আগে মাঝে মধ্যেই এলাকার ব্যাচেলর বা মেছে থাকা ভাই বেরাদরদের সাথে রান্না বিষয়ক ফাপর নিতাম। কইতাম “ধুর মিয়া বুয়া আহে নাই তো কিছে, নিজে নিজে রাধতে পারেন না? এইডা কোন কাম এর ভিতরে পড়ে? আমিতো প্রায় সময় ঘরে নিজের মন মত রাইন্ধা খাই!!! হুদাই KFC, BFC এ যাইয়া ট্যাকা খরছ করন লাগে নি!!” (ফাপরটা মনে হয় একটু বেশিই হইয়া গেছিলো )
তো একদিন এক বড় ভাইয়ে কল দিছে, “শেফ সাব, আমার ভাইগ্না আইছে বাসায়, কয় ফ্রাইড চিকেন খাইবো। ক্যামনে বানাইতাম রিসিপিটা একটু কইবেন?”
ফাপড় মাইরা পড়ছিতো মাইঙ্কা চিপায়, এখন তো না কইলে ইজ্জত থকতো না। পরে পেঁয়াজ বাটা, রসুন বাটা, হ্যান সস-ত্যান সস- বক্কর চক্কর মানে যেই কয়ডা মসলার নাম জানি তা সব এক চামুচ দুই চামুচ দিয়া মুরগী মাখায়া তেলে ভাজতে কইলাম।
২দিন পর ঐ ভাই এর ফোন, মাম্মাআআআআআআআ তুমি তো আসলেই একটা জিনিয়াস। চিকেন ফ্রাই অছাম হইছে। ভাইগ্না তো পুরাডাই খাইয়ালাইছে, আমি ভাগে অল্প একটু পাইছি। আর জ্বালামু না রিসিপিটা আবার কও, লেইক্ষা থুই সাথে আইজগা মেসের সবাইরে খাওয়ামু।
আমি তো তখন আন্তাজে মারছিলাম কিন্তু এমনে যে ঝড়ে বক মইরা যাইবো তা কে জানতো!! (তাইলে তো আমিও রিসিপিটা লেইক্ষা রাখতাম ) আমিও তো আসলে জানি না সঠিক তরিকা কি। আবারও আন্তাজে নতুন রিসিপি একটা মাইরা দিলাম।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ঐ মেসে এখন ওরস্যালান জাতীয় খাবার থুক্কু জাতীয় পানীয় হিসাবে ব্যাবহৃত হচ্ছে সাথে ঐ মেসে আমার গমনের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হইছে
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন