বুধবার, ৩০ এপ্রিল, ২০১৪

ঠাস!!!!!!!!

“আড়ে তুমিইইইইইইই... এখানে!!!?? চিনছো আমাকে...??? আমিইই... ফেসবুকে তোমাড় সাথে চ্যাট হয়.... ”
.
“আমারে বিয়া করবা??”
.
< “কিইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইই!!!!?????”
.
“ও আইচ্ছা বাংলা বুঝো না? না মানে যা কইতাছিলাম তারে ইংরেজীতে কয়, উইল ইউ মেরি মি???”
.
< “ হোয়াটস ড়ং উইথ ইউ ম্যাআআন?? জাস্ট লাস্ট ফিউ ডেইস চ্যাটিং হলো আড় আজকে ফাড়র্স্ট টাইম সাডেন্টলি শপিং মলে আমাদের দেখা। এতুটুকু পড়িচয়েই আবাড় ফাড়র্স্ট কনভার্সেশনেই মেড়ি মি!!! আজিইইইইইইইইইইব্বব্ব!!!! :O ”
.
“হ একটু আজিব, মাইনষে আগে প্রেমের লাইজ্ঞা প্রপোজ করে পরে বিয়ার লাইজ্ঞা। আমার প্রেম পিরিত, লাভ মেরিজ এডি ভাল্লাগেনা তাই ডাইরেক্ট বিয়ার কথা কইছি :D ”
.
< “আমাকে প্রপোজ কড়াড় আগে আয়নায় নিজের চেহাড়া টা দেখছো একবাড়??? আ’ম নট  টকিং  এব্যাউট ইউড় ফেসবুক ফটোশপ প্রো পিক,  ইট’স এবাউট ইউড় রিয়্যাল ফেইস...!! দেখছো কখনো?? ”
.
“ হ দেখছিতো। দেইক্ষা বুঝলাম আমার কপালে কোন পরী নাই, পেত্নি লেখা আছে। তাই তো তোমারে প্রপোজ করলাম ;) ”
.
ঠাস!!!!!!!!
.

.
বিঃদ্রঃ
  অলওয়েজ “ঠাস” ডাজেন্ট মিনস থাপ্পর। মাঝে মধ্যে ‘ওভারস্মার্ট’ রমনীরাও শকিং এর ঠেলায় এক্সেলেটরের শেষ প্রান্তে আইয়া ‘ঠাস’ কইরা উষ্ঠা খায়... ;) 

রবিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০১৪

ফেসবুক ফ্ল্যাশ মব

হোমপেইজ বলে আইজগা সবার ফাঁকা দেখাইছে। লন এই আনকমন একখান ইভেন্টে একটা মব ড্যান্স দিলাই 
.
.
ওয়েলকাম টু দ্যা বিগেস্ট ব্লক বাস্টার ইভেন্ট অফ দ্যা ইয়ার, ফেসবুক হোমপেইজ ফাঁকা টু থাউজেন্ট ফরটিন.....
আর ইউ রেডি টু গো...
.
ঘন্টা খানেকের একশন, ডিস্টিং ডিস্টিং
ফেসবুক ক্রেজি নেশন, হাউ এক্সাইটিং
আমরা সবাই ওয়েটিং
টেনশন টেনশন
ধিং তিনা ধিং ধিং, ধিং ধিং ধিং ধিং
.
চার ছক্কা হই হই, স্টাটাস সব গেলো কই
চার ছক্কা হই হই, স্টাটাস সব গেলো কই
.
হোওওল হোম পেইজ, পোস্ট ড্রপিং ড্রপিং
ব্লওওওক বাস্টার, মাইর ওয়েটিং মাইর ওয়েটিং
.
পোলাপাইন শাউটিং, বুম বাস্টিং রকিং
পিপল আর চিয়ারিং, ইভরি বডি হিয়ারিং
.
পোস্ট আর কমেন্টে, জমবে লড়াই
জ্বালার সীমা নাইইইইইইইইইইইই
দেখছে দুনিয়া, হোমপেইজ ফাঁকা
একি সাথে সবাআআআআর
.
নাই নাই কিছু যে নাই, যাই যাই জুকাইরার বাড়ি যাইইইই
চলো সবাই একি সাথে, জুকাইরারে পিডাইইইইইইইইইইইই
ধিং তিনা ধিং ধিং... ধিং ধিং ধিং ধিং
.
চার ছক্কা হই হই, স্টাটাস সব গেলো কই
চার ছক্কা হই হই, স্টাটাস সব গেলো কই

শনিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০১৪

“DSLR দূরে যাওয়ার গল্প”..

১) বালিকার ছবি তুলিবার গভীর শখ ছিলো। বালক তাহা বুঝিতে পারিয়া লোকাল বাসে না চড়িয়া হাটিয়া গন্তব্যে যাইয়া, বিকালের চা-পুরি না খাইয়া, মেসের মেল বাঁচাইয়া, টিউশনীর টাকা জমাইয়া একটা ফোর্থ হ্যান্ড লক্কড় ঝক্কড় ডিজিটাল ক্যামেরা কিনিলো। 
.
বালিকাকে না বলিয়া বালক তাহার কয়টা ছবি তুলিলো... লম্বাআআআআআআ লেন্স না থাকায় কাছে থেকেই তুলিতে হইলো.... বালিকা তাহা দেখিয়া বালককে তাহার বান্ধবীদের সামনে ইভ টিজার বলিয়া শাশাইয়া গেলো!!!
.
বালক ফুঠপাত থেকে তাহার ঈদের জুতা, পাঞ্জাবী কিনার খরচ বাচাইয়া বালিকার কিছু ছবি এডিটাইয়া প্রিন্ট করিয়া এ্যালবাম সমেত বালিকার বার্থডে তে গিফট পাঠাইলো........ বালিকা প্রথমে চেতিলেও নিজের সুন্দর সুন্দর ছবি সমগ্র দেখিয়া ইম্প্রেসড হইলো....
.
এর পর থেকে বালক বালিকার ছবি তুলিতে থাকিলো.... বালিকায় বালকের তোলা ছবি ফেসবুকের প্রফাইল পিকে দিতে লাগিলো... লাইকের বন্যায় ফটজনিক বালিকা সেলিব্রেটি লেভেলে আগাইতে লাগিলো..... বালক বালিকায় ভাব বাড়িতে থাকিলো........
.
.
২) এক বসন্ত ঝরা রাতে বালিকার ইনবক্সে এক হাত লম্বা ল্যান্স সমেত রকেটলাঞ্চারে থুক্কু DSLR এ দূর হইতে তাহার অগোচরে তোলা কিছু “উছাম” মডেল টাইপ ছবি ইনবক্সিত হইলো, সাথে একটা ফ্রেন্ড রিকু..........
.

.
৩) অতঃপর বালক তার টানাটানির জীবনের টান কমাইতে এই অফিস হইতে সেই অফিসে দৌড়াইয়া জুতার তলা ক্ষয় করিয়া কর্ম খুজিতে লাগিলো আর বালিকা রকেটলাঞ্চায়ালার সাথে সুখে শান্তিতে বসবাস করিতে লাগিলো...........
.
.
(সুধি দর্শকবৃন্দ এতক্ষন দেখলেন আঙ্গুর ফল টক নিবেদিত “DSLR দূরে যাওয়ার গল্প”...)

বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০১৪

এখন কি "বিশ্ব মন খারাপ দিবস" চলতাছেনি

এখন কি "বিশ্ব মন খারাপ দিবস" চলতাছেনি??? ফেসবুকের যেই stutas এই তাকাই সব খানে একি টাইপ লেখা...... "মন খারাপ"... "কিছু ভালা লাগেনা"..."সব ছাইরা ছুইরা দূরে কথাও যামুগা"......"তুমি ক্যান এমুন করলা"... “আমার সাথেই ক্যান এমুন হয়” .............
.
যাই হোক, জনগন শোক দিবস পালন করলেও আমার দিন কাল ভাল যাইতাছে... নতুন জব পাইছি...(কামের বেডি সামার ভ্যাকেসনে সান বাথ করতে গেছে.........তাঁর রিপ্লেসমেন্টে আমি জব করতাছি...!!)
নিউ জবের খুশিতে একটা পুরান জোক পেশ করি......
.

.
লতিফ একদিন মদ খাইয়া মাতাল হইয়া বাড়িতে ফিরল।
.
বউ এর বকা থে বাঁচতে সে একটা বই খুইল্লা পড়তে শুরু করল!!
লতিফের বউঃ “মদ খাইয়া আইছো, তাই না??”
.
লতিফঃ “কই?? না তো!!”.
.
...
..

লতিফের বউঃ “তাহলে সুটকেস খুইল্লা কি বকর বকর করতাছো??”
.
অতি গরমে আমারো অনেকটা একি হাল। গায়ে পারফিউম দিতে গিয়া শেভিং ফোম স্প্রে কইরালাইতাছি, শরবত বানাইতে গিয়া চিনির জায়গায় লবন ঢাইল্লা ফালাইতাছি, লেবুর জায়গায় পটল চিবতাছি!!!
.
বুঝলাম না ক্যামনে কি!! কিছু না খাইয়াই টাল!!!
 — feeling বেতাল.

বুধবার, ২৩ এপ্রিল, ২০১৪

হিন্দি তে একটা কথা আছে, উপরয়ালা যাব দেতাহে

হিন্দি তে একটা কথা আছে, উপরয়ালা যাব দেতাহে, ছাপ্পার ফাড়কে দেতাহে। কথা আসলেই ঠিক। এতো দিন জব টোগাইতে টোগাইতে টোগানি কি জিনিস তাই ভুইল্লা গেছিলাম। আর এখন একটা না দুইটা না তিন তিনটা জব এর এপয়েন্টমেন্ট লেটার আমার কাছে!!!
.
ঘুম থেকে উঠতেই আম্মায় হাসি মুখে কি সুন্দর তিনটা জব লেটার আমাকে দিয়া গেছে। সাথে কংগ্রেটসো জানায়া গেছে 
.
1st Appointment latter: 
পজিশনঃ সিনিয়র বাথরুম ক্লিনার এক্সিকিউটিভ 
রিস্পন্সিবিলিটিজঃ প্রপ্রারলি ক্লিন অল বাথরুম’স বাই হারপিক
সেলারীঃ ব্রেকফার্স্ট
জব লোকেশনঃ আমগো বাথরুম
.
2nd Appointment latter:
পজিশনঃ ওয়াল এন্ড গ্রীল কালার এক্সিকিউটিভ
রিস্পন্সিবিলিটিজঃ রিকালার ওয়াল এন্ড গ্রীল
স্যালারীঃ লাঞ্চ ( আলোচনা সাপেক্ষে বিকালের ডাইল পুরি)
জব লোকেশনঃ কিচেন এন্ড বারান্দা
.
3rd Appointment latter:
পজিশনঃ সিলিং ফ্যান ক্লিনার এক্সিকিউটিভ
রিস্পন্সিবিলিটিজঃ ওয়াশ এন্ড রিফিটিং সিলিং ফ্যান
স্যালারীঃ ডিনার
জব লোকেশনঃ অল বেডরুম’স
.
কোনডা ছাইড়া যে কোনডায় জয়েন করুম চিন্তায় পইড়া গেছি...
ঘুমায়াছিলাম ভালাই আছিলাম। আসলেই বেকার মাইনষের কামের শেষ নাই 

মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল, ২০১৪

গরম যখন চরমে। লাভ কি তখন শরমে?

আল্লাহ বাচাইছে, আমারে মাইয়া বানায় দুন্নাইতে পাঠায় নাই....
নাইলে এই গরমে কাপড় চোপড়ের দিক দিয়া সানি লিওনো মনে হয় আমার সামনে পাত্তা পাইতো না 
 — feeling গরম যখন চরমে। লাভ কি তখন শরমে?

রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০১৪

সুব্রাহ্মনিয়াম ‘স্বামী’ না ‘স্ত্রী’ নামে বিজেপির কোন এক নেতা

গত কালকের থে পোলাপাইনে এডি কি শুরু করলো বুঝলাম না। 
সুব্রাহ্মনিয়াম ‘স্বামী’ না ‘স্ত্রী’ নামে (নামেরো যেই ধরন, পড়তে গেলে দাত ভাইঙ্গা যায় লেখতে গেলে কলম ভাইঙ্গা যায়) বিজেপির কোন এক নেতা জানি খুলনা থেকে সিলেট পর্যন্ত বাংলাদেশে এক তৃতীয়াংশ দাবি কইরা বইছে!!!
.
দাবি করছে তো কিছে??  
এইডার জন্য কি পুরা ফেসবুকের হোম পেইজ লেইক্ষা ভারায়া লাইতে হইবো নি?? আজিব কারবার।
.
মিয়া এতোটুকু কমসেন্স নাই আপনাগো, যেই গরম পড়ছে এতে সুস্থ মানুষো পাগল হইয়া যায় ঐখানে জন্মগত জাত পাগলে এই গরমে যে পুরা বাংলাদেশটাই দাবি কইরা বসে নাই এইটাই কত!!!
.
.
অতি গরমে পাগলের পাগলামি উঠছে, ঠিক করারও ব্যাবস্থা আছে।  ওরে ডীফ ফ্রিজে সারা রাইত বরফ দিয়া ম্যারিনেট কইরা রাখতে হইবো। সকালে বাহির করার পরে যদি কয় “যেটা যার ছিলো তারই থাকবে” তাইলে বুঝবেন আপাতত পাগলের মাথা ঠান্ডা হইছে, তবে ট্রিটমেন্ট আরো চালাইতে হবে পুরাপুরি সুস্থ করতে।
.
আর যদি কয় “এতোদিন বাংলাদেশের বাঁশ মারার কাফপারা সরূপ মুম্বাই-গোয়া সহ ভারতের এক তৃতীয়াংশ বাংলাদেশেকে দিয়ে দেয়ার জোর দাবি জানাই”,
তাইলে বুঝবেন পাগল পুরা সুস্থ হইয়া গেছে 

শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০১৪

কিছু কিছু নম্বর থেকে আর আসবে না টেলিফোন..........

কিছু কিছু নম্বর থেকে আর আসবে না টেলিফোন..........

...

..

আরে ডরায়েন না। আমার কেউ মরেনাই। এক ফ্রেন্ডের মোবাইল চুরি গেছে। সিম উঠাইতে কাস্টমার কেয়ারে গেলাম। ঐত্তেরি এইডা কাস্টমার কেয়ার না রিমান্ড সেল!!! 
.
সিম কবে হারাইছে?
ক্যামনে হারাইছে?
কত দিন ধরে এই সিম ব্যাবহার করেন?
আপনার ৩টা fnf নম্বর কি কি?
আপনি কোন নম্বরে বেশি কথা বলেন?
লাস্ট কত টাকা রিচার্জ করছিলেন?
কবে রিচার্জ করছিলেন?
কোন জায়গা থেকে রিচার্জ করছিলেন?
লাস্ট কোন নম্বরে কল করছিলেন?
লাস্ট কোন নম্বর থেকে ফোন আসছিলো?
.
এতো কিচ্ছু মনে রাখা সম্ভব?? খেতা পুরি সিম উঠানির... ত্যাক্ত বিরিক্ত হইয়া দুই ফ্রেন্ড মিল্লা হাটা ধরছি আর কানে হেড ফোন লাগায়া শুনতেছি...
“কিছু কিছু নম্বর থেকে আর আসবেনা টেলিফোন”...... আসলেই ঐ নম্বর থেকে আর টেলিফোন আসবে না......
.
.
নতুন নম্বর থেকে আসবে 

বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০১৪

বড় বাঁশ

অন্য কারো সুখের কারন হয়ে আপনি যে সুখের অনুভূতি পান, সেটিকেই সবচেয়ে বড় সুখ বলা হয় 
..
..
..
..
তারপর তার কাছ থেকে যে ফিডব্যাকটা পান ওইটাকেই বড় বাঁশ বলাহয় 

.
(আইডিয়া from “অনুপ্রেরনা”)

বুধবার, ১৬ এপ্রিল, ২০১৪

নারী ছলনাময়িইইই

ফেসবুকের এক ছুডু ভইন Sarah Mahjabin কইলো এই গরমে ওয় নাকি তার রুমের পর্দায় পানি ছিটায়া দেয়, এতে নাকি রুম ঠান্ডা হয়!!
জিগাইলাম এই আজগুবি থিউরী তোমারে কেডায় কইছে?? কয় খালামনি কইছে।
.
যেহেতু এইটা ওর মাথা থেকে পয়দা হয় নাই তার মানে এইটা কামের হইলেও হইতে পারে। 
আর আমি সব সমই পৌনে এক ডিগ্রী আগাইন্না থাকি। যেই গরম পড়ছে তাই আমি আর আঙ্গুল দিয়া পানি ছিটাই নাই, ডাইরেক্ট পর্দায় মগ ভইরা পানি ঢাইল্লা দিছি....  এইবার যদি আমার রুমডা ডিপ ফ্রিজ হয় আরকি  
.
.
কিন্তু ঠান্ডা কই কিছুক্ষন পরে আমি তো দেখি উল্টা আরো পিঠ গরম হইতাছে!!! 
.
ওত্তেরি আম্মায় দেখি আমার পিঠে ঝাড়ু দিয়া........... থাক আর কইলাম না
.
.
পিচ্চি মাইয়া আমারে ঘর ঠান্ডা করার থিউরী কইছে মগর এর পরের ফিডব্যাকটা যে কি হইবো তা আর কয় নাই 
.
নারী ছোট হোক বড় হোক ভইন হোক আর বান্ধুবী হোক... নারী ছলনাময়িইইই.. যে এডির পাল্লায় পড়ছে ওর পিঠ লাল হইছে... (প্রমানিত

সোমবার, ১৪ এপ্রিল, ২০১৪

শুভ নববর্ষ

“হেল্ল, শুভ নববর্ষ”
.
< “শুভ নববর্ষ নাআআআআ?? দিনের ১১টা পর্যন্ত ফোন অফ ছিলো ক্যান?  ”
.
“আরে ঘুমাইছি ভোরে। হুদ্দাও কেউ কল করে যাতে ঘুম না ভাঙ্গায় তাই ফোন অফ রাখছিলাম!!”
.
< “উররে আমার শাহরুখ খানরেহ!!! আপনে কুত্তত্তুউউউউ পপুলার মানুষ!! আপনারে ফুন দিয়া ঘুম ভাঙ্গানির জন্য মাইনষে পাগুউউউউউউউউল!!!”
.
“না মানে যদি কেউ করে তাইলেতো ঘুম শেষ। এই কারনেই অফ রাখছিলাম।”
.
< “যদি কোন ইম্পর্টেন্ট কল আসতো??”
.
“এই বন্ধের দিনে কি আর ইম্পর্টেন্ট কল আইবো? হয়তো কারো মারা যাওয়ার খবর? এখন কেউ সকাল ৭টায় মরলে ওর খবর যদি দিনের ১১টায় পাই তাতে তো সমস্যা নাই। কারন জানাজাতো যোহোরের আগে হইবো না  ”
.
< “তোমার কি ঠোটের আগায় সব সময় এই সব ফালতু যুক্তি রেডি থাকে নাকি??”
.
“গড গিফটেড!! আমি কিরুম, চাইলেও তো এভয়েড করতে পারি না  ”
.
< “বাদ দেও। পহেলা বৈশাখ ঘুমায়াইয়া কাটাবা নি? বাহির হবা না?”
.
“পাগলা কুত্তায় কামড়াইছে? এই গরমে স্বইচ্ছায় মাইনষে বাহির হয়!!!??”
.
< “তো বাহিরে যারা বাহির হইছে ওরা কি অমানুষ নাকি??  ”
.
“নাহ তা না। আমি কইছি স্বইচ্ছায় কেউ বাহির হয় নাকি?”
.
< “তাইলে কার ইচ্ছায় বাহির হয়!!??”
.
“মাইয়া গুলার গায়ে তো আল্লায় আলগা চর্বি দিছে হেইডার পাওয়ারেই হেরা চলে আর পোলা যেগুলা বাহির হয় সেগুলা নিজের ইচ্ছায় বাহির হয় না। হয় ঐ মাইয়াগুলার সাথে ঠেকায় পইড়া”
.
< “ওঁ, তো তুমি এর আগ আমার সাথে বাহির হইতা ঠেকায় পইড়া??? এমনে এমনে না??”
.
“ন্নানানান্নানাআআআআআআ ঠেকায় পড়ে ক্যান? খুশি খুশি বাহির হইতাম”
.
< “ওঁ আমার প্রতি কোন ঠেকা নাই নাআআআ??”
.
“আরে কি বলে আছে তো, থাকবেনা ক্যান??  ”
.
< “তার মানে আমার সাথে ঠেকায় পড়ে রিলেশন করতেছো  ”
.
“আরে ঠেকায় পরে রিলেশন হবে ক্যান? আজব”
.
“ তাইলে কোন ঠেকা নাই নাআআআআআআআ... থাকলে থাকলে থাকলাম না থাকলে নাই এমন???  ”
.
“আরে ধুরো!!! কোণডা কইলে খুশি হইবা?? ঠেকা না ঠেকা ছাড়া?? কিছুই তো বুঝি না!!!  ”
.
“বুঝার লাগবে না”...... টু টু টু (লাইন ডিস্কানেক্ট)
.
অতপর বালক, বালিকার গোসসা ভাঙ্গাইতে ২ঘন্টা বালিকার লেঞ্জার পিছে পিছে ঘুরপাক খাইয়া এই ঠাডা পড়া রোদের ভিত্তে বালিকারে নিয়া বাহির হইলো।
.
এক বড়ভাই আসলে ঠিকি কইছে, হাতে গনা ২-৪টা এক্সেপশনাল কেইস বাদ দিলে পহেলা বৈশাখে কোন ছেলে বের হয় না। বের হয় ললনারা। আর পোলা যেগুলারে দেখা যায় সেগুলা বাহির হয় ললনাদের সাথে “ঠেকায় পইড়া”...
কিন্তু এটা মুখে বলা যাবে না 
.
শুভ নববর্ষ 

রবিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০১৪

পহেলা বৈশাখে

আইচ্ছা বাংলা বছর পয়লা বৈশাখ দিয়া শুরু হয় ক্যা?? পয়লা পৌষ বা পয়লা মাঘ দিয়া শুরু হইলে কি হয়?? বছর গননা হবে এমনে.. পৌষ-মাঘ-ফাল্গুন-চৈত্র-বৈশাখ-জৈষ্ঠ...........
.
ছায়া নটে গান হবে, "এসো হে পৌষ এসো এসো"................
.
TSC তে কনসার্ট হবে.. 

"এ যেনো পৌষ মাস এলেই শুনিইইইইইইইইইইইইইই
মেলায় যাইরে, মেলায় যাইরে....
বাসন্তি রঙ সোয়েটার পড়ে ললনারা হেটে যায়রে
মেলায় যাইরে, ভাপা খাইরে..."
.
.
প্রতিবার পহেলা বৈশাখে বাহির হমু মনে কয় মগর ঘুম থে উইঠা বাহিরের আগুন দেইক্ষা আবার ঘুমায়া যাই 

রবিবার, ৬ এপ্রিল, ২০১৪

My BMW

বাংলাদেশের ফ্রর্থম ফ্রেসিডেন্ট, ফ্রর্থম স্বাধীনতার ঘোষক আর ফ্রর্থম এভারেস্ট জয়ী নিয়া দুই ফক্ষের মধ্যে ডাউট থাকলেও আমি আমার একটা ডাউট বিহীন গুপোন ভাব প্রকাশ কইরা দেই।
.
আমি আমার এলাকার ভিত্তে ফ্রর্থম BMW গাড়ীর মালিক 
ইহা কোন চাপা সমগ্রের অংশ না, খাঁটি সত্যি কথা।

...
...

..

শুধু ফ্রবলেম হইলো BMW টা আমগো গ্যারেজে পার্ক না কইরা শোকেইজে পার্ক করা থাকে!!!! ঘরে কোন গুড়াগাড়া পোলাপাইন আইলে হেইডা ড্রাইভ করে 

বৃহস্পতিবার, ৩ এপ্রিল, ২০১৪

সাফল্যের চাবি' হাতে পাইলাম!!!

অনেক কাঠখড় পোহানোর পর, অনেক বছর অপেক্ষার পর, অনেক খারাপ মূহুর্ত পার করার পর, অনেকের অনেক খোঁচা যুক্ত কথা হজম করার পর, অনেক নিদ্রাহীন রাত পার করার পর অবশেষে আমি 'সাফল্যের চাবি' হাতে পাইলাম!!!

..

...

...

মগর কোন হারামজাদায় জানি সাফল্যের স্টোর রুমের তালাডা চেঞ্জ কইরা দিছে 

.

(আইডিয়াঃ আর্থসেল মুশফিক )
 — feeling angry.

এতো গরমের পরে বৃষ্টি আইলো

এতো গরমের পরে বৃষ্টি আইলো। কি সুন্দর ছাদে গিয়া আরামছে দিল ঠান্ডা করতাছিলাম। পিছ দিয়া দেখি উপরতলার রমনীও আইলো 
.
আহ ক্যায়া রোম্যান্টিক সিন হবে। “এই বৃষ্টি ভেজা রাতে তুমি নেই পাশে” গানটাও আর শুনতে হবে না 
.
মগর উপরয়ালার মনে হয় আমার সুখ সহ্য হয় নাই। দিলো আতকা ব্রাশ ফায়ার কইরা (শিলা বৃষ্টি)!! ছাদের গেট মোটামুটি একটু দূরেই । ন্যাচারাল ফায়ারের হাত থেকে বাচার জন্য দৌড় দিলাম আর ধপাস কইরা পিসলা খাইলাম!!!
.
এইবারো বেকুব সুসান আর উপরয়ালার কান্ডে রমনী মুচকি হাসিয়া বাসায় চলিয়া গেলো, আর আমি বইয়া বইয়া শিলার ফায়ারে ঝাঝরা হইলাম 
 — feeling প্যারাসিটামল দুই বেলা.

বুধবার, ২ এপ্রিল, ২০১৪

নগদ বেকুব

রাস্তা পার হবো, ট্রাফিক কমার জন্য দাঁড়িয়ে আছি এমন সময় পিছন থেকে মেঘ বালিকা ডাক দিলো “সুসান ভাইইইইইইইইই !!!” পিছে চাইয়া দেখলাম মাইয়া একটা আমারে ডাকে বাট আমি তো হিতিরে চিনি না!!! 
“ভাইয়া কেমন আছেন?”
.
< “আছি ভালই কিন্তু আপনাকে তো চিনলাম না”
.
“আরে চিনবেন কিভাবে? আমাকে কি আপনার মত টিভি নাটকে দেখায় নাকি!! আমি আপনার অনেক বড় ফ্যান। জানেন আমার ঘরের পুরো দেয়ালে আপনার পোস্টার টাঙ্গানো!! আপনার সব নাটক আমি দেখছি, খুব ভাল লাগে আপনার অভিনয়!!”
.
“আমি??  টিভিতে নাটক করি!!!??  কবে থেকে!!  ”
.
< “এইযে ভাইয়া আপনার এইসব ফাইজলামি আমি জানি। লাইভ টক শো তে আসলেও আপনি এমন করেন দেখছি!! আমার সাথে আর এক্টিং করে লাভ নাই, আমি ভাল করেই আপনাকে চিনি। ইনফ্যাক্ট সবাই চিনে!! কয়দিন পর যে আপনি মোশারফ করিম এর জায়গা মারবেন এটা সিউর!!”
.

পিছে থে আরেক মাইয়া আইসা কয়, “আপনি সুসান ভাই না?? আল্লাহাআআআআআআআ আমার বিশ্বাসই হচ্ছে না আমি সুসান ভাই এর সামনে দাঁড়ানো!!! আ’ম সো এক্সাইটেড!!!”
.
ফুঠপাতের উপরে আরো কয়টা রমনী দাঁড়ানো, ওরাও দেখি আমার দিকে মুগ্ধ দৃষ্টিতে চাইয়া আছে!!
.
ঘটনা ঠিক বুঝলাম না, নামতো ঠিক আছে মগর এতো ফেমাস হইলাম কবে থে!!!?? তাও আবার রমনী গো হার্ট থ্রব!! আবার আমি বলে টিভিতে নাটকও করি!! টক শো তে আসি!! 
.
ধূর খেতা পুরি, আজকাল টিভিতে আমার লাহান কত গরু ছাগলরেই দেখায়। কোন একটার লগে মিল্লা যাইতেই পারে। চান্স যখন পাইছি ভাব মাইরা লই, এমনেও চোক্ষে সানগ্লাস দেয়া, ভাবেই আছি 
.
“ওহ থেঙ্কস... থেঙ্কস এ লট ফড় ওয়াচিং মাই ড্রামা। আমাড় সামনে অবশ্য একটা মুভিড়ো কথা চলছে, আই হোপ আপনাদেড় ভালো লাগবে। গল্পটা একেবাড়েই ডিফ্রেন্ট.. দেখবেন আশা কড়ি”
.
< “ও সত্যিইইই, মুভি করবেন আপনি। আপনাকে যা লাগবে না ভাইয়াআআআআ... যাই হোক এখন দুইটা রিকুয়েস্ট রাখতেইইইইই হবে। এক আপনার সাথে ছবি তুলবো, দুই আপনার পার্সনাল ফেসবুক আইডি লিঙ্ক দেন... প্লিজ প্লিজ প্লিজ প্লিজ না করবেন না প্লিইইইইইজ”

.
“আমি একচুয়েলি সবাইকে ফেসবুক আইডি দেই না, অনেক ডিস্টার্ব কড়ে তো ফ্যানড়া তাই আড়কি!!  আচ্ছা এতো কড়ে যখন বলছো নাও, কেউ এতো কড়ে রিকুয়েস্ট কড়লে আমি আবড় নাও কড়তে পাড়ি না  ”
.
অতঃপর রমনীরদ্বয়ের সাথে ফটো সেশন, ফ্রেন্ড রিকু এক্সেপ্ট করে বিদায় নিয়ে রাস্তা পার হতে যাবো তখন পিছন থেকে রমনীয়ে ডাক দিয়া কয়,

“ভাইজান রঙ্গিন চশমা পিন্দলে দুন্নাইডা কত্ত রঙ্গিন লাগে তাই না??  এই নেন আপনার আইডি কার্ড। মানিব্যাগ বের করতে গিয়ে রাস্তায় ফেলে দিছিলেন। নামটা ওখান থেকে জানছি, তাই চান্সে একটু মজা নিলাম আরকি!!!  ”
.
এতক্ষণে ফুঠপাতে আমার দিকে মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে থাকা রমনীকুল (মানে তাহার গ্যাং) হো হো করে দুনিয়া কাপায়া আমার দিয়া চাইয়া হাসতাছে!!!!
.
মনে মনে খালি একটাই কথাই ঘুরতাছে “উফরয়ালা, হয় উফ্রে উডায় লও নাইলে দড়ি ফালাও বাইয়া উডি”