রবিবার, ২৭ জুলাই, ২০১৪

চাঁন রাতের ফ্ল্যাশ মব সং

(চাঁন রাতের ফ্ল্যাশ মব সং  )
………..................................

ওয়েলকাম টু দ্যা বিগেস্ট ব্লকবাস্টার ইভেন্ট অফ মুসলিম, রমজানের ঈদ টু থাউজেন্ট ফরটিন। আর ইউ রেডি টু গোওওওওওও........
.
রমজান মাসের একশন, ডিস্টিং ডিস্টিং
উৎসব ক্রেজি নেইশন, হাউ এক্সাইটিং
আমরা সবাই ওয়েটিং, টেনশন টেনশন
ধিং ধিতাং ধিং ধিং, ধিং ধিং ধিং ধিং
.
মেঘ বৃষ্টি হই হই, ঈদের চাঁদ গেলো কই
ঈদ আইলো হই হই, পাখি ড্রেস কিন্না লই।
মেঘ বৃষ্টি হই হই, ঈদের চাঁদ গেলো কই
ঈদ আইলো হই হই, পাখি ড্রেস কিন্না লই।
.
হোওওওল ওয়ার্ল্ড, উইশ মেসেজিং উইশ মেসেজিং
ব্লওওওকবাস্টার, ঈদ ওয়েটিং ঈদ ওয়েটিং
পোলাপাইন শাউটিং, বোম বাস্টিং রকিং
নো মোর টিয়ারিং, ইভরি বডি হিয়ারিং
.
সেমাই পায়েসে, জম্বে লড়াই; খুশির সীমা নাইই
দেখছে দুনিয়া, খুঁজছে চাঁদ; একি সাথে সবাইইই
নাই নাই বাধা যে নাই, যাই যাই এগিয়া যাই
চলো সবাই একি সাথে উৎসবে গা ভাসাইইই
.
ধিং ধিতাং ধিং ধিং, ধিং ধিং ধিং ধিং
.
মেঘ বৃষ্টি হই হই, ঈদের চাঁদ গেলো কই
ঈদ আইলো হই হই, পাখি ড্রেস কিন্না লই।।
.
পাখি নিয়ে হাসাহাসি, সবই হচ্ছে বেশি বেশি
পাখির জন্য রাগারাগী, সব ফুর্তি ভাগাভাগি
এতো বেশি পাখি রোগী, কেউ দেখেনি আগে
ফেবুকের চোখে দেখছে পৃথিবী, বাংলাদেশেই এরা আছে
.
মেঘ বৃষ্টি হই হই, ঈদের চাঁদ গেলো কই
ঈদ আইলো হই হই, পাখি ড্রেস কিন্না লই।।

সাকসেসফুল নারী পুরুষ

শুনতে খারাপ লাগলেও সত্য

একটা ছেলের জীবনের সেরা এচিভমেন্ট এতো পরিমান টাকা পয়সা কামানো যাতে বউ/গার্ল ফ্রেন্ডে ইচ্ছা মত খরছ কইরাও শেষ করতে না পারে।

আর একটা মেয়ের জীবনের সেরা এচিভমেন্ট এরুম একখান জামাই/বিএফ টোগায়া বাহির করা।
.
.
.
ঈদের আগ মূহুর্তে জারা, ভাসাবি, নাবিলা বা শপার্স ওয়ার্ল্ড মলে গিয়া ক্যাশ কাউন্টারে লাইন দেখলে বুঝা যায় দেশে সাকসেসফুল নারী পুরুষের সংখ্যা কম না।

শনিবার, ২৬ জুলাই, ২০১৪

নাম করন

১. “ভাই লন আইজগা সেহেরী চিটাগাং এক্সপ্রেসে যাইয়া কইরা আসি। ওরা ভালো মেজবানী মাংস রান্ধে”

< “মেজবানী খাবি ভালো কথা তাই বইলা সেহেরী করতে এখন চিটাগাং এর ট্রেনে উঠতে হইবো!!!  ”

“আরে চিটাগাং এর ট্রেন কই পাইলেন!!??  ”

< “এইযে কইলি চিটাগাং এক্সপ্রেসে সেহেরী করতে”

“চিটাগাং এক্সপ্রেস কোন ট্রেন না, এইটা একটা রেস্ট্রুরেন্ট এর নাম  ”
.
.
.
২. “দোস্ত তুই তো ফ্রি আসছ, আমার লগে একটু বসুন্ধরায় ল, কিছু শপিং করুম”

< “মাফো চাই দোয়াও চাই। তোগো ছেরী গো লগে শপিং এ গেলে ১ জিনিস কিনতে যেমনে হুদ্দাও ১০০ দোকানে হাটার লাগে হেই হাটা দিয়া ঢাকা টু চিটাগাং দুইবার আওয়া যাওয়া করতে পারুম”

“আরে বাপ চয়েজ করাই আছে, খালি যামু আর কিন্না নিয়া আসমু”

< “কি কিনবি?”

“পাখি”

< “বসুন্ধরায় পাখি বেচা শুরু করলো কবের থে!!  পাখি তো কাঁটাবনে বেচে”

“খাঁচার পাখি না। পাখি ড্রেস  ”
 
.
.
হালার নামকরনের টু টু টু 

বুধবার, ২৩ জুলাই, ২০১৪

লাইটয়ালা জুতা

এইবারের পাখি ড্রেসের আধিক্য দেখে ল্যাদা কালের কথা মনে পড়লো। প্রাইমারী স্কুলে পড়ার সময় একবার ঈদে বের হইছিলো লাইটয়ালা জুতা!! জুতার তলে বাত্তি জ্বলে। প্রথম বছর কিনতে পারি নাই, দাম অনেক বেশি। তাই ঐবার বেশি একটা জোরা জুরি করি নাই আর ঈদের দিন শরমে সবার সাথে খুব একটা ঘুরাঘুরিও করি নাই। 

সম্ভবত ঐ ঈদের দিন সন্ধ্যা আম্মা আর আমি বারান্দায় দাঁড়াইয়া কলোনীর রাস্তায় পোলাপাইনের জুতার তলের লাল বাত্তি জ্বলা নিভা দেখছিলাম। পুরা কলোনীর মাঠ জুতার আলোয় আলোকিত। দেখার মত একটা দৃশ্য। 
পোলাপাইনের জুতার দিকে তাকাইতে তাকাইতে হয়তো আনমনে সপ্নও দেখছি পরের বছর এমন আমিও ঘুরমু বাত্তিয়ালা জুতা পইরা। সবচেয়ে বেশি আলো থাকবে আমার জুতায়। অন্যের জুতা বাদ দিয়া সবাই আমার জুতার বাত্তির দিকেই তাকায়া থাকবে। হয়তো একি সপ্ন আম্মাও দেখতেছিলো।
.
.
আবার ১বছর অপেক্ষার পরে আসলো রোজা। এই বার সবার আগেই আমার জুতার বাজেট ফিক্সড। জাসুসি কইরা যতুটুকু জানলাম জাতি এইবার জাম্প কেডস আর পেগাসাস কেডস বেশি কিনছে (তখন ঈদের ড্রেস জুতা দেখানো মানেই ঈদ শেষ)। বেলী কেডস কেউ কিনে নাই। সো আনকমন থাকার জন্য আমি কিনলাম বেলী কেডস।

সবারই বাত্তিয়ালা জুতা, সবাই সমান সমান কিন্তু গত বছরের জ্বালা তো এখনো কমে নাই।তার উপরে পোলাপাইনের খোটা “তুই এই বার কিনলে কি হইবো আমি তো এই নিয়া কিনছি দুইবার!!আমার দুইটা লাইটয়ালা জুতা, তর থে আগানো  ” 
সুতারাং এনি হাও এইবার হিট তো যাইতেই হবে।

অতপর ঈদ আসলো। আগেই সবার জানা হয়ে গেছে এইবার সবাই লাইট্যালা জুতা কিনছে তাই সন্ধ্যা ৭টায় বিল্ডিং এর ৪ তলায় গুড়াগারা পোলাপাইনের জুতার ফ্যাশন শো হবে। সেখানে বিল্ডিং এর সকল বাসার ভাইয়াকুল, আপুকুল, আন্টি-আংকেলকুল হাজির হবেন। চিন্তা করলাম হিটলারি বুদ্ধি খাটানির এই একখান চান্স। দুই বছরের ক্রেডিট এক লগে লমু 
 
ঈদের দিন পোলাপাইনে সবডিরে কইলাম সবাই লাইট্যালা জুতা কিনছি আইজগা সারাদিন মাইনষেরে বাত্তির জ্বলা নিভা দেখামু। লও কলোনী ঘুরি। পুরা গ্যাং নিয়া ৩ কলনী কয়েকবার চক্কর দিলাম, আশে পাশের এলাকাতেও হাটলাম। দুপুরে বিকালে সবাইরে নিয়া ক্রিকেট-ফুটবল-সাতচারা-ছোয়াছুয়ি মানে দৌড়াদৌড়ি টাইপ খেলা খেল্লাম। সব ঐ জুতা পইরা। যদ্দুর মনেপড়ে বাসায় যাইয়া জুতা খুইল্লা কাউরে রেস্ট নেয়ার চান্সই দেইনাই। সবাই দেখি সামনের দিকে না চাইয়া ঘেডি ঘুরায়া নিজের জুতার বাত্তির দিকে চাইয়া হাটে!! 

বাত্তি তো ঠিকি জলে নিভে কিন্তু সূর্য্যের আলোর জন্য তা দেখা যায় না তাই কেউ টের করতে পারতাছে না কার জুতায় বাত্তি জলে আর কারটা জলে না। আর আমার জুতার বাত্তি যে বহুত আগেই আমি খুইল্লা পকেটে রাইক্ষা দিছি তাও কারো বুঝার উপায় আছিলো না সুর্য্যের কল্যানে। 

রাতের বেলা ৪তলায় লাকি আপুদের বাসার সিড়িতে শুরু হইলো শো অফ। র্যাখম্প মডেলদের মত একজন কইরা আসে, ঘুরায়া প্যাচায়া লাফায়া তার জুতার বাত্তির কারিশ্মা দেখায়। সারাদিন জুতা পড়ে থাকার কারনে ব্যাটারী অনেক কমে গেছে ঠিকি কিন্তু সবার জুতায় একি আলো হওয়ায় তা আর আলাদা ভাবে চোখে পড়তেছে না কারো। একজন একজন করে আসে আর সবাই হাততালি দিয়ে তাকে উৎসাহিত করে।

ইচ্ছা কইরাই সবার শেষে আসলাম আন-ইউসড ব্যাটারির বাত্তি জুতায় লাগায়া। দুইখান ঘুরান দেয়ার পরেই আন্দাজ করতে পারলাম এইবারের হাততালির আওয়াজটা অন্যদের তুলনায় অনেক জোরেই পড়তাছে মনেহয়। একবার হাটায় সবার মন ভরে নাই, সিড়ির লাইট নিভায়া আবার এক রাউন্ড দিতে বলল সবাই। 

অন্ধকার সিড়িতে এইবারের হাততালি আর শীশ এর আওয়াজ আগের চেয়ে বেশিই লাগতেছিলো সাথে কিছু কমেন্ট এমন, 
“সুসানের জুতার লাইটের আলো দেখছোস, অনেক বেশি উজ্জজল”/ 
“ভালো জুতা কিনছে তো.. অনেক আলো”/
“চয়েজ আছে, আমগো ধামড়াডি কি কিনছে এডি” 
.
.
আন্ধকারে জুতার আবছা মিট মিট আলোয় সিড়ির এক কোনায় দাঁড়ানো আম্মার ওড়নায় মুখ ঢাকা হাসিতেই বুঝা হইয়া গেছে ১বছর আগে বারান্দায় দাঁড়ানো মা-ছেলের সপ্ন সাকসেসফুলি হিট... 

(১৫-২০ বছর আগের কিচ্ছা, আবছা আবছা মনে আছে তাই আবছা আবছা লিখছি  
২-১ লাইন হুবহু নাও হইতে পারে )

মঙ্গলবার, ২২ জুলাই, ২০১৪

আউলা ঝাউলা 'জাতীয়' ব্যাপার

আমগো দ্যাশের জাতীয় গাছ হইলো আম। কিন্তু মাইনষে পছন্দ করে বট গাছের ছায়া! আবার জাতীয় ফল হইলো কাঠাল তয় সবচেয়ে প্রচলিত ফল হইলো কলা। ১২ মাস মাইনষের ঘরে ঘরে পাওন যায়, ঠিক গৃহপালিত পশুর লাহান!
.
জাতীয় পশু বানানো হইসে বাঘ, আর মাইনষে পালে গরু। ঠিক যেমন, আমগো কৃষি নির্ভর দ্যাশে ঘুষ নির্ভর অর্থনীতি!

জাতীয় কবি নজরুল, তয় জাতীয় সঙ্গীতের রচয়িতা রবিন্দ্রনাথ! জাতীয় ফুল শাপলা, তয় মাইনষে টেকা দিয়া কিনে গুলাপ ! জাতীয় খেলা কাবাডী, আর আমরা সবচেয়ে ভালা খেলি কিরিকেট! জাতীয় পাখি দোয়েল, তয় তা দেখা যায় না!
.
সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী রাষ্ট্রপতি, তয় দেশ চালায় প্রাধানমন্ত্রী!
পাট মোদের সোনালী আঁশ, তার চেয়েও আমগো সমাজে বহুল প্রচলিত হইলো 'বাঁশ'..!!
.
(কে লিখছে জানি না)

সোমবার, ১৪ জুলাই, ২০১৪

ওয়ার্ল্ড কাপ ২০১৪

গত ১মাসে আমি জীবনে প্রথম অনেক কিছু দেখলাম।
.
১. জীবনে প্রথম ব্রাজিলেরে আত্মঘাতী দিতে দেখলাম
২. জীবনে প্রথম তরকারীর খেলা দেখলাম (মুলার হেট্টিক, পেপের লাল কার্ড)
৩. জীবনে প্রথম সাম্বা ছাড়া ব্রাজিলের কোন অনুষ্ঠান দেখলাম
৪. জীবনে প্রথম আর্জেন্টিনারে কোয়াটার ফাইনালের উপরে উঠতে দেখলাম
৫. জীবনে প্রথম ওয়ার্ল্ড কাপে কোন দলেরে ৭ গোল খাইতে দেখলাম।
.
৬. জীবনে প্রথম মেসিরে ওয়ার্ল্ড কাপে একের অধিক গোল করতে দেখলাম
৭. জীবনে প্রথম বিশ্বাস হইলো “ঘুমিয়ে আছে হিটলার ছাও সকল জার্মানীর অন্তরে” নাইলে এতোটা অমানুষের মত কেউ গোল দেয়??
৮. জীবনে প্রথম রিপ্লে আর লাইভ গোলের মধ্যে পার্থক্য খুইজ্জা পাইলাম না। একটা গোলের পরে যেইটারে রিপ্লে মনে করছি পরে দেখি হেইটা নাকি আরেক গোল!!
৯. জীবনে প্রথম এত কম সময়ের ব্যাবধানে ৪টা গোল খাইতে দেখলাম
১০. জীবনে প্রথম ওয়ার্ল্ডকাপে আর্জেন্টিনারে ব্রাজিলের আগে যাইতে দেখলাম
.
১১. ব্রাজিলের হার আগেও দেখছি কিন্তু জীবনে প্রথম ব্রাজিলের সবচেয়ে অসহায় অবস্থা দেখলাম
১২. জীবনে প্রথম খেলা দেইক্ষা ভাষা আর আনুভূতি দুইটাই একলগে হারাইয়া ফালাইলাম(ব্রাজিলের সেমি ফাইনাল)
১৩. জীবনে প্রথম এক লগে অনেক মাইনষেরে হার্ট এটাক হইতে হইতেও হয় নাই সিচুয়েশন দেখলাম। (ব্রাজিল-চিলিতে ব্রাজিল সাপর্টার আর সেমিতে আর্জেন্টাইন দুইটাই ট্রাই ব্রেকার)
১৪. জীবনে প্রথম আর্জেন্টাইনদের খুশির কান্না দেখলাম (সেমি ফাইনাল জয়ের পর। হারার কান্না তো প্রতিবারই দেখি এইডা আর নতুন কি)
১৫. আগে জানতাম ব্রাজিলে সব কালাআআআআআআআআ। এইবারে জীবনে প্রথম জানলাম দুনিয়ার সব সেরা সুন্দরীই ব্রাজিলে পয়দা হয় (স্টেডিয়ামে যেইটারেই দেখি হেইটাই তো উড়াধুরা সুন্দরী আর কি কমু)
১৬. জীবনে প্রথম............
.
.
থাক জীবনে আর কি কি প্রথম দেখলাম তা আর নাই বা কই। পরে মাইনষে আমারে সদ্য ভূমিষ্ঠ বাইচ্চা মনে করবে। তখন হয়তো অন্য কেউ আমারে দেইক্ষা স্টাটাসো দিতে পারে
.
“জীবনে প্রথম সাড়ে পাঁচ ফিট লম্বা দেড় মণের চেয়ে বেশী ওজনের বাইচ্চা দেখলাম!!!!!!!!”

বুধবার, ২ জুলাই, ২০১৪

ঝগড়ার রিসিপি

“ হেল্ল, চলো আজকে চাঙ্খার পুলে যাই”
.
< “মেঘনা পুল, যমুনা পুল হুনছি চাঙ্খার পুল আবার কোন পুল?”
.
“ঐ মেঘনা যমুনা পুল হইলো কবে, মেঘনা যমুনা ব্রিজ  ”
.
< “ঐ হইলো ভদ্র ভাষায় ব্রিজ আমগো ভাষায় পুল। তো ঐ চাঙ্খার ব্রিজে যাইয়া কাম কি?”
.
“আফতাবের খিচুড়ি খাবো। খাইছো কখনো?? হেব্বি মজার  ”
.
< “খিচুড়ী তো খাইছি মগর এই আফতাব ব্যাডা ডা কেডা??”
.
“খালি সন্দেহ!! আচ্ছা আফতাব বাদ, শওকতে না নিরবে কোনোটায় যাবা???”
.
< “আরি এতক্ষন আফতাব আছিলো এখন আবার শওকত-নিরব এরা আইলো কইথে!!!”
.
“ওক্কে তোমার যখন এদের নিয়া এতো চুলকানি তাইলে বাদ। হেরিতে চলো। হেরির পিজা খাইলে আর জীবনেও ভূলবানা টেস্ট”
.
< “দেশি দিয়া পোষায় না এখন বিদশীও ধরছো। হেরিইইইইইইইই!! এর লাইগাই তো কই তোমারে কল করলে সব সময় ওয়েটিং এ পাই ক্যা!! এতডি পোলার লগে খাতির থাকলে আমারেতো ওয়েটিং এই পইড়া থাকতে হইবো!! ”
.
“হেরি তেও সমস্যা!! আচ্ছা তাইলে নান্নায় চলো। নান্নার বিরানী বেস্ট বিরানী ইন দ্যা সিটি ”
.
< “ইয়াং পোলাপাইন না হয় ৪-৫টার লগে চলো ঠিক আছে, তাই বইলা নানারেও ছাড়বা না!!!”
.
< “অক্কে যাও, বুজছি তোমার মাথা গরম হইয়া গেছে তাই আবল তাবল বকতেছো। বিউটিতে চলো। বিউটির ঠান্ডা লাচ্ছি খাইলে মাথা ঠিক হবে”
.
“হুম চলো, বিউটিতেই যাই।”
.
< “বিউটি বললতেই রাজি হইয়া গেলা ক্যা??? বিউটির সাথে তোমার কি রিলেশন??? কালকে রাতে যে তোমার ফোন ওয়েটিং পাইছি তাইলে এই সেই কারন??? এখন বিউটির সাথে লাইন মারা শুরু করছো?? একদম কথা বলবানা আমার সাথে grrrrrrrr” 
.

.
সুধী দর্শকবৃন্দ এতক্ষন দেখলেন "নাই কাজ তো খই ভাজ" ওরফে নিজেরা নিজেরা ঝগড়া বানায়া ঝগড়া করার রিসিপি...

মঙ্গলবার, ১ জুলাই, ২০১৪

সমস্যা মাথায় না কানে!!!

এক ফ্রেন্ডের বার্থডে। তারে আনকমন কোন “পদার্থ” টাইপ কিছু গিফট দেয়ার মত কোন আইডিয়া মাথায় আসে নাই, তাই “অপদার্থ” টাইপ জিনিস গিফট দেওনের প্ল্যান করছি। ওয় আজ পর্যন্ত ৮তলার বেশি উপরের কোন ছাদে উঠে নাই। হের বহুত দিনের একটা খায়েশ, ২০ তলার ছাদ থেকে ঢাকা শহর দেখবে!!! (গত বছর UTC এর ছাদে আমার ফুডু দেইক্ষা এই খায়েস এর আবির্ভাব) 
.
অনেক দিন পর UTC Tower এ গেলাম। প্রায় ১-১.৫ বছর এখানে আসা যাওয়া ছিলো। অনেক মুখই চেনা। এক হটি আপুর সাথে দেখা হতেই, “আরি সুসাআআআন কত্ত দিন পর..!! কেমন আছো !! এতোদিন খুউউউউউউউউউউউব মিস করছি তোমাকে!!! জানো না তোমাকে আমি কত্ত লাভ করি!!!   ”
.
< “জি আপু, আই লাভ ইউ টু   ”
.
“ ঐ আমি কি বলতেছি আর তুমি কি বলতেছো!!??”
.
< “আপনি না বললেন তোমাকে খুব মিস করছি, কত্ত লাভ করি!!??”
.
“সুসাআআন!!!!  বিহ্যাব ইউর সেলফ!! আমি তোমাকে সালাম দিছি আর বলছি, কেমন আছো, খুব ভালো লাগছে অনেক দিন পর দেখে!! দেটস ইট... সালামের উত্তর তো দিলাই না উল্টা কি সব উল্টা পাল্টা বকতেছো!! রিডুকুলাস!!’”
.
মাইরালচে!! থাক আর গ্যাজায়া কাম নাই, পরে আরো কি না কি ঘটনা ঘইট্টা যায়। যেই কামে আইছি ঐ কামে যাই। ফ্রেন্ডটারে লইয়া উঠলাম ২০তলায়। ও জানতো না যে ওরে আজকে ২০ তলার ছাদে নিয়া ঢাকা সিটি দেখামু তাই ঐডার চোখ বাইন্ধা ছাদের রেলিং এর কাছে নিয়া চোখ ছাড়ছি। মাইয়া প্রথম দেইক্ষা চোখে মুখে বিস্ময়।
.
এর পর মুখ ঘুরাইয়া, “সুসাআআআআআআআআন ইউ আর টু গুড টু গুড... আ’ম সো এক্সাইটেড এন্ড ইম্প্রেসড..!! আই লাভ ইউ!!!!! উইল ইউ মেরি মি!!?? প্লিজ প্লিজ প্লিজ!!!”
.
নিচে একটা অঘটন ঘটায়া আইছি, তখন কপাল জোরে ঠাডায় বন খাইতে খাইতেও খাই নাই। এই উল্টা পাল্টা কথা শুনার রিক্স নেয়াটা ঠিক হইবো না coz ২০ তলার উপরে আছি। কখন ধাক্কা মাইরা ফালায় দেয় কে জানে। So আবার জিগায়া শিউর হই কি কইছে। “সরি দোস্ত কি কইছোস শুনি নাই, আবার কও”
.
< “আরে বয়রা এত্তোগুলাআআ আই লাভ ইউউউউউউউউউউউউউ... মেরি মি প্লিজ্জজ্জজ্জজ্জজ প্লিজ্জজ্জজ্জজ...!!!”
.
আমার খোমার যেই ডিজাইন তাতে কাকের ঠেং, বকের ঠেং ও তো জুটার কথা না, ঐখানে ধলা সুন্দরীয়ে হাইদ্দা বিয়া করতে কয়!! এই চান্স মিস করন ঠিক হইবো না 
.
“অক্কে ল রেডি    ”
.
মাইয়া খুশিতে ছাদের রেলিং এর এক কোনায় গিয়া টাইটানিকের রোজের লাহান হাত দুইটা মেইল্লা আকাশের দিকে চাইয়া কয় “রেডিইইইইইইই.. এই বার তোল”
.
< “মানলাম আমরা বিয়া করুম, কিন্তু করি নাই তো... প্রথম দিনেই আঞ্জা আঞ্জি করা.. বেশি হইয়া যায় না.. আল্লায় গুনা দিবো.. বিয়া ডা আগে কইরা লই!!! এর পর তোরে বহুত বার কোলে তোলোন যাইবো  ”
.
“ঐ হারাম জাদা!! বিয়া আইলো কইত্তে!! আর কোলে তুলতে কইলো ক্যা!! ”
.
< “তুই না এই মাত্র কইলি এত্তগুলা আই লাবু.. মেরি মি প্লিজ্জ প্লিজ্জ!!! আবার খুশিতে হাত মেইল্লা কস তোল!!”
.
“সুসাইন্নাআ তোরে এমন জোরে কইসসা এক থাবর মারুম UTC এর ছাদের থে বসুন্ধরার ছাদে গিয়া পড়বি... মাথায় কয়েল জালাইস না কইলাম। তোরে কইছি আমার সুন্দর এত্তগুলা ছবি তুইল্লা দে প্লিজ!! আর তুই হেইডারে এত্তগুলা লাবু, মেরি মি প্লিজ হুনো!!! ছবি তোলারে কোলে তোলা শুনো!! হারামী কোনহাঙ্কার!!!”

....

...

বাসায় আইলাম... ভইনের কয়ডা ছবি ফটশপে এডিট করে DSLR এর মত করে দিছিলাম। ঘরে ঢুকতেই ভইনে গালে চুম্মা একটা দিয়া কয়, “আসসালামুয়ালাকুম ভাইয়া, ছবি গুলা আমার ফ্রেন্ডদের সবার ব্যাপক পছন্দ হইছে!!”
.
< “সালাম দিছোস ভালা কথা কিন্তু সালাম দিতে হইলে গালে চুম্মা দেওন লাগে নি!!!?”
.
“আমি তো সালাম দেই নাই, আমি তো আই লাভ ইউ ভাইয়া কইছি!!!!”
.
কি যে হইলো, নিজের ভইনে আই লাভ ইউ কইলে হেইডারে সালাম দেয়া শুনি। আর মাইনষের ভইনে সালাম দিলে হেইডারে আই লাবু শুনি!!! 
.
ডাক্তার যে দেখান লাগবো তা বুঝতাছি মগর মেন্টাল ডাক্তার দেখামু না কানের ডাক্তার দেখামু তা ঠিক বুঝবার পারতাছি না 

আজাইরা ঝগড়া

“ হেল্ল, চলো আজকে চাঙ্খার পুলে যাই”
.
< “মেঘনা পুল, যমুনা পুল হুনছি চাঙ্খার পুল আবার কোন পুল?”
.
“ঐ মেঘনা যমুনা পুল হইলো কবে, মেঘনা যমুনা ব্রিজ  ”
.
< “ঐ হইলো ভদ্র ভাষায় ব্রিজ আমগো ভাষায় পুল। তো ঐ চাঙ্খার ব্রিজে যাইয়া কাম কি?”
.
“আফতাবের খিচুড়ি খাবো। খাইছো কখনো?? হেব্বি মজার  ”
.
< “খিচুড়ী তো খাইছি মগর এই আফতাব ব্যাডা ডা কেডা??”
.
“খালি সন্দেহ!! আচ্ছা আফতাব বাদ, শওকতে না নিরবে কোনোটায় যাবা???”
.
< “আরি এতক্ষন আফতাব আছিলো এখন আবার শওকত-নিরব এরা আইলো কইথে!!!”
.
“ওক্কে তোমার যখন এদের নিয়া এতো চুলকানি তাইলে বাদ। হেরিতে চলো। হেরির পিজা খাইলে আর জীবনেও ভূলবানা টেস্ট”
.
< “দেশি দিয়া পোষায় না এখন বিদশীও ধরছো। হেরিইইইইইইইই!! এর লাইগাই তো কই তোমারে কল করলে সব সময় ওয়েটিং এ পাই ক্যা!! এতডি পোলার লগে খাতির থাকলে আমারেতো ওয়েটিং এই পইড়া থাকতে হইবো!! ”
.
“হেরি তেও সমস্যা!! আচ্ছা তাইলে নান্নায় চলো। নান্নার বিরানী বেস্ট বিরানী ইন দ্যা সিটি ”
.
< “ইয়াং পোলাপাইন না হয় ৪-৫টার লগে চলো ঠিক আছে, তাই বইলা নানারেও ছাড়বা না!!!”
.
< “অক্কে যাও, বুজছি তোমার মাথা গরম হইয়া গেছে তাই আবল তাবল বকতেছো। বিউটিতে চলো। বিউটির ঠান্ডা লাচ্ছি খাইলে মাথা ঠিক হবে”
.
“হুম চলো, বিউটিতেই যাই।”
.
< “বিউটি বললতেই রাজি হইয়া গেলা ক্যা??? বিউটির সাথে তোমার কি রিলেশন??? কালকে রাতে যে তোমার ফোন ওয়েটিং পাইছি তাইলে এই সেই কারন??? এখন বিউটির সাথে লাইন মারা শুরু করছো?? একদম কথা বলবানা আমার সাথে grrrrrrrr”
.
.
.
সুধী দর্শকবৃন্দ এতক্ষন দেখলেন "নাই কাজ তো খই ভাজ" ওরফে নিজেরা নিজেরা ঝগড়া বানায়া ঝগড়া করার রিসিপি...