শনিবার, ৩১ আগস্ট, ২০১৩

শয়তান তো শয়তানই

বাংলা ছিনেমার একটা কমন ডায়ালগ

"ছেড়ে দে শয়তান, তুই আমার দেহ পাবি কিন্তু মন পাবি না"

পুরাই লজিক ছাড়া একটা ডায়ালগ।
...

...

শয়তান তো শয়তানই, ডিরেক্টর সাবের কি মনে হয় শয়তান কখনো নায়িকার মন পাওয়ার জন্য নায়িকাকে তুলে নিয়ে আসবে?

শয়তানের তো দেহই দরকার। দেহ পাইলে শয়তানে মন ধুইয়া কি পানি খাইবো?
 

মঙ্গলবার, ২৭ আগস্ট, ২০১৩

ভারত খ্যাত.............

ব্রাজিল বিখ্যাত ফুটবলের জন্য

জাপান বিখ্যাত প্রজুক্তির জন্য

মালদ্বীপ বিখ্যাত সুন্দর সুন্দর দ্বীপের জন্য

আফগানিস্তান বিখ্যাত তালেবানের জন্য

সোমালিয়া বিখ্যাত জলদস্যু দের জন্য

বাংলাদেশ বিখ্যাত দুই বুড়ীর কামড়া-কামড়ির জন্য

আর ভারত বিখ্যাত.........?
নিশ্চই ভাবতাছেন ধর্ষনের জন্য? ভুল...

.....

.....

....

গনধর্ষনের জন্য!!!!!!!!!!!!!

ওপারের দাদারা ভালো আছে, যা করে মিলেমিশেই করে   

ফটোগ্রাফার হবার রিসিপি

আপু সমাজের কাছে জনপ্রিয় হবার ভালো উপায় ফটোগ্রাফার হওয়া। চলুন ফটোগ্রাফার হবার রিসিপিটা বলে দেই।

যেন তেন মোবাইল বা ডিজিটাল ক্যামেরা নিয়ে ফটোগ্রাফার হতে পারবেন না তা আপনি যত ভালই ছবি তুলুন না কেন বা ফ্রেম লাইটিং সম্পর্কে যত ভালোই জ্ঞান রাখুন না কেন...!!
আর আপুদের ছবি এসব ছোট খাটো ক্যামেরা ভূলেও তুলবেন না, আপনাকে ইভ টিজার হিসাবে চিহ্নিত করতে পারেন।

প্রথমেই বাপের গলায় পাড়া দিয়ে ৬০ হাজার থেকে এক লাখ বা পারলে তার চেয়ে বেশি টাকা বের করে নিন।
এরপর শোরুম থেকে রকেট লাঞ্চারের মত একটা লেন্স সহ DSLR ক্যামেরা কিনে নিন। ( আপনি যদি ছবি তুলা ঠিক মত নাও জানেন তাও DSLR এর ছুতায় আপনি অলরেডি ৮০% ফটোগ্রাফার হয়ে গেছেন)

এবার রাস্তার টোকাই, ডাস্টবিনের ময়লা খাওয়া কুত্তা, ল্যাম্পপোস্টে বসে নিশানা ঠিক করা কাউয়া, বুড়া রিক্সা চালক, মনিটরের পাশ দিয়ে হেটে যাওয়া পিপড়া আর অবশ্যই আয়নার সামনে ক্যামেরায় চোখ রেখে আপনার ক্যাবলা মার্কা চেহারার একটা ফটো তুলুন। এবং সব ছবিরই সাবজেক্ট ছাড়া পিছনে বাকি সব ঘোলা হতে হবে।

কিছু ছবি সাদা কালো করে দিন। এতে একটা শৈল্পিক শৈল্পিক ভাব আসে। ছবির নিচে লোগো লাগিয়ে দিন যেমন 'ছমদ আলী ফুডুগ্রাফি'

এবার তাড়াতাড়ি ফেসবুকে আপলোড দিয়ে সব বন্ধুকে ট্যাগ করে দিন (এটা লাইক বাড়ানোর একটা পলিসি)

আর কমেন্ট বাড়ানোর জন্য ছবির সাথে লিখে দিন "ফ্রেন্ডস, ছবিটা কেমন হয়েছে"/ "ছবিতে কি কি ভূল হয়েছে একটু বলবা"

কিছুক্ষন অপেক্ষা করুন। দেখবেন টপাটপ লাইক পড়া শুরু হয়ে গেছে সাথে কমেন্টও "অস্থির"... "উছাম" ... "উয়াআআউ"...

ব্যাস হয়ে গেলেন আপনি 'সিরাম ফুডুগ্রাফার'.... এবার ছবি তুলে দেবার জন্য আপনার পিছে আপুদের লাইন লেগে যাবে।
 
আমাদের এপার্টমেন্টের ৬তলায় দুইটা পিচ্চি থাকে। একটা তৌকির আরেকটা তাহছিন। দুইটাই ক্লাস টু তে পড়ে।

তৌকির শান্ত শিষ্ট, মেধাবী ঠান্ডা মাথার মানুষ। তৌকির পরীক্ষায় ১০০তে চোখ বন্ধ করে ৯৫+ পায় ।

আর তাহছিন জন্মের বান্দর, মারাত্তক চঞ্চল। তাহছিন সর্বচ্চ গেলে পরীক্ষায় ৫ পায়!!!!!!!!

আজকে ছাদের মসজিদে এশা নামাজের আগে হুজুর বলতেছেন, “যে ব্যাক্তি মাগরিবের নামাজ ছেড়েদেয় তার সন্তান কখনো তার কথা শুনবে না, অবাধ্য হবে। মানে বুঝচ্ছ?(দুই পুচকিকে বলতেছে) মানে তোমরা যখন বাবা মা হবা তখন বাচ্চা কাচ্চা পুরা বান্দর হবে।”

তৌকির কয়, “হুজুর আমার আব্বা মনেহয় তাহছিনের জন্মের আগে মাগরিবের নামায পড়তো না, তাই এইটা এরুম বান্দর হইছে। কোন কথা শুনে না  :P”
ইহা একটি হরলিক্স মিশানো উচ্চ ইগো সমৃদ্ধ পোষ্ট।

(জৈনিক মানব কইলে মোর বলে ইগো বেশি!!! ব্যাডা মোরে গাঙ্গের জলে ভাইস্যা আওয়া ছ্যাম্রা পাইছাও যে কোন কিছু কম হইবে? ভালা কিছু মোর ধারে না থাকলেও খারাপ জিনিসের অভাব নাই। ওয় ইগোর দেখছেডা কি?
তাইনেরে আরো হাই লেভেলের ইগো দেখানোর জন্য এই পোস্টের উৎপত্তি। So ঐ ‘জৈনিক’ ছাড়া আপামোর জনগণ এই বস্তা পচা কিচ্ছা না পড়লেও চলবে।)
---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

১. “কিরে সুসাইন্না ফেসবুকে তো দেখি প্রতিদিন ভালই মাইনষের লেখা কপি মারছ, এমনে আর কয় দিন?”
২. “ফেসবুকে তুই বিখ্যাত হবি বিভিন্ন পেজ এর পোষ্ট কপিবাজ হিসাবে”

আমার ফেসবুক স্টাটাস দেখে উপরের দুইটা কমেন্টই আমার স্কুল লাইফের দুই “ফাস্ট বেঞ্চার ট্যালেন্ট” স্টুডেন্টের করা। স্কুলে আমি যদিও বসতাম মাঝামাঝি সারিতে কিন্তু আমার ব্রেনতো লাস্ট সারির স্টুডেন্টদের মতই। স্কুল থেকে মাস্টার্স পর্যন্ত পরীক্ষার খাতায় পাঠ্য বইয়ের ৫% ও লিখতাম কিনা সন্দেহ। যা লিখতাম তাকে হিন্দিতে এক কথায় বলে “বাকোয়াজ”। কিন্তু এরপরো স্যার মিডামেরা কি বুইজ্ঝা নম্বর দিত আল্লাহ মালুম।

তাদেরও বা কি দোষ, লাস্ট বেঞ্চের পোলাপাইনের মাথা থেকে যে পাঠ্যবইয়ের বাইরের বস্তাপচা কিচ্ছা বাহির হবে এটাই স্বাভাবিক, কিন্তু এই বস্তাপচা কিচ্ছাও মাঝেমধ্যে ফেসবুকের মত আজাইরা জায়গায় কাজে আসবে তাতো স্কুলে পড়ার সময় কেউ জানতাম না 

মুরগীর খামারের আবর্জনা যে মাছের খামারের পুস্টিকর খাদ্য তা হাতে কলমে টের পাইলাম ফেসবুক চালু হবার পর। ফেসবুকে আমি যা লিখি পরীক্ষার খাতায়ও আমি প্রায় এই টাইপের লেখা লিখতাম (believe it or not).

একবার সেকেন্ড না থর্ড ইয়ারে স্যার ম্যাথ/পরিসংখ্যান পরীক্ষায় লিখতে দিছিলো “ log কাকে বলে?” ( লগারিদম অংকের log)
প্রায় ২ পৃষ্টা লিখেছিলাম যার সার সংক্ষেপ এমন....

“লগ এক প্রকার ভার্চুয়াল তালা। এটা খুলে আমরা ইন্টারনেটে বিভিন্ন একাউন্টে ঢুকি আবার এটা মেরে দিয়ে বের হই। এর ফলে আমাদের একাউন্টে অন্য কেউ ঢুকতে পারে না।
এটা দুই প্রকার, লগইন আর লগ আউট। আমরা মেইলে, ফেসবুকে, টুইটারে ইউসার নেইম আর পাসয়ার্ড দিয়ে এন্টারে চাপ দিলে যা হয় তাই লগ ইন, আর এর থেকে বের হবার সময় যা করি তা লগ আউট। আর আমাদের না জানিয়ে যারা আমাদের একাউন্টে লগইন করে তাদের বাংলা ভাষায় ‘চোর’ আর ভার্চুয়াল ভাষায় ‘হ্যাকার’ বলে। লগ এর কোন জেন্ডার নাই। এটা ছেলেও না মেয়েও না। তাই বলে এটা হিজলাও না। ছেলে-মেয়ে-হিজলা-আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা সবাই লগ ইউজ করে থাকে!!!!!”

এই লেখায় স্যারে ৫ এর ভিতরে ৪ দিছিলো!!!! পরে এই খাতাটা Lata Lutfun নিয়া পুরা ক্লাসে পইড়া শুনায়া স্যারের ইজ্জত থোরা পাংচায় কইরা দিছে। এর পর থেকে ওই স্যারের পরীক্ষায় আমি যদি বই পুরাডা কপি কইরাও দেই তাইলেও আমাকে ৫ এ ২ এর বেশি দেয় না 

তো যাই হোক পরীক্ষায় কোতায়া কোতায়া পাশ করলেও নম্বর বেশি একটা পাইতাম না ট্যালেন্টদের মত (মাথায় কিছু থাকলেয় না পামু)। কিন্তু ফেসবুকে মাশাল্লাহ এই “বাকওবাজ” বিদ্যার এর কারনে অনেক মানুষের সাথেই পরিচিত হবার সুযোগ হইছে। অনেকের সাথে এতো ভাল ফ্রেন্ডশীপ হইছে যা স্কুলে ১০বছরেও হয় নি.......

আহেন এইবার অন্য একটা কাহিনীতে যাই। একবার এক পত্রিকার ইন্টারভিউতে জয়া আহসানকে জিগাস করছিলো, আপনার অভিনয় নিয়ে তো অনেকেই প্রশংসা করে। নিজের প্রশংসা শুনতে আপনার কেমন লাগে?

তো তার উত্তর ছিল এমন,
‘সামনা সামনি সবাই আপনার ভালোটাও ভাল বলবে খারাপ টাও ভাল বলবে কিন্তু আসল কথা পিছে বলে যা আপনি কখনই জানতে পারবেন না। তাই সামনে যে যতই প্রশংসা করুক তা নিয়ে বেশি একটা লাফালাফির কিছু নাই। আমিও এগুলো অতো সিরিয়াসলি না নিয়ে পা মাটিতেই রাখি।

তবে একদিন এক নাটকের শুটিং এ রাস্তার ঝাড়ুদার এর অভিনয় করছিলাম, ক্যামেরা দূরে সেট করা ছিল। এক এল্ট্রা মর্ডান মেয়ের সাথে ভূলে ধাক্কা লেগে যায়, ও এমন রিএক্ট করলো মনেহয় সত্যি কোন রাস্তার ঝাড়ুদারের সাথে ধাক্কা খেয়ে তার জামা নষ্ট হয়ে গেছে। সে ঝাড়ি দিয়ে অনেক গুলা কথা শুনিয়ে চলে গেল। বুঝেই নাই যে এইটা নাটকের শুটিং।
আমি তাতে মাইন্ড করি নাই বরং নিজের কাজের প্রতি সত্যি ঐ দিন খুব স্যাটিস্ফাইড হয়েছি যে আমার অভিনয় মে বি ন্যাচারাল। পুরা চরিত্রের সাথে মিশে যেতে পেরেছি। ঐ ‘ঝাড়ি’ টাই আমার জন্য ছিলো রিয়েল প্রশংসার।’

এইবার সবাই এইখানে অফ জান, নিচের বাকি লেখা এইবার উপরের দুই “ফাস্ট বেঞ্চার ট্যালেন্ট” কমেন্ট্যালার জন্য।
আপনেরা দুইজন জয়ারে থুইয়া আমার দিকে আহেন। আপনেরা দোনোগা মিলি যখন অ্যাঁর লেখারে অন্যের তুন কপি করা কই এইচ্চা কমেন্ট করেন আল্লার কিরা লাগে অ্যাঁর এক্কানাও খারাফ লাগে না। কিল্লাই, কইতারবেন নি?

Coz আমার ফিলিংস ও তখন ঐ জয়ার মত “নিজের কাজের প্রতি সত্যি খুব স্যাটিস্ফাইড হয়েছি” মনেহয় কারন তোমগো বিশ্বাসই হয় নাই যে এডি আমার লেখা হইতে পারে, মনেহইছে এডি অন্য কারো কাছ থেকে ধার করে আনা!!!!!!!!!!

থাকতে তো চাই আমজনতা মগর এডি হুনলে নিজের মনে হয় “কিছু একটা”
 — feeling আমারে টাইন্না নামা, ইন্ডাইরেক্ট প্রশংসায় পা তো মাডিত পড়তো চায়নারে মনা.

রবিবার, ২৫ আগস্ট, ২০১৩

বি সি এস

সর্ব প্রথম আমি মহান আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া ও কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই, কারন তাঁর হুকুম ছাড়া কোন কিছুই সম্ভব হোত না।

এরপর আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই আমার সকল ফ্রেন্ড-ফলোয়ারদের। আমি সবসময় আপনাদের পাশে পেয়েছি। আপনাদের দোয়া এবং ভালবাসা না থাকলে আজ আমি এই অবস্থানে আসতে পারতাম না আর এমন মাইন্ডব্লোয়িং রেজাল্ট করতে পারতাম না। সুতারাং আজকে আমার এই রেজাল্টের পুরো অবদানই আপনাদের।

উপরয়ালার অশেষ দয়া, আপনাদের দোয়া আর ভালোবাসার কারনে আমি এবারের ৩৪ তম বিসিএস পরীক্ষায় দুর্দান্ত ভাবে









ডাব্বা মেরেছি… -- feeling ফেইলর ইজ দ্যা পিলার উফ সাকসেস 

৫ লাখ টাকার পাঞ্জাবী

এই বার ঈদে ইনশাল্লাহ যে পাঞ্জাবী পিন্দুম তার মার্কেট ভ্যালু ৫লাখ টাকা…!!

আরে মোহতরামে দোস্ত বুজুর্গানেরা, দাম শুইনা ডরাইয়েননা। আমিতো বলছি ৫লাখ টাকা পাঞ্জাবীর " মার্কেট ভ্যালু" কিন্তু আমি তো আর ওইডা ৫লাখ দিয়া কিনি নাই… 

আহেন হিসাব বুঝাই, এই মিসকিন বান্দা ক্যামতে ৫লাখ টাকা দামের পাঞ্জাবী পিন্দে…!!

আমগো শানি লায়ন আফা এমনিতে ড্রেস পিন্দে না, কখনো বেশি ঠান্ডা লাগলে ২-১ টা ফিতায়ালা ত্যানা পিন্দে। ওই ফিতা-ত্যানায়ালা শানি আফার ড্রেসের দাম বলে ৫০হাজার টাকা…!!

সেই হিসাবে আমার গলা থে হাটু পর্যন্ত লম্বা পাঞ্জাবীর দাম ৫০লাখ টাকা হবার কথা।
৫লাখ তো কমই কইছি… -- feeling বড়লোক  

নাস্তিক ভার্সেস মি

ফ্রেন্ড লিস্টের এক নব্য ইসমার্ট " জয়িতা আফরিন" ( স্বঘোষিত নাস্তিক) ইস্টাটাসে লিখলো, মন থেকে শ্রদ্ধা না আসলে নামাজ রোজা করা উচিৎ না!! এই নামায রোজা না করার কারনে তার মায়ের সাথে প্রতিদিন তার ঝগরা হয়। এই খারাপ সম্পর্কের জন্য ধর্ম দায়ী…!!

নিচে কমেন্টাইলাম,

" বাহ ঘরে বইসা বইসা সুন্দর হাদিস বানাইছেন… মন থেকে কিছু না আসলে করা উচিৎ না…!!
আইচ্ছা অসুখ হইলে আমরা যে ঔসুধ খাই, ইনজেকশন/ স্যালাইনের গুতা খাই, এইডা কি আমাদের ভালো লাগে? আমরাকি এই এসব ঔশুধ মন থেকে নেই? সুশ হবার জন্ন খারাপ লাগলেও ঔষুদ নেই, এই ধর্ম টাও তেমন। দুনিয়া ও আখেরাতে শান্তি তে থাকার পন্থা।
যার তার সাথে সেক্স করতে সবারই ভালো লাগে, কিন্তু ধর্ম মানার কারনে মানুষ তা থেকে বিরত থাকে। এই কারনে আপনে বা আমার বোনেরা এখন নিরাপদে আছে… মনে না চাইলেও মানা, এইটাই ধর্ম। আপনার আম্মার কথা শুনেন, দুই পাশেই উপকার পাবেন।"

তাইনে আমারে আনফ্রেন্ড মারলো।
আসলেই যার ধর্ম নাই তার খুটির জোর নাই, আর যার খুটির জোর নাই তার পাল্টা কোন উত্তর দেবার ক্ষমাতো নাই। -- feeling খুটি শক্ত 
৬ তাকবিরের ঈদের নামাজে অনেকেই তাকবিরে ভূল করে রুকু তে চলে যায়।

আজকেও তেমনি একজন নামাযের দ্বিতীয় রাকাতে ভূল করে ২য় তাকবিরেই রুকুতে চলে গেছেন। পাশে তার পুচকি ছেলে চিল্লায়া বলতেছে, " ওকি তুমি আগে গেলাগা ক্যা, বেকে তো খারায়া রইলে…!!"

হাসুম না নামাজ পড়ুম… 

দোকানের মত চটপটির রিসিপি

অনেকের অভিযোগ যত ভালোভাবেই চটপটি ঘরে বানানো হোক না কেন তা রাস্তার দোকানের চটপটি মত স্বাদ হয় না…!!

এ ক্ষেত্রে আপনারা আমার থিউরী অবলম্বন করতে পারেন। 
প্রথমে নিয়ম অনুযায়ী চটপটি রাধুন। সব মশলা মিশান। এরপর পুরা হাড়ী না নিয়ে বাসার ছাদে বা বারান্দায় ১০ মিনিট খোলা আকাশের নিচে ঢাকনা বিহীন ভাবে রেখে আসুন। খুব ভালো স্বাদ পেতে হলে মেইন রোডের পাশের ফুটপাতে ৫ মিনিট রাখতে পারেন।

এরপর ফুচকা আর টক মিশিয়ে পরিবেশন করুন।

ভূলে লবন/ মশলার কমতি হলেও স্বাদের কোন কমতি হবে না… 
প্রশ্নঃ বাংলাদেশের জনপ্রিয় কিন্তু ভীনদেশী খাঁটি বাংগালী কে?

উত্তরঃ সানি লিওন।

কারনঃ রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী মিতা হক বলেছেন, " যারা মাথায় ঘোমটা দেয় তারা বাংঙালী না…!!"

সানী আপাতো ঘোমটা দূরের কথা গায়েই কোন কাপড় দিবার চায় না, আর ইন্ডিয়ান হইলেও বাংলার মানুষের কাছে আইডল ( তা এই রোজার ঈদেই প্রমান পাইছে)

ওভার এন্ড আউট 
এইবার ঈদে একটা মিশন হাতে নিছিলাম। তা হইলো বাংলা ছিঃনেমা (আগের কালের না এই কালের) আর সজল "আপু" অভিনীত নাটক দেখুম...!!!

কিন্তু ধর্য্যের বাঁধ বলে একটা কথা আছে। কেন জানি এই দুই ব্যাপারে আমার ধর্য্যের বাঁধ ৫ মিনিটেই ভাইংগা যায়।

বাংলা ছিনেমার নাচ গানকে আমি কমেডি মনে করে সর্বচ্চ ৫মিনিট পর্যন্ত দেখতে পারছি কিন্তু সজল "আপুর" নাটক ২ মিনিটের বেশি দেখার ধর্য্য হয় নাই...

পোলা মানুষ (শারিরীক ভাবে পোলা মানসিক ভাবে মেয়ে) ক্যামনে এতো ন্যাকামি করতে পারে আল্লাহ মালুম...

ভাবিয়া করিও বিয়া

এক ফ্রেন্ডের সাথে মাস খানেক পর স্কাইপি তে দেখা।

> কি মামা দুন্নাইতে বিয়া মনেহয় তুমি একলাই করছো? বিয়ার পর এরুম গায়েব হইয়া গেলা ক্যা? খালি সুন্দরী বউ লইয়া থাকলেই দুন্নাই চলবো?

< ওই হারামজাদা কিয়ের সুন্দরী বউ!!!

> কস কি মামা? তুই না পছন্দ কইরা বিয়া করলি? আবার কস কিয়ের সুন্দরী!!! কেউ ভাবীরে এসিড মারছে নি?

< ধুর কি অলুক্ষুইন্না কথা কস।

> তাইলে সমস্যা কি?

< আরে বিয়ার আগে ওয় যত বারই আমার সামনে আইতো মেকাপ, সুন্দর ড্রেসাপ নিয়া আসত। দেখতে তো সুন্দরই লাগত। হালার বিয়ার পরে গালের থে আধাকেজি মেকাপ উডানির পর যখন ত্যানা পিন্দা রান্না ঘরে যায় বুঝি না কোনডা আমার বউ আর কোনডা কামের মাইয়া..!!

...

...

রাত ৯টার সময় আমার কথা শেষ হইছে এখন ১০টা বাজে মগর আমার হাসি এখনো থামতেছে না.
হাদে কি মাইনষে কয় ভাবিয়া করিও কাজ করিয়া ভাবিওনা...
 

অ্যাড মি প্লিজ ফিভার

এক ভদ্রলোকের কাছে পুলিশ ফোন করে বললঃ স্যার আপনার স্ত্রী এক্সিডেন্ট করেছে, এখন একটু এসে বডি আইডেন্টিফাই করে যাবেন প্লিজ।

...

...

স্বামীঃ im 24hours active facebooker so i'm busy now, আপনি একটা ফটো তুলে ফেসবুকে আমাকে ট্যাগ করুন। যদি এটা আমার স্ত্রীর বডি হয় তাহলে আমি like click করে সার্টিফাই করে দেব....!!!

.

.

পোলাপাইনে ফেসবুকের পোস্টে, মেসেজে যেমনে

"24 hours active, add me pliz"
"100% Active ,like me pliz"
"like my post" / "like my photo" / "আমাকে লাইক দিলে আমিও লাইক ব্যাক করবো..!!"

এডি কইয়া যেমনে হাউকাউ করে কয় দিন পর অবস্থা উপরের হাসবেন্ডের মত হওয়া অস্বাভাবিক কিছু না।
ঐশী আপুকে এয়ারটেলের পক্ষ থেকে একটা এওয়ার্ড দেয়া উচিত। কারন তিনি কি সুন্দর ভাবে এয়ারটেলের একটা ফাও এড কইরা দিলো। 

ঐশী আপু থেকে এইবার যা শিখলাম

"বাপ মা ছাড়া লাইফ পসিবল বাট ফ্রেন্ডস ছাড়া লাইফ লাইফ ইম্পসিবল.......!!!"

ঐশীকে বিয়ে করলে যা হতে পারতো

যত যাই কন ঐশী মাইডা দেখতে কিন্তু মাশাল্লাহ। সত্যি বলতে আমি প্রথম প্রথম হাল্কা ওর প্রেমে পইরা গেছিলাম কিন্তু পরে চিন্তা কইরা দেখি যেই মেয়ে মা- বাবা কে মেরে ফেলতে পারে তারে বিয়া করলে পরে দেখা যাইবো আমার পোলা মাইয়ারেও মাইরা ফালাছে।

ঘটনা হয়তোবা এমন হবে, আমি বউ পোলাপাইন রাইক্ষা অফিসে গেছি আইসা দেখি আমার পুচকি মইরা ভূত হইয়া আছে!!!!!!!!!!!!! ঐশীরে জিগাইলাম,

> “ঐশী বাবু মারা গেছে কিভাবে?”

< “আরে বইলো না, আমি স্টার প্লাসে ‘কাসটোকি জিন্দেগি’ দেখতেছিলাম পুচকি আইসা দিলো চ্যানেল পাল্টায়া। কয় ডোরেমন দেখুম”

> “তো”

< “তুমি তো জানই কাসটোকি জিন্দেগির এক এপিসিয়ড মিস গেলে আমার জিন্দেগিই বরবাদ হইয়া যায়। এতো বুঝাইলাম, পরে দেখ বাবা। হারামজাদা কয় না এখনি ডোরেমন দেখবে, এরপর নিনজা হাতিম দেখবে। গেল মেজাজ খারাপ হইয়া। দিলাম তুইল্লা একটা আছাড়। ব্যাস মইরা গেছে।

আর আমার দিকে হা কইরা তাকা লাভ নাই। এই লাশটা নিয়া এখন ডাস্টবিনে ফালায় দিয়া আসো”

> “ডাস্টবিনে ফালাবো কেন!!!!? কবর দিবো না?”

< “ওরে বাপরে, কবর!!!! নিজের বাপ মারে মাইরা কবর দেই নাই, বাথরুমে ফালায়া দিলাম আবার আইছে পুচকিরে কবর দিতে...!!!

আব যাও, মেরা টাইম মাত খারাপ কারো। ইয়ে কাচরেকি ডাব্বা লেকে বাহার ফেক কে আও কুছ দের বাদ সনি পে ‘ছানছান’ শুরু হোনেয়ালাহে "

সুমন ভাই

বিকালের আড্ডায় সুমন ভাই এসে বলতেছে, 

> "দুফুরে একটা ইন্টারভিউ আছিল, বাসায় আইসা দেখি কোন তরকারী নাই শুধু একটা ডিম আছে। ঐডাই ভাইজ্জা কাইয়ালচি"

< "ভাই এই 'কাইয়ালচি' মার্কা কথা নিয়া নি ইন্টারভিউ দিতে গেছেন?"

> "আমি কই কইচি কাইয়ালচি? আমিতো বলেচি যে কেয়ে পেলেচি!!!"

< "ভাই থাক আপনার 'কাইয়ালচি' ই ভালা, তাইলে অন্তত বুঝা যায় যে আপনে মায়মনসিংয়া। 'কেয়ে পেলেচি' শুনলে বুঝার উপায় নাই আপনে কোন দেশী "  

বৃহস্পতিবার, ১ আগস্ট, ২০১৩

ভালোবাসার ব্যাপারে সাপোর্ট

দুনিয়ার কম বেশি সব লাভ স্টোরীতে বোন ভাইকে ভালোবাসার ব্যাপারে সাপোর্ট দেয় কিন্তু ভাই বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বোনকে এই ব্যাপারে সাপোর্ট দেয় না।

এর কারন কি জানেন?

কারন বোন জানে ভালোবাসা কি জিনিস











আর ভাই জানে এই জামানার "বয় ফ্রেন্ড" গুলা কি জিনিস