জানতো!! (তাইলে তো আমিও রিসিপিটা লেইক্ষা রাখতাম  ) আমিও তো আসলে জানি না সঠিক তরিকা কি। আবারও আন্তাজে নতুন রিসিপি একটা মাইরা দিলাম।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ঐ মেসে এখন ওরস্যালান জাতীয় খাবার থুক্কু জাতীয় পানীয় হিসাবে ব্যাবহৃত হচ্ছে সাথে ঐ মেসে আমার গমনের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হইছে 

শনিবার, ২ নভেম্বর, ২০১৩

শেফ সুসান ফার্স্ট পার্ট

বাসায় আম্মা না থাকলে মাঝে মধ্যে আমি যখন রাঁধি মাশাল্লাহ ভালই প্রসাংসা অর্জন করি। কারন আমি কখনো দেশী খাবার রাঁধি না, যা রান্ধি সবই বিদেশী ফুড!!! 

এই যেমন ধরেন ভূলে যদি খাবারে ঝাল বেশি দিয়া ফালাই তাহলে সেটা হইয়া যায় মেক্সিকান ফুড, যদি খাবার নষ্ট হইয়া টক হইয়া যায় তো ঐটা ইটালিয়ান ফুড, যদি কার সাথে কথা কইতে কইতে তেল, লবন, মসল্লা পাতি কিছুই দিতে মনে না থাকে মানে রঙ ছাড়া পাইন্সা হইয়া যায় তাইলে সেটা চাইনিজ/জাপানিজ ফুড আবার কারো লগে গোসশা কইরা মসল্লা বেশি দিয়ালাইলে হইয়া যায় ইন্ডিয়ান ফুড!!!!!!!!!! 

মাইনষেরে তো লাম ছাম বুঝায়া খাওয়াইয়া দেই আর হেরাও খাইয়া তৃপ্তির ঢেকুর তুইল্লা ভালই শেফ সুসান কইয়া প্রসংসা করে মগর আমার রান্না করা খাওন আমি খাইতে গেলে এমন বমি আহে কেরে!!!!!!!!???
 — feeling ভূলে নিজের রান্না খাইয়া মাথা দুলাইতাতে.

সোমবার, ২৮ অক্টোবর, ২০১৩

কচ্ছপের গতির ভার্সিটির স্টুডেন্ট

গত ৫-৬ বছরে ফেসবুকে বিভিন্ন “বুদ্ধিজীবীদের” লেখায় যা বুঝলাম,

মেধার দৌড়ে আগায়া থাকায় পাবলিক ভার্সিটিতে(Ex: DU, CU, JU but not NUB) পড়া পোলাপাইনে মরে মেধার অহঙ্কারে।

বাপের টাকার জোরে প্রাইভেট ভার্সিটিতে পড়া পোলাপাইনে মরে টাকার গরমে।

আর মেধা & টাকা দুইটার নিন্মচাপের কারনে কোথাও চান্স না পাইয়া কচ্ছপের গতি জাতীয় ভার্সিটিতে পড়া পোলাপাইনে নিজেরাই নিজেগোরে পঁচায়া মাইরালায় ...........
 — feeling কচ্ছোপের ভার্সিটির ছাওয়াল.

শুক্রবার, ১১ অক্টোবর, ২০১৩

পার্ট

বেশির ভাগ বাঙ্গালির একখান কমন পার্ট দেখলাম....

ঢাকা থেকে কেউ গেরামে গেলে এমন ভাবে দাত ভাংগা শুদ্ধ কয় আরেকটু হইইলে দাঁতই খুইল্লা চইলা আসার দসা!!

গেরাম থেকে কেউ ঢাকায় আইলে এতো তাড়াতারি এতো ইসমার্ট হইতে যায় যে হাব ভাবে মনেহয় ওয় গেরাম থেকে না আম্রিকার থে আইছে....!!

আর কেউ যদি উপরয়ালার রহমতের দৃস্টিতে ইনক্লুড হইয়া একবার ইউরোপ আম্রিকা যাইতে পারে তাইলে তো মনেহয় উনি থার্ড ওয়ার্ল্ডের মানুষ কি জিনিস তাই চিনে না!!!!!!! নামই শুনে নাই...!!

( বিঃদ্রঃ সবাইকে বলি নাই তবে বেশির ভাগকেই এমন দেখছি। )

বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর, ২০১৩

পাত্র পাত্রি টগানী

বিয়ার টাইম আইলে পোলা টোগায় ভালো মাইয়া, মাইয়া টোগায় ভালো পোলা......
সবাই নিজের চেয়ে ভালো পার্টনার চায় কিন্তু কেউ কাউরে টোগায়া পায়না।

পাইবি কইত্তে? তুই নিজে যেমন পাইবিইয়োতো তেমন। (এইডা তো কুরআনের সূরা নূহর ২৬নং আয়াতেই বইলা দিছে)

তাইলে হুদাই আর নিজের চেয়ে ভালা টোগাইতে যাছ কেরে?
 — feeling angry ( ৫বার ব্রেকাপ করা ফ্রেন্ডের কাঙ্খিত পাত্রীর রিকোয়ারমেন্ট শুইন্না).

বুধবার, ৯ অক্টোবর, ২০১৩

প্রাইমারি স্কুলে পড়া কাজিনে বাসায় আসছিলো

প্রাইমারি স্কুলে পড়া কাজিনে বাসায় আসছিলো। জিগাইলাম, "কি খবর কেমন আছো। পড়া লেখা কেমন চলে?"

খুব বড় বড় ভাব নিয়া পুচকি কইলো "আর বইলো না, ক্লাসে একটু প্রব্লেম যাচ্ছে"

"কি প্রব্লেম?"

> "আরে বুঝোনা......... ক্লাসে এজ ইউজাল যা হয় আরকি"

ঠিক বুঝলাম না, ক্লাসে এজ ইউজাল আবার কি প্রব্লেম হয়!!! তাই আবার জিগাইলাম, "আরে পুরা কাহিনী কও কি প্রব্লেম ক্লাসে?"

> "আর বইলো না আমাদের ফার্স্ট গার্লের bf টা ইদানিং খুব প্রব্লেম করছে আমার সাথে, আর ভাল্লাগে না!!!!!!!!"

আমিতো খাড়ায় তব্দা খাইছি, কয় কি এই পুচকি মাইয়া। এখনো প্রাইমারী ছাইড়া মাধ্যমিকে যায় নাই এর আগেই এগো ক্লাসের ছেরীডি bf ও জুটায়ালাইছে, আবার বান্ধবীর বিএফ তার জিএফ এর ফ্রেন্ডের লগে লাইন মারবার চায়..!!!
 — feeling পুরাই ডিজিটাল.

মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর, ২০১৩

মফস্বল থেকে আসা দুই খালতো বোন

আমার বোনের এক ক্লোজ বান্ধবী বাসায় আসলো সাথে মফস্বল থেকে আসা তার দুই খালতো বোন কে নিয়ে। ঐ দুই খালতো বোনকে নাস্তা আর টিভির রিমোটটা দিয়ে দুই বান্ধবী কথা বলছিলো। তো ঐ দুই খালতো বোনের একজন টিভির রিমোট চাপতে চাপতে বলল,

" আপু আপনাদের টিভিতে 'জলসা' কত নম্বর চ্যানেলে?"

আমার বোনে বলে, " জলসা ভাল লাগে না তাই দেখিও না, এই কারনে টিভিতে জলসার চ্যানেল রাখি নাই"

এই কথা শুনার পর দুই খালতো বইনে এমন এক্সপ্রেশন দিলো মনেহয়, কি এক ক্ষেইত্তাগো ঘরে আইলাম, স্টার জলসাই দেখেনা....!!!!!!! এডি ঘরে তাইলে টিভি রাখছে কি করতে...!!!!!
 — feeling পুরাই ক্ষেত.

বুধবার, ২ অক্টোবর, ২০১৩

খারাপ ভালো চিনার উপায়

দুনিয়াতে যাদের উপরের বেশভূসা, কাজ কর্ম দেখে মনে হবে লোকটা খারাপ তারা আসলেই খারাপ (কর্মেই পরিচয়)

আর যাদের উপরে বেশভূসা কাজ কর্ম দেখে মনে হবে খুব ভালো, হেতেরা খারাপ মাইনষের চেও বেশি খারাপ। (এখন বুঝবেন না, পরে টের পাইবেন)

শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

রাত ২টা বা আড়াইটার সময়

রাত ২টা বা আড়াইটার সময় হঠাৎ বাহিরে দুড়ুম দাড়াম আওয়াজ সাথে উপর থেকে গ্লাস ভেঙ্গে পড়ার আওয়াজ তার সাথে নিচে কে যেন চিল্লাচ্ছে “ঐ বিল্ডিং ভাইংগা পড়তাছে!!!!!!!”

কইলজার পানিতো সেকেন্ডের ভিতরে বায়বীয় হইয়া গেছে, কি হুনলাম!!! আমি থাকি দোতালায়। ৬ তলা বিল্ডিং ভাইঙ্গা পড়লে এই বাংলাদেশে আমার লাশ বাহির করতে করতে ততদিনে লাশ গইল্লা জুস হইয়া যাইবোগা।

ফিল্টারের পানির দিকে চাইয়া দেখি পানি নড়ে না মানে ভূমিকম্প হচ্ছে না, তাইলে বিন্ডিং পড়বো কেরে!!!! হাউকাউ একটু থামার পর দারোয়ানকে জিগাইলাম, কিরে কাহিনী কি? কোন বিল্ডিং ভাইংগা পড়ে?

দারোয়ান কয়, “ভাই আর কইয়েন না পাশের বিল্ডিং এর ৪তলায় (পাশের বিল্ডিং টা একটু হাল্কা পাতলা গড়নের) বউ জামাই এ ঝগড়া লাগছে। ওগো দাপড়া দাপড়ির আওয়াজে মনেহইলো কেডায় জানি বিল্ডিং এ হাতুড়ি দিয়া বাইড়াইতাছে, তার উপর রাগ কইরা মনেহয় গ্লাসের জিনিস পত্র বাহিরে উরা মারছে। নিচে ঐ গ্লাস ভাইঙ্গা পড়ার আওয়াজে ঐ বাড়ির দারোয়ান ভাবছে বিল্ডিং ভাইঙ্গা পড়তাছে। ওই চিল্লায় এলাকা পুরা মাথায় উঠায়া ফালাইছে, আমিও প্রত্থম ডরে দৌড়ায়া রাস্তায় গেছিলামগা। পরে উপরে চায়া দেখি এই কাহিনী!!!!!”

বুঝিনা এই অমাইনষের বাচ্চডিরে বিয়া করায় কোন মাইনষে 
হারাদিন বাদ দিয়া ওগো রাইত ২টয়ার সময় এলাকা মাথায় তুইল্লা কিলাকিলির টাইম হয়!!!!!! কিলাকিলিই যখন করবি তো বিয়া করছ কেরে...
 — feeling sleepy & কাচা ঘুমে মেজাজ খারাপ.

শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

better JUDGEMENT for রেপিস্ট......

গনধর্ষনে মুমুর্ষ অবস্থায় থাকা কোন মেয়েকে যদি better treatment এর জন্য সিঙ্গাপুর পাঠানো যায় 

তাহলে রেপিস্ট গুলারেও ২দিন পর জামিন পাওয়ার জন্য কারাগারে না পাঠায়া সৌদি পাঠানো উচিৎ for better JUDGEMENT......

সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

ভালবাসা কেন এমন হয়

"ভালবাসা কেন এমন হয়"........ "ভালবাসা কেন এত কস্ট দেয়"......... "ভালবসা কেন এত কাঁদায়"...

ডরায়েন না, এডি আমার ডায়ালগ না। হোম পেজে কিছু লাভলু-লাভলির ডায়ালগ।

ছেলেদের সাথের ফ্যাশন আইটেম মানে "গার্ল ফ্রেন্ড" আর মেয়েদের সাথের সিদা সাদা শরীফ কুত্তা মানে "বয় ফ্রেন্ড" এর খাই-খাই, নাই-নাই, আরো চাই মার্কা ভালবাসার দিকে চাইলে "ভালবাসা কেন এমন হয়" ই মনে হইবো।

ল্যাদা কাল থে বাপ মায় কি করছে ঐ দিকে চাও বুইজ্জালবা 
"ভালোবসা আসলে কেমন হয়"

রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

ঢাকা ভালা না, ঢাকার মানুষ ভালা না

ঢাকা ভালা না, ঢাকার মানুষ ভালা না, ঢাকায় পানি নাই, কারেন্ট নাই, গাছ নাই, শান্তি নাই, মানুষ বেশি,খুন খারাপি বেশি, চোর বাটবার বেশি, জ্যাম বেশি, দূষন বেশি, ঢাকার মেয়েরা খারাপ, ঢাকার ছেলেরা ফ্রড, ঢাকার বাপ গুলা ঘুষখোর, মা গুলা হিন্দি সিরিয়াল খোর, মানুষ গুলা যান্ত্রিক তাদের কোন সুস্থ মন নাই........................................ and many more.....

আমিও তো তাই কই। তাইলে ভাই এই খারাপ শহরে আহেন কেরে? হুদ্দাই জ্যাম বাড়ান।

উত্তরে যদি হয় "ঠেকায় পড়ে আসি" তাইলে একখান আঞ্চলিক প্রবাদ মনে করাইয়া দেই 
"যেই প্লেটে খান ওই প্লেটে বমি করা ভালা না"

খাবার খারাপ হইতেই পারে। খারাপ টেস্ট পাইলে সরে যান। পেট ভইরা খাওয়ার পর আবার গাইল্লান কেরে?

সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

অভিজ্ঞতা নাই তাই

অভিজ্ঞতা নাই তাই চাকরী দেয় না, চাকরী দেয়না তাই অভিজ্ঞতা হয় না। অভিজ্ঞতা হয় না তাই................... — listening to এই পথ যদি না শেষ হয় তবে বিয়া করুম কেমনে বলতো.

বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

নারী আসলেই বড় রহস্যময়ী

Once upon a time ফেসবুক চ্যাটিং এ এক রমনী আমাকে আরেক রমনীর ছবি দিয়া কহিলো, দেখতো মেয়ে টা কেমন?

আমি কইলাম, হু সুন্দর আছে। আমার লাইজ্ঞা পাত্রী হিসাবে দেখছো নাকি?

রমনীর উত্তর,

ফাজিল পোলা, কোন সুন্দরী মেয়ে দেখলেই খালি বিয়া করতে মনেচায়? নিজের চেহারা আয়নায় দেখছো? এই ছবিটা দেখায়া একটু টেস্ট করে দেখলাম তোমার স্বভাব কেমন। বুঝা হইয়াগেছে। হালা লুইচ্চা কোনহাঙ্কার.....!!!

এমন রিয়েক্ট করলো মনেহয় আমি কোন পোলার সামনে তার গার্ল ফ্রেন্ডরে বিয়ার প্রস্তাব দিছি!!!! হইতেও পারে, আজকাল তো পোলা পোলা, মাইয়া মাইয়া প্রেম চলে। so মাইয়ার gf এর দিকে নজর দিলে তো চেতবই। পুরাই তব্দা গেছিলাম....

আইজগা লগইন করতেই আরেক রমনীর মেসেজ। ওপেন করে দেখি একটা মেয়ের ছবি নিচে লেখা একে কেমন লাগে?

আমার সেই once upon a time এর অভিজ্ঞতার কথা মনে পইরা গেল। এইবার আর গাইল খাওনের রিক্স লমুনা, যুগতো বহুত পাল্টাইছে।

কইলাম, “তোমার জন্য? অবস্থা তাইলে এই?”

রমনীর উত্তর এর সারমর্ম এমন, “ছিঃ আমিতো মেয়েটার ছবিটা দিয়ে একটু টেস্ট করে দেখছিলাম আপনি কি, মেয়েদের প্রতি আকর্ষন কাজ করে কিনা,আজকাল তো ছেলে-ছেলেও অনেক কিছু হয়। যা ভাবছিলাম। ব্যাটা ফাজিল, গে কোনহানকার... এই জন্যই কোন মেয়ের কাছে মেয়ের ছবি দেখলেই মাথায় খালি এইসব ঘুরে? পজেটিভ কিছু মাথায় কাজ করে না। ছিঃ শালা গে.. কু*** টু... টু.. টু.. টু.. টু.......... ওয়াক থু....”
 — feeling নারী আসলেই বড় রহস্যময়ী... কখন যে কি কইতে চায় আর কি যে বুঝাইতে চায় আল্লাহ মালুম.

শনিবার, ৩১ আগস্ট, ২০১৩

শয়তান তো শয়তানই

বাংলা ছিনেমার একটা কমন ডায়ালগ

"ছেড়ে দে শয়তান, তুই আমার দেহ পাবি কিন্তু মন পাবি না"

পুরাই লজিক ছাড়া একটা ডায়ালগ।
...

...

শয়তান তো শয়তানই, ডিরেক্টর সাবের কি মনে হয় শয়তান কখনো নায়িকার মন পাওয়ার জন্য নায়িকাকে তুলে নিয়ে আসবে?

শয়তানের তো দেহই দরকার। দেহ পাইলে শয়তানে মন ধুইয়া কি পানি খাইবো?
 

মঙ্গলবার, ২৭ আগস্ট, ২০১৩

ভারত খ্যাত.............

ব্রাজিল বিখ্যাত ফুটবলের জন্য

জাপান বিখ্যাত প্রজুক্তির জন্য

মালদ্বীপ বিখ্যাত সুন্দর সুন্দর দ্বীপের জন্য

আফগানিস্তান বিখ্যাত তালেবানের জন্য

সোমালিয়া বিখ্যাত জলদস্যু দের জন্য

বাংলাদেশ বিখ্যাত দুই বুড়ীর কামড়া-কামড়ির জন্য

আর ভারত বিখ্যাত.........?
নিশ্চই ভাবতাছেন ধর্ষনের জন্য? ভুল...

.....

.....

....

গনধর্ষনের জন্য!!!!!!!!!!!!!

ওপারের দাদারা ভালো আছে, যা করে মিলেমিশেই করে   

ফটোগ্রাফার হবার রিসিপি

আপু সমাজের কাছে জনপ্রিয় হবার ভালো উপায় ফটোগ্রাফার হওয়া। চলুন ফটোগ্রাফার হবার রিসিপিটা বলে দেই।

যেন তেন মোবাইল বা ডিজিটাল ক্যামেরা নিয়ে ফটোগ্রাফার হতে পারবেন না তা আপনি যত ভালই ছবি তুলুন না কেন বা ফ্রেম লাইটিং সম্পর্কে যত ভালোই জ্ঞান রাখুন না কেন...!!
আর আপুদের ছবি এসব ছোট খাটো ক্যামেরা ভূলেও তুলবেন না, আপনাকে ইভ টিজার হিসাবে চিহ্নিত করতে পারেন।

প্রথমেই বাপের গলায় পাড়া দিয়ে ৬০ হাজার থেকে এক লাখ বা পারলে তার চেয়ে বেশি টাকা বের করে নিন।
এরপর শোরুম থেকে রকেট লাঞ্চারের মত একটা লেন্স সহ DSLR ক্যামেরা কিনে নিন। ( আপনি যদি ছবি তুলা ঠিক মত নাও জানেন তাও DSLR এর ছুতায় আপনি অলরেডি ৮০% ফটোগ্রাফার হয়ে গেছেন)

এবার রাস্তার টোকাই, ডাস্টবিনের ময়লা খাওয়া কুত্তা, ল্যাম্পপোস্টে বসে নিশানা ঠিক করা কাউয়া, বুড়া রিক্সা চালক, মনিটরের পাশ দিয়ে হেটে যাওয়া পিপড়া আর অবশ্যই আয়নার সামনে ক্যামেরায় চোখ রেখে আপনার ক্যাবলা মার্কা চেহারার একটা ফটো তুলুন। এবং সব ছবিরই সাবজেক্ট ছাড়া পিছনে বাকি সব ঘোলা হতে হবে।

কিছু ছবি সাদা কালো করে দিন। এতে একটা শৈল্পিক শৈল্পিক ভাব আসে। ছবির নিচে লোগো লাগিয়ে দিন যেমন 'ছমদ আলী ফুডুগ্রাফি'

এবার তাড়াতাড়ি ফেসবুকে আপলোড দিয়ে সব বন্ধুকে ট্যাগ করে দিন (এটা লাইক বাড়ানোর একটা পলিসি)

আর কমেন্ট বাড়ানোর জন্য ছবির সাথে লিখে দিন "ফ্রেন্ডস, ছবিটা কেমন হয়েছে"/ "ছবিতে কি কি ভূল হয়েছে একটু বলবা"

কিছুক্ষন অপেক্ষা করুন। দেখবেন টপাটপ লাইক পড়া শুরু হয়ে গেছে সাথে কমেন্টও "অস্থির"... "উছাম" ... "উয়াআআউ"...

ব্যাস হয়ে গেলেন আপনি 'সিরাম ফুডুগ্রাফার'.... এবার ছবি তুলে দেবার জন্য আপনার পিছে আপুদের লাইন লেগে যাবে।
 
আমাদের এপার্টমেন্টের ৬তলায় দুইটা পিচ্চি থাকে। একটা তৌকির আরেকটা তাহছিন। দুইটাই ক্লাস টু তে পড়ে।

তৌকির শান্ত শিষ্ট, মেধাবী ঠান্ডা মাথার মানুষ। তৌকির পরীক্ষায় ১০০তে চোখ বন্ধ করে ৯৫+ পায় ।

আর তাহছিন জন্মের বান্দর, মারাত্তক চঞ্চল। তাহছিন সর্বচ্চ গেলে পরীক্ষায় ৫ পায়!!!!!!!!

আজকে ছাদের মসজিদে এশা নামাজের আগে হুজুর বলতেছেন, “যে ব্যাক্তি মাগরিবের নামাজ ছেড়েদেয় তার সন্তান কখনো তার কথা শুনবে না, অবাধ্য হবে। মানে বুঝচ্ছ?(দুই পুচকিকে বলতেছে) মানে তোমরা যখন বাবা মা হবা তখন বাচ্চা কাচ্চা পুরা বান্দর হবে।”

তৌকির কয়, “হুজুর আমার আব্বা মনেহয় তাহছিনের জন্মের আগে মাগরিবের নামায পড়তো না, তাই এইটা এরুম বান্দর হইছে। কোন কথা শুনে না  :P”
ইহা একটি হরলিক্স মিশানো উচ্চ ইগো সমৃদ্ধ পোষ্ট।

(জৈনিক মানব কইলে মোর বলে ইগো বেশি!!! ব্যাডা মোরে গাঙ্গের জলে ভাইস্যা আওয়া ছ্যাম্রা পাইছাও যে কোন কিছু কম হইবে? ভালা কিছু মোর ধারে না থাকলেও খারাপ জিনিসের অভাব নাই। ওয় ইগোর দেখছেডা কি?
তাইনেরে আরো হাই লেভেলের ইগো দেখানোর জন্য এই পোস্টের উৎপত্তি। So ঐ ‘জৈনিক’ ছাড়া আপামোর জনগণ এই বস্তা পচা কিচ্ছা না পড়লেও চলবে।)
---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

১. “কিরে সুসাইন্না ফেসবুকে তো দেখি প্রতিদিন ভালই মাইনষের লেখা কপি মারছ, এমনে আর কয় দিন?”
২. “ফেসবুকে তুই বিখ্যাত হবি বিভিন্ন পেজ এর পোষ্ট কপিবাজ হিসাবে”

আমার ফেসবুক স্টাটাস দেখে উপরের দুইটা কমেন্টই আমার স্কুল লাইফের দুই “ফাস্ট বেঞ্চার ট্যালেন্ট” স্টুডেন্টের করা। স্কুলে আমি যদিও বসতাম মাঝামাঝি সারিতে কিন্তু আমার ব্রেনতো লাস্ট সারির স্টুডেন্টদের মতই। স্কুল থেকে মাস্টার্স পর্যন্ত পরীক্ষার খাতায় পাঠ্য বইয়ের ৫% ও লিখতাম কিনা সন্দেহ। যা লিখতাম তাকে হিন্দিতে এক কথায় বলে “বাকোয়াজ”। কিন্তু এরপরো স্যার মিডামেরা কি বুইজ্ঝা নম্বর দিত আল্লাহ মালুম।

তাদেরও বা কি দোষ, লাস্ট বেঞ্চের পোলাপাইনের মাথা থেকে যে পাঠ্যবইয়ের বাইরের বস্তাপচা কিচ্ছা বাহির হবে এটাই স্বাভাবিক, কিন্তু এই বস্তাপচা কিচ্ছাও মাঝেমধ্যে ফেসবুকের মত আজাইরা জায়গায় কাজে আসবে তাতো স্কুলে পড়ার সময় কেউ জানতাম না 

মুরগীর খামারের আবর্জনা যে মাছের খামারের পুস্টিকর খাদ্য তা হাতে কলমে টের পাইলাম ফেসবুক চালু হবার পর। ফেসবুকে আমি যা লিখি পরীক্ষার খাতায়ও আমি প্রায় এই টাইপের লেখা লিখতাম (believe it or not).

একবার সেকেন্ড না থর্ড ইয়ারে স্যার ম্যাথ/পরিসংখ্যান পরীক্ষায় লিখতে দিছিলো “ log কাকে বলে?” ( লগারিদম অংকের log)
প্রায় ২ পৃষ্টা লিখেছিলাম যার সার সংক্ষেপ এমন....

“লগ এক প্রকার ভার্চুয়াল তালা। এটা খুলে আমরা ইন্টারনেটে বিভিন্ন একাউন্টে ঢুকি আবার এটা মেরে দিয়ে বের হই। এর ফলে আমাদের একাউন্টে অন্য কেউ ঢুকতে পারে না।
এটা দুই প্রকার, লগইন আর লগ আউট। আমরা মেইলে, ফেসবুকে, টুইটারে ইউসার নেইম আর পাসয়ার্ড দিয়ে এন্টারে চাপ দিলে যা হয় তাই লগ ইন, আর এর থেকে বের হবার সময় যা করি তা লগ আউট। আর আমাদের না জানিয়ে যারা আমাদের একাউন্টে লগইন করে তাদের বাংলা ভাষায় ‘চোর’ আর ভার্চুয়াল ভাষায় ‘হ্যাকার’ বলে। লগ এর কোন জেন্ডার নাই। এটা ছেলেও না মেয়েও না। তাই বলে এটা হিজলাও না। ছেলে-মেয়ে-হিজলা-আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা সবাই লগ ইউজ করে থাকে!!!!!”

এই লেখায় স্যারে ৫ এর ভিতরে ৪ দিছিলো!!!! পরে এই খাতাটা Lata Lutfun নিয়া পুরা ক্লাসে পইড়া শুনায়া স্যারের ইজ্জত থোরা পাংচায় কইরা দিছে। এর পর থেকে ওই স্যারের পরীক্ষায় আমি যদি বই পুরাডা কপি কইরাও দেই তাইলেও আমাকে ৫ এ ২ এর বেশি দেয় না 

তো যাই হোক পরীক্ষায় কোতায়া কোতায়া পাশ করলেও নম্বর বেশি একটা পাইতাম না ট্যালেন্টদের মত (মাথায় কিছু থাকলেয় না পামু)। কিন্তু ফেসবুকে মাশাল্লাহ এই “বাকওবাজ” বিদ্যার এর কারনে অনেক মানুষের সাথেই পরিচিত হবার সুযোগ হইছে। অনেকের সাথে এতো ভাল ফ্রেন্ডশীপ হইছে যা স্কুলে ১০বছরেও হয় নি.......

আহেন এইবার অন্য একটা কাহিনীতে যাই। একবার এক পত্রিকার ইন্টারভিউতে জয়া আহসানকে জিগাস করছিলো, আপনার অভিনয় নিয়ে তো অনেকেই প্রশংসা করে। নিজের প্রশংসা শুনতে আপনার কেমন লাগে?

তো তার উত্তর ছিল এমন,
‘সামনা সামনি সবাই আপনার ভালোটাও ভাল বলবে খারাপ টাও ভাল বলবে কিন্তু আসল কথা পিছে বলে যা আপনি কখনই জানতে পারবেন না। তাই সামনে যে যতই প্রশংসা করুক তা নিয়ে বেশি একটা লাফালাফির কিছু নাই। আমিও এগুলো অতো সিরিয়াসলি না নিয়ে পা মাটিতেই রাখি।

তবে একদিন এক নাটকের শুটিং এ রাস্তার ঝাড়ুদার এর অভিনয় করছিলাম, ক্যামেরা দূরে সেট করা ছিল। এক এল্ট্রা মর্ডান মেয়ের সাথে ভূলে ধাক্কা লেগে যায়, ও এমন রিএক্ট করলো মনেহয় সত্যি কোন রাস্তার ঝাড়ুদারের সাথে ধাক্কা খেয়ে তার জামা নষ্ট হয়ে গেছে। সে ঝাড়ি দিয়ে অনেক গুলা কথা শুনিয়ে চলে গেল। বুঝেই নাই যে এইটা নাটকের শুটিং।
আমি তাতে মাইন্ড করি নাই বরং নিজের কাজের প্রতি সত্যি ঐ দিন খুব স্যাটিস্ফাইড হয়েছি যে আমার অভিনয় মে বি ন্যাচারাল। পুরা চরিত্রের সাথে মিশে যেতে পেরেছি। ঐ ‘ঝাড়ি’ টাই আমার জন্য ছিলো রিয়েল প্রশংসার।’

এইবার সবাই এইখানে অফ জান, নিচের বাকি লেখা এইবার উপরের দুই “ফাস্ট বেঞ্চার ট্যালেন্ট” কমেন্ট্যালার জন্য।
আপনেরা দুইজন জয়ারে থুইয়া আমার দিকে আহেন। আপনেরা দোনোগা মিলি যখন অ্যাঁর লেখারে অন্যের তুন কপি করা কই এইচ্চা কমেন্ট করেন আল্লার কিরা লাগে অ্যাঁর এক্কানাও খারাফ লাগে না। কিল্লাই, কইতারবেন নি?

Coz আমার ফিলিংস ও তখন ঐ জয়ার মত “নিজের কাজের প্রতি সত্যি খুব স্যাটিস্ফাইড হয়েছি” মনেহয় কারন তোমগো বিশ্বাসই হয় নাই যে এডি আমার লেখা হইতে পারে, মনেহইছে এডি অন্য কারো কাছ থেকে ধার করে আনা!!!!!!!!!!

থাকতে তো চাই আমজনতা মগর এডি হুনলে নিজের মনে হয় “কিছু একটা”
 — feeling আমারে টাইন্না নামা, ইন্ডাইরেক্ট প্রশংসায় পা তো মাডিত পড়তো চায়নারে মনা.

রবিবার, ২৫ আগস্ট, ২০১৩

বি সি এস

সর্ব প্রথম আমি মহান আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া ও কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই, কারন তাঁর হুকুম ছাড়া কোন কিছুই সম্ভব হোত না।

এরপর আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই আমার সকল ফ্রেন্ড-ফলোয়ারদের। আমি সবসময় আপনাদের পাশে পেয়েছি। আপনাদের দোয়া এবং ভালবাসা না থাকলে আজ আমি এই অবস্থানে আসতে পারতাম না আর এমন মাইন্ডব্লোয়িং রেজাল্ট করতে পারতাম না। সুতারাং আজকে আমার এই রেজাল্টের পুরো অবদানই আপনাদের।

উপরয়ালার অশেষ দয়া, আপনাদের দোয়া আর ভালোবাসার কারনে আমি এবারের ৩৪ তম বিসিএস পরীক্ষায় দুর্দান্ত ভাবে









ডাব্বা মেরেছি… -- feeling ফেইলর ইজ দ্যা পিলার উফ সাকসেস 

৫ লাখ টাকার পাঞ্জাবী

এই বার ঈদে ইনশাল্লাহ যে পাঞ্জাবী পিন্দুম তার মার্কেট ভ্যালু ৫লাখ টাকা…!!

আরে মোহতরামে দোস্ত বুজুর্গানেরা, দাম শুইনা ডরাইয়েননা। আমিতো বলছি ৫লাখ টাকা পাঞ্জাবীর " মার্কেট ভ্যালু" কিন্তু আমি তো আর ওইডা ৫লাখ দিয়া কিনি নাই… 

আহেন হিসাব বুঝাই, এই মিসকিন বান্দা ক্যামতে ৫লাখ টাকা দামের পাঞ্জাবী পিন্দে…!!

আমগো শানি লায়ন আফা এমনিতে ড্রেস পিন্দে না, কখনো বেশি ঠান্ডা লাগলে ২-১ টা ফিতায়ালা ত্যানা পিন্দে। ওই ফিতা-ত্যানায়ালা শানি আফার ড্রেসের দাম বলে ৫০হাজার টাকা…!!

সেই হিসাবে আমার গলা থে হাটু পর্যন্ত লম্বা পাঞ্জাবীর দাম ৫০লাখ টাকা হবার কথা।
৫লাখ তো কমই কইছি… -- feeling বড়লোক  

নাস্তিক ভার্সেস মি

ফ্রেন্ড লিস্টের এক নব্য ইসমার্ট " জয়িতা আফরিন" ( স্বঘোষিত নাস্তিক) ইস্টাটাসে লিখলো, মন থেকে শ্রদ্ধা না আসলে নামাজ রোজা করা উচিৎ না!! এই নামায রোজা না করার কারনে তার মায়ের সাথে প্রতিদিন তার ঝগরা হয়। এই খারাপ সম্পর্কের জন্য ধর্ম দায়ী…!!

নিচে কমেন্টাইলাম,

" বাহ ঘরে বইসা বইসা সুন্দর হাদিস বানাইছেন… মন থেকে কিছু না আসলে করা উচিৎ না…!!
আইচ্ছা অসুখ হইলে আমরা যে ঔসুধ খাই, ইনজেকশন/ স্যালাইনের গুতা খাই, এইডা কি আমাদের ভালো লাগে? আমরাকি এই এসব ঔশুধ মন থেকে নেই? সুশ হবার জন্ন খারাপ লাগলেও ঔষুদ নেই, এই ধর্ম টাও তেমন। দুনিয়া ও আখেরাতে শান্তি তে থাকার পন্থা।
যার তার সাথে সেক্স করতে সবারই ভালো লাগে, কিন্তু ধর্ম মানার কারনে মানুষ তা থেকে বিরত থাকে। এই কারনে আপনে বা আমার বোনেরা এখন নিরাপদে আছে… মনে না চাইলেও মানা, এইটাই ধর্ম। আপনার আম্মার কথা শুনেন, দুই পাশেই উপকার পাবেন।"

তাইনে আমারে আনফ্রেন্ড মারলো।
আসলেই যার ধর্ম নাই তার খুটির জোর নাই, আর যার খুটির জোর নাই তার পাল্টা কোন উত্তর দেবার ক্ষমাতো নাই। -- feeling খুটি শক্ত 
৬ তাকবিরের ঈদের নামাজে অনেকেই তাকবিরে ভূল করে রুকু তে চলে যায়।

আজকেও তেমনি একজন নামাযের দ্বিতীয় রাকাতে ভূল করে ২য় তাকবিরেই রুকুতে চলে গেছেন। পাশে তার পুচকি ছেলে চিল্লায়া বলতেছে, " ওকি তুমি আগে গেলাগা ক্যা, বেকে তো খারায়া রইলে…!!"

হাসুম না নামাজ পড়ুম… 

দোকানের মত চটপটির রিসিপি

অনেকের অভিযোগ যত ভালোভাবেই চটপটি ঘরে বানানো হোক না কেন তা রাস্তার দোকানের চটপটি মত স্বাদ হয় না…!!

এ ক্ষেত্রে আপনারা আমার থিউরী অবলম্বন করতে পারেন। 
প্রথমে নিয়ম অনুযায়ী চটপটি রাধুন। সব মশলা মিশান। এরপর পুরা হাড়ী না নিয়ে বাসার ছাদে বা বারান্দায় ১০ মিনিট খোলা আকাশের নিচে ঢাকনা বিহীন ভাবে রেখে আসুন। খুব ভালো স্বাদ পেতে হলে মেইন রোডের পাশের ফুটপাতে ৫ মিনিট রাখতে পারেন।

এরপর ফুচকা আর টক মিশিয়ে পরিবেশন করুন।

ভূলে লবন/ মশলার কমতি হলেও স্বাদের কোন কমতি হবে না… 
প্রশ্নঃ বাংলাদেশের জনপ্রিয় কিন্তু ভীনদেশী খাঁটি বাংগালী কে?

উত্তরঃ সানি লিওন।

কারনঃ রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী মিতা হক বলেছেন, " যারা মাথায় ঘোমটা দেয় তারা বাংঙালী না…!!"

সানী আপাতো ঘোমটা দূরের কথা গায়েই কোন কাপড় দিবার চায় না, আর ইন্ডিয়ান হইলেও বাংলার মানুষের কাছে আইডল ( তা এই রোজার ঈদেই প্রমান পাইছে)

ওভার এন্ড আউট 
এইবার ঈদে একটা মিশন হাতে নিছিলাম। তা হইলো বাংলা ছিঃনেমা (আগের কালের না এই কালের) আর সজল "আপু" অভিনীত নাটক দেখুম...!!!

কিন্তু ধর্য্যের বাঁধ বলে একটা কথা আছে। কেন জানি এই দুই ব্যাপারে আমার ধর্য্যের বাঁধ ৫ মিনিটেই ভাইংগা যায়।

বাংলা ছিনেমার নাচ গানকে আমি কমেডি মনে করে সর্বচ্চ ৫মিনিট পর্যন্ত দেখতে পারছি কিন্তু সজল "আপুর" নাটক ২ মিনিটের বেশি দেখার ধর্য্য হয় নাই...

পোলা মানুষ (শারিরীক ভাবে পোলা মানসিক ভাবে মেয়ে) ক্যামনে এতো ন্যাকামি করতে পারে আল্লাহ মালুম...

ভাবিয়া করিও বিয়া

এক ফ্রেন্ডের সাথে মাস খানেক পর স্কাইপি তে দেখা।

> কি মামা দুন্নাইতে বিয়া মনেহয় তুমি একলাই করছো? বিয়ার পর এরুম গায়েব হইয়া গেলা ক্যা? খালি সুন্দরী বউ লইয়া থাকলেই দুন্নাই চলবো?

< ওই হারামজাদা কিয়ের সুন্দরী বউ!!!

> কস কি মামা? তুই না পছন্দ কইরা বিয়া করলি? আবার কস কিয়ের সুন্দরী!!! কেউ ভাবীরে এসিড মারছে নি?

< ধুর কি অলুক্ষুইন্না কথা কস।

> তাইলে সমস্যা কি?

< আরে বিয়ার আগে ওয় যত বারই আমার সামনে আইতো মেকাপ, সুন্দর ড্রেসাপ নিয়া আসত। দেখতে তো সুন্দরই লাগত। হালার বিয়ার পরে গালের থে আধাকেজি মেকাপ উডানির পর যখন ত্যানা পিন্দা রান্না ঘরে যায় বুঝি না কোনডা আমার বউ আর কোনডা কামের মাইয়া..!!

...

...

রাত ৯টার সময় আমার কথা শেষ হইছে এখন ১০টা বাজে মগর আমার হাসি এখনো থামতেছে না.
হাদে কি মাইনষে কয় ভাবিয়া করিও কাজ করিয়া ভাবিওনা...
 

অ্যাড মি প্লিজ ফিভার

এক ভদ্রলোকের কাছে পুলিশ ফোন করে বললঃ স্যার আপনার স্ত্রী এক্সিডেন্ট করেছে, এখন একটু এসে বডি আইডেন্টিফাই করে যাবেন প্লিজ।

...

...

স্বামীঃ im 24hours active facebooker so i'm busy now, আপনি একটা ফটো তুলে ফেসবুকে আমাকে ট্যাগ করুন। যদি এটা আমার স্ত্রীর বডি হয় তাহলে আমি like click করে সার্টিফাই করে দেব....!!!

.

.

পোলাপাইনে ফেসবুকের পোস্টে, মেসেজে যেমনে

"24 hours active, add me pliz"
"100% Active ,like me pliz"
"like my post" / "like my photo" / "আমাকে লাইক দিলে আমিও লাইক ব্যাক করবো..!!"

এডি কইয়া যেমনে হাউকাউ করে কয় দিন পর অবস্থা উপরের হাসবেন্ডের মত হওয়া অস্বাভাবিক কিছু না।
ঐশী আপুকে এয়ারটেলের পক্ষ থেকে একটা এওয়ার্ড দেয়া উচিত। কারন তিনি কি সুন্দর ভাবে এয়ারটেলের একটা ফাও এড কইরা দিলো। 

ঐশী আপু থেকে এইবার যা শিখলাম

"বাপ মা ছাড়া লাইফ পসিবল বাট ফ্রেন্ডস ছাড়া লাইফ লাইফ ইম্পসিবল.......!!!"

ঐশীকে বিয়ে করলে যা হতে পারতো

যত যাই কন ঐশী মাইডা দেখতে কিন্তু মাশাল্লাহ। সত্যি বলতে আমি প্রথম প্রথম হাল্কা ওর প্রেমে পইরা গেছিলাম কিন্তু পরে চিন্তা কইরা দেখি যেই মেয়ে মা- বাবা কে মেরে ফেলতে পারে তারে বিয়া করলে পরে দেখা যাইবো আমার পোলা মাইয়ারেও মাইরা ফালাছে।

ঘটনা হয়তোবা এমন হবে, আমি বউ পোলাপাইন রাইক্ষা অফিসে গেছি আইসা দেখি আমার পুচকি মইরা ভূত হইয়া আছে!!!!!!!!!!!!! ঐশীরে জিগাইলাম,

> “ঐশী বাবু মারা গেছে কিভাবে?”

< “আরে বইলো না, আমি স্টার প্লাসে ‘কাসটোকি জিন্দেগি’ দেখতেছিলাম পুচকি আইসা দিলো চ্যানেল পাল্টায়া। কয় ডোরেমন দেখুম”

> “তো”

< “তুমি তো জানই কাসটোকি জিন্দেগির এক এপিসিয়ড মিস গেলে আমার জিন্দেগিই বরবাদ হইয়া যায়। এতো বুঝাইলাম, পরে দেখ বাবা। হারামজাদা কয় না এখনি ডোরেমন দেখবে, এরপর নিনজা হাতিম দেখবে। গেল মেজাজ খারাপ হইয়া। দিলাম তুইল্লা একটা আছাড়। ব্যাস মইরা গেছে।

আর আমার দিকে হা কইরা তাকা লাভ নাই। এই লাশটা নিয়া এখন ডাস্টবিনে ফালায় দিয়া আসো”

> “ডাস্টবিনে ফালাবো কেন!!!!? কবর দিবো না?”

< “ওরে বাপরে, কবর!!!! নিজের বাপ মারে মাইরা কবর দেই নাই, বাথরুমে ফালায়া দিলাম আবার আইছে পুচকিরে কবর দিতে...!!!

আব যাও, মেরা টাইম মাত খারাপ কারো। ইয়ে কাচরেকি ডাব্বা লেকে বাহার ফেক কে আও কুছ দের বাদ সনি পে ‘ছানছান’ শুরু হোনেয়ালাহে "

সুমন ভাই

বিকালের আড্ডায় সুমন ভাই এসে বলতেছে, 

> "দুফুরে একটা ইন্টারভিউ আছিল, বাসায় আইসা দেখি কোন তরকারী নাই শুধু একটা ডিম আছে। ঐডাই ভাইজ্জা কাইয়ালচি"

< "ভাই এই 'কাইয়ালচি' মার্কা কথা নিয়া নি ইন্টারভিউ দিতে গেছেন?"

> "আমি কই কইচি কাইয়ালচি? আমিতো বলেচি যে কেয়ে পেলেচি!!!"

< "ভাই থাক আপনার 'কাইয়ালচি' ই ভালা, তাইলে অন্তত বুঝা যায় যে আপনে মায়মনসিংয়া। 'কেয়ে পেলেচি' শুনলে বুঝার উপায় নাই আপনে কোন দেশী "