শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর, ২০১৩

ইন্টারভিউ রুমে

একটা প্রাইভেট ফার্মে এমডির রুমে চাকরির ইন্টারভিউ। এমডি তুলনামূলক ইয়াং মানুষ। ৩০-৩২ বছর বয়স হবে। ল্যাপটপে ফেসবুক ব্রাউজ করছেন। মনেহয় ভালোই ফেসবুক এডিক্টেড।

এমডিঃ ফেসবুক ইউজ করেন?

> “জি স্যার করি”

< “বলেন তো ফেসবুকের মালিক এর নাম কি?”

> “জুকাইরা!!!!!!!!” (জিব্বায় কামড়  ) 
“থুক্কু মার্ক জোকার বার্গার!!!!!” (  দ্বিতীয় বারের মত আবার জিব্বায় কামড়। ফেসবুকে ফাইজলামি করে এইসব ওয়ার্ড ইউজ করতে করতে রিয়েল লাইফেও ঢুইক্কা গেছে  )

< “জুকাইরা/ থুক্কু মুক্কু/ জোকার বার্গার!!!!!! হোয়াট দ্যা হেল ইট ইজ???
এই ধড়নের ল্যাঙ্গুয়েজ নিয়ে আপনি এসেছেন এক্সিকিউটিভ পাজিশানের জন্য ইন্টাড়ভিউ দিতে!!!! হাউ রেডিকুলাস!! এধরনের ল্যাঙ্গুয়েজ দিয়ে তো আর কোথাও জব পাবেন না এর চেয়ে বেটাড় এক কাজ কড়েন, দেখেন কোথাও উপজাতি, এলাকাবাসী, প্রতিবন্ধী কৌটায়.............. ”

এইবার এমডিরো জিব্বায় কামড়!!! 

রিসেন্ট ফেসবুকের হট টপিক “কৌটাময়” স্টাটাস সমগ্র পড়তে পড়তে ওনারো মনেহয় মুখ পিছলাইয়া ফেসবুকিয়ো ল্যাঙ্গুয়েজ বাহির হইয়া গেছে!!!

বুঝাই যাচ্ছে বহুত কস্টে হাসি চাইপ্পা আছেন এমডির ঠাট বজায়ে রাখার জন্য। ইশারায় বলল ইন্টার ভিউ শেষ, এখন যান। দরজা খুলে বের হওয়া পর্যন্ত মনেহয় উনি আর হাসি চেপে রাখতে পারলেন না। হোহো করে হেসে দিছেন!!

থাক পিছে তাকায়া উনারে “হাউ রেডিকুলাস” থুক্কু “এম্বাড়সিং” সিচুয়েশনে ফালায়া কাম নাই

রবিবার, ৩ নভেম্বর, ২০১৩

শেফ সুসান (২য় & লাস্ট পার্ট)



আগে মাঝে মধ্যেই এলাকার ব্যাচেলর বা মেছে থাকা ভাই বেরাদরদের সাথে রান্না বিষয়ক ফাপর নিতাম। কইতাম “ধুর মিয়া বুয়া আহে নাই তো কিছে, নিজে নিজে রাধতে পারেন না? এইডা কোন কাম এর ভিতরে পড়ে? আমিতো প্রায় সময় ঘরে নিজের মন মত রাইন্ধা খাই!!! হুদাই KFC, BFC এ যাইয়া ট্যাকা খরছ করন লাগে নি!!” (ফাপরটা মনে হয় একটু বেশিই হইয়া গেছিলো )

তো একদিন এক বড় ভাইয়ে কল দিছে, “শেফ সাব, আমার ভাইগ্না আইছে বাসায়, কয় ফ্রাইড চিকেন খাইবো। ক্যামনে বানাইতাম রিসিপিটা একটু কইবেন?”

ফাপড় মাইরা পড়ছিতো মাইঙ্কা চিপায়, এখন তো না কইলে ইজ্জত থকতো না। পরে পেঁয়াজ বাটা, রসুন বাটা, হ্যান সস-ত্যান সস- বক্কর চক্কর মানে যেই কয়ডা মসলার নাম জানি তা সব এক চামুচ দুই চামুচ দিয়া মুরগী মাখায়া তেলে ভাজতে কইলাম।

২দিন পর ঐ ভাই এর ফোন, মাম্মাআআআআআআআ তুমি তো আসলেই একটা জিনিয়াস। চিকেন ফ্রাই অছাম হইছে। ভাইগ্না তো পুরাডাই খাইয়ালাইছে, আমি ভাগে অল্প একটু পাইছি। আর জ্বালামু না রিসিপিটা আবার কও, লেইক্ষা থুই সাথে আইজগা মেসের সবাইরে খাওয়ামু।

আমি তো তখন আন্তাজে মারছিলাম কিন্তু এমনে যে ঝড়ে বক মইরা যাইবো তা কে জানতো!! (তাইলে তো আমিও রিসিপিটা লেইক্ষা রাখতাম  ) আমিও তো আসলে জানি না সঠিক তরিকা কি। আবারও আন্তাজে নতুন রিসিপি একটা মাইরা দিলাম।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ঐ মেসে এখন ওরস্যালান জাতীয় খাবার থুক্কু জাতীয় পানীয় হিসাবে ব্যাবহৃত হচ্ছে সাথে ঐ মেসে আমার গমনের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হইছে 

শনিবার, ২ নভেম্বর, ২০১৩

শেফ সুসান ফার্স্ট পার্ট

বাসায় আম্মা না থাকলে মাঝে মধ্যে আমি যখন রাঁধি মাশাল্লাহ ভালই প্রসাংসা অর্জন করি। কারন আমি কখনো দেশী খাবার রাঁধি না, যা রান্ধি সবই বিদেশী ফুড!!! 

এই যেমন ধরেন ভূলে যদি খাবারে ঝাল বেশি দিয়া ফালাই তাহলে সেটা হইয়া যায় মেক্সিকান ফুড, যদি খাবার নষ্ট হইয়া টক হইয়া যায় তো ঐটা ইটালিয়ান ফুড, যদি কার সাথে কথা কইতে কইতে তেল, লবন, মসল্লা পাতি কিছুই দিতে মনে না থাকে মানে রঙ ছাড়া পাইন্সা হইয়া যায় তাইলে সেটা চাইনিজ/জাপানিজ ফুড আবার কারো লগে গোসশা কইরা মসল্লা বেশি দিয়ালাইলে হইয়া যায় ইন্ডিয়ান ফুড!!!!!!!!!! 

মাইনষেরে তো লাম ছাম বুঝায়া খাওয়াইয়া দেই আর হেরাও খাইয়া তৃপ্তির ঢেকুর তুইল্লা ভালই শেফ সুসান কইয়া প্রসংসা করে মগর আমার রান্না করা খাওন আমি খাইতে গেলে এমন বমি আহে কেরে!!!!!!!!???
 — feeling ভূলে নিজের রান্না খাইয়া মাথা দুলাইতাতে.