বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন, ২০১৪

ইরানী রমনীঃ পার্ট ওয়ান

হোমপেইজ ব্রাউজ করতেছিলাম, আতকা একটা রমনীর আইডি সম্ভবত “ইউ মে নো” লিস্টে চোখে পড়লো। প্রো পিক দেইক্ষাই বুঝছি এইডা সৌদি, দুবাই বা ইরানী এলাকার বাসিন্দা। অতিবো সৌন্দর্য্য।
.
টাইম লাইনে যাইয়া দেখি ইনি খাঁটি জন্মগত বাংলাদেশী!!! পড়াশুনাও বাংলাদেশে!! আজকাল বাংলাদেশেও এরুম মিডিলিস্ট স্টান্ডার্ড রমনী পাওয়া যায়!! “লিভ ইন বাংলাদেশ” দেইক্ষাই নগদ ৩০% ক্রাশ ঐখানেই খাইয়া গেছি  এডুকেশনাল প্রফাইল দেইক্ষা বুঝলাম আমার ব্যাচ এর, সেইম এইজ!! ক্রাশ এর মাত্রা আরো বাড়ছে .. এইবার ৪০%
.
মগর ফ্রেন্ড লিস্টেই না হান্দাইতে পারলে ক্যামনে কি? আর আমগো দেশী সুন্দরীগো কাছে ফ্রেন্ড রিকু দিলে কত যুগ পর্যন্ত যে ফলোয়ার হইয়া ঝুইল্লা থাকতে হইবো আল্লাহ মালুম। এতো ওয়েট করনের টাইম নাই। এক হার্ট ইঞ্জিনিয়ার কইছিলো কাউরে পটাইতে চাইলে আগে তার ইন্টারেস্ট কোন দিকে হেইডা ফলো করার উচিত এর পরে সেই ইন্টারেস্ট এর সাথে মিল রাইক্ষা চ্যাট করো।
.
যেই প্রাইভেসি সেটিংস, বেশি কিছু দেখা পসিবল না। আপাতত ইন্টারেস্ট দেখতে তার ফলোয়িং লিস্টটাই ভরসা। দেখি সে কি রকম জনগনকে ফলো করে।
.
ফলোয়িং লিস্টে যাইয়া পুরা থ!!! ৩ জনকে ফলো করে,

১. আরিফ আর হোসাইন
২. (এইডার নাম মনে নাই)
৩. হুদাই ভুং ভাং!!!!!!!!!       

.
আজকাল “অতিবো সৌন্দর্য্য” আমারে ফলোয়ার আর আমিই কইতারুম না!!!!!!!!  আমার কতগুলা পোস্টের লাইক লিস্ট ঘাইটা দেখি প্রায় অনেক পোস্টেই ওর লাইক দেয়া!!!!   
.
কামতো দেখতাছি আগে থেকেই বহুত আগাইন্না, আল্লায় এইবার আমার দিকে ফিরা চাইছে   ……….. মনেহয় “রাব দে বানাদি জোড়ি সিক্যুয়াল টু” আমারে দিয়াই বানানো হবে 
ক্রাশের মাত্রা এক লাফে ৪০% থেকে ৮০% এ গেছেগা  
.
আস্তে আস্তে তার টাইম লাইনের নিচে নামতেছি আর তার কভার ফটো গুলান দেইখা অবিভূত হইতাছি সাথে ক্রাশের পার্সেন্টিজও বাড়তাছে... ৮২%..৮৩%..৮৪%...
.
৯০% ক্রাশ খাওয়ার পরে প্রথম ধাক্কাটা খাইলাম। এইডা উত্তরা এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা!! আবার গ্যারেজে পাজারো গাড়ীও আছে!!! মানে বিরাআআআআআআট বড়লোক পাবলিক।
আর আমি মিরপুর এলাকার বাসিন্দা... যদিও আমার BMW আছে মগর গ্যারেজে না, শোকেজে 
.
ব্যাপারটা অনেকটা বাংলা ছিঃনেমার মৌসুমি-ওমর সানি লেভেলের মনে হইতাছে। মৌসুমি চৌধুরী সাহেবের মেয়ে আর ওমরসানি ফয়িন্নির পুত!!
অবশ্য বাংলা ছিঃনেমার কথা মনে পড়তেই আবার ইনেস্পারেড হইলাম, ফয়িন্নির পুতেও তো চৌধুরি সাহেবের মেয়েকে বিয়া করার জন্য প্রথমে ঠেলা গাড়ি এর পরে রিক্সা এর পরে সিএনজি-বাস-ট্রাক চালায়া কিছু দিনের মধ্যে সেও খান সাহেব হইয়া যায়। সো আমিও পারুম। আর এখনতো মটর রিক্সা, কস্ট কম  ব্যাপার না  
.
একটু বিরতির পরে ক্রাশের মাত্রা আবার বাড়া শুরু করছে... ৯৭%...৯৮% ...৯৯% ... পৌনে ৯৯% ক্রশ খাওয়ার পরে একটা ফটো দেইখা মনেহইলো এইবার বুকের ভিত্তে কেডায় জানি গুলি করছে!!!
.
এক ব্যাডার লগে আঞ্জাইয়া ধইরা ফটো!!! এই জামানায় এমন ফটো সমস্যা না। ফ্রেন্ডের সাথে এমন ক্লোজ ফটো তুলতেই পারে। কিন্তু কইলজা কামড় দিছে ফটোর টাইটেল লেখা দেইক্ষা।
.
“মি এন্ড মাই হাব্বি ইন আওয়ার মেরিজ এনেভার্সারী!!!!!!!! উই পাসড সেভেন ইয়ার্স টুগেদার!!!!!!! ফিলিং লাভড   ”
  
..
...
সুসান তীব্র ভাবে ব্যাথিত, মর্মাহত, ঠাডাহত এবং শোকাহত................
হুদ্দাই কতডি মেগাবাইট লস........ 

বুধবার, ২৫ জুন, ২০১৪

যমদূতো কি NOKIA ইউজ করে??

“বাবা আরো একটু রাইস দেই?”
<“নাহ, ভাত দাও!!”
“ঐ ভাত আর রাইসে পার্থক্য কই?”
<“পার্থক্য না থাকলে সব বাংলায় বইলা ভাত টা আবার ইংলিশে বলতে যাও ক্যান??”
“এইটা ফ্রাইড রাইস, ডাক্তার মানা করছিলো তাও তোমার জন্য আনছি  ”
.
এখন আর রিসাতের হাতের সমস্যার জন্য কস্ট করে ছুরি-চামুচ দিয়ে কাটা বেছে খেতে হয় না, গরমের ভয়ে রোদ থেকে পালিয়ে থাকতে হয় না। এখন প্রতিদিনি কেউ না কেউ তাকে খাইয়ে দেয়, এসি রুমে বসে জানালা দিয়ে বাহিরের মিস্টি রোদ পোহায়। আসলে ঢাকা শহরের রোদ তো আর মিস্টি না, কিন্তু ১৪ তলা উপরে এসি রুমের জানালার গ্লাস দিয়ে ঢুকা রোদের আলোর সাথে এসির হাওয়া মিশে “মিস্টি রোদই” মনেহয়।
.
রিসাত প্রথম যেদিন হসপিটালে আসে তার কাছে জায়গাটা অসস্তিকর লেগেছিল। আসলে হসপিটাল জায়গাটাই তার পছন্দ না। ছোট বেলায় তাকে হসপিটালে রুগী দেখতে না নেয়ার জন্য কে জানি বলেছিলো “মানুষ মারা যাবার আগে হসপিটালে যেয়ে ওয়েট করে!!” কয় দিন পর সত্যি সেই রুগী মারা যায়!! এর পর থেকেই হসপিটালের প্রতি তার চরম অনাগ্রহ।
.
কিন্তু এখানে কয়দিনেই রিসাতের কাছে জায়গাটা পরম আপন হয়ে গেছে। এখন আর তার শারিরীক সমস্যা নিয়ে খুব বেশি ভুগতে হয় না, কোথাও গিয়ে কারো সামনে অসস্তিকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয় না। তাকে এখানে সাহায্য করার জন্য মানুষের অভাব নেই। ডাক্তারো একেবারে মনের মত, তার মত ফেসবুক এডিক্টেড!! ডাক্তার ভিজিটে না থাকলে প্রায় সময় ফেসবুকেই ডাক্তারের সাথে চ্যাট হয় রিসাতের! ফেসবুকেই তার এখন সময় কাটে।
.
এখনকার হসপিটালগুলো অনেকটা হোটেলের মত। প্রতি রুমে টিভি-ফ্রিজ-এসি- ওয়াইফাই-ডিসের লাইন। পাশের রুমের রুগীর এক আত্মিয়ের চিৎকার শুনা যাচ্ছে “আবে হালার কি হছপিটালে আইছি, ঢিছের লাইন ভি হালায় কাম করে না। এত টাহা দিয়া কেবিন ভাড়া করছি কি হালার বিটিভি দেখবার লিগা নি!!?”
.
প্রাইভেট হসপিটালে দুই ধরনের মানুষ আসে। এক দল আসে আসলেই চিকিৎসা করাতে আর আরেক দল চিকিৎসার চেয়ে শো অফ টাই বেশি করে। রিসাতের হোম পেইজে ওই দিন মৌ এর ছবি দেখলো এক লাক্সারিয়াস হস্পিটালে প্লাস্টারয়ালা পা নিয়ে হাসি মুখে সেলফি আপলোড করছে ক্যাপশনে লেখা “Frndzzzz pry 4 me, a’m sick” কিন্তু ওর চেহারায় মনেহয় ও হসপিটালে না, হানিমুনে আছে শুধু ভাঙ্গা পা টা বাদ দিলে!!
.
হসপিটালের আরো একটা ব্যাপার, এখানকার রিসিপসনিস্ট আর ইন্টার্ন ডাক্তারেরা চরম সুন্দরী হয়। শুধু পার্থক্য হলো রিসিপশনিস্টের চেহারায় সব সময় চরম বিরক্ত একটা লুক থাকে আর ডাক্তারদের চেহারায়া একটা মায়াময় ভূবন ভূলানো হাসি থাকে। সেই হাসিতে রুগী ভূলেই যায় যে সে মৃত্যুপথযাত্রী!!! কিন্তু মাঝে মধ্যে সেই ভূবন ভূলানো হাসির মাঝে একটা “হিডেন” মলিন হাসি থাকে। মলিন হাসিতেই বুঝা যায় দুই দিনের দুনিয়ায় দ্বিতীয় দিনো শেষের পথে।
.
বিকেলে পাশের কেবিন থেকে কান্নার আওয়াজ। ডিসের লাইন না পাওয়া সেই ব্যাক্তির পেশেন্ট একটু আগে মারা গেলো। ডিসের লাইন না পেলেও যমদূতের লাইন ঠিকি পেয়েছে তারা। ডিসের লাইনের মত এখানে যমদূতও আসা যাওয়া করে। প্রতিদিনি এখানে কেউ না কেউ মারা যায়। প্রথম প্রথম ভয় লাগতো রিসাতের এখন আর লাগে না, সবাইকেই তো একদিন যমদুতের কাছে ধরা দিতেই হবে সুতারাং ভয় পেয়ে লাভ কি?
.
মৃত্যুর পরে অন্ধকার জগত। সেখানে সূর্য্য নেই। সুর্য্য যখন নেই তখন চাঁদও নেই কারন চাঁদের নিজের কোন আলো নেই। চাঁদ সূর্য্যের মিস্টি আলো যা উপভোগ করার এইখানেই করে যেতে হবে, পরো জগতে কিযে কপালে আছে আল্লাই ভালো জানে।
.
ঢাকার হাইরাইজড বিল্ডিংগুলোর কারনে কারো বাসাতেই আলো ঢুকে না। রিসাতের অনেক দিনের ইচ্ছা জীবনের শেষ সময় গুলো এমন জায়গায় কাটানোর যেখানে সূর্য্যের মিস্টি আলোয় তার ঘুম ভাংবে রাতে সে জায়গায় চাদের আলোয় ঘুমাবে। দুটো সুন্দর জিনিসের স্পর্শে দুনিয়া থেকে বিদায় নেয়ার মাঝে আনন্দ আছে...
.
.
১৪ তলা উপরের এই কেবিনে রিসাতের মন মত দুটো ব্যাবস্থাই আছে। এখন শুধু এক জনের অপেক্ষা.........
যার সাথে কেউই কানেক্ট হতে চায় না কিন্তু সময় মত ডায়াল ছাড়াই কিভাবে যেনো অটো কানেক্ট হয়ে যায়...... এতো মানুষের অনিচ্ছা স্বত্বেও যমদূত মানুষের সাথে কানেক্ট হয়। যমদূতো কি নকিয়া ইউজ করে নাকি কে জানে। হাজার হলেও “ NOKIA, Connecting people”

শুক্রবার, ২০ জুন, ২০১৪

৫লাখ টাকার পাঞ্জাবী

এই বার ঈদে ইনশাল্লাহ যে পাঞ্জাবী পিন্দুম তার মার্কেট ভ্যালু ৫লাখ টাকা…!!

আরে মোহতরামে দোস্ত বুজুর্গানেরা, দাম শুইনা ডরাইয়েননা। আমিতো বলছি ৫লাখ টাকা পাঞ্জাবীর " মার্কেট ভ্যালু" কিন্তু আমি তো আর ওইডা ৫লাখ দিয়া কিনি নাই… 

আহেন হিসাব বুঝাই, এই মিসকিন বান্দা ক্যামতে ৫লাখ টাকা দামের পাঞ্জাবী পিন্দে…!!

আমগো শানি লায়ন আফা এমনিতে ড্রেস পিন্দে না, কখনো বেশি ঠান্ডা লাগলে ২-১ টা ফিতায়ালা ত্যানা পিন্দে। ওই ফিতা-ত্যানায়ালা শানি আফার ড্রেসের দাম বলে ৫০হাজার টাকা…!!

সেই হিসাবে আমার গলা থে হাটু পর্যন্ত লম্বা পাঞ্জাবীর দাম ৫০লাখ টাকা হবার কথা।
৫লাখ তো কমই কইছি… -- feeling বড়লোক  

আম্রিকা

১. এক ফ্রেন্ড টিভিতে খরর পড়তো। প্রতিদিনি টিভিতে ওরে দেখতাম। কয়দিন আর ঐডার দেখা নাই!! ফেসবুকে খোঁজ লইবার গেলাম বাইচ্চা আছে না মইরা গেছে, ওম্মা শালী দেখি আম্রিকায় বইয়া সেলফি আপলোডায়!!

২. এক ফ্রেন্ড কয় দিন পর পরই ঘরে বইসা ফেসবুকে চেকইন দিতো, Now im in Everest feeling cold/ I’m in Brazil dancing Samba….. এক দিন চেক ইন দিলো, I’m in USA feeling excited… হালায় যে ঘরে বইয়া এডি দেয় তা ভালো কইরাই জানি তাই আর পাত্তা দেই নাই। ২ দিন পর থেকে দেখি নিউইয়র্কের রাস্তায় পোজ দিয়া হের ছবি!!

৩. এলাকার এক ভাই ডাইল-মদ-গাঞ্জা মানে খাইতো না এমন কিছু নাই। যেই টেররিস্ট মার্কা চেহারা, হের চেহারা দেখলে মালদ্বীপও ওরে ভিসা দেওয়ার কথা না আতকা এক দিন দেখি আম্রিকায় এক গাড়ীর লগে পোজ দিয়া ছবি। এইডা বলে আবার ওর গাড়ি!! কখন গেলো আবার কখন গাড়িও কিনলো বুঝলামো না।

৪. আরেক ফ্রেন্ডেরে জন্মের পর থে দেখতাম গলির মাথায় চায়ের দোকানে বইয়া বইয়া আড্ডা মারতে। মাঝে মধ্যে তো কনফিউসড হইয়া যাইতাম ও চায়ের দোকানে আড্ডা মারে না চায়ালা ওর দোকানে আড্ডা মারে।
৩-৪ দিন আগে একটা আন্নৌন আজগুবি নং থেকে কল দিয়া কয়, দোস্ত কিছু মনে নিছ না আসলে কাউরেই জানাই নাই। আমি আম্রিকায় চইলা আসছি ২ মাস হইলো। দোয়া করিস!!! 

৫. আরেক ফ্রেন্ড ইন্টারের পরে আর পড়া শুনা করে নাই, হেইদিন কয় দোস্ত দোয়া করিস ২৬ তারিখ ফ্লাইট। এমেরিকা চলে যাচ্ছি এমবিএ করতে!!! (গ্রেজুয়েশন ছাড়াই এমবিয়ে!! হালারে ভিসা দিলো কেডা!!) 
.
.
কিউরিয়াস মাইন্ড ওয়ান্ট টু নো আজকাল বরিশালের লঞ্চের লাহান আম্রিকার লঞ্চও কি সদরঘাট থে ছাড়ে নি??? কথার আগেই মাইনষে আম্রিকা যায়গা!!!
আমগোই খালি কোন গতি হয় না 

বি পজেটিভ

“হ্যাল্লোওওওও”

< “এখনো ঘুম!!!????”

“মাঝ রাতে মাইনষে ঘুমাইবো না তো কি করবো!!!??”

< “দিনের ১২টা বাজে আর বলতেছো মাঝরাত!!! বাই দ্যা ওয়ে আমাকে দেখতে আসছে।”

“কে?”

< “কে আবার, ছেলে পক্ষ।”

“ঠিকি তো আছে। মেয়ে কে তো ছেলে পক্ষই দেখতে আসে। নাকি তুমি চাইতাছো তোমারে কোন মেয়ে পক্ষ দেখতে আসুক। তোমারে তো স্ট্রেট বলেই জানতাম। ল্যাসবিয়ানের খাতায় নাম লেখাইলা কবে  ”

< “ফাইজলামি বাদ দিবা?? কিছু একটা করো। ”

“কাম দেয়ার মত মামা চাচা খালু জেঠা নাই। সো ঘুমানো ছাড়া আপাতত কিছু করারও নাই”

< “তাইলে ঘুমাও, ঐদিকে আমাকে আংটি পয়ারে বিয়ে করে নিয়ে যাক।”

“আরে টনশিত হও ক্যান। দেখতেই তো আসছে। দেখতে আসলেই কি বিয়া হইয়া যায় নাকি?? বি পজেটিভ!! চান্সে চাইনিজে যাও, পেট ভইরা ফ্রাইড রাইস আর ফ্রাইড চিকেন খাইয়া আসো...লগে বুইড়া ব্যাডার লগে একটু ফিল্ডিংও মাইরা আসো ....  ”

< “  তোমার মনে হয় কোন টেনশনই নাই!!!!!  তুমি আমারে আর জীবনে কোন দিন ফোন দিবা না  ”

“আমি কোন কালেই তোমারে ফোন দেই নাই। ফোন দেয়ার ব্যালেন্সই নাই, দিমু কইথে। প্রতিবার তুমিই কল দেও  ”

< “ওকে। আর জীবনেও তোমারে ফোন করবো না, আজকেই শেষ। থাকো তুমি তোমার মত!!! ”

“আইচ্ছা  ”
...........
.............
কিছু দিন পর,

“হ্যালোওও”

< “আমার এঙ্গেজমেন্ট হয়ে গেছে!!”

“কংগ্রেটস!! কিসের রিং দিছে? গোল্ড না ডায়মন্ড??”

< “তুমি কি কোন কালে সিরিয়াস হবা না??? এঙ্গেজমেন্ট মানে বুঝো?? বিয়ে ফিক্সড!!”

“তো??? এতো টেনশিত হবার কি আছে? ইতিহাস বলে বেশির ভাগ এঙ্গেজমেন্টই কবুল বলার আগ পর্যন্ত এঙ্গেজ থাকে না  খলি বুকিং দিলেই তো হয় না, কিস্তি কন্টিনিউ করার ক্ষমতাও তো থাকন লাগে  বি পজেটিভ”

< “থাকো তোমার বি পজেটিভ নিয়া। তোমার সাথে কথা বলাই বেকার। মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। আর কখনো কল দিবা না”

“আমি তো কখনো কল দেই না  ”

< “ওকে, আমিই আর কল দিবো না, আজকেই শেষ কথা। বাই  ”

“আইচ্ছা  ”
....
.....
আরো কিছু দিন পর

“হ্যালো”

< “হুম বলো”

“আমার বিয়ের তারিখ ফাইনাল হইছে  ”

< “ডিভর্সের তারিখ কবে??”

“মানে কি?   ”

< “মানে গুনি জনে বলেছেন, পজেটিভলি চিন্তা করতে। তাই পজেটিভলি চিন্তা করলাম  ”

“ডিভর্স আবার পজেটিভ হয় কিভাবে???  ”

< “আমার সাইড থেকে পজেটিভ। তোমার জামাইর সাইড থে পজেটিভ চিন্তা কইরা আমি কি করুম?”

“এতো পজেটিভ থেকে কি করতে পারছো লাইফে????”

< “কোন কিছু ছাড়াই নিশ্চিন্তে দিন রাত পার করতে পারতেছি প্রবাদে আছে everything comes to you at the right moment……….. তাই হুদাও এতো চিন্তা করারই দরকার নাই ”

“ওওওওওও তুমি তাইলে এতো কিছুর পরো নিশ্চিন্তে আছো!!!!!!!!! তাহলে আমি এতো চিন্তা করতেছি কাকে নিয়ে!!! জীবনেও আর কল দিবা না আমাকে।”

< “আমি তো জীবনেও কল দেই নাই”

“আমিই আর দিবো না। আজকেই শেষ  ”

< “আইচ্ছা  ”

“সত্যিই আর কল করবো না  ”

< “আইচ্ছা  ”

“সিরিয়াসলি বলতেছি :’(  ”

< “আইচ্ছা  ”
.
.
শেষ বলিয়া আসলে কিছু নাই। যেখানেই কোন কিছুর শেষ সেখান থেকেই কিছু না কিছুর শুরু.... 
বি পজেটিভ 

বৃহস্পতিবার, ১২ জুন, ২০১৪

ফুটবল ওয়ার্ল্ড কাপ থিম সং প্যারডি

[পিটবুইল্লা এইবার ওয়ার্ল্ড কাপের কি একখান ঘোড়ার ডিমের থিম সং বানাইছে মনে হয় যেন বৃস্টির দিনে ঘুম পাড়ানির গান শুনতাছি  এর চেয়ে আমগো দেশের ওয়ার্ল্ড কাপেরটা ঝাকানাকা আছিলো। যাই হোক, পিটবুইল্লা না পারুক আমারোতো একটা দায়িত্ব আছে  ..................]
.
.
.
দেড় ঘন্টার একশন, সিক্সটিন সিক্সটিন
ফুটবল ক্রেজি ন্যায়শন, হাও এক্সাইটিং
আমরা সবাই ওয়েটিং, টেনশন টেনশন
ধিং চিকাং ধিং ধিং, ধিং ধিং ধিং ধিং
.
মেসি নেইমার হৈ হৈ, গোলাকিপার ডরায়া গেলো কই
মেসি নেইমার হৈ হৈ, গোলাকিপার ডরায়া গেলো কই
.
হোওওল ওয়ার্ল্ড, টিভি ওয়াচিং টিভি ওয়াচিং
ব্লক বাস্টার, কাপ ওয়েটিং কাপ ওয়েটিং
স্টেডিয়াম সাউটিং, বুম বাস্টিং রকিং
পিপল আর চিয়ারিং, ইভরি বডি হিয়ারিং
.
খেলার শুরুতে দেখাবে সাম্বা, খুশির সীমা নাইইইইইইইই 
ঘরে আছে একটাই টিভি, ক্যামনে দেখমু সবাইইইইইইই 
নাই নাই শান্তি যে নাই, যাই যাই ফ্রেন্ডের মেসে যাইইইই
চলো সবাই সেইম এইজের সাথে, সাম্বার মজা উড়াইইই 
ধিং চিতাং ধিং ধিং, ধিং ধিং ধিং ধিং
.
মেসি নেইমার হৈ হৈ, গোলাকিপার ডরায়া গেলো কই
মেসি নেইমার হৈ হৈ, গোলাকিপার ডরায়া গেলো কই

একচেটিয়া ব্যাবসা ;)

জন্মের থে শুইন্না আইতাছি ভালোবাসার রাস্তায় একে পর এক কস্ট পেতে হয়!! অনেক বাধা অতিক্রম করে এগিয়ে যেতে হয়। আঘাতের পর আঘাত সহ্য করতে হয়!!!
..
..
..
..
..
দেশের ৯৯% পোলাপাইনই কারো না কারো লগে এঙ্গেজড।
.
আমি বেকার মানুষ, কাম কাইজও পাইতাছি না। চিন্তা করতাছি এই রাস্তায় একটা ফার্মেসী খুইল্লা বসুম নি!!?? কাস্টমারের অভাব হইবো না... একচেটিয়া ব্যাবসা ;)



সোমবার, ৯ জুন, ২০১৪

হাইট না হেইট!!

জাপানী বসঃ “হোয়াত ইজ হেইত?”
.
< “সরি স্যার আ’ম নট আন্ডার্স্টেন্ড। রিপিট প্লিজ”
.
“আই এম সেইং হোয়াত ইজ হেইত?”
.
< “হেইট?”
.
“ইয়া”
.
< “ওকে, হেইট আইমিন হেট মিনস হোয়াট দেট ইউ নট লাইক”
.
“নো নো আ’ম সেইং হোয়াত ইজ হেইত অপ র্যা ক?”
.
< “স্যার ইজ ইট H-I-G-H-T?”
.
“ইয়া এইত-আই-দি-এইত-তি... হেইত”
.
< “স্যার ইটস নট হেইত ইটস হাইট”
.
“নোওওওও ইটস হেইত  ”
.
.
মোরালঃ টাকলার বংশধর খালি বাংলাদেশে না, জাপানেও আছে  

রবিবার, ৮ জুন, ২০১৪

জাপানীর ইন্টারভিউ

এক জাপান বাংলাদেশ জয়েন্টভেঞ্চার কোম্পানীতে ইন্টারভিউ এ জাপানী বসের প্রশ্ন,
“হোয়াই ইউ ওয়ান্ত তু ওয়ার্ক উইত আছ?”
.
< “প্ল্যাঙ্কলি ইতপিকিং আই ওয়ান্ত এ জব ওয়াত এভার ইত ইজ দেত ওয়াই আই এপ্লাই ইয়ার”
.
“আল ইউ কিদিং উইত মি??”
.
< “নো, একচুয়েলি আম ফম নোয়াখালী। হিয়ার ইব্রি ওয়ান নো দেত নোয়াখালী পাবলিক ইজ অয়ান কাইন্দ অপ জাপানী!! দেতস হোয়াই মাই ইংলিত তকিং লুকত লাইক জপানী তাইপ ইংলিত..!!”
পাশের বসা বাংলাদেশি ইন্টারভিউয়ারে বুঝছে হুদ্দাই জাপানির হাতে তুইলা দিয়া ঝামেলা প্যাচায়া লাভ নাই।
.
“অক্কে তো আমারা আসলে লোক নিচ্ছি ঈদ উপলক্ষে। আমাদের নিউ শোরুমে। অনেকেই এটা চিনে না তাই অন্য আর ৮-১০ টা শো রুমের মত আপনারা ভিতরে বসে বসে এসির হাওয়া খেতে পারবেন না। যখন কাস্টমার থাকবেনা তখন প্রোডাক্ট নিয়ে বাহিরে যেয়েও সেল করার লাগতে পারে”
.
< “শো রুম রেখে ফুটপাতে সেল করতে হবে??  ”
.
“এক্সেটলি। ওক্কে, নাও ভাবুন আমি আপনার শোরুমের এক কাস্টমার। আপনি আমার কাছে এই প্যান্ট গুলর মধ্যে একটা সেল করে দেখান”
.
< “ম্যাম আপনি এই কালাড়টা চয়েস কড়েছেন মনেহয়। একদম ড়াইট চয়েজ আপনাড়, আপনাড় গায়ের কালাড়ের সাথে পুড়োপুড়ি যায়। আপনি চাইলে মেম এই ব্ল্যাকটাও দেখতে পাড়েন। ফর্সা মানুষ খুব ভালো মানাবে, যদিও একটু এক্সপেন্সিভ বাট খুব সুন্দর মানাবে।”
.
“ একটু বেশি ওভারস্মার্ট হয়ে গেছে। যাইহোক, ধরুন এবার শো রুমের বাহিরে আছি। আমি হেটে যাচ্ছি, আমার কাছে কিভাবে সেল করবেন?”
.
< “ ও মানে ফুঠপাতে? এইডা ত আরো সোজা। এ এ এ এ বাইচ্ছা লন, একশ.. খুইজ্জা লন, একশ.. ছোট বড় একশ, যেইটা লইবেন একশ....”
.
বাংলাদেশি বস এ হাসি মুখে এক খোচা দিলো,“আপনি এতো ওভারস্মার্ট আবার আনস্মার্ট ক্যান?? মাঝামাঝিতে আসতে পারেন না মানে পার্ফেক্ট স্মার্ট হতে পারেন না???”
.
জাপানীডায় ইন্টারভিউয়ার আর ক্যান্ডিডেটের হাসিমুখে উচ্ছল বাতচিতে পারফেক্ট স্মার্ট, ওভারস্মার্ট, আনস্মার্ট শব্দ ছাড়া আর কিছু বুঝছে কিনা কে জানে তাইনেরও মনেহয় একটু স্মার্টনেস দেখানির খায়েস হইছে, বাংলাদেশী বসের দিকে মুখ কইরা
“ইয়া ইউ আল রাইত। হিজ নত ভেরি ওভারস্মার্ত নত ভেরি আনস্মার্ত... হিজ রিয়্যালি পার্ফেক্ত স্মার্ত... আই লাইক ইত!!”
.
দেখলেন চৌধুরী সাহেব আপনে না চিনলেও জাপানী বিলাই ঠিকি চিনিছে ছেলের স্মার্টফোন না থাকলেও ছেলে স্মার্ট থুক্কু স্মার্ত 

সোমবার, ২ জুন, ২০১৪

পতাকা না প্যান্ডেল



"কি মিয়া, আপনাগো ফ্লাটে বিয়া আর একি এপার্টমেন্টে থাইক্কা দাওয়াত পাইলাম না!! এতো পর হইয়া গেলাম বুঝি??"
.
> "আমগো ফ্লাটে বিয়া পাইলেন কই???  "
.
"ও তাইলে কি পিচ্চিডার সুন্নতে খতনা?? কবে করাইলেন, কইলেনো তো না"
.
> "আজিব, করাইলেয়ে না জানবেনই।"
.
"এঁ  তাইলে কি ঘরে কারো জন্মদিন??"
.
> "নাহ, কারো জন্মদিন না"
.
"তাইলে ছাদে কিয়ের অনুষ্ঠান করবেন??"
.
> "ছাদে আবার অনুষ্ঠান পাইলেন কই  "
.
" এইযে বাঁশ, দড়ি আর প্যান্ডেলের কাপড় নিয়া ছাদে যাইতাছেন, এই জন্যই তো জিগাইলাম কিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য প্যান্ডেল টাঙ্গাইবেন?"
.
> "এইডা প্যান্ডেল না, এলাকায় সবচেয়ে বড় আর্জেন্টিনার পতাকা আমগো ছাদে টাঙ্গামু তাই এডি নিয়া ছাদে যাইতাছি  "