বৃহস্পতিবার, ২৯ মে, ২০১৪

বেইজ্জতি

“ভাইয়া আপনি এতো সুন্দর করে কিভাবে লিখেন?? আমি এতো ট্রাই করি তাও আপনার মত পারি না।  আ’ম জাস্ট ইম্প্রেসড... 
আপনার লেখা দেখার জন্য আমি প্রতিদিন অপেক্ষায় থাকি”  


< “ওহ থেঙ্কস, থেঙ্কস ফড় ইউড় কমপ্লিমেন্ট। ব্যাপাড় না আজ পাড়ো না একদিন পেড়ে যাবে.. আমি তো ছুট কাল থেকে প্রচুড়ড়ড়ড়ড় পড়াশুনা কড়তাম, সব সময় ক্লাসে ফার্স্টো হতাম...  তাই লেখালিখিটা অটো চলে আসে আড়কি...  তোমাকেও এর জন্য প্রচুড়ড়ড়ড়ড় স্টাডি কড়তে হবে...”

“সরি ভাইয়া আমি আরিফ আর হোসাইনকে মেসেজ দিতে গিয়ে ভূলে আপনাকে দিয়ে ফেলছিলাম।
বাই দ্যা ওয়ে আপনি আমাকে চিনেন নাই মনে হয়, আমি আপনার ফ্রেন্ডের কাজিন। আপনি যে ছুট কালে কত্তত্তত্তত্তত্তত্তত “পড়াশুনা” করতেন!!! আর কত বার ক্লাসে লাস্ট হইছে তা আমি জানি...  
এই অস্তি বস্তি ভাষায় লেখার জন্য প্রচুড়ড়ড়ড়ড় স্টাডি লাগে না, ওইডা আমি এমনেও পারি। এইবার আলগা ভাব মারা অফ করেন মিয়া  ”

সোমবার, ২৬ মে, ২০১৪

DSLR চেহারা

লজ্জার কথা হইলেও সইত্য যে এই জামানায় চিল কাউয়ার এমন কি রাস্তার টোকাইয়ের DSLR ফুডূ থাকলেও, আমার এতো দিন DSLR এ তোলা কোন ফুডূ ছিলো না :/

তো কাজিনে একদিন বাসায় ক্যাননের একটা রকেটলাঞ্চার নিয়া আসলো। আর লাগে কি, ঐডা পাইয়া নগদ কয়ডা সেলফি উডাইলাম। এর পর ডিসপ্লে তে ছবি গুলা দেইক্ষাই আমি তো শকড!! আমি এত্তো জোস!! 
সুসান মডেলিং এ নামলে শাহরুখের তো পেডে লাত্থি পড়বো!! 

মাইনষেরে একটু সুন্দর লাগলে যা করে মানে আয়নায় নিজেরে একটু দেখে, আমিও দেখলাম। কিন্তু এইডা কি দেখায় আয়না?? আমারে বাদ দিয়া এক হনুমান এর ছবি দেখায়!!

ভইনেরে কইলাম “ঐ আয়নায় কারে দেখা যায়?”

কয় “কারে আব্বার, তোমারে!!”

< “আজিব!! আমি তো মনেহয় এমন না”

“হুম আসলেই তুমি এমন না। আয়নায় একটু বেশি সুন্দর দেখাইতাছে!! বাস্তবে এতোটা সুন্দর না” 


অতঃপর সকল সমীকরন দেখে আমি এই সিদ্ধান্তে উপনিত হইলাম, সুসানকে আয়নায় বা সামনা সামনি যেমন দেখায় সুসানের চেহারা আসলে তেমন না। DSLR এর ডিসপ্লে তে সুসানেকে যেমন দেখায় সুসানের চেহারা আসলে তেমন ;) B| B|

(প্রমানিত হইলেও প্রমানিত।  প্রমানিত না হইলেও জোর কইরা প্রমানিত -_- )

রবিবার, ২৫ মে, ২০১৪

ঘুমা না চুম্মা :/

রাত ৩টা মগর চ্যাট আর শেষ হয় না। নয়া ফ্রেন্ডলিস্টে এড হওয়া রমনীরে কইলাম,
.
“ঐ অনেক রাত হইছে। বহুত কথা কইলাম ভাল্লাগলো। এইবার তুমি ঘুমাও, আমিও ঘুমাই”
.
রমনীঃ “শুয়ো* বাচ্চা..!! কুত্তার বাচ্চা!! হারামী!! খা*....!!!   টু টু টু টু..!!!”
.
ঘটনা কি? গাইল্লায় ক্যা হঠাত!! এতক্ষণ তো ঠিকি আছিলো!! ঘুমাইতেই তো কইলাম এইডা কি এমন খারাপ কথা যে এতো গালাগালি। তারপরো চ্যাট মেসেজের আবার উপরে গিয়া দেখলাম কি লেখা। দেইক্ষা তো পুরা থ!!!
.
মিস্টেকের জন্য সরি লেইক্ষা রিপ্লাই দিতে গেলাম দেখি মেসেজ সেন্ড হয় না, মানে রমনী অলরেডি ব্লক মারছে!!
.
.
আমি “ঘ” এর জায়গায় ভূলে “চ” লেইখা দিছিলাম!!!! >_<

শুক্রবার, ২৩ মে, ২০১৪

ভূমিকম্প

ভুমিকম্মপর কম্পন দেখে নিজের ওজন বুঝুনঃ 

১. আজকের ৩ সেকেন্ডের ভূমিকম্পে যারা ৩ সেকেন্ডই কাঁপছেন তাদের ওয়েট পার্ফেক্ট। এই ওয়েট ধরে রাখার চেস্টা করুন
.
২. যারা ৩ সেকেন্ডের কাঁপানিতে আরো ৯ সেকেন্ড ধরে স্প্রিং এর মত কাঁপছেন তারা আন্ডার ওয়েট। তাড়াতাড়ি বেশি বেশি খাইয়া লাইনে আহেন...
.
.
৩. আর যারা ভূমিকম্প টেরই পান নাই.... স্যাডা বাট ট্রু তারা ওভার ওয়েট বা মোটকা/ মুটকি সম্প্রদায়.. এমনি বেসাইজ্জা যে ভুমিকম্পে পুরা দুইন্নাই কাপায়ালাইছে মগর আপনাগো নড়াইবার পারে নাই!!!
সকাল বিকাল জগিং শুরু করেন নাইলে কয়দিন পরে দুইন্নাই আপনাগো ভারে সিল্ভারের পাতিলের লাহান ট্যাব খাইয়া যাইবো 

বুধবার, ২১ মে, ২০১৪

পাসোয়ার্ড

“তোমার ফেসবুকের পাসওয়ার্ড কি?”
.
< “তোমাকে বলা যাবে না”
.
“কিইইইইইইইইইইই??”
.
< “তোমাকে বলা যাবে না”
.
“তুমি আমাকে অবিশ্বাস করো!!??? :O :O ”
.
< “নাহ অবিশ্বাস করবো ক্যান?”
.
“তাইলে পাসওয়ার্ড বলা যাবে না ক্যান?”
.
< “আরে বললাম না তোমাকে বলা যাবে না। এক কথা আর কত বার বলবো??”
.
“হুম্মম্মম তা বলবা ক্যান?? সারা দিন অনলাইনে কি করো তা মনে করছো আমি কিছু বুঝি না? আমি পাসোয়ার্ড পাইলে তো তোমার বাকি গার্লফ্রেন্ডদের খবর ফাঁস হয়ে যাবে এই কারনেই দিতে চাচ্ছ না সবই বুঝি”
.
< “মোর জ্বালা এইখানে আবার ‘বাকি গার্লফ্রেন্ড’ আইলো কইথে :O ”
.
“তাইলে পাসোয়ার্ড বলতে প্রবলেম কি? যদি তেমন কিছু নাই করে থাকো তাহলে দাও পাসোয়ার্ড”
.
< “কয়বার বলবো তোমাকে বলা যাবে না.. এর পরো এতো প্যাচাও ক্যান? কানে কি কম শুনো নাকি? এই লাস্ট বার বলছি, এক কথা বার বার বলতে ভালো লাগে না। আমার পাসোয়ার্ড তোমাকে বলা যাবে না”
.
“অক্কে ফাইন, আর কক্ষনো আমার সাথে কথা বলবা না, আমাকে ফোন করবা না। যেই রিলেশনে বিশ্বাসই  নাই সেই রিলেশনেরই দরকার নাই। গেলাম বাই >_< ”
.
.

হায়রে গাধী, ১৬ ডিজিটের পাসোয়ার্ড টা ছিলো, “tomake bola jabe na”………….. না বুঝলে কার কি করার ;) ;)

বৃহস্পতিবার, ১৫ মে, ২০১৪

লাইক

এক ফ্রেন্ডের লগে  গেলাম ওর কলেজে, ওর কি দরকারী কাগজ পত্র  উঠানোর জন্য। গার্লস কলেজ সো ভিতরে যাইবার পারুম না বাহিরেই দাড়ায়া থাকতে হইবো। :/
.
ভাগ্যগুনে তাহার এক “ইয়ো ম্যান” বান্ধুবির সাথে দেখা। তো বান্ধুবি তার বান্ধুবির সাথে পরিচয় করায়া দিয়া কলেজে গেছে তার কাজে, “ঐ তোরা কতক্ষন ফুচকা খা আর ফিল্ডিং মার, আমি আইতাছি ভিত্রের থে!!! ”
.
বান্ধুবির ইয়ো ম্যান বান্ধুবির সাথের কথার কিছু অংশ.....
.
“তো তুমি এখন কি করতেছো? জব/ বিজনেস/ অর ভাত রান্ধা??”
.
< “আমি লাইক একটা জব করছি। একচুয়েলি ইট’স নট লাইক জব, ইটস লাইক কি বলবো, লাইক একেবারে নিজের ব্যাবসার মত লাইক অফিসটা লাইক নিজের অফিসের মতই। কখনোই আমরা লাইক নিজেদের এমপ্লই ভাবি না লাইক এক জন  আরেক জনকে ডমিনেট করা লাইক অফিস পলিটিক্স ইউ নো হোয়াট আই মিন... নট লাইক দেট... সবাই খুবি ফ্রেন্ডলি লাইক ফ্যামেলির মত। অফিসে উই আর লাইক এ বার্ড....”
.
“আচ্ছা তুমি মনেহয় ‘লাইক’ কে বেশি লাইক করো??? ”
.
< “নানানান্না একচুয়েলি নট লাইক দ্যাট যেটা তুমি ভাবছো। এটা আসলে লাইক কি বলবো লাইক বুঝানো আরকি লাইক একটা সাথে আরেকটা লাইক কম্পেয়ার করে নাআআআ...? লাইক তেমনি আরকি...”
.
“আই লাভ ইউ!!!!”
.
< “হোয়াট!!!! :O :O আ’মিন লাইক কি বুঝাতে চাচ্ছ??”
.
“ না এটা আসলে লাইক সেই ‘লাভ’ না লাইক এফেয়ার বা লাইক বয়ফ্রেন্ড গার্লফ্রেন্ড এর ‘লাভ’... ইউ নো  হোয়াট আই মিন.. নট লাইক দেট। যে সব কিছুই এতো লাইক করে লাইক ইভরি থিং তাকেই তো লাইক করা উচিৎ লাইক ‘লাভ’কিন্তু “আই লাইক ইউ” তে সেই আবেগ টা লাইক ইমশন টা প্রকাশ পায় না লাইক এক্সপ্রেশন টা আসে না। তাই লাইক এর বদলে “লাভ ইউ” বলছি। নট লাইক অন্য কিছু”
.
<  “ঐ তুমি কি আমার সাথে মজা নিতেছো লাইক ফাইজলামি করো!!! আমার কথাই আমাকেই রিপিট করছো লাইক ভ্যাঙ্গাচ্ছো... হোয়াট ইজ ইট ?? নতুন পরিচয় হওয়া একটা মেয়ের সাথে লাইক কিভাবে কথা বলতে হয় লাইক ম্যানারস জান না!!! আমার আসলে শুরুতেই ভুল হইছে লাইক.............  ”
.
.

( উপরের পুরোটাই চাপা আছিলো লাইক মিছা কথা। কোন বান্ধুবির বান্ধুবি লাইক ফ্রেন্ডের  সাথে মিলে গেলে লাইক ম্যাচ হয়ে গেলে হুদাই ভুং ভাং  লাইক  সুসান দায়ী নহে লাইক ঝাড়ি খাইতে বাধ্য নহে :D )

রবিবার, ১১ মে, ২০১৪

মা দিবস

মা দিবসে কি সুন্দর সবাই মা রে আঞ্জাইয়া ধইরা ফুডু তুলে, মা রে চুম্মা দিয়া “আই লাবু মা” কইয়া হ্যাপি মাদার্স ডে পালন করে মগর আমি এডির কিছুই করতে পারি না 
.
আমি যদি এখন আতকা যাইয়া আম্মারে আঞ্জাইয়া ধইরা চুম্মা দেই বা আইলাবু কই নির্ঘাত কইবো, 

“ ঐ তুই আমার পেডের থে পয়দা হইছোস না আমি তোর পেডের থে পয়দা হইছি?? তোর টাল্টিবাজি আমি ভালো কইরাই জানি। নিশ্চিত কোন ছেরি একটা জুটাইছোস। এখন ঐডার লাইজ্ঞা মাদার্স ডে এর ছুতায় আইছোস আলগা আল্লাদ দেখায়া মা রে পটাইতে!!! তোরে আমি হাড়ে হাড়ে চিনি!!! আইজগা থে তোর মোবাইল আর নেট ইউজ বন্ধ!! ”  

শনিবার, ৩ মে, ২০১৪

ফিলিংস

“আচ্ছা তুমি যে স্টাটাসে শেষে feelings এড করো, এটা কিভাবে করো?? আমি পারি না যে!!”

 “পারবা কইথে?? এইটার জন্য ভিতর থেকে ফিল আসার লাগে নাইলে ফিলিংস এড হয় না!! স্টাটাস লেখার পরে ভিতরের থে লেখাটাকে ফিল করবা, ব্যাস তাইলেই দেখবা ফিলিংস এড হয়ে গেছে স্টাটাসে  ”
“ঐ তুমি আমার সাথে মজা নাও? ফাইজলামি বাদ দিয়া সিরিয়াসলি বলো”

 “মোর জ্বালা। সিরিয়াসলিই তো কইলাম। আইচ্ছা প্র্যাটিক্যালি দেখো। তুমি স্টাটাসে লেখো ‘ সুসানেরে ছাড়া আমি বাচুম না" এর পর মনের থে এইডা ফিল করো..
এর পর পোস্ট বাটনে ক্লিক করো দেখবা স্টাটাসের সাথে feeling loved with susan  এড হইয়া গেছে  ”

 “ আমারে বেকুব পাইছো??”


“ তোমারে বেকুব পাইছি কিনা এইডা বুঝানির জন্য কি এখন আবার প্রথম থে তোমারে বেকুব বানানির লাগবো নি!!!??? ;)