শুক্রবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

আমি কাউকে ভালোবাসি বা

আমি কাউকে ভালোবাসি বা আমার কারো সাথে প্রেম করতে ইচ্ছা হয় বা কাউকে নিয়ে আমি একি ছাদের নিচে থাকবো এটা ক্যান জানি আমার আশেপাশের মানুষ বিশ্বাস করতে চায় না। সবাই মনেকরে ফাইজলামি করতেছি!! যার কারনে কারো সাথে এসব ভালোলাগা ভালোবাসার কথা শেয়ার করতে গেলে হেসে উড়ায় দেয়।
.
এ কারনে ব্যাপারটা অনেক দিন মনের মাঝে চেপে রাখছি। কথা পেটে চেপেরাখা উচিৎ না, এতে মাথা ব্যাথা বাড়ে। আসলেই বাড়ছে। কালকে সারারাত ঘুমাতে পারিনি তার চিন্তায়।
তাই ভাবলাম জানায়াই দেই। কিন্তু কিভাবে জানাব এটাই বুঝতে পারছিলাম না
.
আমি একটাকে ভালোবাসি। আমাদের অফিসেই সে আমাদের সাথেই ৯-৬টা কাজ করে। ভালই সুন্দ্রী বলা যায়, গায়ের রঙ ধবধবা ফর্সা। বাট সে কানে শুনে না, কথাও বলতে পারে না। প্রায় দেখি হা করে কিছু বলতে চায় কিন্তু পারে না।
.
হু তার শারিরিক প্রতিবন্ধকতা আছে কিন্তু বিশ্বাস করেন আমি এতো ভালো মনের কাউকে এখনো দেখি নি। খুবি লক্ষি একপিস। যে কারো মন মেজাজ ঠান্ডা করে দেবার এক অদ্ভুত ক্ষমতা আছে তার মাঝে। এর প্রমান আমি নিজে।
.
না খেয়ে তাড়াহুড়া করে সকাল সকাল জ্যাম জুম ঠেলে অফিস যেতে যেতে এমনেই প্রতিদিন মাথা গরম হয়ে যায়। কিন্তু অফিসে যায়ে তাকে দেখলে, তার কাছে কিছু সময় থাকলে, তার কাজ, আচারন, আতিথেয়তা দেখলে কিছুক্ষনের মাঝে আমি পুরা রিফ্রেস!!
.
হতে পারে সে কথা বলতে পারে না, হতে পারে সে কানে শুনে না কিন্তু কাউকে প্রশান্তিময় অনুভূতি দেবার এক অদ্ভুত ক্ষমতা তার মাঝে আছে যা এখন অনেকের মাঝেই পাওয়া যায়না।
.
দুই দিন আগে একটা স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম বিয়ের খরচ নিয়ে। টাকা ছাড়া আপনি আপনার ভালোবাসাকেও আপন করতে পাবেন না। কারন আমাদের সমাজ ব্যাবস্থাটাই এমন।
.
আসলে তাকে ঘরে তুলে আনার মত এবং বাকি লাইফ তার ভরন পোষোন চালানর মত এত আয় রোজগার আমার এখনো হয় নি। তাই বাসায়ো বলতে পারছি না পরে আবার না বাপে তার কথা শুইন্না আমারেই ঘর থেকে বাহির কইরা দেয় 
.
.
.
কিন্তু মাই ডিয়ার এসি,
তুমি বোবা কালা যাই হও
আমি তোমাকেই ভালবাসি।
.
আপাতত তুমি অফিসেই থাকো, শুধু একটা অনুরোধ... এই ঠাডা গরমে আমার উপর মাঝে মধ্যে রাগ করে নষ্ট হইয়ো না।
.
এ ফ্যাসিবাদী সরকার হয়তো এসির উপর ট্যাক্স কমাবে না, কারেন্ট বিল কমাবে না। এ ঘুনেধরা সমাজ হয়তো তোমাকে আনতে দেখে “এহ ফকিন্নির ভাব দেখো, খাওন জুটে না আবার এসি মারায়” বলে খোঁচাবে।
.
কিন্তু মনেরেখো মাই জরিনা, আমি মাইনষের কথার ধার ধারিনা।
একদিন তোমাকে ঘরে তুলে এনে সবার মাথার উপর বসানোর মত টাকা আমারো হবে। তোমার ভরন পোষোনের খরচ চালানর অবস্থা আমারও আসবে।
ভালোবাসার জয় হবেই 

বুধবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

গত কয়েক বছরে মাইনষের বিয়া শাদী দেইখা

গত কয়েক বছরে মাইনষের বিয়া শাদী দেইখা যা বুঝলাম, কুটিকুটি ট্যাকার ব্যাকাপ না থাকলে বিয়া করন যাইবো না।
.
এখনকার গায়ে হলুদ আগের মত বাড়ির ছাদে প্যান্ডেল টাঙ্গাইয়া করলে পোষায় না। এরজন্য পুংপাং চাইনিজ রেস্ট্রুরেন্ট বুক দেওন লাগে। সেই লেভেলের স্টেজ করন লাগে।
বর কনেরে আগে হলুদে ঘরের থেকেই সাজায় দিতো, এখন হলুদেও পার্লারে যাওন লাগে। শুধু কনে গেলে হয় না, লগে পুরা এক ব্যাটেলিয়নেরো পালিশ করায়া আনন লাগে।
.
স্কুল ড্রেসের লাহান হলুদেও এখন আগত গেস্টদের সবাইকে একি কালারের শাড়ী পাঞ্জাবী দেওন লাগে। ডিজে আনন লাগে, নাচ গানের শিল্পীও ভাড়া করা লাগে।
.
ওপেন সিক্রেট খরচ আরেকটা হচ্ছে মিড নাইটে ফ্রেন্ড/কাজিনেগো মদের বতলের আবদার, না করা যাবে না। যেই মাইয়া বাপের জনমে কফিও খায় নাই হেও হেইদিন দুই এক প্যাগ মারে, বিদেশী সিগারেট টানে!! আর পোলাডির কথা নাহয় বাদই দিলাম।
.
হেরপর যেনতেন জায়গায় বিয়া করন যাইবোনা তাইলে নিজেদের+গেস্টদের ফেবুকে চেকিন দিতে ইজ্জতে বাধবে। সো লাখটাকা ভাড়ার কনভেসশন সেন্টার বুক দেও। যেই কনভেনশন সেন্টারের ভাড়া প্রায় লাখ টাকা তার খাওনের রেট নিশ্চই কাকেলা ডাব্বার মত না। ৪০০ টাকার প্লেট ৮০০ নিবে।
.
এই ডাবল রেটকে এবার হাজার খানেক গেস্ট দিয়ে গুন করেন। সাথে আবার জনপ্রতি ‘ইউনিক’/‘গর্জিয়াস’ কার্ডের খরচ দিয়াও গুন কইরেন। খরচের ডিজিট আটাইতে নরমাল ক্যাল্কুলেটারেও কস্ট হইয়া যাইবো।
.
এখনকার বিয়াতে সব কিছুর চেয়ে ইম্পর্টেন্ট পার্ট হচ্ছে ফটোগ্রাফি। নামি দামী ফটোগ্রাফার ডাইক্কা প্রি ওয়েডিং, ওয়েডিং, পোষ্ট ওয়েডিং ফটোগ্রাফি কইরা ঐখানেই প্রায় আধালাখ টাকার ধাক্কা সামলাও।
.
এডিতো সাইডের ব্যাপার স্যাপার, আসল খরচের জায়গাই তো বাদ দিসি।
মিনিমাম ৫-১০ ভরি স্বর্ণ না হইলে মাইয়ারে সাজান যায় না!! (দুইন্নাইতে কি স্বর্ণ ছাড়া আর কোন কিছু দিয়া অলঙ্কার বানায় না নাকি!!  )
শাড়ীও দেখি নাম্বার আছে। বিয়ার প্রথম শাড়ী, দ্বিতীয় শাড়ী তৃতীয় শাড়ী!! কোনডার দাম ২৫-৫০ হাজারের কম না। সাথে আবার সেই ফুল গ্যাং সহ পার্লার খরচ তো আছেই।
.
পোলাডিও কম যায় না। এখন পোলাগোরেও পার্লারে যাওন লাগে। ১৫-২০ দিন আগের থেকে ফেইসিয়াল ফুইসিয়াল স্পা মারন লাগে। যেই পোলা ইহো জনমে কোনদিন ২০০ টাকার উপ্রে ঘড়ি পিন্দে নাই তারে বিয়ার দিন রাডো/রোলেক্স পিন্দন লাগবো। এক্সপেন্সিভ শেরয়ানী/ সুট কোট এইসব তো আছেই। আজীবন খুর দিয়া শেভ করা পোলার বিয়াতে ফিউশন রেজার লাগে  
.
‘গেট ধরা’ আগে ছিলো বিয়াতে মজার পার্ট এখন আতঙ্কের পার্ট। ২০-৫০ হাজার বা এক লাখ এখন কমন ব্যাপার গেটে!!
কাবিনের সময় চলে আরেক কামড়াকামড়ি। কাবিনের টাকা দেয়ার ক্ষমতা পোলার আসলেই আছে কি নাই তাঁর দিকে কারো খবর নাই, ১৫-২০ লাখ প্লাস কাবিন না হইলে সমাজে ইজ্জত থাকে না!
.
.
এরপরো দেখবেন কাউরে খুশি করন যায় না। মাইনষে বিয়াতে আইবো, গলা হমান খাইবো এরপর টুথপিক দিয়া দাঁত খোঁচাইতে খোঁচাইতে ‘মাংসো মঞ্জে নাই’/ ‘পোলা মোডা’/ ‘মাইয়া কালা’/ ‘মেয়ের শাশুড়ির ননদের ভাসুরের তালতো ভাইয়ের খালতো ভইনের চোখ ট্যারা’ এইসব কইতে কইতে আপনার খাইয়া আপনারেই খোঁচায় যাইবো..
.
এখনো কিচ্ছা শেষ হয় নাই। হানিমুন বাকি আছে।
বাপের জনমে এসি ট্যাক্সিক্যাবে চড়ার এক্সপেরিয়ান্স না থাকলেও বিমানে কইরা কক্সবাজার যাইতে হবে এন্ড বিমানে উডার মূহুর্তে একটা আর নাইম্মা আরেকটা চেকিন দিতে হবে।
আপনি যেই লেভেলেরই পাব্লিক হন না ক্যান হানিমুনে অবশ্যই ফাইভস্টার হোটেলে থাকতে হবে। বাত্তি নিভানির মোমেন্ট ছাড়া বাকি সব মোমেন্টের ছবি ফেবুকে দিতে হবে।
আর ইনফিনিটি পুলে বউ জামাই গলা হমান পানিতে নাইম্মা একটা সেলফি ফেবুকে না দিলে এযুগে হানিমুন সম্পন্ন হয় না।  
.
.
এতো কিছু করার পরে যদি সুখি হয় তাইলে তো আলহামদুলিল্লা, মগর স্যাড নিউজ ইজ ‘ডিভোর্স’ ব্যাপারটা এখন ক্যান্সারের মতই এভেলেভেল হইয়া গেছে। আর সাংসারিক কাইজ্জা কইরা শুধু সামাজিক সম্মান রক্ষার্থে ফেইক হাসি দিয়া নিয়ম রক্ষার সংসার করে যাচ্ছে এমন কাপলের সংখ্যা কোন অংশে কম না।
.
হইবোও না বা ক্যান? এতোক্ষন যেই আয়োজনের কিচ্ছা কইলাম এটা কিন্তু কোন কুটিপুতির ঘরের বিয়ে না। আমার আপনের মত মিডেল্কক্লাস ফ্যামেলির।
.
একটা মিডেলক্লাস ফ্যামেলির ছেলে পড়াশুনা শেষে কয় টাকাইবা কামাইতে পারে বা ছেলে মেয়ের বাবা-মার কয় টাকাইবা সেইভিংস থাকে যে একটা পোলামাইয়া বিয়া দিতে এমন হাতি ঘোড়ার আয়োজন করার ক্যাপাসিটি থাকবে?
.
‘লোকে কি বলবে’ বা মাইনষেরে একটু দেখানির জন্য বিবাহিত জীবনের শুরুটাই করা লাগে লোনের বোঝা নিয়া। কেউ তা উত্রায় যাইতে পারে আর বেশিরভাগই টানাটানির মধ্যে পড়ে। আর এই টানা টানির মাঝে একজনে ধর্য্যহারা হইলেই সংসারে টানপড়োন শুরু হয়, ক্ষেত্রবিশেষে সংসারো শেষ হইয়া যায়।
.
শুধু “লোকে কি বলবে” ব্যাপারটাই শেষ হয় না। সংসারের আগে, সংসারের সময় বা সংসার ভাঙ্গার পরেও ‘লোকের বলা’ চলতেই থাকে।

মঙ্গলবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

ছেলেরাও কাঁদে........

মেয়েদের 'মন' সাধারনত কোমল হয়। কোমল মনে একটু আঘাত পেলে মেয়েরা কাঁদে। কখনো সবার সামনেই কাঁদে, কখনো নিজ রুমে অন্যের চোখের আড়ালে বালিস ভিজিয়ে কাঁদে। কাঁদলে মন হালকা হয়। মেয়েরা অল্প আঘাতেই কেদে ফেলে। তাই হয়তো তাদের মন সবসময় হালকা/কোমল থাকে।
.
ছেলেদের মনো শুরুতে কোমল থাকে। কিন্তু কেন যেন ছেলেদের মাথায় ঢুকিয়ে দেয়া হয় ছেলেদের কাদতে নেই। যে কোন কঠিন আঘত বয়ে গেলেও ছেলেদের কাঁদতে হয় না। এতে মনের উপর চাপ বাড়ে। বাড়তে বাড়তে মন কঠিন হয়ে যায়। ছেলেরা কাঁদতে ভূলে যায়।
.
.
এরপরো কিছু ছেলেকে কাঁদতে হয়। পরিস্তিতি তাদের কাঁদতে বাধ্য করে। সে সময় তারা না কেঁদে থাকতে পারে না। এ সময় তাদের কাঁদতে দেখলে 'লোকে কি বলবে' সে ভয় কাজ করে না।
.
তারা পেয়াজ কাটতে গেলে কাঁদে। তাদের চোখে ধুলাবালি পড়লে কাঁদে।
অথবা চোখের সমস্যার কারনে আমার মত সকাল রাত দু বেলা চোখে দু ফোটা আইড্রপ দিতে গিয়েও ছেলেরা কাঁদে........

ফিউচারে অর্থমন্ত্রী হবার লক্ষন

দিনকাল খুব একটা সুবিধার ঠেকতাছে না। অনেকটা আবুল মালের মত দিন যাইতাছে। চাচায় মুখ খুল্লেই যেমন কেউ না কেউ গোসসা করে, এরপরে রাস্তা ব্লক করে। হোক সে শেয়ার ব্যাবসায়ী বা শিক্ষক বা ছাত্র।
.
আমারো একি হাল। ইদানিং যার লগেই কথা কই হেইডাই দেখি কথাবার্তা শুইন্না গোসসা করে!! এর পরে ব্লক দেয়!!
.
বুঝতাছিনা এইডা কি কপালে শনির লক্ষন না ফিউচারে অর্থমন্ত্রী হবার লক্ষন 

শুক্রবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

পাব্লিক ভার্সিটি প্রাইভেট ভার্সিটি

পাব্লিক ভার্সিটির স্টুডেন্ট কয়, “ফার্মের মুরগীগুলার গার্লফ্রেন্ডের পিছে বাপের হাজার টাকা খরছ করতে সমস্যা নাই, ভ্যাট দিতে সমস্যা”
.
প্রাইভেট ভার্সিটির স্টুডেন্ট কয় “ ফ্রি পড়াশুনা করার পরো পান থেকে চুন খশলে যেই ফকিন্নিরা অন্যের গাড়ী ভাংতে পারে তারা কি বুঝবে এক্সট্রা ভ্যাটের চাপ কি জিনিস”
.
আম্লিগের সাপোর্টার কয় “যেই ‘জয় বাংলা’ দিয়ে স্বাধীনতা এনেছি সেই জয় বাংলাকে ব্যাঙ্গো করে আন্দোলন!! ছিঃ... শেইম...” 
.
এন্টি আম্লিগের সাপোর্টার কয়, “ যখন ‘জয় বাংলা’ বলে ভার্সিটির টিচারদের উপর হামলা চালান তখন জয় বাংলার ইজ্জত যায় না?”
.
.
.
অশ্লীল হলেও সত্য, আমাদের শরীরের পাশাপাশি মনের মাঝেও ‘পাছা’ শব্দটা অতপ্রত ভাবে জড়িত।
আমরা যেমন একটু চান্স পাইলেই একে অন্যের পাছায় আঙ্গুল দিতে ভালোবাসি তেমনি আমরা যে কোন ইস্যুতেই পাছার মত দুই ভাগ হতেও ভালোবাসি।
.
যত যাই করি দিন শেষে আসলে আমরা ‘পাছা’ থেকে কখনোই দূরে থাকতে পারি না 

বৃহস্পতিবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

আমার বাপে রাষ্টবিজ্ঞানে মাস্টার্স পেশা

আমার বাপে রাষ্টবিজ্ঞানে মাস্টার্স। পেশা ব্যাংকার!! তাও আবার আইটির দায়িত্বে!!
.
আমার এক মামা ইসলামিক স্টাডিজে মাস্টার্স। তার পেশাও ব্যাংকার!!
.
আমার এক ফ্রেন্ডেরে দেখলাম কমার্স থেকে মেট্টিক ইন্টার এর পরে ডিগ্রী পাস কোর্স করতে এখন সে নেটোয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার!!
.
আরেক ফ্রেন্ড শুরু থেকেই সাইন্স ব্যাকগ্রাউন্ডে পড়ে ইঞ্জিনিয়ার (EEE) এখন সে MBA করতেছে ব্যাংকার হবে!!
.
আমার এক ক্লাসমেট ফিন্যান্সে মাস্টার্স সে ঔষূধ কোম্পানির মার্কেটিং অফিসার!!
.
আরেক ফ্রেন্ড মার্কেটিং এ মাস্টার্স সে এখন একটা গ্রুপ অফ কোম্পানীতে এডমিন (মানে ম্যানেজমেন্টের কাম যদিও হারাদিন ইউটিউবে মুভি দেইখা সময় কাটায়  !! )
.
আরেক ফ্রেন্ড ম্যানেজমেন্টে এ মাস্টার্স সে এখন একাউন্টেন্ট!!
.
ক্লাসের আরেক ফ্রেন্ড আমার সাথেই ফিন্যান্সে অনার্স মাস্টার্স শেষ করে এখন চায়ের দোকানদার!!
.
আমি ফিন্যান্স ব্যাংকিং এ মাস্টার্স, একবার আমার আইটি অফিসারের জব অফার আইছিলো আরেকবার ইন্টারভিউ কল আসছিলো “Programming Engineer” হিসাবে!!! কমার্সে পইড়া ইঞ্জিনিয়ার!! আর এখন করি একাউন্টেন্ট কাম সাপ্লাই চেইন এর কাম।
.
.
“ও আমার দেশের মাটি তোমার পরে ঠেকাই মাথা” আই মিন ইংলিশে যারে কয় দেশের মাটিরে হেটস অফ।
দুনিয়াতে এমন এভেলেভেল মাল্টিটেলেন্ট সিটিজেন মনেহয় শুধু এই দেশেই পাওন যায়। পড়ালেখা করে এক সাবজেক্টে কাম পায় আরেক সাবজেক্টে!!
.
এছাড়া অনার্স, মাস্টার্স, সাথে আবার এম্বিয়ে, হ্যান কোর্স, ত্যান কোর্স কইরাও বেকার যেডি বইসা আছে তাগো হিসাব নাহয় বাদই দিলাম।
.
সোনার বাংলার সোনার শিক্ষা ব্যাবস্থা, যেই শিক্ষা শেষে শিক্ষা মত কাম পাওন যায় না হেইডার লাইজ্ঞা আবার ভ্যাটো দেওন লাগবো!!
.
শুধু একটা সার্টিফিকেট নামক কাগজের জন্য বেহুদা কামে যে বেহুদা পড়াশুনা কইরা সময়ডি নষ্ট করাইছে, ঐ সময় নষ্টের জন্য জরিমানা চাইয়া যে পোলাপাইনে এখনো রাস্তায় নামে নাই এইডাই বহুত 

সোমবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

ন্যাচারেলি আ’ম কিউট

১. একবার বানিজ্য মেলায় “ফ্রেস” এর প্যাভিলিওনে ঢুকসিলাম। সেলস গার্ল কয়, স্যার এই প্রডাক্ট টা কিনলে ফ্রেসের কিউউউট একটা মিনারেল ওয়াটার বটল ফ্রি।
মিনারেল ওয়াটার আবার কিউট হয় ক্যামনে, দেখান দেখি 
১০০ না ১৫০ মিলির একটা বাইট্টা বা ছোট খাটো মিনারেল ওয়াটার বোতল দেখাইলো। এই দেখেন, কিউট না!!! 
.
২. আঙ্গুলের তিন ভাগের এক ভাগ সাইজের বই আকৃতির কয়টা রাবার কিনছিলাম পিচ্চির জন্য। এক জনে দেইখা কয় ওয়াও, কি কিউট বুক!! 
.
৩. এক রমনী আঙ্গুলের সাইজের একখান জুতা দেখাইলো যার ভিত্রে নবজাত বাচ্চারো ঠেং ঢুকবে কিনা সন্দেহ। ‘দেখতো জুতাটা কিউট না!!’
.
.
আমি ইংলিশে বকলম পাব্লিক। মাইনষের মুখে দুই চার ওয়ার্ড ইংলিশ শুইন্না শুইন্না শিখার চেস্টা করি। যাই হোক, উচ্চ শিক্ষিত মাইনষের কথা বার্তা থেকে যা বুঝলাম ‘বাইট্টা/ছোট খাটো’ বস্তু এর ইংরেজী হচ্ছে ‘কিউট’।
.
.
ও, আমি আবার প্রকৃতিগত ভাবে ছোট খাটো মানুষ বা বাইট্টা মানুষ।
সো ইংলিশে হবে, ‘ন্যাচারেলি আ’ম কিউট'