বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৩

শিলার-আসিফ নজরুল

শিলার প্রথম বিয়ে আসিফ নজরুলের সাথে। আসিফের সাথে ছাড়াছাড়ি হয়ে
শিলার বিয়ে হয় এক আম্রিকান প্রবাসির সাথে (সম্ভবত অপু নামে একজনের সাথে যে তার ক্লাসমেট ছিল)। 

নজরুলের বিয়ে হয় রোকেয়া প্রাচীর সাথে। রোকেয়া প্রাচীর আগের স্বামী ছিলেন পুলিশ অফিসার যিনি সন্ত্রাসীদের ধরতে গিয়ে মারা যান। 
শীলার বাবা হুমায়ন আহমেদ। কিন্তু তার স্ত্রী শীলার মা নন, তিনি শীলার বান্ধবী!!! শীলার মা 
শীলার বাবার প্রথম স্ত্রী!! 

শীলার আম্রিকান ঘরে দুই সন্তান হয়। শীলার সাথে আম্রিকানের ছাড়াছাড়ি হয়, এদিকে নজরুলের সাথে রোকেয়া প্রাচীর ছাড়াছাড়ি হয়।

সর্বশেষ গতকাল শীলা তার পুরান স্বামী আসিফ নজরুলকে আবার বিবাহ করে নতুন ঘর সংসার শুরু করলেন ............. to be continue

মোরালঃ প্রেক্টিক্যাল ভার্সন অফ হিন্দি সিরিয়াল

(উপরের মেগা সিরিয়ালটি প্রচারিত হল বিভিন্ন পত্রিকার তথ্য মতে। উল্টা পাল্টা কিছু পেয়ে থাকলে সুসান "হলুদ সাংবাদিক" ট্যাগ খাইতে বাধ্য নহে  )

রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০১৩

মর্ডান আপা

এক উঠতি “মডার্ন” আফার সাথে চ্যাট করতে করতে আমার এক মফঃস্বলের আল্ট্রামডার্ন আপুর কথা মনে পড়লো। উনি কলেজ পর্যন্ত ঠিকি আছিলেন কিন্তু ভার্সিটিতে উইঠা তারে কোন ভূতে পাইছে কে জানে উনি হঠাৎ আম্রিকান হইয়া গেছেন!!!!!

উনি এখন কটকটি খান না, উনি ক্যাটবেড়ি সিল্ক খান!! শি সেইস, শিজ ডাই ফর চকলেট!! উনি গোছল করেন না, শাওয়াড় নেন!!

উনি এখন পটেটো চিপস খান না, উনি লেইছ/প্রিঙ্গেলস খান!!! উনি কোক পেপসি খান না, উনি সফট ড্রিঙ্কস খান!!! উনি নুডুলস খান না, স্পেগেটি পাস্তা খান!!

তো এই ধারাবাহিকতায় শীতে নতুন এড হইছে চা পান করেন না উনি জাস্ট অনলি কফি খান! (আসলেই কফি খায় না গরম পানিতে গুড় গোলায়া খায় কে জানে)

আমারে জিগাইলো “তুমি কফি খাও?”

উনার আলগা ভাবগুলান আমারে বহুত এন্টারটেইন্মেন্ট দেয় তাই আর উনার ভাবের সাথে পাঙ্গা নিয়া এন্টারটেইন্মেন্ট নস্ট করার ইচ্ছা নাই। বললাম,

“নাহ, আমার দৌড় চা পর্যন্তই  ”

> “  কি বলে, এই যুগের ছেলে কফি খায় না!!! আজওওওব!! আচ্ছা আমি বানিয়ে আনছি”

< “ আপনি কফি বানাতে পারেন?”

> “অবশ্যই!!!!!!! এটা না পারার কি আছে  ” (দ্বিগুন অবাক)

তো কফি আনার পর জিগাইলাম “কি কফি বানাইলেন? এস্প্রেসো, কাপুচিনো না লত্যে? ”

(যদ্দুর জানি বাংলাদেশী কফি খোরেরা এই কয় টাইপের কফিই বেশি খায় তাই জিগাইলাম উনি কোনডা খায়। কিন্তু তার উত্তর শুইন্না আমি পুরাই মখা হইয়া গেলাম!!)

> “আরে নাআআআআ, এসব না আমিতো Nescafe coffee বানাই সবসময়। অন্য গুলোতে টেস্ট পাইনা!!!! আর এটাই তো সবচেয়ে দামী আর বেশি চলে!!!”

দোয়া করি অনেক উঁচা ফ্যামেলিতে সকল আল্ট্রা + উঠোতি মডার্ন আপাদের বিয়া হোক কিন্তু ভুলেও কোন প্রবাসীর সাথে যাতে বিয়া না হয়। উনারা বিদেশ যাইয়া কোন কফি শপে কফি অর্ডার দিতে গিয়া ওয়েটারদের হাসাক তা আমি চাইনা।

কারন হাসিটাতো আর উনাদের নিয়া হবে না, হবে বাংলাদেশীদের নিয়া 

(বিঃদ্রঃ ইহা একটি কাল্পনিক কনভার্সেশন। “দামী” কফি নেসক্যাফের কোন “ব্রান্ড এম্বাসেডর” এর লাইফের সাথে মিলে গেলে সুসান ঝাড়ি খাইতে বাধ্য নহে  )

বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৩

চকলেট রুপচর্চা

আগে জানতাম আফারা আটা ময়দা বেসন দিয়া চামড়া চর্চা করতো। অখন দিন পাল্টাইছে। এক ফ্রেন্ডের বার্থডেতে একটু বিজি থাকার কারনে যাইতে পারি নাই তাই হেরে অগ্রিম ওর পছন্দের কয়েকটা চকলেট বার গিফট পাঠাইছিলাম।

২দিন পর যখন ওর বাসায় গেলাম দরজা খুলতেই যা দেখলাম তাতে আমার কইলজার পানি বায়বীয় হইয়া উইড়া গেলো!!!!! দুই কালাআআআআআআআ পেত্নি দরজার পিছনে!! ভালো মত তাকায়া দেখি এইডা আমার ফ্রেন্ডটা আর তার ভইন!!

“কিরে তোগো মুখে কি হইছে? ২দিন আগেও তো সাদা আছিলি!!”

> “আরে মুখে কি হবে!! চকলেট ফেসিয়াল করছি!! তুই চকলেট বার গুলো পাঠিয়ে ভালই করেছিস। টিভিতে ওমেন্স ওয়ার্ল্ড এর বিউটিশিয়ান বলছে চকলেট ফেসিয়াল নাকি সবচেয়ে ভালো এবং ত্বকের জন্য উপকারী!! তাই তোর চকলেট গুলো গলিয়ে ফেসিয়াল করছি। সুইট না!!!??”
   

মেজাজটা এমুন খারাপ হইছে। মাইনষে ভাত খাইতে পায় না আর হারামজাদিডি চকলেট বার গালে লাগায়!!!

কোনদিন যে কোন বিউটিশিয়ান রূপচর্চায় গালে সালফিউরিক এসিড ব্যাবহার এর কথা কইবো হেই দিনের অপেক্ষায় আছি। ডেম সিউর এরা হেই দিন ফর্সা হওয়ার জন্য গালে এসিডো মাখা শুরু করতে পারে, অস্বাভাবিক কিছু না।

(বিঃদ্রঃ ইহা একটি কাল্পনিক স্টাটাস। কোন বিউটিশিয়ানের মুরিদের লাইফ স্টাইলের সাথে মিলে গেলে সুসান ফোনে অথবা ইনবক্সে ঝাড়ি/গালি খাইতে বাধ্য নহে  )

সোমবার, ২ ডিসেম্বর, ২০১৩

সেলিব্রেটি হবার চান্স

সেলিব্রেটি হবার একটা ভালো সুযোগ যাইতাছে মনেহয় তাও ফেবু সেলিব্রেটি না টিভি সেলিব্রেটি!!!!

চিন্তা করতাছি BNP তে সক্রিয় রাজনৈতিক কর্মী হিসাবে যোগ দিমু। সরকার যেমনে থুক্কু পুলিশ যেমনে একটার পর একটারে ধরতাছে আর দুই দিন পর পরই ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবও চেঞ্জ হইতাছে এবং তারা পরবর্তি কর্মসূচি ঘোষনার জন্য একসাথে ২০-২৫টা চ্যানেল+ প্রিন্ট মিডিয়ার ক্যামেরার সামনে আইতাছে তাতে আশা করি নির্বাচনের আগে BNP এর সকল লেভেলের কর্মীর একবার করে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব হয়ে মিডিয়ার হেডলাইনে আসার চান্স আসবে!!!!!! (অবশ্য এর পরে যে ১৪শিকে যাইয়া গরম ডিম খাইতে হপে না তার কোন গ্যারেন্টি নাই)

আমিও বা আর বইয়া থাকুম কেরে? এমনেও আমার এক ফ্রেন্ড টিভি সেলিব্রেটি হইয়া যাওয়ার পর আমারে আনফ্রেন্ড মারছে, আমিও “ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব” ওরফে টিভি সেলিব্রেটি হইয়া হিতিরে ব্লক মারাম। এইতো চান্স 
 — feeling সেলিব্রেটি.

রবিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০১৩

ককটেল শুইন্না ঘুম ভাঙ্গা

২৬ বছরেরে লাইফে ২০-২১ বছরই পুরান এয়ার্পোটের কাছে মানে তালতলা শ্যাওড়াপাড়া এলাকায় কাটাইছি। স্বাধীনতা দিবস না বিজয় দিবসের দিন সকাল ৬টায় তোপধ্বনি করা হইতো, ঐ আওয়াজে ঘুম ভাংতো, আলাদা একটা ফিলিংস। ঐ এলাকা ছেড়ে আসার পর থেকে গত ৫-৬ বছর সেই ফিলিংস পাই না  

আজকে বিজয়ের মাসের প্রথম দিন। ঠান্ডা ঠান্ডা দিনে খেতামুড়ি দিয়া ঘুমাইয়া আছি। হঠাৎ তোপধ্বনির আওয়াজ!!!!! ঘুম ভাইঙ্গা গেলো। এবার মনেহয় বিজয়ের মাসের প্রথম দিনেই তোপধ্বনি হচ্ছে!!

আহ মনেহয় যেনো সেই লেদা কালে ফিরা গেলাম, সেই পুরান ফিলিংস। চোখটা ঘড়ির দিকে পড়তেই দেখি সাড়ে ১০টা বাজে!!!!

সাড়ে ১০টায় আবার কিয়ের তোপধ্বনি!!!!  

একটু পর আমার ছোট ভাই+ তার বন্ধু বান্ধব দের হই হই আওয়াজ পাইলাম “ঐ রাস্তায় ককটেল ফুটাইতাছে, ছাদে চলললল, পুলিশ আইসা পড়লে আর ফুটাইবো না.........!!!!!”

এতোক্ষনে বুঝলাম তোপধ্বনি টা কিসের। ঘুমের ঘোরে মনেই ছিলো না যে আমি এখন ঐ আগের এলাকায় নাই।

আগে আমরা স্বাধীনতা দিবসের কামানের তোপধ্বনি শুইন্না এক্সাইটেড হইতাম আর এখন পোলাপাইন ককটের আওয়াজ শুইন্না এক্সাইটেড হয়!!!!