ইহা একটি হরলিক্স মিশানো উচ্চ ইগো সমৃদ্ধ পোষ্ট।
(জৈনিক মানব কইলে মোর বলে ইগো বেশি!!! ব্যাডা মোরে গাঙ্গের জলে ভাইস্যা আওয়া ছ্যাম্রা পাইছাও যে কোন কিছু কম হইবে? ভালা কিছু মোর ধারে না থাকলেও খারাপ জিনিসের অভাব নাই। ওয় ইগোর দেখছেডা কি?
তাইনেরে আরো হাই লেভেলের ইগো দেখানোর জন্য এই পোস্টের উৎপত্তি। So ঐ ‘জৈনিক’ ছাড়া আপামোর জনগণ এই বস্তা পচা কিচ্ছা না পড়লেও চলবে।)
---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
১. “কিরে সুসাইন্না ফেসবুকে তো দেখি প্রতিদিন ভালই মাইনষের লেখা কপি মারছ, এমনে আর কয় দিন?”
২. “ফেসবুকে তুই বিখ্যাত হবি বিভিন্ন পেজ এর পোষ্ট কপিবাজ হিসাবে”
আমার ফেসবুক স্টাটাস দেখে উপরের দুইটা কমেন্টই আমার স্কুল লাইফের দুই “ফাস্ট বেঞ্চার ট্যালেন্ট” স্টুডেন্টের করা। স্কুলে আমি যদিও বসতাম মাঝামাঝি সারিতে কিন্তু আমার ব্রেনতো লাস্ট সারির স্টুডেন্টদের মতই। স্কুল থেকে মাস্টার্স পর্যন্ত পরীক্ষার খাতায় পাঠ্য বইয়ের ৫% ও লিখতাম কিনা সন্দেহ। যা লিখতাম তাকে হিন্দিতে এক কথায় বলে “বাকোয়াজ”। কিন্তু এরপরো স্যার মিডামেরা কি বুইজ্ঝা নম্বর দিত আল্লাহ মালুম।
তাদেরও বা কি দোষ, লাস্ট বেঞ্চের পোলাপাইনের মাথা থেকে যে পাঠ্যবইয়ের বাইরের বস্তাপচা কিচ্ছা বাহির হবে এটাই স্বাভাবিক, কিন্তু এই বস্তাপচা কিচ্ছাও মাঝেমধ্যে ফেসবুকের মত আজাইরা জায়গায় কাজে আসবে তাতো স্কুলে পড়ার সময় কেউ জানতাম না
মুরগীর খামারের আবর্জনা যে মাছের খামারের পুস্টিকর খাদ্য তা হাতে কলমে টের পাইলাম ফেসবুক চালু হবার পর। ফেসবুকে আমি যা লিখি পরীক্ষার খাতায়ও আমি প্রায় এই টাইপের লেখা লিখতাম (believe it or not).
একবার সেকেন্ড না থর্ড ইয়ারে স্যার ম্যাথ/পরিসংখ্যান পরীক্ষায় লিখতে দিছিলো “ log কাকে বলে?” ( লগারিদম অংকের log)
প্রায় ২ পৃষ্টা লিখেছিলাম যার সার সংক্ষেপ এমন....
“লগ এক প্রকার ভার্চুয়াল তালা। এটা খুলে আমরা ইন্টারনেটে বিভিন্ন একাউন্টে ঢুকি আবার এটা মেরে দিয়ে বের হই। এর ফলে আমাদের একাউন্টে অন্য কেউ ঢুকতে পারে না।
এটা দুই প্রকার, লগইন আর লগ আউট। আমরা মেইলে, ফেসবুকে, টুইটারে ইউসার নেইম আর পাসয়ার্ড দিয়ে এন্টারে চাপ দিলে যা হয় তাই লগ ইন, আর এর থেকে বের হবার সময় যা করি তা লগ আউট। আর আমাদের না জানিয়ে যারা আমাদের একাউন্টে লগইন করে তাদের বাংলা ভাষায় ‘চোর’ আর ভার্চুয়াল ভাষায় ‘হ্যাকার’ বলে। লগ এর কোন জেন্ডার নাই। এটা ছেলেও না মেয়েও না। তাই বলে এটা হিজলাও না। ছেলে-মেয়ে-হিজলা-আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা সবাই লগ ইউজ করে থাকে!!!!!”
এই লেখায় স্যারে ৫ এর ভিতরে ৪ দিছিলো!!!! পরে এই খাতাটা Lata Lutfun নিয়া পুরা ক্লাসে পইড়া শুনায়া স্যারের ইজ্জত থোরা পাংচায় কইরা দিছে। এর পর থেকে ওই স্যারের পরীক্ষায় আমি যদি বই পুরাডা কপি কইরাও দেই তাইলেও আমাকে ৫ এ ২ এর বেশি দেয় না
তো যাই হোক পরীক্ষায় কোতায়া কোতায়া পাশ করলেও নম্বর বেশি একটা পাইতাম না ট্যালেন্টদের মত (মাথায় কিছু থাকলেয় না পামু)। কিন্তু ফেসবুকে মাশাল্লাহ এই “বাকওবাজ” বিদ্যার এর কারনে অনেক মানুষের সাথেই পরিচিত হবার সুযোগ হইছে। অনেকের সাথে এতো ভাল ফ্রেন্ডশীপ হইছে যা স্কুলে ১০বছরেও হয় নি.......
আহেন এইবার অন্য একটা কাহিনীতে যাই। একবার এক পত্রিকার ইন্টারভিউতে জয়া আহসানকে জিগাস করছিলো, আপনার অভিনয় নিয়ে তো অনেকেই প্রশংসা করে। নিজের প্রশংসা শুনতে আপনার কেমন লাগে?
তো তার উত্তর ছিল এমন,
‘সামনা সামনি সবাই আপনার ভালোটাও ভাল বলবে খারাপ টাও ভাল বলবে কিন্তু আসল কথা পিছে বলে যা আপনি কখনই জানতে পারবেন না। তাই সামনে যে যতই প্রশংসা করুক তা নিয়ে বেশি একটা লাফালাফির কিছু নাই। আমিও এগুলো অতো সিরিয়াসলি না নিয়ে পা মাটিতেই রাখি।
তবে একদিন এক নাটকের শুটিং এ রাস্তার ঝাড়ুদার এর অভিনয় করছিলাম, ক্যামেরা দূরে সেট করা ছিল। এক এল্ট্রা মর্ডান মেয়ের সাথে ভূলে ধাক্কা লেগে যায়, ও এমন রিএক্ট করলো মনেহয় সত্যি কোন রাস্তার ঝাড়ুদারের সাথে ধাক্কা খেয়ে তার জামা নষ্ট হয়ে গেছে। সে ঝাড়ি দিয়ে অনেক গুলা কথা শুনিয়ে চলে গেল। বুঝেই নাই যে এইটা নাটকের শুটিং।
আমি তাতে মাইন্ড করি নাই বরং নিজের কাজের প্রতি সত্যি ঐ দিন খুব স্যাটিস্ফাইড হয়েছি যে আমার অভিনয় মে বি ন্যাচারাল। পুরা চরিত্রের সাথে মিশে যেতে পেরেছি। ঐ ‘ঝাড়ি’ টাই আমার জন্য ছিলো রিয়েল প্রশংসার।’
এইবার সবাই এইখানে অফ জান, নিচের বাকি লেখা এইবার উপরের দুই “ফাস্ট বেঞ্চার ট্যালেন্ট” কমেন্ট্যালার জন্য।
আপনেরা দুইজন জয়ারে থুইয়া আমার দিকে আহেন। আপনেরা দোনোগা মিলি যখন অ্যাঁর লেখারে অন্যের তুন কপি করা কই এইচ্চা কমেন্ট করেন আল্লার কিরা লাগে অ্যাঁর এক্কানাও খারাফ লাগে না। কিল্লাই, কইতারবেন নি?
Coz আমার ফিলিংস ও তখন ঐ জয়ার মত “নিজের কাজের প্রতি সত্যি খুব স্যাটিস্ফাইড হয়েছি” মনেহয় কারন তোমগো বিশ্বাসই হয় নাই যে এডি আমার লেখা হইতে পারে, মনেহইছে এডি অন্য কারো কাছ থেকে ধার করে আনা!!!!!!!!!!
থাকতে তো চাই আমজনতা মগর এডি হুনলে নিজের মনে হয় “কিছু একটা” — feeling আমারে টাইন্না নামা, ইন্ডাইরেক্ট প্রশংসায় পা তো মাডিত পড়তো চায়নারে মনা.
(জৈনিক মানব কইলে মোর বলে ইগো বেশি!!! ব্যাডা মোরে গাঙ্গের জলে ভাইস্যা আওয়া ছ্যাম্রা পাইছাও যে কোন কিছু কম হইবে? ভালা কিছু মোর ধারে না থাকলেও খারাপ জিনিসের অভাব নাই। ওয় ইগোর দেখছেডা কি?
তাইনেরে আরো হাই লেভেলের ইগো দেখানোর জন্য এই পোস্টের উৎপত্তি। So ঐ ‘জৈনিক’ ছাড়া আপামোর জনগণ এই বস্তা পচা কিচ্ছা না পড়লেও চলবে।)
---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
১. “কিরে সুসাইন্না ফেসবুকে তো দেখি প্রতিদিন ভালই মাইনষের লেখা কপি মারছ, এমনে আর কয় দিন?”
২. “ফেসবুকে তুই বিখ্যাত হবি বিভিন্ন পেজ এর পোষ্ট কপিবাজ হিসাবে”
আমার ফেসবুক স্টাটাস দেখে উপরের দুইটা কমেন্টই আমার স্কুল লাইফের দুই “ফাস্ট বেঞ্চার ট্যালেন্ট” স্টুডেন্টের করা। স্কুলে আমি যদিও বসতাম মাঝামাঝি সারিতে কিন্তু আমার ব্রেনতো লাস্ট সারির স্টুডেন্টদের মতই। স্কুল থেকে মাস্টার্স পর্যন্ত পরীক্ষার খাতায় পাঠ্য বইয়ের ৫% ও লিখতাম কিনা সন্দেহ। যা লিখতাম তাকে হিন্দিতে এক কথায় বলে “বাকোয়াজ”। কিন্তু এরপরো স্যার মিডামেরা কি বুইজ্ঝা নম্বর দিত আল্লাহ মালুম।
তাদেরও বা কি দোষ, লাস্ট বেঞ্চের পোলাপাইনের মাথা থেকে যে পাঠ্যবইয়ের বাইরের বস্তাপচা কিচ্ছা বাহির হবে এটাই স্বাভাবিক, কিন্তু এই বস্তাপচা কিচ্ছাও মাঝেমধ্যে ফেসবুকের মত আজাইরা জায়গায় কাজে আসবে তাতো স্কুলে পড়ার সময় কেউ জানতাম না
মুরগীর খামারের আবর্জনা যে মাছের খামারের পুস্টিকর খাদ্য তা হাতে কলমে টের পাইলাম ফেসবুক চালু হবার পর। ফেসবুকে আমি যা লিখি পরীক্ষার খাতায়ও আমি প্রায় এই টাইপের লেখা লিখতাম (believe it or not).
একবার সেকেন্ড না থর্ড ইয়ারে স্যার ম্যাথ/পরিসংখ্যান পরীক্ষায় লিখতে দিছিলো “ log কাকে বলে?” ( লগারিদম অংকের log)
প্রায় ২ পৃষ্টা লিখেছিলাম যার সার সংক্ষেপ এমন....
“লগ এক প্রকার ভার্চুয়াল তালা। এটা খুলে আমরা ইন্টারনেটে বিভিন্ন একাউন্টে ঢুকি আবার এটা মেরে দিয়ে বের হই। এর ফলে আমাদের একাউন্টে অন্য কেউ ঢুকতে পারে না।
এটা দুই প্রকার, লগইন আর লগ আউট। আমরা মেইলে, ফেসবুকে, টুইটারে ইউসার নেইম আর পাসয়ার্ড দিয়ে এন্টারে চাপ দিলে যা হয় তাই লগ ইন, আর এর থেকে বের হবার সময় যা করি তা লগ আউট। আর আমাদের না জানিয়ে যারা আমাদের একাউন্টে লগইন করে তাদের বাংলা ভাষায় ‘চোর’ আর ভার্চুয়াল ভাষায় ‘হ্যাকার’ বলে। লগ এর কোন জেন্ডার নাই। এটা ছেলেও না মেয়েও না। তাই বলে এটা হিজলাও না। ছেলে-মেয়ে-হিজলা-আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা সবাই লগ ইউজ করে থাকে!!!!!”
এই লেখায় স্যারে ৫ এর ভিতরে ৪ দিছিলো!!!! পরে এই খাতাটা Lata Lutfun নিয়া পুরা ক্লাসে পইড়া শুনায়া স্যারের ইজ্জত থোরা পাংচায় কইরা দিছে। এর পর থেকে ওই স্যারের পরীক্ষায় আমি যদি বই পুরাডা কপি কইরাও দেই তাইলেও আমাকে ৫ এ ২ এর বেশি দেয় না
তো যাই হোক পরীক্ষায় কোতায়া কোতায়া পাশ করলেও নম্বর বেশি একটা পাইতাম না ট্যালেন্টদের মত (মাথায় কিছু থাকলেয় না পামু)। কিন্তু ফেসবুকে মাশাল্লাহ এই “বাকওবাজ” বিদ্যার এর কারনে অনেক মানুষের সাথেই পরিচিত হবার সুযোগ হইছে। অনেকের সাথে এতো ভাল ফ্রেন্ডশীপ হইছে যা স্কুলে ১০বছরেও হয় নি.......
আহেন এইবার অন্য একটা কাহিনীতে যাই। একবার এক পত্রিকার ইন্টারভিউতে জয়া আহসানকে জিগাস করছিলো, আপনার অভিনয় নিয়ে তো অনেকেই প্রশংসা করে। নিজের প্রশংসা শুনতে আপনার কেমন লাগে?
তো তার উত্তর ছিল এমন,
‘সামনা সামনি সবাই আপনার ভালোটাও ভাল বলবে খারাপ টাও ভাল বলবে কিন্তু আসল কথা পিছে বলে যা আপনি কখনই জানতে পারবেন না। তাই সামনে যে যতই প্রশংসা করুক তা নিয়ে বেশি একটা লাফালাফির কিছু নাই। আমিও এগুলো অতো সিরিয়াসলি না নিয়ে পা মাটিতেই রাখি।
তবে একদিন এক নাটকের শুটিং এ রাস্তার ঝাড়ুদার এর অভিনয় করছিলাম, ক্যামেরা দূরে সেট করা ছিল। এক এল্ট্রা মর্ডান মেয়ের সাথে ভূলে ধাক্কা লেগে যায়, ও এমন রিএক্ট করলো মনেহয় সত্যি কোন রাস্তার ঝাড়ুদারের সাথে ধাক্কা খেয়ে তার জামা নষ্ট হয়ে গেছে। সে ঝাড়ি দিয়ে অনেক গুলা কথা শুনিয়ে চলে গেল। বুঝেই নাই যে এইটা নাটকের শুটিং।
আমি তাতে মাইন্ড করি নাই বরং নিজের কাজের প্রতি সত্যি ঐ দিন খুব স্যাটিস্ফাইড হয়েছি যে আমার অভিনয় মে বি ন্যাচারাল। পুরা চরিত্রের সাথে মিশে যেতে পেরেছি। ঐ ‘ঝাড়ি’ টাই আমার জন্য ছিলো রিয়েল প্রশংসার।’
এইবার সবাই এইখানে অফ জান, নিচের বাকি লেখা এইবার উপরের দুই “ফাস্ট বেঞ্চার ট্যালেন্ট” কমেন্ট্যালার জন্য।
আপনেরা দুইজন জয়ারে থুইয়া আমার দিকে আহেন। আপনেরা দোনোগা মিলি যখন অ্যাঁর লেখারে অন্যের তুন কপি করা কই এইচ্চা কমেন্ট করেন আল্লার কিরা লাগে অ্যাঁর এক্কানাও খারাফ লাগে না। কিল্লাই, কইতারবেন নি?
Coz আমার ফিলিংস ও তখন ঐ জয়ার মত “নিজের কাজের প্রতি সত্যি খুব স্যাটিস্ফাইড হয়েছি” মনেহয় কারন তোমগো বিশ্বাসই হয় নাই যে এডি আমার লেখা হইতে পারে, মনেহইছে এডি অন্য কারো কাছ থেকে ধার করে আনা!!!!!!!!!!
থাকতে তো চাই আমজনতা মগর এডি হুনলে নিজের মনে হয় “কিছু একটা” — feeling আমারে টাইন্না নামা, ইন্ডাইরেক্ট প্রশংসায় পা তো মাডিত পড়তো চায়নারে মনা.
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন