শনিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০১৪

“DSLR দূরে যাওয়ার গল্প”..

১) বালিকার ছবি তুলিবার গভীর শখ ছিলো। বালক তাহা বুঝিতে পারিয়া লোকাল বাসে না চড়িয়া হাটিয়া গন্তব্যে যাইয়া, বিকালের চা-পুরি না খাইয়া, মেসের মেল বাঁচাইয়া, টিউশনীর টাকা জমাইয়া একটা ফোর্থ হ্যান্ড লক্কড় ঝক্কড় ডিজিটাল ক্যামেরা কিনিলো। 
.
বালিকাকে না বলিয়া বালক তাহার কয়টা ছবি তুলিলো... লম্বাআআআআআআ লেন্স না থাকায় কাছে থেকেই তুলিতে হইলো.... বালিকা তাহা দেখিয়া বালককে তাহার বান্ধবীদের সামনে ইভ টিজার বলিয়া শাশাইয়া গেলো!!!
.
বালক ফুঠপাত থেকে তাহার ঈদের জুতা, পাঞ্জাবী কিনার খরচ বাচাইয়া বালিকার কিছু ছবি এডিটাইয়া প্রিন্ট করিয়া এ্যালবাম সমেত বালিকার বার্থডে তে গিফট পাঠাইলো........ বালিকা প্রথমে চেতিলেও নিজের সুন্দর সুন্দর ছবি সমগ্র দেখিয়া ইম্প্রেসড হইলো....
.
এর পর থেকে বালক বালিকার ছবি তুলিতে থাকিলো.... বালিকায় বালকের তোলা ছবি ফেসবুকের প্রফাইল পিকে দিতে লাগিলো... লাইকের বন্যায় ফটজনিক বালিকা সেলিব্রেটি লেভেলে আগাইতে লাগিলো..... বালক বালিকায় ভাব বাড়িতে থাকিলো........
.
.
২) এক বসন্ত ঝরা রাতে বালিকার ইনবক্সে এক হাত লম্বা ল্যান্স সমেত রকেটলাঞ্চারে থুক্কু DSLR এ দূর হইতে তাহার অগোচরে তোলা কিছু “উছাম” মডেল টাইপ ছবি ইনবক্সিত হইলো, সাথে একটা ফ্রেন্ড রিকু..........
.

.
৩) অতঃপর বালক তার টানাটানির জীবনের টান কমাইতে এই অফিস হইতে সেই অফিসে দৌড়াইয়া জুতার তলা ক্ষয় করিয়া কর্ম খুজিতে লাগিলো আর বালিকা রকেটলাঞ্চায়ালার সাথে সুখে শান্তিতে বসবাস করিতে লাগিলো...........
.
.
(সুধি দর্শকবৃন্দ এতক্ষন দেখলেন আঙ্গুর ফল টক নিবেদিত “DSLR দূরে যাওয়ার গল্প”...)

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন